আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর- পিডিএফ। এস এস সি

আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এখানে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। মানুষ স্বভাবতই ভাবনাহীন সুখী জীবন প্রত্যাশা করে। কবিও এর ব্যতিক্রম নন। তিনি অর্থবিত্তের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে চেয়েছেন। তাদের মতােই নির্ভাবনাময় জীবনের প্রত্যাশা করেছেন। না পাওয়ার বেদনায় সেই জীবন ভারাক্রান্ত নয়। কবি তাঁর গতানুগতিক জীবনের বাইরে এসে নিরন্ন মানুষের জীর্ণ জীবনেও যে সুখ থাকে তাতে শরিক হতে চেয়েছেন।

আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এই কিতার অনেক গুলো সৃজনশীল প্রশ্ন রয়েছে। তবে পাঠ্য বইয়ে এগুলো দেওয়া নেই। গাইড বইয়ে বিভিন্ন বোর্ড প্রশ্ন উত্তর সহ দেওয়া আছে। কিন্তু অনেকের কাছে হয়তো গাইড বই টি নেই। তাই তারা এই প্রশ্নের উত্তর গুলো এখান থেকে সংগ্রহ করুন। নিচের দিকে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো পিডিএফ সহ পেয়ে যাবেন।

সৃজনশীল ১ঃ 

পৈতৃক সম্পত্তির বৈভবে মানুষ আলস্য জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সমাজ-সংসারের প্রতি হয়ে ওঠে উদাসীন। ফলে সাধ্যের চেয়ে আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে এবং অশান্তি বিরাজ করে। পক্ষান্তরে গরিব মানুষ দিনে এনে দিনে খেয়েও অল্পতে তুষ্ট থেকে সাংসারিক শান্তি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে।

ক. নির্ভাবনায় মানুষেরা কেমন বেড়ার ঘরে ঘুমিয়ে থাকে?
খ. কবি কোন জগতের কান্না-হাসির অন্তরালে হারাতে চান? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘আশা’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘অল্পতে তুষ্ট থাকলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়’ উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতার আলােকে যুক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ 

ক উত্তরঃ নির্ভাবনায় মানুষেরা জীর্ণ বেড়ার ঘরে ঘুমিয়ে থাকে।

খ উত্তরঃ প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে আলাে জ্বালতে কবি চিন্তাবিহীন জগতে কান্না-হাসির অন্তরালে হারাতে চান।

‘আশা’ কবিতায় কবি মানুষের জীবনের ক্রমবর্ধমান জটিলতাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রত্যাশা করেছেন। দিনমজুর, শ্রমজীবী মানুষেরা যা রােজগার করে তা দিয়ে কোনাে রকমে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকে।

তারা সমাজে অবহেলিত, নিগৃহীত হলেও তাদের এ নিয়ে কোনাে আক্ষেপ নেই। তারা সম্পদ বাড়ানাের চিন্তায় ঘুম হারাম করে না, সােনা-রুপার পাহাড়ও বানাতে চায় না। এসব ভাবনা থেকে দূরে থাকে বলে তারা ভালাে থাকে এবং সুখে দিন কাটায়। তাই কবি এসব মানুষের মাঝে হারিয়ে যেতে চান। তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার অন্তরালে নিজেকে লুকাতে চান।

গ উত্তরঃ

নিজের যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার দিক দিয়ে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার সাদৃশ্য বিদ্যমান। অনেক অর্থ-বিত্তের মধ্যে কোনাে সুখ নেই। অল্পে তুষ্ট থাকার মধ্যেই সুখ। অনেকেই অন্যের দুঃখ দুর করার জন্য নিজে কষ্ট স্বীকার করেন, তারাই প্রকৃত সুখী।

আবার অঢেল ধনসম্পদ না থাকলেও অল্প আয়ের মানুষ নিজেদের যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। উদ্দীপকে অঢেল বিত্ত-বৈভব মানুষকে অলস করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অর্থসম্পদ মানুষকে অলস করে বলে তারা জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পায় না, সুখের সন্ধানও পায় না।

অন্যদিকে যারা কঠোর পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করে, দিন এনে দিন খায় তারা মনের দিক থেকে অনেক বেশি সুখী। কেননা তাদের অঢেল সম্পদের দুশ্চিন্তা নেই, কিছু হারানাের ভয় নেই। আশা’ কবিতায়ও কবি এ বিষয়টি বর্ণনা করেছেন।

