ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর-PDF

ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এই পোস্টে ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। ঝরনার মনের আনন্দে পাহাড় থেকে নিচে নেমে আসে। তার বুকে খুশির জোয়ার। সে পরির গান গায় । স্বৰ্গারণ্যে আনন্দ গানে পরিদের মৈতে ওঠার আনন্দ তার মনে। অসম্ভব খুশিতে ঝরনা আত্মভােলা হয়ে ইচ্ছেমতাে ছুটে বেড়ায় । পাহাড় থেকে পড়ার সময় সে পাথরের উপর পা রাখে। তারপর আপন ছন্দে বয়ে চলে। পাথরের ফাকে ফাকে গড়িয়ে চলে দুরের নদীর দিকে যাওয়ার সময় সে পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়। ঝরনার আশপাশে কোনাে জনবসতি নেই। সব সময় সেখানে ঝিঝির ডাক শােনা যায় । পথ-ঘাট সব শান্ত থাকে, ঘুমন্ত বনের মধ্য দিয়ে ঝরনা বয়ে চলে।

ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

১। এখানে ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি। এই রকম সৃজনশীল প্রশ্ন বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষায় দেওয়া থাকে। তাই নিচে দেওয়া সৃজনশীল গুলো অনুশীলন করার চেষ্টা করবেন। নিচের অংশে যে সকল সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে, সেগুলো মূল পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই।

সমুদ্র বরাবরই খুব টানে দিহানকে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোতগুলো তার মনে বিস্ময় জাগায়। সমুদ্রকে ভালোবেসেই বেছে নিয়েছে নাবিক জীবন। জাহাজে চড়ে সমুদ্রের বুকে ভেসেছে বহুদিন। দেখেছে সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া পাথুরে পাহাড়ের সাথে স্রোতের সংঘর্ষের সৌন্দর্য। অবসর সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে চেয়ে থেকে কাটিয়ে দেয় দিহান।

ক. ঝর্ণা কেবল কার গান গায়?
খ. ‘চপল পায় কেবল ধাই।’- চরণটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. ‘ঝর্ণা’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার সাথে উদ্দীপকে উল্লিখিত সমুদ্রের সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. ‘উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাঙ্ক্ষিত’- ঝর্ণা কবিতার আলোকে কথাটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ 

ক. ঝর্ণা কেবল পরীর গান গায়।

খ. চরণটির মাধ্যমে ঝর্ণার উচ্ছল ও বিরামহীন ছুটে চলাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে।পাহাড় থেকে সৃষ্ট ঝর্ণা পাহাড়ের গা বেয়ে উদ্দাম গতিতে ছুটে চলে। তার চঞ্চল, আনন্দমুখর চলার মাঝে বাধা হতে পারে না কিছুই। দিনরাত সে নৃত্যরত রমণীর মতো কেবলই ছুটে চলে।

গ.

উদ্দীপকে বিরামহীন ছুটে আসা সমুদ্রের স্রোত আর সাদা বালির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ায় সাথে ঝর্ণার গান কবিতার ঝর্ণার সাদৃশ্য রয়েছে।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। ঝর্ণা যখন পাহাড়ের গা ঘেঁষে নিচে পতিত হয় তখন দ্রুত ধাবমান জলরাশি দেখতে খুবই চমৎকার মনে হয়। এই ধেয়ে চলা জলরাশি নিচে পতিত হয় এবং পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে। নীরব-নিস্তব্ধ পরিবেশে ঝর্ণার এই গতিময় ছুটে চলা এক নৈসর্গিক পরিবেশের সৃষ্টি করে।

উদ্দীপকে সমুদ্রের সৌন্দর্যের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। সমুদ্রের বিরামহীন ঢেউ সকলের মনেই বিস্ময়ের অনুভূতি সৃষ্টি করে। নাবিক হিসেবে দিহান দেখেছে সাদা পলির সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া। পাহাড়ের সাথে স্রোতে সংঘর্ষ এক অপরূপ দৃশ্যের অবতারণা করে। সমুদ্রের স্রোতের বিরামহীন ছুটে চলা আর তীরে ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার সাথে ঝর্ণার যথেষ্ট সাদৃশ্য বহন করে। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই গতিময়তা, প্রবহমানতা ও সৌন্দর্য সৃষ্টি লক্ষণীয়।

ঘ.

