রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ

রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ

যখন দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে মিলিত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্ন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে বিক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। রসায়নের পরিভাষায় দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগের পরস্পর যুক্ত হওয়ার পদ্ধতিকে বিক্রিয়া বলে। বিক্রিয়ায় মূলত পরমানু বা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে। প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। এমনকি মানব দেশের ভিতরেও রায়াসায়িক প্রক্রিয়ায় খাদ্যবস্তু ভেজ্ঞে শক্তিতে রূপান্তর হয়। নিচে রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ ও ব্যাখ্যা গুলো দেওয়া হয়েছে।

রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ

যখন দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগ রাসায়নিকভাবে মিলিত হয়ে এক বা একাধিক ভিন্ন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে বিক্রিয়া বা রাসায়নিক বিক্রিয়া বলে। রসায়নের পরিভাষায় দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগের পরস্পর যুক্ত হওয়ার পদ্ধতিকে বিক্রিয়া বলে। বিক্রিয়ায় মূলত পরমানু বা ইলেকট্রনের আদান-প্রদান ঘটে। রায়াসিক বিক্রি ঘটতে দুইটি বস্তু প্রয়োজন। সে নিজে নিজে বা একাকী রাসায়নিক বিক্রি ঘটাতে পারে না। একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর মাধ্যমে বিক্রিয়া ঘটায়। ৪ ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া দেখা যায়।

  • সংযোজন বিক্রিয়া
  • বিয়োজন বিক্রিয়া
  • প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
  • দহন বিক্রিয়া

সংযোজন বিক্রিয়া

“সংযোজন বিক্রিয়া” হল রাসায়নিক বিক্রিয়ার একটি ধরণ, যা দুটি বা ততোধিক অণু বা মোলেসুল একত্রে যোগাযোগ করে নতুন যৌগ বা যৌগের গঠন করে। এটি অনেকগুলি রাসায়নিক বিক্রিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধরণ। এটি আমাদের প্রায় সকল রসায়নিক বিক্রিয়ায় দেখা যায়, সম্পূর্ণ গঠন পরিবর্তনের কারণে সাথে প্রস্তুত হয় নতুন যৌগ। এই বিক্রিয়াতে পুরাতন বন্ধনগুলি মুছে যায় এবং নতুন বন্ধন গড়া হয়।

একটি উদাহরণ হিসাবে, হাইড্রোজেন (H2) এবং অক্সিজেন (O2) একত্রিত হয়ে পানি (H2O) তৈরি করতে পারে। এই বিক্রিয়াতে, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন অণুগুলির বন্ধন বিচ্ছেদ হয় এবং নতুন বন্ধন গড়া হয় যা পানিতে উপস্থিত হয়। সংযোজন বিক্রিয়া একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বহুল ব্যবহৃত। এটি প্রায় সকল রসায়নিক উৎসাহী বিপণনের ভিত্তি।

C2+2O2=2CO2

বিয়োজন বিক্রিয়া

বিয়োজন বিক্রিয়া হল একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যা দুটি বা ততোধিক যৌগের মধ্যে বন্ধন ভাঙ্গতে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণভাবে এমন বিক্রিয়ার একটি ধরণ যা নতুন যৌগের উৎপাদনের সাথে সাথে আবশ্যিক হয়। বিয়োজন বিক্রিয়ায় যৌগগুলির বন্ধন ভাঙ্গা হয় এবং তাদের আত্মসংযোজন ঘটে যাতে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয়।

একটি উদাহরণ হিসাবে, হাইড্রোজেন পারমাণবিক বিয়োজন বিক্রিয়ার একটি শিখরপ্রাপ্ত উদাহরণ। হাইড্রোজেন বর্ননা ২ হলে এটি সাধারণভাবে এক অণুর সাথে যৌগিক বন্ধন গড়ে সূচিত হয়। তবে, হাইড্রোজেন বর্ননা ২ এবং অক্সিজেন বর্ননা ২ এক্সিজেনের সাথে সংযুক্ত হলে, তারা এক অক্সিজেন অণুর সাথে বন্ধন গড়ে ওসি অণু তৈরি করে। বিয়োজন বিক্রিয়া প্রক্রিয়াটি অনেক প্রায় সকল রাসায়নিক উৎসাহী বিপণনের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়া আমাদের নিয়ে এগিয়ে যায় নতুন পদার্থের উৎপাদনে, যা বিভিন্ন প্রকারের উপকারিতা সাধারণ মানুষের জীবনে সরবরাহ করে।

