বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf collect

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf collectকরতে পারবেন। বিদ্রোহী কবিতাটি অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এই কবিতায়কবি শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করেছেন। এই কবিতার কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা আছে। অনেক শিক্ষার্থী বিদ্রোহী কবিতার জ্ঞানমূলক ও সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করতে চায়। এজন্য গুগলে অনিসন্ধান করে।

আমরা এই পোস্টে বিদ্রোহী কবিতার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দিয়েছি। সেই সাথেই উত্তর গুলো পিডিএফ ফাইলে দেওয়া আছে। আপনারা যারা যারা প্রশ্নের উত্তর গুলো পিডিএফ ফাইলে সংগ্রহ করতে চান তাদের জন্য নিচে একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে। তো তাহলে আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন। এবং বিদ্রোহী কবিতাটির সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf collectকরেনিন।

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। আপনারা যারা পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য স্রিজপনশিল প্রশ্ন অনুশীলন করতে চান তারা আমাদের দেওয়া প্রশ্ন গুলো দেখুন। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনাদের জন্য দেওয়া হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিচে দেওয়া আছে দেখেনিন। উত্তর সংগ্রহ করতে নিচের দিকে লক্ষ্য করুন।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ 

যতােই চাও না কেন আমার কণ্ঠ তুমি থামাতে পারবে না,
যতােই করবে রুদ্ধ ততােই দেখবে আমি ধ্বনি প্রতিধ্বনিময়।
আমার কণ্ঠকে কেউ কোনােদিন থামাতে পারেনি যেমন পারেনি কেউ কোনােকালে ঠেকাতে অরুণােদয়,
চাও বা না চাও নৈঃশব্দ্যেও যদি কান পাতাে শুনবে আমারই কণ্ঠস্বর ।

ক. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিয়ম-কানুন মানতে চান না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে উদ্দীপকের মিলের দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও বিদ্রোহী কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ  

বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি?
এসাে তবে আজ বিদ্রোহ করি,
আমরা সবাই যে যার প্রহরী।
উঠুক ডাক।
উঠুক তুফান মাটিতে পাহাড়ে
জ্বলুক আগুন গরিবের হাড়ে
কোটি করাঘাত পৌছােক দ্বারে
ভীরুরা থাক।
মানবাে না বাধা, মানবাে না ক্ষতি,
চোখে যুদ্ধের দৃঢ় সম্মতি
রুখবে কে আর এ অগ্রগতি
সাধ্য কার?
রুটি দেবে নাকো? দেবে না অন্ন?
এ লড়াইয়ে তুমি নও প্রসন্ন?
চোখ-রাঙানিকে করি না গণ্য |
ধারি না ধার।

ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কততম কবিতা?
খ. ‘আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’– কথাটি কবি কেন বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এই অংশে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। অনেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর জানে না। তাই উত্তর গুলো সংগ্রহ করার জন্য অনুসন্ধান করে থাকে। আমরা উক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর এখানে দিয়েছি। তো আপনার যদি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর টি প্রয়োজন হয় তাহলে নিচে থেকে সংগ্রহ করুন।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ঃ 

ক ) ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯২২ সালে প্রকাশিত হয়।

খ) শােষকের অন্যায়-অত্যাচার বিদ্রোহী কবি মেনে নিতে রাজী নয়। তাই কবি  চলার র তার সকল বাধা বিপতি  উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কবি নিয়ম-কানুন মানতে চান না। বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি নিজের শক্তির বিদ্রোহীতা তুলে ধরেছেন। সেগুলাে দিয়ে তিনি মানব সমাজে চলমান সমস্ত অনিয়ম, উচ্ছঙ্খলতা দূর করতে চেয়েছেন। যারা মানুষের অধিকার হরণ করে এবং মানুষকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞিত করে তারা মানষের শত্র।সেই শত্রদের তৈরি নিয়ম-কানন কবি মানতে চান না। তিনি শােষকের তৈরি সমস্ত নিয়ম ভেঙে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান। এ কারণেই তিনি প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে শােষকের জারি করা বিধিবিধানের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। আর তাই তিনি নিয়ম-কানুন মানতে চান না।

গ) ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের চেতনাগত দিকটির মিল রয়েছে।