সুন্দরের তৃষ্ণা আছে বলেই উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাঙ্ক্ষিত।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্যপিয়াসী মানুষের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কবিতায় বলা হয়েছে, যার কণ্ঠে প্রবল তৃষ্ণা সে শুধু ঝর্ণার স্বচ্ছ জল নিতে চায়। কেবল তৃষ্ণা মেটাতেই সে ব্যস্ত। ঝর্ণার সৌন্দর্য তাদের চোখে পড়ে না। কারণ সৌন্দর্য উপলব্ধি করার সেই মানসিকতা তার মাঝে থাকে না। তাই কবি ক্ষোভের সাথে বলেছেন, যারা শুধু জল চায় তারা যেন পাতকুয়ায় চলে যায়। আর তার জলে যেন নিজের তৃষ্ণা মেটায়। যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা আছে ঝর্ণা কেবল তাদের তৃষ্ণা মেটাতে এগিয়ে যাবে।

উদ্দীপকের দিহানকে সমুদ্র খুব কাছে টানে। সৈকতের দিকে বিরামহীন ছুটে আসা স্রোত তার মনে বিস্ময় জাগিয়ে তোলে। সৈকতে ঢেউয়ের আছড়ে পড়া, পাথুরে পহাড়ের সাথে স্রোতের সংযত সৌন্দর্যের এক অপার লীলা তৈরি করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমুদ্রের বিশালতার মাহাত্ম্য বোঝার মতো প্রশস্ত মন দিহানের আছে বলেই সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়।

ঝর্ণার সৌন্দর্য তুলনাহীন। এই সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা যাদের নেই তাদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য কবি পরামর্শ দিয়েছেন পাতকুয়ার জল সংগ্রহ করতে। ঝর্ণা কেবল তাদের জন্য ছুটে চলে যাদের সুন্দরের তৃষ্ণা রয়েছে। আলোচ্য উদ্দীপকের দিহানের সেই সৌন্দর্য চেতনা রয়েছে। তার পক্ষে কেবল প্রকৃতির হৃদয় দিয়ে উপভোগ করা সম্ভব। তাই উদ্দীপকের দিহানের মতো মানুষেরাই ঝর্ণার পরম আকাঙ্ক্ষিত।

২।

নিসর্গকে হাতের মুঠোয় পুরে দেয়ার তাগিদ থেকে শিল্পী গড়ে তোলেন এক রমণীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তিনি গড়ে তোলেন। পুকুর, দীঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্য-পিপাসু মানুষ মাত্রকেই আকৃষ্ট করে। অনিন্দ্য সুন্দর এই প্রকৃতিকে শিল্পী তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন শুধুই নিজের খেয়ালে। ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো গোষ্ঠীকে আনন্দ দান নয়, সৌন্দর্যই মুখ্য। বৈরী প্রকৃতি, সামাজিক প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে তিনি সম্মুখে ছুটে চলেছেন। সৃষ্টির আনন্দই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে এতটা পথ।

ক. ঝর্ণা কেমন পায়ে ছুটে চলে?
খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে কতটুকু ধারণ করে? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ

 ক. ঝর্ণা চপল পায়ে ছুটে চলে।

খ. শিথিল সব শিলার পর বলতে কবি স্তব্ধ পাথরের বুকে ঝর্ণার আনন্দমুখর ছুটে চলাকে বুঝিয়েছেন।কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঝর্ণার গতিময়তা গভীর ব্যঞ্জনায় তুলে ধরেছেন। প্রকৃতির নীরবতা ভেঙে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন ছন্দে। ভয়ংকর পাহাড়, পাখির ডাকহীন নির্জন দুপুর-সবকিছু উপেক্ষা করে ঝর্ণা শিথিল শিলা বেয়ে নিচে নেমে আসে। চলার পথে স্তব্ধ পাথরের বুকে আনন্দের চিহ্ন রেখে যায়।

গ.

ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত রূপ-সৌন্দর্যের দিকটির সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তুলে ঝর্ণার সৌন্দর্যের কথা তুলে ধরেছেন। চপল পায়ে আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি ছুটে চলে। পতিত এই জলরাশি পাথরের বুকে আঘাত হেনে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ দৃশ্য চিত্তকে আকর্ষণ করে। নির্জন দুপুরে ধাবমান ঝর্ণা প্রকৃতিতে যে অনিন্দ্যসুন্দর রূপ সৃষ্টি করে তা বর্ণনাতীত।

উদ্দীপকে শিল্পীর হাতে গড়া এক উদ্যানের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। শিল্পী উদ্যানটিকে তিলোত্তমা করে সাজিয়েছেন নিজের মতো করে। এ সৌন্দর্য সকলের জন্য উন্মুক্ত অবারিত। উদ্যানের এ সৌন্দর্য ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝর্ণার সৌন্দর্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। ঝর্ণার মতোই উদ্দীপকের উদ্যানের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে।

 ঘ.

প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনা ও সৌন্দর্য ভাবনা তুলে ধরার দিক দিয়ে উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্যকে শতভাগ ধারণ করে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার ঝর্ণার রূপ বর্ণনার পাশাপাশি কবি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সৌন্দর্য চেতনার স্বরূপ অঙ্কন করেছেন। নিস্তব্ধ প্রকৃতি যেখানে পাখির কূজন নেই, নির্জন পাহাড় যেন ঘাড় বাঁকিয়ে ভয় দেখায়, বনবনানি ঘুমায়, পথ ঝিমায়। এমনই স্নিগ্ধ পরিবেশে ঝর্ণা ছুটে চলে আপন গতিতে। নিচে ধাবমান স্বচ্ছ জলরাশি পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এক মনোরম পরিবেশ তৈরি করে। সৌন্দর্যপিপাসুদের হৃদয়ে ঝর্ণার এই সৌন্দর্য বিশেষ আলোড়ন তোলে।

উদ্দীপকে বর্ণিত প্রকৃতিপ্রেমী শিল্পী তার উদ্যানকে সাজিয়েছেন তিলোত্তমা করে। যার পুকুর, দিঘি, হাঁস, গাছপালা, ফুল, পাখির বিচিত্র সমারোহ সৌন্দর্যপিপাসু মানুষকে তীব্রভাবে আকৃষ্ট করে। শিল্পী সকল বৈরিতা উপেক্ষা করে কেবল সৌন্দর্যকে তুলে ধরার কাজে মনোনিবেশ করেছেন। যে কারণে একটি বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে সুপরিকল্পিতভাবে তার পক্ষে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

উদ্দীপক ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় উল্লেখিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অনেকখানি ধারণ করেছে। উদ্দীপকে উল্লিখিত শিল্পীর সৃজনশীলতা বিস্তীর্ণ খোলা মাঠকে দান করেছে অনুপম সৌন্দর্য। ঝর্ণাও তার ছুটে চলার পথটিকে সাজিয়ে যায় আপন খেয়ালে। উদ্দীপকের শিল্পীর উদ্দেশ্য কেবলই নিছক সৌন্দর্য সৃষ্টি। ঝর্ণাও তার অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একই কথা বলেছে। ঝর্ণার বিরামহীন ছুটে চলা তাদের খোঁজেই, যারা তার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মূল বক্তব্য ধারণে সম্পূর্ণরূপে সফল।

ঝর্ণার গান কবিতার অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এখানে আরও কিছু অতিরক্ত প্রশ্ন দেওয়া আছে। সাথে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। এই কবিতা থেকে সকল সৃজনশীল প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা পেতে এগুলো অনুশীলন করবেন। নিচে থেকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেখুন।

সৃজনশীল ১ঃ 

শিখর হইতে শিখরে ছুটব
ভূধর হইতে ভূধরে লুটিব,
হেসে খল খল গেয়ে কল কল তালে তালে দিব তালি
এত কথা আছে, এত গান আছে, এত প্রাণ আছে মোর
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে, প্রাণ হয়ে আছে ভোর।
ক. ঝর্ণা কিসের গান গায়? ১
খ. ‘ঝর্ণা একা দিবস-রাত, সাঁঝ-সকালে চলে’-বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. উদ্দীপকের মধ্যে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার সহধর্মী হলেও সমগ্রভাবের প্রকাশক নয় – বিশ্লেষণ করো। ৪

প্রশ্নের উত্তরঃ

ক. ঝর্ণা পরীর গান গায়।

খ. ঝর্ণা একা দিবস-রাত, সাঁঝ-সকাল চলে বলতে ঝর্ণার অবিরাম ছুটে চলাকে বোঝানো হয়েছে।ঝর্ণা হচ্ছে পর্বত থেকে নেমে আসা সাদা জলরাশি। ঝর্ণার কোনো বিরাম নেই, বিশ্রাম নেই। ধেয়ে চলাই তার ধর্ম। দিনরাত-সাঁঝ-সকাল অর্থাৎ বাধাহীন, বিরামহীনভাবে পতিত হচ্ছে সে।

গ.

উদ্দীপকে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় বর্ণিত ঝর্ণার অনন্দমুখর ছুটে চলার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণা অস্থির, চঞ্চল। ঝর্ণার গতিশীলতা নিরন্তর কেবলই ধেয়ে চলে। বিরামহীন চলাই তার কাজ। বাধা-বিঘ্ন ও ভয়-ভীতিকে অতিক্রম করে ঝর্ণা এগিয়ে যায়।

উদ্দীপকেও ঝর্ণার আনন্দময় ছুটে চলার দিকটি উল্লেখ করা হয়েছে। পাহাড়ি মেয়ের মতো চঞ্চল ঝর্ণা চারদিকে যে কাঁপন জাগায়। পৃথিবীতে বইয়ে দেয় সুখের পরশ। পাহাড়ের চূড়া থেকে পাথরের ওপর আছড়ে পড়ে।ঝর্ণার গান কবিতায়ও ঝর্ণার এই মনোমুগ্ধকর প্রবহমানতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

ঘ.

উদ্দীপকে শুধু ঝর্ণার প্রাণচঞ্চল ছুটে চলার কথা বলা হয়েছে। ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় রয়েছে এর পাশাপাশি আরো বহু বিষয়ের উল্লেখ।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার অনিন্দ্য সুন্দর সৌন্দর্যের কথা বলা হয়েছে। পাহাড়ের ওপর থেকে অবিরাম নেমে আসা ঝর্ণা পাথরের ওপর পড়ে তা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে, সৃষ্টি করে অসাধারণ সৌন্দর্য। ঝর্ণা সবাইকে সৌন্দর্য অবগাহন করায় আহবান জানায়। যারা সেই সৌন্দর্যের অস্তিত্ব টের পায় না তারা শুধু ঝর্ণার জলে তৃষ্ণা নিবারণ করতে চায়। তারা ঝর্ণার বিরাগভাজন হয়।

উদ্দীপকে ঝর্ণার উদ্দাম নৃত্য আর আনন্দময় গতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঝর্ণা পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে আসে ভূমিতে। আপন ভঙ্গিমায় সে চপল পায়ে ছুটে চলে। ঝর্ণার মনোমুগ্ধকর গান আর খলখল হাসিতে সমস্ত প্রকৃতিও যেন উৎফুল্ল হয়ে ওঠে।

‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় ঝর্ণার নানা বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ রয়েছে। বিশাল পাহাড় যেন ঝর্ণাকে ভয় দেখায়। ঝর্ণার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। ঝর্ণা কেবলই ছুটে চলে সবার মৌনতা ভাঙিয়ে। ঝর্ণাকে ঘিরে আনন্দে গান গায় শালিক-চাতক পাখিও। ঝর্ণা কেবল ধাবিত হয় সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্যই। কিন্তু উদ্দীপক শুধু ঝর্ণার নৃত্য ও আনন্দময় গতিকেই তুলে ধরেছে। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে সে যে অপর সৌন্দর্য সৃষ্টি করে সেই কথার উল্লেখ নেই। নিজের মনের পুলক জড়ানো ভাবনার বিষয়টিই উদ্দীপকে কেবল স্থান পেয়েছে। তাই এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, উদ্দীপকের বর্ণনা ‘ঝর্ণার গান’ কবিতায় সমধর্মী হলেও সমগ্রভাবের প্রকাশক নয়।

ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীকে বিচিত্র উপাদানে সজ্জিত করেছেন। এর অন্যতম নিদর্শন হল ঝারনা। ঝরনা পুলকিত গতিময় ছন্দে পৃথিবীর বুকে পদচিহ্ন একে ছুটে চলে । তার চঞ্চল ও আনন্দময় পদধ্বনিতে পর্বত থেকে নেমে আসে সাদা জলরাশি । পাহাড় থেকে পতিত এই জলরাশি পৃথিবীর বুকে এক মোহনীয় আবেশ সৃষ্টি করে। সত্যিই, পৃথিবীর অনিন্দ্য সুন্দর এক উপাদান ঝর্ণা।

ক. ‘তত্তবোধিনী” পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন কে?
খ. কেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে “ছন্দের রাজা’ বলা হয়?
গ. কোন দিক দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার মিল রয়েছে? – আলোচনা করুন।
ঘ. “উদ্দীপকে “ঝর্ণার গান’ কবিতাটির একটি বিশেষ দিক প্রকাশিত হয়েছে, পুরো অংশের প্রতিফলন ঘটেনি।” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : শুকুর মিয়া একজন কৃষক এবং এলাকায় লোককবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কাজের অবসরে পুঁথি ও আঞ্চলিক গান রচনা করেন। সারাদিনের কাজ শেষে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা তিনি বাড়ির আঙিনায়া বসে পুঁথি পাঠ করেন। তার এই আসরে অনেকের সমাগম ঘটে। কেবল দিতে তিনি নতনু নতুন গান ও পুঁথি লেখেন।

ক. ছন্দেও রাজা বলা হয় কাকে?
খ. ঝর্ণা কীভাবে ছুটে চলে বর্ণনা কর?
গ. উদ্দীপকের শুকুর মিয়ার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার বেসাদৃশ্য কতটুকু? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “মানুষকে আনন্দ দেওয়ার বেলায় নতুন সৃষ্টির ক্ষেত্রে উদ্দীপকের শুকুর মিয়া ও ‘ঝর্ণার গান’ কবিতার ঝরনা যেন একে অন্যের পরিপূরক।”- বক্তব্যের যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।

শেষ কথা

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভাললেগেছে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে ঝর্ণার গান কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।   ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

ঝর্নার গান কবিতা – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। এস এস সি বাংলা ১ম পত্র

জুতা আবিষ্কার কবিতার mcq প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ

জুতা আবিষ্কার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

বাংলা কবিতা জুতা আবিষ্কার-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রাণ কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর বাংলা ১ম পত্র এস এস সি