বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল আজকের পোস্টে দেওয়া আছে। কাজি নজরুল ইসলামের রচিত একটি জনপ্রিয় কবিতা হচ্ছে বিদ্রোহী। এই বিদ্রোহী কবিতাটি  অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এই কবিতায় কবি অত্যাচারীদের জন্য দেশেকে রক্ষার্থে বিদ্রোহ প্রকাশ করেছে। এই কবিতার অনেক গুলো সৃজনশীল প্রশ্ন রয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার এই কবিতা থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের পাশা-পাশি সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়।

আপনারা অনেকে বিদ্রোহী কবিতা থেকে সৃজন প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে চান। এজন্য আজকের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন শেয়ার করেছি। আপনারা এই সৃজনশীল গুলো পরীক্ষার জন্য অনুশীলন করতে পারবেন। পোস্টে নিচের দিকে বিদ্রোহী কবিতার কমন ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। এগুলো আপনারা পিডিএফ সহ কারে সংগ্রহ করতে পারবেন। তো চলুন আজকের পোস্ট টি শুরু করা যাক।

বিদ্রোহী কবিতার ব্যাখ্যা

কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি পূর্বের তুলনায় অনেক গুন বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। বিদ্রোহী কবিতাটি পাঠকের মনে উৎসাহ, উদ্দীপনা জাগায়। বিদ্রোহী কবিতাটি প্রকাশিত হওয়ার পূর্বে এরকম আর কোনে প্রতিবাদমূখর কবিতা প্রকাশিত হয় নি। এই কবিতাটির মাধ্যমে কবি তৎকালীন শাসকের বিরুদ্ধে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন এবং ভারতবর্ষের মানুষদের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলেছেন।

এই কবিতায় তিনি নিজেকে বিভিন্ন উপমার মাধ্যমে, পৌরাণিক বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে নিজেকে বীর বা সাহসী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।তিনি এই কবিতায় বার বার ‘আমি’ শব্দটি ব্যবহার করে প্রত্যেকের মধ্যে যে আমিত্বের শক্তি রয়েছে তা বের করার চেষ্টা করেছেন। এই কবিতাটি প্রকাশিত হলে তৎকালীন ইংরেজ শাসকের টনক নড়ে চড়ে বসে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ একজন এত প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে তা তারা কল্পনাও করতে পারে নি।

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল

অনেকে বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন। এখানে আপনাদের জন্য সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো শেয়ার করেছি। এই সৃজনশীল গুলো চর্চা করার মাধ্যমে আপনারা সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই লেখতে পারবেন। এই ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো পরীক্ষার সময় দেওয়া হয়। নিচে সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে দেখেনিন।

সৃজনশীল  ১ 

পিচ্চিরা এমনি ঘুরে বেড়ায়, কোথাও ৭/৮ জনের একটি গ্রুপ, কোথাও ৫/৬ জনের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের মিছিল। মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে, আইয়ুব শাহী, মােনেম শাহী— ধ্বংস হােক, ধ্বংস হােক’; ‘আইয়ুব মােনেম ভাই ভাই এক দড়িতে ফাঁসি চাই। আবার মাঝে মাঝে স্লোগান ভুলভাল হয়ে যায়। যেমন- আইয়ুব শাহী, জালেম শাহী’- এর জবাবে বলছে, বৃথা যেতে দেবাে না। কিংবা  শহীদের রক্ত’– এর জবাবে বলছে, ‘আগুন জ্বালাে আগুন জ্বালাে।

ক. কুর্নিশ’ কথাটির মানে কী?
খ. আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!’- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের কোন দিকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে কি? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল  ২

বেজে উঠল কি সময়ের ঘড়ি?
এসাে তবে আজ বিদ্রোহ করি,
আমরা সবাই যে যার প্রহরী।
উঠুক ডাক।
উঠুক তুফান মাটিতে পাহাড়ে
জ্বলুক আগুন গরিবের হাড়ে
কোটি করাঘাত পৌছােক দ্বারে
ভীরুরা থাক।
মানবাে না বাধা, মানবাে না ক্ষতি,
চোখে যুদ্ধের দৃঢ় সম্মতি
রুখবে কে আর এ অগ্রগতি
সাধ্য কার?
রুটি দেবে নাকো? দেবে না অন্ন?
এ লড়াইয়ে তুমি নও প্রসন্ন?
চোখ-রাঙানিকে করি না গণ্য |
ধারি না ধার।

ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কততম কবিতা?
খ. ‘আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’– কথাটি কবি কেন বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

আরও দেখুন 

বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

উপরে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এগুলোর উত্তর হয়তো আপনাদের জানা নেই। তাই নিচের দিকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়েছি। আপনার যদি উত্তর গুলো প্রয়োজন হয় তাহলে নিচে থেকে দেখেনিতে পারেন। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন।

সৃজনশীল  ১ উত্তরঃ 

ক. উত্তরঃ কুর্নিশ’ কথাটির মানে হচ্ছে কিছুটা পিছিয়ে সমপূর্ণ সালাম বা অভিবাদন।

খ. উত্তরঃ ‘আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!’- পঙক্তিটির মাধ্যমে কবি শাসকের অন্যায় শাসনতন্ত্র, নিয়ম-নীতি ভেঙে তথা তার চলার পথের সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়াকে বুঝিয়েছেন। ‘বিদ্রোহী কবিতায় কবি নিজের শক্তির বহুমাত্রিকতাকে বিভিন্ন অনুষঙ্গে তুলে ধরেছেন।

যেগুলাে দিয়ে তিনি মানবসমাজে চলমান সমস্ত অনিয়ম ও উচ্ছঙ্খলতা দূর করতে চেয়েছেন। এ কারণে শাসকের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি বিদ্রোহ ঘােষণা করেছেন। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী কবি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে শাসকের জারি করা অন্যায় বিধি-বিধানের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। তিনি এখানে সমষ্টির মুক্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।যারা মানুষের অধিকার হরণ করে এবং ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তারা মানুষের শত্রু। কবি তাদের মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন। এ কারণেই তিনি তাদের তৈরি নিয়ম-কানুনকে অস্বীকার করে বলেছেন- “আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!

গ. উত্তরঃ উদ্দীপকের শােষণ-বঞনার প্রতিবাদ এবং শােষকের ধ্বংস নিশ্চিত করার প্রত্যাশার দিকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর হাতে এদেশের মানুষের ভাগ্য শৃঙ্খলিত ছিল। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা সব ক্ষেত্রেই তাদের নিয়ন্ত্রণ এদেশের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। তাই বাঙালিরা পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদের পতনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।উদ্দীপকে পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ এবং তাদের ধ্বংস প্রত্যাশা করা হয়েছে। আইয়ুব খান ও মােনেম খানের অপশাসনের প্রতিবাদে মিছিল হয়েছে। সেই মিছিলে মিছিলকারীরা এক দড়িতে তাদের ফাসি চেয়েছে। এই চেতনা বিদ্রোহী কবিতার শােষকের বিরুদ্ধে কবির বিদ্রোহের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

এ কবিতায় কবি সমস্ত অনিয়ম ও অকল্যাণের অবসান করতে চেয়েছেন। আর এ জন্য তিনি বিপ্লবের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি তাঁর আত্মবিশ্বাস ও বিদ্রোহের চেতনা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আত্মজাগরণ ঘটাতে চান। আর এ কারণেই তিনি উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল না থামা পর্যন্ত তার। অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিজ্ঞা করেছেন।

ঘ. উত্তরঃ না, উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। যুগে যুগে বহুবার এদেশের মানুষ শােষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। ন্যায্য দাবি আদায় করতে তারা রাজপথে মিছিল করেছে। শােষকের কবল থেকে মুক্ত হতে তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।

উদ্দীপকে পশ্চিম পাকিস্তানের দুজন শাসকের ফাঁসির দাবিতে শিশুদের স্লোগানের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। নিচে ব্যাখ্যা করা হলোঃ