একজন মানুষের তার নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে।  তার নিজস্ব অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা যায় না। কারণ বিদ্রোহ ঘােষণা  করতে পারে। অনেক মানুষ তাদের অধিকার ঘরে তুলতে প্রতিবাদ জানায়। আর তারা সবাইক এক হয়ে প্রতিরােধ গড়ে  তুলে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। কারণ শাসন ও শােষণ করে মানুষকে,খুব বেশি দিন দমিয়ে রাখা যায় না।

উদ্দীপকের কবিতাংশে সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। এখানে শত্রুরা যতই কবির কণ্ঠরােধ করার চেষ্টা করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত তারা সফল হবে না। কারণ কবির জাতিগত ঐক্যের ধ্বনি ‘আমি’ প্রতিধ্বনিময় হয়ে বিস্তার লাভ করবে। তখন তারা কিছুতেই ঠেকাতে পারবে না। যেমন ঠেকানাে যায় না প্রকৃতির নিয়মে ওঠা অরুণােদয়কে।

মানুষের ঐক্যবদ্ধ বৈপ্লবিক চেতনার কাছে অশুভ শক্তি কোনােভাবেই টিকে থাকতে পারবে না। উদ্দীপকের এই চেতনাটি ‘বিদ্রোহী কবিতার বিদ্রোহী চেতনার সঙ্গে। সাদৃশ্যপূর্ণ। বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি ঔপনিবেশিক রাজশক্তির সমস্ত অন্যায়-অবিচারের বিরােধিতা করেছেন। এই বিদ্রোহের শক্তি তার একার শক্তি নয়, সমস্ত নির্যাতিত মানুষের ঐক্যশক্তি। এভাবে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার চেতনার সঙ্গে উদ্দীপকের মিল রয়েছে।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপক ও ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা।”- মন্তব্যটি যথার্থ।-

একজন  বীরের ধর্ম হচ্ছে বীরত্ব নিয়ে দেশের মানুষকে শাসকদের থেকে মুক্ত করা। আর এ লক্ষ্যেই জাতির আত্মজাগরণ ঘটে। বীর সেই বাক্তি যে অন্যর অধিকার রক্ষার্থে নিজেই বিদ্রোহী ঘোষণা করে। বীর তাহধিকার রক্ষায় শ্রদ্ধাশীল ও আত্মবিশ্বাসী। মানুষ তখন তার অধিকার রক্ষা করতে পারবে যখন সবাইক ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করবে।

উদ্দীপকে আত্মমর্যাদা ও নিজের অধিকারের জন্য ঐক্যবদ্ধ মানুষের প্রতিবাদের কথা বলা হয়েছে। প্রতিবাদী চেতনার জাতিকে কেউ কোনো দিন ঠেকাতে পারবে না। কোনাে শক্তির পক্ষেই সম্ভব তা সম্ভব নয়। কারণ বিদ্রোহী  বিদ্রোহী ঘোষণার মাধ্যমে মানুষ একত্র হয়, সংগ্রামী হয়। এই সংগ্রামী চেতনার দিকটি ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবি ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করে শক্তিমত্তার যে পরিচয় প্রকাশ করেছেন তা সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধ জাগরণের প্রতিনিধি হয়ে উঠেছে।

‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি আত্মজাগরণ ঘটিয়ে শাসকদের হাত থেকে নির্যাতিতদের মুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদখদারিয়েছেন। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত শাসকদের শাসন  বন্ধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি তাঁর বিদ্রোহ-প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। তাঁর সেই সাহসী সংগ্রামী, সে একজন বিদ্রোহী নাগরিক | চেতনাকে কেউ স্নান করতে পারবে না।

উদ্দীপকের কবিতাংশের মূল বক্তব্যও তাই। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ঃ 

ক উত্তরঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা ।।

খ উত্তরঃ কবি নিজের শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ কথাটি বলেছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি অন্যায়, অত্যাচা দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অন্যায়ের  বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। বিদ্রোহী কবিতায় তিনি ‘আমি’ শব্দটি বারবার ব্যবহার করে এর সঙ্গে নিজেকে তুলনা  করেছেন।অন্য সব চরিত্রের মতােই কবি অর্ফিয়াসের উল্লেখ করেছেন।  কবি তার মধ্যে সেই শক্তিমত্তা ও চেতনা অনুভব করেন। আর এ কারণেই  কবি নিজেকে অর্ফিয়াসের বাঁশরীর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিদ্রোহী চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। নিচে বিশ্লেষণ করা হলো।