কবি বলেছেন যে, সম্পদের পাহাড় গড়া মানুষেরা সুখের চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না, আর বিত্তের পেছনে না ছােটা মানুষ অবলীলায় সুখী-সুন্দর জীবনযাপন করে। তারা নির্বিঘ্নে ঘুমায়।

ঘ উত্তরঃ

অল্পতে তুষ্ট থাকলে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়’- উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতার আলােকে যুক্তিটি নিচে বিশ্লেষণ করা হলাে : পরিশ্রমের মাঝেই জীবনের সার্থকতা। মিথ্যা সুখের কল্পনা করে কাজ না করলে জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়। কারণ জীবনের সঙ্গে।

সংগতিহীন স্বপ্ন-কল্পনা মানুষের সাফল্যের অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। উদ্দীপকে সুখের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধনীর সন্তানেরা বিত্ত-বৈভবে নিমগ্ন থাকে, তাই সংসারে তাদের কোনাে মন থাকে না। এই অতিপ্রাপ্তিই জীবনের প্রকৃত অর্থ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন রাখে। তারা কেবল আকাঙ্ক্ষার পেছনে ছােটে— সুখের খোজ তারা জানে ।

অন্যদিকে অল্প আয়ের মানুষেরা সামান্য আয়েই তুষ্ট। কারণ তাদের জীবনের আকাঙ্ক্ষা অনন্ত নয়। তারা অল্পকিছু নিয়ে ভালাে থাকতে চায় অন্যের ঘরে আলাে জ্বালে। আশা কবিতায়ও কবি এই সত্যকে উন্মােচিত করেছেন। গতানুগতিকভাবে অর্থসম্পদ নিয়ে সখী হওয়ার চেষ্টায় যে অন্তঃসারশূন্যতা তা তিনি তুলে ধরেছেন।

বিত্ত-বৈভবের চিন্তা ও দুর্ভাবনায় সুখী হওয়ার পরিবর্তে মানুষ। দুঃখকে ডেকে আনছে। যার ফলে কমে যাচ্ছে তার আয়ু। অন্যদিকে সারা দিন যারা হাড় ভাঙা খাটুনি খাটে, তারা বিছানায় গা এলিয়ে দিলে পরম নিশ্চিন্তে নিদ্রা যায়। কারণ তাদের জীবনে চাওয়া-পাওয়া খুব ক্ষুদ্র, তাদের হারানাের কিছুই নেই।

সুখ একটি আপেক্ষিক বিষয় হলেও প্রকৃত সুখ মানবজীবনের কিছু মৌলিক বিষয়ে নিহিত। এর একটি হলাে আত্মতুষ্টি, নিজের যা আছে তাই নিয়ে ভালাে থাকা। বেশি কিছু চাইলে চাওয়ার শেষ আর কখনাে হয় না। আর যারা অল্পতে তুষ্ট তাদের চাহিদা সীমিত এবং এতেই তারা নিজেদের সুখ মনে করে।

সৃজনশীল ২ঃ 

স্তবক ১: সবারে বাসিব ভালাে, করিব না আত্মপর ভেদ।
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের মাঝে কভু রবে না বিচ্ছেদ
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।

স্তবক ২: ধনী বলছে আরও ধন দাও,
ভিখারি বলছে আরও ভিক্ষা দাও,
পেটুক বলছে আরও খাবার দাও।
শুধু দাও আর দাও।

ক. সারা দিনের পরিশ্রমেও কী খুঁজে পায় না?
খ. নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে স্তবক ১-এর ভাবার্থ ‘আশা’ কবিতার যে দিকটি ইঙ্গিত করে তা বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে স্তবক ২-এর বক্তব্য আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার বিপরীত সত্তারই প্রকাশ”- মন্তব্যটির যৌক্তিকতা যাচাই কর।

উত্তরঃ 

ক উত্তরঃ সারা দিনের পরিশ্রমেও একটি দিনের আহার্য-সঞয় খুঁজে পায় না।

খ উত্তরঃ নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি বিত্ত-বৈভব অর্জনের দুর্ভাবনাহীন, লােভ-লালসাহীন সুখী জীবনকে বুঝিয়েছেন।

সাধারণত যেসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মানুষ নিজেদের সুখী বলে দাবি করে, ‘আশা’ কবিতার কবি তা করেন না। কবির মতে তারা প্রকৃত সুখী মানুষ নয় । কারণ তারা যেভাবে সুখী হতে চায়, তা যথার্থ উপায় নয়। তারা নির্ভাবনায় ঘুমাতে পারে না। কবির মতে সংসারে যারা সােনা-রুপার পাহাড় জমানাের ভাবনায় নিঘুম না থেকে অল্পে তুষ্ট থাকে তারাই প্রকৃত সুখী। কারণ তারা ভাঙা বেড়ার ঘরেও নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যেতে পারে। নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি এ বিষয়টিই বুঝিয়েছেন।

সারকথা : নির্ভাবনায় মানুষের ঘুমিয়ে থাকা বলতে কবি বিত্ত-সুখের চিন্তায় আয়ু না কমিয়ে নিজের যা আছে তা নিয়ে তুষ্ট থাকাকে বুঝিয়েছেন।

গ উত্তরঃ

উদ্দীপকে স্তবক ১-এর ভাবার্থ ‘আশা’ কবিতার পরােপকারী মনােভাবের দিকটিকে ইঙ্গিত করে। পরােপকার একটি মহৎ গুণ। পরােপকারী মনােভাব মানুষকে মহৎ করে। মানুষ যখন মানবকল্যাণে আত্মনিয়ােগ করে তখন তার জীবন সার্থকতা লাভ করে।

আমাদের সমাজে অনেকেই আছেন যারা নিঃস্বার্থ, পরােপকারী মহৎ মানুষ ।। উদ্দীপকের স্তবক ১-এর কবিতাংশে নিজের স্বার্থ তথা লাভের চিন্তা না করে অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার কথা বলা হয়েছে। কবি এখানে সবার সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে চেয়েছেন।

সবাই মিত্র ভেবে ভালােবেসে সংসারে এক নতুন সমাজ প্রতিষ্ঠায় তিনি তৎপর হয়েছেন। উদ্দীপকের কবির এই ভাবটি ‘আশা’ কবিতায় প্রতিফলিত কবির প্রকৃত সুখ প্রত্যাশার ভাবনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবিও এখানে মানুষে মানুষে ভেদাভেদহীন, পরস্পরের প্রতি গভীর ভালােবাসা ও বন্ধনের সমাজ গড়ে তুলতে চেয়েছেন। সেখানে মানুষ বিত্ত-বৈভবের আশায় না থেকে অল্পে তুষ্ট থাকবে এবং পরস্পরকে ভালােবাসার মাধ্যমে প্রকৃত সুখের সন্ধান করবে।

ঘ উত্তরঃ

“উদ্দীপকে স্তবক ২-এর বক্তব্য ‘আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার বিপরীত সত্তারই প্রকাশ”- মন্তব্যটি যথার্থ।

মানুষের জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে প্রত্যাশা বেশি। জগৎ সংসারে যে যত পায় সে তত চায়। এই প্রত্যাশার অন্ত নেই। অতিরিক্ত সুখের প্রত্যাশা কখনই জীবনে সুখ বয়ে আনে না। যে কেবল বিত্তসুখের সন্ধান করে সে প্রকৃত সুখী নয়।। উদ্দীপকে স্তবক ২-এর মানুষের অন্তহীন প্রত্যাশার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

এখানে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষ যে প্রাপ্তি অপেক্ষা বেশি প্রত্যাশা করে সেই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। এখানে যে সত্তার প্রকাশ ঘটেছে তা আশা’ কবিতায় কবির প্রত্যাশার বিপরীত। কারণ কবি অল্পে তুষ্ট থেকে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যে সুখ অনুভব করার কথা বলেছেন, উদ্দীপকে স্তবক ২-এর মূলভাব তার সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।

কবির মতে জীবনে সুখী হতে চাইলে বিত্ত-বৈভব অর্জনের লােভ ত্যাগ করে মানুষকে ভালােবেসে মনুষ্যত্ব অর্জন। করতে হবে এবং অল্পে তুষ্ট থাকতে হবে। স্তবক ২-এ এই বিষয়টির প্রতিফলন ঘটেনি। ‘আশা’ কবিতায় কবি তাদেরই প্রকৃত সুখী মানুষ বলেছেন, যারা জীর্ণ বেড়ার ঘরেও রাতে নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে যেতে পারে।

প্রকৃত সুখী মানুষের মধ্যে সােনা-রুপার পাহাড় গড়ার প্রবণতা থাকে না। কিন্তু উদ্দীপকে স্তবক ২-এ সেই প্রবণতা বিদ্যমান। এ কারণেই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায় ।।

আশা কবিতার সৃজনশীল

এখানে এই কবিতার আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। এই প্রশ্ন গুলো নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করবেন। কবিতা টি পড়ে তারপর সেই কবিতার আলোকে এই সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর বের করবেন।

১। বাখরাবাজ রাজশাহীর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। এ গ্রামের মানুষরা খুব নিরীহ। তারা সারাদিন মাঠে-খেতে পরিশ্রম করে। খেয়ে না খেয়ে তাদের দিন কাটে। কিন্তু তারা খুব বন্ধুভাবাপন্ন। একজনের বিপদে সবাই এগিয়ে আমে। সম্মিলিতভাবে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে।

ক. কার আধার ঘরে আলাে জ্বালতে পারার কথা বলা হয়েছে?
খ. তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকা’ বলতে কী বােঝ?
গ. উদ্দীপকের গ্রামটির সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. কবি যে জগতের কথা বলেছেন ‘আশা’ কবিতায়, উদ্দীপকটি তার প্রতিবিম্ব– মন্তব্যটি বিচার কর।

৭। গহিন অরণ্যের মাঝে থাকে এক কাঠুরিয়া। সে নিজেকে অনেক সুখী মনে করে। কারণ সে সম্পদের পাহাড় গড়তে চায় না। প্রতিদিন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মাঝেই কাঠুরিয়ার আনন্দ। সারাদিনের পরিশ্রমের পর সে গান গেয়ে ঘুমাতে যায়। তার মনে কোনাে দুঃখ নেই।

ক. কোন ঘরে নির্ভাবনায় মানুষ ঘুমিয়ে থাকে?

খ. কারা তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের কাঠুরিয়া ‘আশা’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? নির্ণয় কর।

ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘আশা’ কবিতার যে বিশেষ দিকটিতে আলােকপাত করেছে তা ব্যাখ্যা কর।

২। নওয়াপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। এমন পরিস্থিতি মােকাবিলায় এগিয়ে আসে সেই বাড়ির প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বেঁচে যায়। অনেক জীবন। প্রতিবেশীদের এই কর্মকাণ্ডে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা পর্যন্ত অভিভূত হন।

ক. বিত্ত-সুখের ভাবনায় কী কমে যায়?
খ. নেই দীনতা, নেই কোনাে সংশয়- চরণ দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের বিষয়টিতে আশা’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতা উভয়েরই মূল সুর এক ও অভিন্ন মূল্যায়ন কর।

৩।

মারিয়া বড়লােকের মেয়ে। সে বাবার টাকার অহংকার করে। গরিব-দুঃখী মানুষকে সে পছন্দ করে না। বাবা একদিন তাকে বুঝিয়ে বলেন, “দেখাে, গরিব-দুঃখীদের জীবন কতটা কষ্টে ভরা! তারা কতটা পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করে! তারপরও তাদের কোনাে দুঃখবােধ নেই।’ বাবার কাছে এসব কথা শােনার পর থেকে মারিয়া গরিব-দুঃখী মানুষদের জীবন নিয়ে ভাবে।

ক. কোথায় মানুষ সােনা-রুপার পাহাড় জমায় না?
খ. ‘তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে’ বলতে কাদেরকে বােঝানাে হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. উদ্দীপকটি কবিতার মূলভাবকে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে– বিশ্লেষণ কর।

শেষ কথা

এই পোস্টে আশা কবিতার সকল সৃজনশীল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছি।  আশা করছি এই পোস্ট থেকে আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর  পিডিএফসংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

আশা কবিতা সিকান্দার আবু জাফর পিডিএফ- এস এস সি

আমার দেশ কবিতা- সুফিয়া কামাল। বাংলা ১ম পত্র নবম-দশম শ্রেণি

একটি কাফি কবিতা-বিষ্ণু দে বাংলা ১ম পত্র এস এস সি- পিডিএফ

PDF-পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 

পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