পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ

পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ুন। মায়ের মতো মমতাময়ী ও আত্মীয় আর নেই। রুগ্ণ পুত্রের শিয়রে বসে রাত জাগা এক মায়ের মনঃকষ্ট, পুত্রের চঞ্চলতা স্মরণ আর দারিদ্র্যের কারণে তাকে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও আনন্দ-আয়োজন করতে না পারার ব্যর্থতা এ কবিতায় উল্লেখ করা হয়েছে। পুত্রের শিয়রে নিবু নিবু প্রদীপ, চারি দিকে মশার অত্যাচার, বেড়ার ফাঁক গলে আসে রাতের শীত। রুগ্ণ পুত্রের ঘুম স্বাভাবিকভাবেই আসে না। মা পুত্রের গায়ে আদর করে, তার রোগ ভালো করে দেবার জন্য দরগায় মানত করে।

পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এখানে পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো দেওয়া আছে। এই ধরনের প্রশ্ন সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বারের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রশ্ন গুলো পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই। যাদের গাইড বই নেই, তারা নিচে থেকে জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর পড়ে নিবেন অথবা সংগ্রহ করে নিবেন।

১। পল্লিজননী” কবিতায় কার ঝাড়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘পল্লিজননী’ কবিতায় রহিম চাচার ঝাড়ার কথা বলা হয়েছে।

২। জসীমউদদীন কত সালে কবি মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : জসীমউদ্দীন ১৯৭৬ সালে কবি মৃত্যুবরণ করেন।

৩। রুগ্‌ণ ছেলেটির মা কোথায় মােমবাতি মানে?
উত্তর : রুগ্ণ ছেলেটির মা নামাজের ঘরে মসজিদে মােমবাতি মানে।

৪। রুগণ ছেলেটির মা মনে মনে কী জাল বােনে?
উত্তর : ভালােয় ভালােয় তার ছেলে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে– মা মনে মনে এই জাল বােনে।

৫। কত তারিখে জসীমউদ্দীনের মৃত্যু হয়?
উত্তর : ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ জসীমউদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন।

৬। ছেলে চুপ করলে মা কী করে?
উত্তর : ছেলে চুপ করলে মা তার মাথায় ধীরে ধীরে হাত বােলায়।

৭। কার শিয়রে বসে মায়ের কত কথা মনে পড়ে?
উত্তর : রুগণ ছেলের শিয়রে বসে মায়ের কত কথা মনে পড়ে।

৮। জসীমউদ্দীন কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : জসীমউদ্দীন ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

৯। নিবু নিবু প্রদীপের সাথে কী হয়?
উত্তর : নিবু নিবু প্রদীপের সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরান দোলে।

১০। ছেলের শিয়রে বসে মাতা মনে মনে কী গুনছে?
উত্তর : ছেলের শিয়রে বসে মাতা মনে মনে ছেলের আয়ু গুনছে।

১১। রুগণ ছেলেটির ঘুম না এলে মাতা কী করে?
উত্তর : মা ছেলের পাণ্ডুর গালে চুমু খায় ও সারা গায়ে হাত বুলিয়ে দেয়।

 ১২। কী দিয়ে হুড়ুমের কোলা ভরতে বলেছে?
উত্তর : খেজুর গুড়ের নয়া পাটালি দিয়ে হুড়ুমের কোলা ভরতে বলেছে।

 ১৩। ঘরটির বেড়ার ফাক দিয়ে কী আসছে?
উত্তর : ঘরটির বেড়ার ফাঁক দিয়ে শীতের বাতাস আসছে।

পল্লিজননী কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

১৪। পল্লিজননী’ কবিতায় কোন ফলের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : পল্লিজননী’ কবিতায় বেথুল ফলের কথা বলা হয়েছে।

১৫। কবি জসীমউদ্দীন কোন কবি নামে খ্যাত?
উত্তর : কবি জসীমউদ্দীন ‘পল্লিকবি’ নামে খ্যাত।

১৬। ঘরের চালে কী ডাকে?
উত্তর : ঘরের চালে হুতুম ডাকে।

১৭। পচান পাতার ঘ্রাণ কোথা থেকে আসছে?
উত্তর : পচান পাতার ঘ্রাণ আসছে এঁদো ডােবা থেকে।

১৮। রুগ্‌ণ ছেলের শিয়রে কে জাগছে?
উত্তর : রুগুণ ছেলের শিয়রে জাগছে মাতা।

১৯। জসীমউদ্দীনের কোন কাব্যটি বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে?
উত্তর : নক্সী-কাঁথার মাঠ’ কাব্যটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

২০। জসীমউদদীন ডি-লিট ডিগ্রি ছাড়া আর কোন পুরস্কার লাভ করেন?
উত্তর : জসীমউদ্দীন ডি-লিট ডিগ্রি ছাড়া একুশে পদক লাভ করেন।

২১। আড়ং’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘আড়ং’ শব্দের অর্থ হাট বা বাজার বা মেলা।

 ২২। রুগণ ছেলের সুস্থতার জন্য পল্লিজননী’ কবিতার মা কী মানত করেছিল?
উত্তর : রুগণ ছেলের সুস্থতার জন্য ‘পল্লিজননী’ কবিতার মা নামাজের ঘরে মােমবাতি ও দরগায় দান মানত করেছিল।

২৩। ঘরের চালে কী ডাকে?
উত্তর : ঘরের চালে হুতুম ডাকে।

২৪। কিশাের ছেলেটির বন্ধুদের নাম কী?
উত্তর : কিশাের ছেলেটির বন্ধুদের নাম করিম ও আজিজ।

২৫। পল্লিজননী’ কবিতাটি কবি জসীমউদ্দীনের কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
উত্তর : ‘পল্লিজননী’ কবিতাটি জসীমউদ্দীনের ‘রাখালী” কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে।

 ২৬। “পল্লিজননী” কবিতার কবির নাম লেখ।
উত্তর : পল্লিজননী’ কবিতার কবির নাম জসীমউদ্দীন।

 ২৭। ‘পল্লিজননী’ কবিতায় সাত-নরি শিকায় কী বেঁধে রাখার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘পল্লিজননী’ কবিতায় সাত-নরি শিকায় ঢ্যাপের মােয়া বেঁধে রাখার কথা বলা হয়েছে।

২৮। বিস্তর জোনাকি কোথায়?
উত্তর : বিস্তর জোনাকি আছে বাঁশবাগানে।

পল্লিজননী কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে পল্লিজননী কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া আছে। এই অনুধাবন মূলক প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করলে সৃজনশীল প্রশ্নের খ নাম্বার সম্পর্কে জানতে পারবেন। নিচে গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে দেখুন।

১। ‘দুঃ ছাই। কিবা শঙ্কায় মার পরাণ উঠিছে ভরি।’ – ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : “দুঃ ছাই! কিবা শঙ্কায় মার পরাণ উঠিছে ভরি।” –চরণটিতে অসুস্থ সন্তানের জন্য মায়ের আশঙ্কার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ।
‘পল্লিজননী’ কবিতায় নিদ্রাহীন জননীর রূগণ সন্তানকে ভালাে করে তােলার চেষ্টা এবং একই সঙ্গে সন্তান হারানাের শঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। অন্ধকার রাতে হুতােম পাখির ডাক তার কাছে অকল্যাণের সুর বলে মনে হয়েছে। মা লক্ষ করেছে, গভীর রাতের ঘন অন্ধকার ভেদ করে বাঁশ বাগান থেকে ভেসে আসা কানা কুয়োর ডাক, সুপারির বনে বাদুড়ের পাখা ঝাপটানাে, কুয়াশার মধ্যে বনের পথে জোনাকিদের উড়ে যাওয়া প্রভৃতি। এসব দেখেশুনে মায়ের মন শঙ্কায় ভরে ওঠে । মা বালাই বালাই বলে সেসব অমঙ্গলকে তাড়াতে চায়। প্রশ্নোক্ত লাইনটিতে এ বিষয়টিকেই নির্দেশ করা হয়েছে।

২। কিশোের ছেলেটি তার লাটাই মাকে যত্ন করে রাখতে বলেছিল কেন?

উত্তর : লাটাইটি কিশাের ছেলেটির অত্যন্ত প্রিয় একটি খেলার উপকরণ বলে সে তার মাকে এটি যত্ন করে রাখতে বলেছিল।কিশাের বয়সী দুরন্ত ছেলেদের ঘুড়ি ওড়ানাে বড় শখ। ঘুড়ি ওড়ানাে জন্য প্রয়ােজন লাটাই, যা কিশােরের অত্যন্ত প্রিয় একটি জিনিস। সুস্থ হয়ে কিশাের ছেলেটি আবার তার প্রিয় লাটাই নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়াতে যাবে। তাই সে তার মাকে যত্ন করে লাটাইটি রেখে দিতে বলেছিল।

৩। “সম্মুখে তার ঘাের কুটি মহাকাল রাত পাতা”- বলতে কী বােঝ?

উত্তর : “সম্মুখে তার ঘাের কুটি মহাকাল রাত পাতা” বলতে রুগণ ছেলের শিয়রে বসে থাকা মায়ের হৃদয়ের আতঙ্কিত অবস্থাকে বােঝানাে হয়েছে।‘পল্লিজননী’ কবিতায় অসহায় দরিদ্র এক মায়ের চিত্র প্রকাশিত হয়েছে। ছেলের শিয়রে বসে মা একা রাত জাগে এবং ছেলের নানা আবদারের কথা ভাবে। রাত বাড়ার সাথে সাথে মায়ের মনে আশঙ্কাও বেড়ে চলে। অসুস্থ ছেলের কখন কী হয় তা নিয়ে সে শঙ্কিত। রাতের আঁধার, নিবু নিবু প্রদীপ, অসুস্থ ছেলে ও মা সব মিলিয়ে এক বিভীষিকাময় পরিবেশ। এ অবস্থায় সন্তান হারানাের আতঙ্ক মাকে স্বস্তি দিচ্ছে না। তার একমাত্র বুকের ধন হারিয়ে যাওয়ার ভাবনা যেন তার কাছে দুর্বিষহ বেদনা। আর মায়ের এই অনুভূতিই আলােচ্য উক্তিতে প্রকাশ পেয়েছে।

৫।  পল্লিজননী নামাজের ঘরে মোমবাতি মানেন কেন?

উত্তর : পল্লিজননী অসুস্থ সন্তানের সুস্থতা কামনা করে নামাজের ঘরে মোমবাতি মানেন। মায়ের মতো মমতাময়ী আর কেউ নেই। মা সকল সময় তার সন্তানের মঙ্গল কামনা করেন। কবিতায় বর্ণিত পল্লিজননী তার সন্তানের প্রতি ভালোবাসায় ব্যাকুল। সন্তানের অসুস্থতা তাকে পীড়া দেয়। তিনি যত দ্রুত সম্ভব সন্তানের সুস্থতা কামনা করেন। এজন্য তিনি সন্তানের সুস্থতার আশায় নামাজের ঘরে মোমবাতি মানত করেন।

৬। পল্লিজননী ছেলেকে মুসলমানের আড়ং দেখতে নেই বলেছেন কেন?
উত্তর : পল্লিজননী ছেলেকে পুতুল কেনার পয়সা দিতে পারবেন না বলে মুসলমানের আড়ং দেখতে নেই বলেছেন।
পল্লিজননী দরিদ্র নারী। তাঁর কুঁড়েঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে শীতের বাতাস ঢোকে। অভাবের কারণে তিনি ছেলের আবদার মেটাতে পারেন না। ফলে ছেলেকে আড়ঙের মেলা দেখতে দিতে চান না। কেননা ছেলে আড়ঙের মেলা দেখতে গেলে পুতুল কিনতে পয়সা চাইবে। আর পুতুল কেনার পয়সা দিতে পারবেন না বলেই পল্লিজননী বলেছেন মুসলমানের আড়ং দেখতে নেই।

৭। ‘তারি সাথে সাথে বিরহী মায়ের একেলা পরাণ দোলে।’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : সন্তানের অসুস্থতায় বিচলিত হয়ে পল্লিজননীর মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে- এই চিত্র প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে। পল্লিজননী সন্তানের প্রতি অত্যন্ত মমতাময়ী। তার মাঝে সন্তানবাৎসল্যের চিরন্তন রূপ লক্ষ করা যায়। তিনি সন্তানের শিয়রে বসে নিদারুণ মনঃকষ্টে ভোগেন। সে সময় তাঁর মাথায় নানা রকম দুশ্চিন্তা খেলা করে। তার মনে পুত্র হারানোর শঙ্কা জেগে ওঠে।

৮। মায়ের প্রাণ শঙ্কায় ভরে উঠেছে কেন?

উত্তর : সন্তানের অসুস্থতায় মা অত্যন্ত বিচলিত। তাই পুত্র হারানোর শঙ্কায় তার মন ভরে উঠেছে। ‘পল্লিজননী’ কবিতায় পল্লিজননী একজন মমতাময়ী মা। রুগ্ণ সন্তানের শিয়রে বসে তিনি দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন। সামর্থ্যের অভাবে ছেলের জন্য ওষুধ পথ্য জোগাড় করতে পারেননি তিনি। অসহায় মায়ের প্রাণ তাই সন্তানের মৃত্যু শঙ্কায় ভরে উঠেছে।

৯। কবি জসীমউদ্দীনকে ‘পল্লিকবি’ বলা হয় কেন?

উত্তর : কবি জসীমউদ্দীন তার কবিতায় পল্লির মানুষের আশা-স্বপ্ন-আনন্দ-বেদনা ও বিরহ-মিলনের এক মধুর চিত্র সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বলে তাঁকে পল্লিকবি বলা হয়। পল্লির মাটি ও মানুষের জীবনচিত্র কবি জসীমউদ্দীনের কবিতায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। তিনি গ্রামবাংলার পল্লি প্রকৃতি এবং মানুষের জীবনচিত্র দক্ষভাবে কবিতার ফ্রেমে আবদ্ধ করেছেন। পল্লির মানুষের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার এমন আবেগ-মধুর চিত্র অন্য কোনো কবির কবিতায় পাওয়া যায় না। তাই তাঁকে পল্লিকবি বলা হয়।

১০। পল্লিজননী ছেলের জন্য ওষুধ আনেননি কেন?

উত্তর : পল্লিজননী অর্থাভাবে ছেলের জন্য ওষুধ আনেননি। কবিতায় বর্ণিত পল্লিজননী একজন দারিদ্র্যক্লিষ্ট নারী। সংসারের অভাবের কারণে তিনি ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সন্তানের অনেক আবদার পূরণ করতে পারেন না। ছেলের প্রতি মমতার কোনো কমতি না থাকলেও দরিদ্র মাতার অর্থকষ্ট তাঁর মনঃকষ্টকে গভীর করেছে। অভাবের কারণেই পল্লিজননী তাঁর ছেলের অসুস্থতায় একটু ওষুধ পর্যন্ত জোগাড় করতে পারেননি।

শেষ কথা

এই পোস্টের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো শেয়ার করা হয়েছে। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে পল্লিজননী কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

পল্লিজননী কবিতা-জসীম উদ্‌দীন। বাংলা ১ম পত্র PDF

সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ

সেই দিন এই মাঠ কবিতা ও কবিতার ব্যাখ্যা পিডিএফ- SSC

উমর ফারুক কবিতা – কাজী নজরুল ইসলাম। পিডিএফ