বাঙালি জাতি অন্যায়ের কাছে কখনাে মাথা নত করেনি এবং কোনো দিন ও করবে না। বাঙ্গালি জাতি শাসক-শােষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। এই জাতি ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে লাভ করেছে এক স্বাধীনতা।

উদ্দীপকে অন্যায়ের এবং ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বিদ্রোহের আহ্বান করা হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতায় কবি বলেছেন যে সময়ের ঘড়ি বেজে উঠেছে, এখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রহরী। তাই ভীরুদের রেখে সাহসীদের সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন আপন শক্তিমত্তা নিয়ে। অর্থাৎ কবি এই কথায় বুঝিয়েছে এখন সময় হয়েছে শাসকদের বীরুধে রুখে দারাতে। তোমরা নিজেরাই এক একটি যোদ্ধা। তোমরাই পারো বিদ্রোহ ঘোষণা করতে।  বেঁচে থাকার  দাবিতেমুক্তির লক্ষ্যে উদ্দীপকের এই চেতনা ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত কবির সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

এ কবিতায় কবি নিজের বিদ্রোহী  প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেন। বিদ্রোহী’ কবি উৎকণ্ঠ ঘােষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দন-রােল যত দিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে তত দিন এই বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। বিদ্রোহী কবিতার আত্মজাগরণের এ চেতনাই প্রতিফলিত হয়েছে আলােচ্য উদ্দীপকে। কবি বিদ্রোহী প্রকাশের মাধ্যমে শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাধ জানিয়েছে।

ঘ উত্তরঃ “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো।

শুরু থেকেই বিদেশিরা এদেশের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের এই  অত্যাচার এদেশের মানুষ মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করেছে। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে। যতক্ষণ দেহে প্রাণ থাকবে ততক্ষণ তারা লড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে। যার কারণে সবাই স্বাধীনতা পেয়েছে। বিদ্রোহ পারে এক জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে। তাই সব জাতিকে একত্র হয়ে বিদ্রোহ করতে হবে।

উদ্দীপকের কবিতায় কবি বেঁচে থাকারঅধিকারের জন্য সাহসীদের প্রতিবাদী সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন। তিনি গরিবদের বিদ্রোহ করতে বলেছেন, সকল জাতিকে একত্র হতে বলেছেন। অধিকার আদায়ের সংগ্রামী চেতনার জন্য কবি বিদ্রোহ ঘোষণা করতে বলেছেন। এই উদ্দীপকের সাথে যে প্রতিফলন ঘটেছে তার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী কবিতার সংগ্রামী চেতনার মিল রয়েছে।

‘বিদ্রোহী কবিতায় কবি জাতিকে রক্ষার জন্য বিদ্রোঙ্করতে বলেছেন। এ কারণে ‘বিদ্রোহী কবিতায় তাঁর ‘আমি’ ব্যক্তি ‘আমি’ নয়; তা জাতিগত চেতনার প্রতীক ‘আমি’ । উদ্দীপকে কবির এ চেতনাটি যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল

প্রিয় শিক্ষার্থী আশা করছি উপরোক্ত সৃজনশীল টি আপনারা সংগ্রহ করেছেন বা সম্পূর্ণ পরেছেন। আপনাদের সেরা প্রস্তুতির লক্ষ্য আমরা আরও কিছু সৃজনশিল প্রশ্ন তৈরি করেছি। এগুলো আপনারা অনুশীলন করতে পারেন। এতে করে বিদ্রোহী কবিতার সকল ধরনের সৃজনশীল সম্পর্কে একটি ধারনা পেতে পারবেন। নিচে আরও কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। আপনারা আরও প্রস্তুতির জন্য নিচের প্রশ্ন গুলোও অনুশীলন করার চেষ্টা করবেন।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১

