আমাদের আধুনিক জীবনে বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিহার্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও ব্যবহারের জন্য বর্তনী ব্যবহার করা হয়। এই অধ্যায়ে আমরা বর্তনী, তড়িৎ প্রবাহ, বর্তনীর বিভিন্ন ধরণ, তড়িৎ প্রবাহের প্রভাব, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সম্পর্কে জানবো। বর্তনী হলো একটি বন্ধ পথ যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা আমাদের সমাজের উন্নতি ও উন্নত প্রযুক্তি সেবা সরবরাহে অবিচ্ছিন্ন ভূমিকা পালন করে। নিচে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ অধ্যায় টি সম্পূর্ণ দেওয়া হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ
বর্তনী, বা বিদ্যুৎ বর্তনী, মূলত একটি প্রণালী যা তথ্য বা তথ্যের সংবেদনশীলতা প্রেরণ করে যাতে এটি আগামীতে ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ থাকে। এটি একটি গঠিত প্রণালী, যা বিভিন্ন পদ্ধতিতে তথ্য বা তথ্যের বৈশিষ্ট্য প্রেরণ ও গ্রহণ করতে সক্ষম। বর্তনী বিভিন্ন উপায়ে কাজ করে, যেমন তারাক বর্তনী, তারকা প্রণালী, অপ্টিক্যাল ফাইবার ইত্যাদি। এই বিভিন্ন পদ্ধতিতে বর্তনী সম্প্রসারিত হতে পারে, তথ্যের দলিলাদি বা মাল্টিমিডিয়া সম্প্রসারণ করতে পারে, যা অনেক বিভিন্ন ধরণের তথ্য সরবরাহ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
চলবিদ্যুৎ বা বিদ্যুৎ কৃষ্ণচালী প্রণালী হল তৈরিকৃত প্রণালী, যা চলাচল, বিশেষ করে সঞ্চালনের উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ প্রেরণ এবং গ্রহণ করে। এটি ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে, যেমন শক্তি সরবরাহ, তথ্য প্রেরণ, সঞ্চালন ও নিরাপত্তা প্রদানের জন্য। চলবিদ্যুৎ প্রণালী একটি জাতীয় অধিকারী প্রণালী, যা বিভিন্ন উপায়ে সাধারণভাবে বিদ্যুৎ প্রণালী থেকে তথ্য এবং শক্তি প্রেরণ করে। এটি অনেক বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, যেমন বা শক্তি সরবরাহ, তথ্য প্রেরণ, সঞ্চালন ও নিরাপত্তা প্রদান।
বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ একসাথে কাজ করে সম্প্রসারিত তথ্য সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সরবরাহ করে। এই প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য, বিভিন্ন উপায়ে এই দুটি প্রণালী সমন্বয় করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, অপ্টিক্যাল ফাইবার কেবল বর্তনী এবং চলবিদ্যুৎ প্রণালীর মাঝে সংযোগ স্থাপনে ব্যবহার করা হয়।
বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ একসাথে সমন্বয় করা হলে, তথ্য ও শক্তির দ্বিতীয়করণ ও সরবরাহে প্রযুক্তির বিস্তারিত অনুপ্রযুক্তি নিশ্চিত করা যায়। এটি আমাদের সমাজে কম ব্যবহৃত হলেও অনেক অনুপ্রযুক্তির সমাধান এবং সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়ক হতে পারে।
বর্তনী:
বর্তনী হলো একটি বন্ধ পথ যার মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। বর্তনীর মূল উপাদানগুলো হলো:
- বিদ্যুৎ উৎস: যেমন, ব্যাটারি, সেল, জেনারেটর ইত্যাদি।
- পরিবাহী: যেমন, তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম তার ইত্যাদি।
- প্রতিরোধক: যেমন, রিসিস্টর, বাল্ব ইত্যাদি।
- নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্র: যেমন, সুইচ, রিওস্ট্যাট ইত্যাদি।
বর্তনীর ধরণ:
বর্তনীর দুটি প্রধান ধরণ হলো:
- সিরিজ বর্তনী: এই বর্তনীতে সকল উপাদান একই পথে সংযুক্ত থাকে।
- সমান্তরাল বর্তনী: এই বর্তনীতে বিভিন্ন উপাদান ভিন্ন ভিন্ন পথে সংযুক্ত থাকে।
তড়িৎ প্রবাহ:
তড়িৎ প্রবাহ হলো ধাতুতে মুক্ত ইলেকট্রনের স্থানান্তর। তড়িৎ প্রবাহের একক হলো অ্যাম্পিয়ার (A)।
তড়িৎ প্রবাহের প্রভাব:
তড়িৎ প্রবাহের চারটি প্রধান প্রভাব হলো:
- তাপ প্রভাব: বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন হয়।
- আলোক প্রভাব: বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে আলো উৎপন্ন হয়।
- চৌম্বক প্রভাব: বিদ্যুৎ প্রবাহের চারপাশে চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি হয়।
- রাসায়নিক প্রভাব: বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি:
বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ সম্পাদনের জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। যেমন:
- বাল্ব: আলো উৎপন্ন করে।
- হিটার: তাপ উৎপন্ন করে।
- প্যানখা: বাতাস চলাচল করে।
- মোটর: যানবাহন চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- টেলিভিশন: চিত্র ও শব্দ প্রদর্শন করে।
- কম্পিউটার: তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
শেষ কথা
এই দুটি প্রণালী মিলিত সমন্বয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হয়। বর্তনী তথ্যের সংবেদনশীলতা প্রেরণে এবং গ্রহণে সাহায্য করে, যখন চলবিদ্যুৎ তথ্যের দ্বিতীয়করণ এবং সার্ভিস প্রদানে সক্ষম হয়। এই দুটি প্রণালী একে অপরের সম্পূর্ণায় নির্ভরশীল, এবং তাদের সমন্বয় প্রয়োজনীয় হয় প্রযুক্তিগত সুযোগ এবং সমাধানের উন্নতির জন্য। আশা করছি অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বর্তনী ও চলবিদ্যুৎ সম্পর্কে জেনে নিয়েছেন।
আরও দেখুনঃ