এ দুজন হলেন আইয়ুব খান ও আবদুল মােনেম খান। এদের ফাঁসির দাবিতে শিশুরা ‘আইয়ুব-মােনেম ভাই ভাই এক দড়িতে ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দিয়েছে।তাদের কণ্ঠে এ স্লোগানের কারণ আইয়ুব-মােনেমের অপশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের আপামর জনতার তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ। তখন বাঙালিদের সামগ্রিক বিদ্রোহ চেতনায় শিশুরাও অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এ দিকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিদ্রোহী চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ বিষয়টি ছাড়াও কবিতায় আরও প্রসঙ্গ রয়েছে যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি।

‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি সমস্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেছেন। তার তীব্র প্রতিবাদী চেতনা তিনি অধিকারবতি সব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেছেন পৃথিবীতে যত দিন অন্যায় থাকবে, যত দিন উৎপীড়িতের কান্নার রােল তার কানে আসবে তত দিন তার বিদ্রোহ অব্যাহত থাকবে। এ চেতনাটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়নি। এ দিক বিচারে তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকটিতে ‘বিদ্রোহী কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।

সৃজনশীল  ২ উত্তরঃ  

ক. উত্তরঃ ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের দ্বিতীয় কবিতা ।।

. উত্তরঃ কবি নিজের শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে গিয়ে আমি অর্ফিয়াসের বাঁশরী’ কথাটি বলেছেন। ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় কবি অন্যায়, অকল্যাণ দূর করে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য শােষকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। এ কবিতায় তিনি ‘আমি’ শব্দটি বারবার ব্যবহার করে এর সঙ্গে বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্রের তুলনা করেছেন।

অন্য সব চরিত্রের মতােই কবি অর্ফিয়াসের উল্লেখ করেছেন। অর্ফিয়াস ছিলেন গ্রিক পুরাণের দেবতা অ্যাপােলাে ও মিউজ ক্যাল্লোপির পুত্র মহান কবি ও শিল্পী। তিনি যন্ত্রসংগীতে পারদর্শী ছিলেন। তিনি যন্ত্রসংগীতে সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতেন। কবি তার মধ্যে সেই শক্তিমত্তা ও চেতনা অনুভব করেন। আর এ কারণেই তিনি নিজেকে অর্ফিয়াসের বাঁশরীর সঙ্গে তুলনা করেছেন।

গ. উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার বিদ্রোহী চেতনার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

নিরীহ হলেও বাঙালি জাতি অন্যায়ের কাছে কখনাে মাথা নত করেনি। যুগে যুগে তারা শাসক-শােষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে।

উদ্দীপকে অন্যায়ের অবসানকল্পে এবং ন্যায্য অধিকারের দাবিতে বিদ্রোহের আহ্বান করা হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশে কবি বলেছেন যে সময়ের ঘড়ি বেজে উঠেছে, এখন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের প্রহরী। তাই ভীরুদের রেখে সাহসীদের সামনে এগিয়ে যেতে বলেছেন আপন শক্তিমত্তা নিয়ে।

বেঁচে থাকার অন্নের দাবিতে, শােষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে উদ্দীপকের এই চেতনা ‘বিদ্রোহী কবিতায় প্রতিফলিত কবির সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এ কবিতায় সগর্বে কবি নিজের বিদ্রোহী কবিসত্তার প্রকাশ ঘটিয়ে ঔপনিবেশিক ভারতবর্ষের শাসকদের শাসন ক্ষমতার ভিত কাঁপিয়ে দেন। বিদ্রোহী’ কবি উৎকণ্ঠ ঘােষণায় জানিয়ে দেন যে, উৎপীড়িত জনতার ক্রন্দন-রােল যত দিন পর্যন্ত প্রশমিত না হবে তত দিন এই বিদ্রোহী কবিসত্তা শান্ত হবে না। বিদ্রোহী কবিতার আত্মজাগরণের এ চেতনাই প্রতিফলিত হয়েছে আলােচ্য উদ্দীপকে।।

ঘ. উত্তরঃ “চেতনাগত মিল থাকলেও উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

যুগে যুগে বিদেশিরা এদেশের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছে। তাদের সেই অত্যাচার এদেশের মানুষ মেনে না নিয়ে প্রতিবাদ করেছে। শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। যতক্ষণ দেহে প্রাণ থাকবে ততক্ষণ তারা লড়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে।

উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি বেঁচে থাকার অন্নের অধিকারের জন্য সাহসীদের সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান করেছেন। তিনি গরিবদের বিদ্রোহ করতে বলেছেন। এখানে অধিকার আদায়ের যে সংগ্রামী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে তার সঙ্গে ‘বিদ্রোহী কবিতার সংগ্রামী চেতনার মিল রয়েছে। এই মিলের দিকটি ছাড়াও এ কবিতায় আত্মশক্তি, সাহস ও চেতনার আরও অনেক দিক। রয়েছে, যা উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি।

‘বিদ্রোহী কবিতায় কবি অসত্য, অকল্যাণ ও অমঙ্গলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তিনি আত্মজাগরণ ঘটিয়ে নির্যাতিতদের নিয়ে ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়েছেন। এ কারণে ‘বিদ্রোহী কবিতায় তাঁর ‘আমি’ ব্যক্তি ‘আমি’ নয়; তা জাতিগত চেতনার প্রতীক ‘আমি’ । উদ্দীপকে কবির এ চেতনাটি যথাযথভাবে প্রকাশ পায়নি। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

বিদ্রোহী কবিতার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে আপনাদের জন্য আরও কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। আপনারা চাইলে এগুলো পড়েনিতে পারেন। এই প্রশ্ন গুলো পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রশ্ন গুলো পড়তে নিচের দিকে চলে যান।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : ‘দুর্বাসা হে! রুদ্র তড়িৎ হান্‌ছিলে বৈশাখে,
হঠাৎ সে কার শুনলে বেণু কদম্বের ঐ শাখে।
বজ্রে তোমার বাজলে বাঁশি, বহ্নি হলো কান্না, হাসি
সুরের ব্যথায় প্রাণ উদাসী-
মন সরে না কাজে।
তোমার নয়ন-ঝুরা অগ্নি-সুরেও রক্ত-শিখা বাজে!’

ক. কবি নিজেকে কার শিষ্য বলে ঘোষণা করেছেন?
খ. ‘মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তূর্য’- ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশিত হয়েছে? আলোচনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের দুর্বাসা ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ক্ষ্যাপা দুর্বাসার স্বরূপ উন্মোচনে সহায়ক কি? যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : “মুক্তি আলোকে ঝলমল করে আঁধারের যবনিকা
দু’শ বছরের নিঠুর শাসনে গড়া যে পাষাণবেদি
নতুন প্রাণের অঙ্কুর জাগে তারই অন্তর ভেদী।
নব ইতিহাস রচিব আমরা মুছি কলঙ্ক লেখা।”

ক. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
খ. কবি নিজেকে ‘অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশটি ‘বিদ্রোহী’ কবিতার মূলভাবকে কতটুকু প্রতিফলিত করতে পেরেছে? যৌক্তিক বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : কারবালা ময়দানে ইমাম হোসেন তাঁর বাহাত্তরজন সঙ্গীসহ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। শত অনুরোধ ও ভয-ভীতি উপেক্ষা করে তিনি সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন। মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন, কিন্তু অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। সকলেই যখন অর্থলোভে, রাজ্যলোভে বা মৃত্যুভয়ে ইয়াজিদের বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে, তখন তিনি একাই ইয়াজিদি শাসনের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন।

ক. কাজী নজরুল ইসলাম কোথা থেকে নিম্ন প্রাইমারি পাস করেন?
খ. কবি নিজেকে ‘মহা-প্রলয়ের নটরাজ’ বলেছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘বিদ্রোহী’ কবিতার সাদৃশ্য কোন দিক থেকে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “চির-উন্নত মম শির’— উদ্ভিটিতে প্রকাশিত আদর্শবোধই উদ্দীপকের ইমাম হোসেনের মাঝে প্রতিফলিত হয়েছে- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর দেখুন

শেষ কথা

 আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনারা বিদ্রোহী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। নিচে আপনাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট দেওয়া আছে দেখেনিতে পারেন। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।