***যাহারা পদে পদে আনিয়া দিল লাঞ্ছনা, অপমান, অত্যাচার, নির্যাতন, প্রত্যেক সুযোগে যাহারা হানিল বৈরিতার বিষাক্ত বাণ, হযরত তাঁহাদের সহিত কী ব্যবহার করিলেন? জয়ীর আসনে বসিয়া ন্যায়ের তুলাদণ্ড হাতে লইয়া বলিলেন : ভাইসব, তোমাদের সম্বন্ধে আমার আর কোনো অভিযোগ নাই, আজ তোমরা সবাই স্বাধীন, সবাই মুক্ত। মানুষের প্রতি প্রেমপুণ্যে উদ্ভাসিত এই সুমহান প্রতিশোধ সম্ভব করিয়াছিল হযরতের বিরাট মনুষ্যত্ব।

ক. কবি নিজেকে কাদের মরম বেদনা বলেছেন?
খ. ‘আমি দুর্বার/ আমি ভেঙে করি সব চুরমার’– ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বৈসাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের হযরত মুহম্মদ (স.) ও “বিদ্রোহী’ কবিতার কবির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও তাঁদের মূলচেতনা একই”— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।***যে ব্যক্তির হৃদয় অভাবী, অসহায়, নিঃস্ব, এতিম ও দুর্বলকে দেখে আপ্লুত হয় না, কষ্টে চিত্ত ব্যথিত হয় না; তার মনে প্রেম নেই, মায়া নেই, কোনো মমতা নেই। যার মনে মানবপ্রেম নেই, মসজিদ কিংবা মন্দিরে গিয়ে যতই ফ্রন্দনরত অবস্থায় থাকুক; সৃষ্টিকর্তার প্রেম সে পাবে না, পেতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা সবার প্রতিই করুণা করেন কিন্তু প্রেম সবার ললাটে জোটে না।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২

যে ব্যক্তির হৃদয় অভাবী, অসহায়, নিঃস্ব, এতিম ও দুর্বলকে দেখে আপ্লুত হয় না, কষ্টে চিত্ত ব্যথিত হয় না; তার মনে প্রেম নেই, মায়া নেই, কোনো মমতা নেই। যার মনে মানবপ্রেম নেই, মসজিদ কিংবা মন্দিরে গিয়ে যতই ফ্রন্দনরত অবস্থায় থাকুক; সৃষ্টিকর্তার প্রেম সে পাবে না, পেতে পারে না, সৃষ্টিকর্তা সবার প্রতিই করুণা করেন কিন্তু প্রেম সবার ললাটে জোটে না।

ক. কবি নিজেকে কার মরম বেদনা বলেছেন?
খ. ‘আমি চেঙ্গিস’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে প্রতিফলিত চেতনা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ক্ষেত্রে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩

***আরাফ ছোটবেলা থেকেই একরোখা। সে যা ভাবে, তাই করে। মা-বাবার শাসন-বারণ মানে না। লেখাপড়ায় মনোযোগ নেই; কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশীর যেকোনো সমস্যায় সে সবার আগে এগিয়ে আসে। সেবার পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে কিশোর বয়সি আরাফের প্রচেষ্টায় আগুন লাগা ঘরে আটকে পড়া তিন বছর বয়সি শিশু অমিতের জীবন রক্ষা পায়। আরাফ কোনোকিছুকেই পরোয়া করে না।

ক. ডমরু কী?
খ. “শির নেহারি’ আমারি, নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির” ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “আরাফ যেন ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কবির মানসপুত্র”- উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf collect

অনেকে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর pdf collectকরতে চায়। তাই আমরা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করেছি। এই পিডিএফ টি এখানে দেওয়া আছে। আপনারা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর এই পিডিএফ ফাইলে পেয়ে যাবেন। তো যারা যারা পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে চান নিচের লিঙ্ক থেকে সংগ্রহ করুন। নিচে পিডিএফ ফাইলের একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে।

Pdf collect

শেষ কথা

আজকের মতো এখানেই শেষ। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনারা বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf collectকরতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। নিচে আপনাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট দেওয়া আছে দেখেনিতে পারেন। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

See More:

সুভা গল্পের mcq (সুভা গল্পের বহুনির্বাচনি প্রশ্ন Pdf)

সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf

বঙ্গবাণী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf File সংগ্রহ

সোনার তরী কবিতার mcq প্রশ্ন ও উত্তর PDf File সহ সংগ্রহ

বিলাসী গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র

লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর এবং জ্ঞান মূলক প্রশ্ন

বিলাসী গল্পের mcq (সকল বোর্ডের হুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর)