এই পোস্টে ঝর্ণার গান কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ দেওয়া আছে। ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি ঝরনার গতিময়তা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরেছেন। কবিতায় ঝরনার ছন্দময় শব্দে চঞ্চল ছুটে চলা মানবজীবনের গতিময়তা সৃষ্টির ইঙ্গিত বহন করে। ঝরনার রূপসৌন্দর্যে মানুষ পুলকিত হয়, মানসিক প্রশান্তি লাভ করে। ঝরনা ফুটে চলার পথে আপন ছন্দে বয়ে চলে সমস্ত নীরবতা ভেঙে।ঝরনা চলার পথে অনতিদূরে স্থলে, জলজ গুল্মের মধ্যে শালিকটিয়ের মুখ বুলিয়ে নিতে দেখে।
সেই সৌন্দর্য ঝরনা আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। তার অঙ্গে জড়ানাে জরির কারুকাজ করা ঢিলাঢালা লম্বা পােশাক তাকে আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তােলে। ঝরনা চলার পথে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে ছুটে চলে। তখন অচল, অসার বস্তুকেও সে জাগিয়ে তােলে, তাকে নাড়া দেয়। ঝরনা তার চলার আঘাতে টিলার গায়ে ডালিম-ফাটের চিহ্ন রেখে যায়। নিস্তব্দ পাহাড়ে ঝরনাই একমাত্র চলা, মুখরা সত্তা।
ঝর্ণার গান কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
এখানে ঝর্ণার গান কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। এই প্রশ্ন অনুশীলনের মাধ্যমে সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বার সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারবেন। নিচে থেকে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর দেখুন।
১। কোথায় ঝরনার পুলক লাগে?
উত্তর : সারা গায় ঝরনার পুলক লাগে।
২। ঝর্ণার গান কবিতায় কী ঝিমায়?
উত্তর : ঝর্ণার গান’ কবিতায় পথ ঝিমায়।
৩। বিজন অর্থ কী?
উত্তর : বিজন অর্থ জনশূন্য, নির্জন।
৪। ঝরনা কিসের উপর চরণ রাখে?
উত্তর : ঝরনা শিলার উপর চরণ রাখে।
৫। ঝরনা কেমন মনে চরণ রাখে?
উত্তর : ঝরনা দোদুল মনে চরণ রাখে। .
৬। দুপুর-ভাের কী ডাকে?
উত্তর : দুপুর-ভাের ঝিঝি ডাকে।
৭। কোন ক্ষেত্রে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর : কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দ নির্মাণে অসামান্য নৈপুণ্য দেখিয়েছেন।
৮। ছন্দ নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের জন্য সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী বলে পরিচিত হন?
উত্তর : ছন্দ নির্মাণে অসামান্য নৈপুণ্যের জন্য সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দের জাদুকর বলে পরিচিত হন।
৯। ঝর্ণার গান কবিতায় কবি কীভাবে ধেয়ে যায়?
উত্তর : ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি চপল পায়ে ধেয়ে যায়।
১০। ঝুম পাহাড়’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘ঝুম পাহাড়’ অর্থ নির্জন পাহাড়।
১১। কূজন মানে কী?
উত্তর : কূজন মানে পাখির ডাক।
১২। শিলার গায় কিসের রং ধরে?
উত্তর : শিলার গায় ডালচিনির রং ধরে।
ঝর্ণার গান কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
১৩। ‘ঝর্ণা’ কিসের গান গায়?
উত্তর : ঝরনা পরির গান গায়।
১৪। ঝুম-পাহাড় ভয় দেখালেও ঝরনা কেন সামনে এগিয়ে যায়?
উত্তর : ঝরনা আপন ছন্দে গতিশীল বলে ঝুম পাহাড় ভয় দেখালেও সে নির্ভয়ে সামনে এগিয়ে যায়।
১৫। ‘আংরাখা’ অর্থ কী?
উত্তর : আংরাখা অর্থ লম্বা ও ঢিলা পােশাকবিশেষ।
১৬। ঝরনাকে ঝুম-পাহাড় ভয় দেখায় কেন?
উত্তর : ঝরনাকে ঝুম-পাহাড় ভয় দেখানাের কারণ হলাে, ঝরনার উচ্ছ্বাস আর মাতামাতিতে পাহাড়ের স্তব্ধতা নষ্ট হয়।
১৭। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ১৮৮২ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮। ঝর্ণা কার বােল সাধে?
উত্তর : ঝরনা বুলবুলির বােল সাধে।
১৯। ‘বেণু ও বীণা’ কী?
উত্তর : বেণু ও বীণা’ কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত রচিত একটি মৌলিক কাব্যগ্রন্থ।
২০। “কাতেই তৃষ্ণা যার/নিক না সেই পাঁক হেঁকে”- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : “কাতেই তৃষ্ণা যার নিক না সেই পাক ঘেঁকে”- বলতে কবি প্রয়ােজনের বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।
২১। ‘বিভােল’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : বিভোল’ শব্দের অর্থ অচেতন বা বিবশ ।
২২। নিমতা গ্রামটি কিসের কাছাকাছি অবস্থিত?
উত্তর : নিমতা গ্রামটি কলকাতার কাছাকাছি অবস্থিত।
২৩। ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝরনা চপল পায় ধেয়ে বেড়ায় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘ঝর্ণার গান কবিতায় কবি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অফুরন্ত সভার নিয়ে চপল পায় ঝরনার খেয়ে বেড়ানাের কথা বলেছেন।
২৪। ঝরনার বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর : ঝরনার নানা রকম বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
২৫। ‘শঙ্কা নাই, সমান যাই’ পঙক্তি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর : ‘শঙ্কা নাই, সমান যাই’ পঙক্তি দ্বারা ভয়হীন সাহসী মনােভাবকে বােঝানাে হয়েছে।
২৬। তরল শ্লোক কী?
উত্তর : তরল শ্লোক হচ্ছে- লঘু বা হালকা চালের কবিতা।
২৭। কবি-কল্পনা অনুযায়ী কোন পাখি চাঁদের আলাে পান করে?
উত্তর : কবি-কল্পনা অনুযায়ী চকোর পাখি চাদের আলাে পান করে।
২৮। ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্যপিপাসুদের প্রতি কেন ঝরনার অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর : ঝরনা নিজে সুন্দর তাই ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্যপিপাসুদের প্রতি ঝরনার অনুরাগ প্রকাশ পেয়েছে।
২৯। ঝর্ণার সকল গায় কী?
উত্তর: ঝর্ণার সকল গায় পুলক।
৩০। ঝর্ণা কিসের ওপর চরণ রাখে।
উত্তর: ঝর্ণা শিথিল শিলার ওপর চরণ রাখে।
ঝর্ণার গান কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ
এখানে ঝর্ণার গান কবিতার আরও কিছু জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আছে। এই প্রশ্ন গুলো পাঠ্য বইয়ের কবিতা অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো অতিরিক্ত প্রশ্ন হিসেবে অনুশীলন করবেন। নিচে থেকে প্রশ্নের উত্তর দেখেনিন।
৩১। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পিতামহ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
৩২। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দ নির্মাণে অসাধারণ নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।
৩৩। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী হিসেবে খ্যাত?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ছন্দের জাদুকর’ হিসেবে খ্যাত।
৩৪। ‘চন্দ্রমা’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: চন্দ্রমা শব্দের অর্থ চাঁদের আলো।
৩৫। শালিক-শুক কিসে মুখ বুলায়?
উত্তর: শালিকশুক থল-ঝাঁঝির মখমলে মুখ বুলায়।
৩৬। ঝর্ণার গান’ কবিতায় দুপুর-ভোর কিসের ডাক শোনার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ঝর্ণার গান কবিতায় দুপুর-ভোর ঝিঁঝির ডাক শোনার কথা বলা হয়েছে।
৩৭। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝিমায় কে?
উত্তর: ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় পথ ঝিমায়।
৩৮। ঝর্ণাকে কে ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়?
উত্তর: ঝর্ণাকে ঝুম পাহাড় ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়।
৩৯। গিরির পায়ে কোন ফুলের নূপুর?
উত্তর: গিরির পায়ে টগর ফুলের নূপুর।
৪০। কার উদ্ভবে গিরির হিম ললাট ঘামল?
উত্তর: ঝর্ণার উদ্ভবে গিরির হিম ললাট ঘামল।
৪১। বন-বাউয়ের ঝোপগুলোতে কিসের দল চরে?
উত্তর: বন-ঝাউয়ের ঝোপগুলোতে কালসারের দল চরে।
৪২। ঝর্ণা কী দুলিয়ে যায়?
উত্তর: ঝর্ণা অচল-ঠাঁট দুলিয়ে যায়।
৪৩। যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা কোথায় যেতে বলেছে?
উত্তর: যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা পাতকুয়ায় যেতে বলেছে।
৪৪। ঝর্ণা কিসের ঘায় ঝিলিক দেয়?
উত্তর: ঝর্ণা উপল-ঘায় ঝিলিক দেয়।
৪৫। যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা কী ছেঁকে নিতে বলেছে?
উত্তর: যার কণ্ঠাতেই তৃষ্ণা তাকে ঝর্ণা পাঁক ছেঁকে নিতে বলেছে।
৪৬। ফটিক জল’ বলতে কোন পাখিকে বোঝানো হয়?
উত্তর: ফটিক জল বলতে চাতক পাখিকে বোঝানো হয়।
৪৭। কবি-কল্পনা অনুযায়ী কোন পাখি চাঁদের আলো পান করে?
উত্তর: কবি-কল্পনা অনুযায়ী চকোর পাখি চাঁদের আলো পান করে।
৪৮। চকোর কিসের প্রত্যাশী?
উত্তর: চকোর চন্দ্রমার প্রত্যাশী।
ঝর্ণার গান কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘শঙ্কা নাই, সমান যাই’ – ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর: পাহাড়ের বাধাকে উপেক্ষা করে ঝর্ণা আপন বেগে ছুটে চলে বলে ঝর্ণা আলোচ্য কথাটি বলেছে।শিথিল পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা আনন্দিত চিত্তে ছুটে যায়। পথে ঝুম পাহাড় ঝর্ণাকে ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়। কিন্তু ঝর্ণা তাতে ভীত না হয়ে একই গতিতে ছুটে চলে। পাহাড়ের শঙ্কাকে পরোয়া না করে ঝর্ণা নিজের চলমানতা বজায় রাখে-এই প্রসঙ্গটিই উঠে এসেছে আলোচ্য চরণে।
২. ‘পাতকুয়ায় যাক না সেই’- ঝর্ণা কেন এ কথা বলেছে?
উত্তর: বিশুদ্ধ জল পাওয়ার জন্য যারা আগ্রহী ঝর্ণা তাকে পাতকুয়ায় যেতে বলেছে।শুদ্ধতার চেয়ে ঝর্ণার বেশি মনোযোগ সৌন্দর্যের দিকে। কণ্ঠে যার তৃষ্ণা সে বিশুদ্ধ পানি চায়। ঝর্ণার সৌন্দর্যের তুলনায় সে ঝর্ণার পানির শুদ্ধতার প্রতি বেশি আগ্রহী। কিন্তু ঝর্ণা এ ধরনের মানসিকতার ব্যক্তিদের সঙ্গ লাভে উৎসাহী নয়। তাদেরকে সে পাতকুয়া থেকে জল সেঁচে তৃষ্ণা মেটাতে বলেছে।
৩. ‘দুল দোলাই মন ভোলাই।’- চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: আলোচ্য চরণে ঝর্ণার চলায় ছন্দ ও সৌন্দর্য সৃষ্টির বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে।ঝর্ণার চলার পথটি পুলকিত গতিময়। স্তব্ধ পাথরের বুকে সে আনন্দের চিহ্ন রেখে ছুটে চলে। এই জলধারার যে সৌন্দর্য তা তুলনারহিত। পাথরের বুকে আঘাত হেনে ঝর্ণা ছন্দের দোলা ও মনোহর সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটায়। এই দৃশ্য সহজেই সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষের মনকে হরণ করে নেয়।
৪. ‘আমরা চাই মুগ্ধ চোখ’- ঝর্ণা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর: সৌন্দর্যপিপাসুর সঙ্গ লাভ করার জন্য ঝর্ণার প্রত্যাশার কথা প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।ঝর্ণার সৌন্দর্য তুলনারহিত। এর চলার পথটি যেমন আনন্দে ঘেরা তেমনি পথের চারপাশের সৌন্দর্যও অপূর্ব। তা দেখে সৌন্দর্যপিপাসুর মনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মুগ্ধ চোখে তারা চেয়ে থাকে ঝর্ণার দিকে। এমন বিহ্বল ও প্রশংসাসূচক দৃষ্টির প্রত্যাশার কথা বলা হয়েছে আলোচ্য চরণে।
ঝর্ণার গান কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
৫. ‘সুন্দরের তৃষ্ণা যার, আমরা ধাই তার আশেই।’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: সৌন্দর্যপিপাসুদের সঙ্গ লাভের জন্য ঝর্ণার আগ্রহের বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে আলোচ্য চরণে।ঝর্ণার চলা গতিময়, নির্ভয়। তার চলার পথে সে সৃষ্টি করে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। ঝর্ণার প্রত্যাশা, তার সৌন্দর্যে সকলে মুগ্ধ হবে। যারা তাকে দেখবে তাদের চোখে থাকবে মুগ্ধ দৃষ্টি। নিসর্গপ্রেমী সত্তার মনে ভালোলাগার অনুভূতি সৃষ্টির জন্য ঝর্ণা বিরামহীন ছুটে চলে।
৬. ঝরনাকে ঝুম-পাহাড় ভয় দেখায় কেন?
উত্তর : ঝরনাকে ঝুম-পাহাড় ভয় দেখানাের কারণ হলাে, ঝরনার উচ্ছ্বাস আর মাতামাতিতে পাহাড়ের স্তব্ধতা নষ্ট হয়।পাহাড় মানে পাষাণ খণ্ড । স্তব্ধ হয়ে যুগের পর যুগ কাটিয়ে দেয় । দারুণ গাম্ভীর্য নিয়ে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে। কিন্তু ঝরনার উচ্ছল গান, নৃত্য-উদ্যমে ছুটে চলা কোলাহল সৃষ্টি করে। পাহাড় এতে বিরক্ত হয়ে ঝরনাকে ভয় দেখায়। কিন্তু ঝরনা ভয় পায় না, দুরন্ত গতিতে ছুটতেই থাকে। অর্থাৎ ঝরনার চপলতার কারণেই ঝুম-পাহাড় ঝরনাকে ভয় দেখায়।
৭. “কাতেই তৃষ্ণা যার/নিক না সেই পাঁক হেঁকে”- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : “কাতেই তৃষ্ণা যার নিক না সেই পাক ঘেঁকে”- বলতে কবি প্রয়ােজনের বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন।ঝরনা একই সঙ্গে সৌন্দর্য ও প্রয়ােজনের উৎস। সৌন্দর্যপিপাসু মানুষ ঝরনার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। আর যার কাছে জলের প্রয়ােজনীয়তা বেশি সে সৌন্দর্য উপভােগ থেকে বঞ্ছিত হয়। কেবল তৃষ্ণা মেটানাের জন্য ইচ্ছে থাকে বলে তার কাছে সৌন্দর্য উপেক্ষিত হয়। কবি সৌন্দর্য পিয়াসী, তাই ঝরনার সৌন্দর্যই তার কাছে মুখ্য, এর জলের প্রয়ােজনটা তার কাছে গৌণ। এ কারণে তিনি বলেছেন, যার জলের তৃষ্ণা তার জন্য ঝরনা নয়, সে যেন কাদা ঘেঁকে তার তৃষ্ণা মিটায়।
শেষ কথা
আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভাললেগেছে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে ঝর্ণার গান কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আরও দেখুনঃ
ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর-PDF
ঝর্নার গান কবিতা – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। এস এস সি বাংলা ১ম পত্র
জুতা আবিষ্কার কবিতার mcq প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ
জুতা আবিষ্কার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
বাংলা কবিতা জুতা আবিষ্কার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রাণ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর বাংলা ১ম পত্র এস এস সি