PCl5 (l) +(তাপ) = PCl3 (l) + Cl2 (g)

প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া

প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া হল একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যা একটি বা একাধিক রাসায়নিক যৌগের মধ্যে বন্ধন গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলি সাধন করে। প্রতিস্থাপন বিক্রিয়াতে, একটি যৌগ অন্য একটি যৌগের সাথে বন্ধন গড়তে পারে, এবং তাদের স্থানান্তর হয়ে থাকে যাতে নতুন যৌগ উত্পন্ন হয়। একটি উদাহরণ দেখা যাক। হাইড্রোজেন (H2) এবং ক্লোরিন (Cl2) একাধিক বন্ধনের সাথে আলাদা অবস্থায় থাকে।

তবে, যদি এই দুটি যৌগের মিশ্রণে উত্সর্গীকরণ কার্যকরী হয়, তবে এই যৌগগুলি স্থানান্তরিত হয়ে যায় এবং হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) উৎপাদন করে। এই প্রক্রিয়া একটি প্রায় সাধারণ পরিস্থিতি হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং এটি অনেকগুলি রাসায়নিক উৎসাহী প্রস্তুতির মূল ধারণা হিসাবে প্রয়োজনীয়। প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বিশেষভাবে অধিক সংক্রান্ত যৌগ উৎপন্ন করার জন্য ব্যবহৃত হয়, এবং এটি পরিস্থিতিতে পরিবর্তনের অন্যতম উপায় হিসাবে গণ্য।

Zn(s) + H2SO4 (aq) = ZnSO4 (aq) + H2 (g)

দহন বিক্রিয়া

দহন বিক্রিয়া হলো এমন একটি রসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে একটি পদার্থ অধিক তাপ প্রাপ্ত করে অন্য পদার্থের সাথে সংকর হয়ে যায়। এই বিক্রিয়ায় একটি পদার্থ অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে এনার্জি পুনর্মুদ্ধার করে এবং অক্সিজেন অন্য পদার্থের সাথে সংকর হয়ে যায়। মৌলের উপাদানের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হলো অক্সিজেনের সাথে অক্সিদেশন বিক্রিয়া হওয়া। একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে হাইড্রোজেনের দহন। হাইড্রোজেন অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে জল প্রস্তুত করে এবং পানিতে সাথে সংকর হয়ে যায়।

এই বিক্রিয়ায় অধিক তাপ উপজীবিত হয় এবং জল হিসাবে প্রকাশিত হয়। এই বিক্রিয়া জলের গঠনে তাপ উপজীবিত করে এবং জ্বালানি উত্পন্ন করে। দহন বিক্রিয়ার পরিণামে অনেক সময় তাপ এবং আলোর উত্স হিসাবে উপযোগী। এটি বিদ্যুত উৎপাদনে, গ্যাসোলিনের অনুক্রমিক প্রক্রিয়ায়, এবং গ্যাসের নির্মাণে ব্যবহৃত হতে পারে। এছাড়াও, এটি পানিতে জ্বালানি উৎপাদনে, জ্বালানি নির্মাণে এবং গ্রাহক সেবাতে ব্যবহৃত হয়।

CH4 (g) + 2O2 (g) = CO2 (g) +2H2O (g)
2Mg + O2 = 2MgO

শেষ কথা

রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণগুলি অনেক বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন অক্সিডেশন, রিডাকশন, ইউহাইড্রোলিসিস, সিন্থেসিস, ধ্রুবকীয় বিক্রিয়া, সন্নিবেশিত বিক্রিয়া, উপদ্রব প্রতিক্রিয়া, গ্যাস-তরল বিক্রিয়া, স্থিতিশীল বিক্রিয়া ইত্যাদি। এগুলি রসায়নের বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে থাকে এবং বিভিন্ন পদার্থের মধ্যে সাংঘাতিকভাবে পরিণতি উত্পন্ন করে। আশা করছি রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

রাসায়নিক বিক্রিয়া অষ্টম শ্রেণি ৮ম অধ্যায়

One Comment on “রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *