(PDF) ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো এই পোস্টে পেয়ে যাবেন। অনেক শিক্ষার্থী এই গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ  করতে পারে না। এজন্য গুগল থেকে উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে চায়। তাই আপনাদের জন্য আজকের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল নিয়ে এসেছি। যেগুলো আপনারা পরীক্ষার জন্য অনুশীলন করতে পারবেন।

তো নিচের দিকে আপনাদের জন্য কিছু কমন ও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল গুলো শেয়ার করা হয়েছে। আশা করছি এই সৃজনশীল গুলো ভালো ভাবে অনুশীলন করলে এই গল্পের যেকোনো ধরনের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন। আপানদের জন্য প্রশ্ন গুলো উত্তর সহ কারে দেওয়া আছে। যাদের যাদের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো প্রয়োজন তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করেনিন।

ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এখানে ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। এই সৃজনশীল গুলো পরীক্ষার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। এগুলো অনুশীলন করার মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন কমন পড়তে পারে। তাই প্রশ্ন গুলো ভালো ভাবে অনুশীলন করবেন। নিচে থেকে সৃজনশীল গুলো দেখেনিন।

i. নাসির সাহেবের স্ত্রী সবকিছুতে শুরুতেই নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ছেলে-মেয়েদের কোনো ভুল তিনি সহজভাবে মেনে নিতে পারেন না। ফলে, তিনি যেমন কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, তেমনি সন্তানেরাও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগে।

ii. অফিস থেকে ফিরে নাসির সাহেব দেখলেন, তার স্ত্রী সন্তানদের বকাবকি করছেন নিশ্চয়ই তারা কোনো ভুল করেছে। তিনি স্ত্রীকে বললেন- ভুল করা খুব স্বাভাবিক বিষয়, একটি ভুল মানুষকে শত ভুল না করার শিক্ষা দেয়। ভুল করা ছাড়া মানুষ পরিশুদ্ধি লাভ করতে পারেন না, আর ভুল আছে বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর।

ক. ভালোবাসা বা প্রেমের মূল উৎস কী?
খ. লেখক ভুলকে একই সাথে স্বাভাবিক ও অপরিহার্য বলেছেন কেন?
গ. অনুচ্ছেদের দ্বিতীয় অংশে “ভুলের মূল্য প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. নাসির সাহেবের স্ত্রীর মানসিকতা পরিবর্তনে “ভুলের মূল্য প্রবন্ধের বক্তব্য কতটুকু কার্যকর বলে তুমি মনে কর। মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

ভুলের মূল্য প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

উপরক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর টি নিজে নিজে করার চেষ্টা করবেন। আমাদের এই পোস্টে উক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়া হয়নি। এজন্য আমরা নিচের অংশে ভুলের মূল্য গল্পটি দিয়ে দিয়েছি। নিচে থেকে গল্পটি ভালো ভাবে পড়ে নিবেন। তারপর আপনারা উত্তর গুলো গল্প থেকে বের করার চেষ্টা করবেন।

ভুলের মূল্য গল্প

চিন্তা-ভাবনা এবং কার্যকলাপে ভুল করা মানুষের পক্ষে শুধু স্বাভাবিক তাই নয়, অপরিহার্যও বটে। স্বাভাবিক এইজন্য যে মানুষ বড় দুর্বল, সর্বদা নানা ঘটনা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে সংগ্রামে জয়ী হতে পারে না। অপরিহার্য এইজন্য যে তার জ্ঞান অতি সংকীর্ণ, কোনটি ভুল, কোনটি নির্ভুল তা নির্ধারণ করাই অনেক সময় কঠিন, এমনকি অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এখানে কেবল যে দুর্বলচেতা ও স্বল্পজ্ঞান মানুষের কথা বলছি তা নয়। এ মন্তব্য সবল-দুর্বল এবং অজ্ঞ-বিজ্ঞ-নির্বিশেষে সকলের পক্ষেই খাটে। প্রতারক, দস্যু, মাতাল, ঘোড়দৌড়ের খেলোয়াড় প্রত্যেকেই জানে যে তার কাজ ঠিক হচ্ছে না-সে ভুল পথে চলেছে। কিন্তু সে পথ হতে ফিরবার ক্ষমতা তার কোথায়? তার বিবেক হয়ত দংশন করছে, কিন্তু প্রবৃত্তি বশ মানছে না। এইরূপে ক্রমে ক্রমে বিবেক-বুদ্ধিই শিথিল অথবা শক্তিহীন হয়ে যাচ্ছে।

অন্য কথায়, সে নিজের কাজের সমর্থক যুক্তি বের করে বিবেকের উগ্রতাকে প্রশমিত করে নিচ্ছে। প্রবৃত্তির হাতে বিবেকের এই নিগ্রহই মানুষের দুর্বলতার প্রধান পরিচয়। তাছাড়া মানুষ এমন সব ঘটনার ঘূর্ণিপাকে পড়ে যায় যে, তাকে বাধ্য হয়ে খেলার পুতুলের মতো নিরুপায়ভাবে একটার পর আর একটা ভুল করে যেতে হয়, একটা ভুল ঢাকতে গিয়ে আরও দশটার আশ্রয় নিতে হয়। মানুষ বড় জটিল জীব। তাকে দশ দিক বজায় রেখে কাজ করতে হয়।

আবার পৃথিবীও এমন কঠিন ঠাই যে, অনেক সময় এক কুল বজায় রাখতে গেলে আর-এক কুলে ভাঙন লাগে। জীবনে এইগুলোই সবচেয়ে বড় সমস্যা, এইখানেই ভুল হয় বেশি। আবার এখানেই মানুষের বিশেষত্বও ফুটে ওঠে অপূর্বভাবে। এইরূপ নানা বিচিত্র ঘটনাবর্তের ভেতর দিয়ে মানুষকে পরীক্ষা দিতে দিতে যেতে হয় বলেই তার শ্রেষ্ঠত্ব, আর এই আত্ম-বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলবার মধ্যেই তার সৌন্দর্যের বিকাশ এবং যোগ্যতার পরিচয়। পর্বেই বলেছি মানুষের জ্ঞান অতি সংকীর্ণ।

ক্রমান্বয়ে নতুন নতুন জ্ঞানভাপর খুলে যাচ্ছে আর পরনো জ্ঞানের অসম্পূর্ণতা চোখে পড়ছে। ইতিহাস, বিজ্ঞান, কাব্য, দর্শন, রাজনীতি, ধর্মনীতি, ব্যবহারিক জ্ঞান, কলা-বিদ্যা প্রভৃতি সমুদয় ক্ষেত্রেই এর এত অধিক দৃষ্টান্ত বর্তমান যে, তার উদাহরণ দেওয়া বাহুল্য মাত্র। এর থেকে বোঝা যায়, আজ যেটি সত্য এবং নির্ভুল মনে হচ্ছে, ভবিষ্যতে সেটি হয়ত মিথ্যা অথবা আংশিক সত্য বলে প্রমাণিত হতে পারে।

এজন্য আমরা আজকাল যে আদর্শ ধরে চলছি, তা নিয়ে অতিরিক্ত উল্লাসের সাথে আস্ফালন করতে পারিনে—যেহেতু, আমাদের আজকার উদ্ধত অহংকার কালকার দীন লজ্জায় পরিণত হতে পারে। মানুষের প্রকৃত যে জ্ঞান, তা ইন্দ্রিয়ের দ্বার দিয়ে অর্থাৎ অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়েই আসে। শিশুকে আগুনের শিখা, ছুরির ধার, মরিচের ঝাল, এসব থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায় না। যদি তা পারা যেত, তবে বোধ হয়, সে চিরকাল শিশুই থাকত।

শিশুর পক্ষে যা, পরিণত মানুষের পক্ষেও কতকটা তাই সত্য। প্রত্যক্ষ জ্ঞানের যেখানে অভাব, সেখানে সমস্ত জ্ঞানই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। যে কোনো দিন পথ ভোলার কষ্ট ভোগ করে নাই, সে কখনো ঠিক পথে চলার আনন্দ উপভোগ করতে পারে না; যে কোনো দিন পানিতে পড়ে হাবুডুবু না খেয়েছে, সে কখনো নিরাপদে নৌকায় চড়ার সুখ ভালো করে বুঝতে পারে না।। মানুষ ভুল করে, পরে সেই ভুল সংশোধন করেই সত্যের সন্ধান পায়। সাধারণের ধারণা, ঠেকে শেখার চেয়ে দেখে শেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু অতি বুদ্ধির গলায় দড়ি বলেও একটা কথা আছে। নিরুদ্বেগ আপদহীনতার ভেতরেই অনেক সময়ে বিপদের বীজ প্রচ্ছন্ন থাকে। আসল কথা, জীবনের অভিজ্ঞতা ও গভীর অনুভূতিলব্ধ যে জ্ঞান ও শিক্ষা, বাস্তবিকই তার তুলনা নাই।

স্বল্প পরিসর টবের ভেতরে জীবন ধারণ করার চেয়ে, বাইরের বিস্তৃতির ভেতরে আনন্দে বিকশিত হওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে অন্যের দুর্দশা দেখেও অবশ্য শিক্ষা লাভ করতে হবে। কারণ একজনের পক্ষে সকল রকম অভিজ্ঞতা লাভ করা অসম্ভব। আমাদের এই বর্তমান কোটি কোটি অভিজ্ঞতারই ফল, সুতরাং জীবন-যাত্রায় অন্যের অভিজ্ঞতারও যে প্রয়োজন আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই। অন্যের নিকট থেকে পাওয়া অসম্পূর্ণ বা অপরীক্ষিত জ্ঞানকে নিজের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাচাই করে নিজস্ব করে নিতে হবে। স্বাস্থ্য ও পরিপুষ্ট জীবনের এই-ই ধারা।। মানুষ এইরকম ভুলের ওপর চরণ ফেলে ফেলে সত্যকে খুঁজে পাচ্ছে এবং এভাবেই ক্রমশ অগ্রসর হয়ে চলেছে। ভুল না করলে যেন সত্যের প্রকৃত রূপটি ধরা পড়ে না, এ যেন আলো-আঁধারের লুকোচুরি খেলা।

যেমন একটা ফুলকে নানাভাবে চারদিক থেকে দেখলে তার নতুন নতুন সৌন্দর্য চোখে পড়ে, এরূপ সত্যুকেও নানা ঘটনার ভেতরে দিয়ে নানাভাবে পরখ করে দেখতে হয়; তবেই তার সমগ্র রূপ ধরা পড়ে। কোনো বৃহৎ সত্যই এ পর্যন্ত সমগ্রভাবে আমাদের কাছে ধরা পড়েছে কিনা সন্দেহ। তবে যে-সত্যের যত বেশি ব্যতিক্রম আমাদের চোখে পড়েছে, তা আমরা ততই ভালো করে বুঝতে পেরেছি। দুঃখ যত প্রবলভাবে মানুষের মনে আঘাত করে, সুখ ততটা করে না। সুখকে কোনো কোনো লোকে যত নিহভাবে গ্রহণ করতে পারে, চেষ্টা করলেও দুঃখকে তত সহজে মনের গোপনে লুকিয়ে রাখতে পারে না। এজন্য জীবনে দুঃখের মূল্য বড় বেশি।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভাললেগেছে। এবং এই পোস্ট থেকে ভুলের মূল্য গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন।  এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।  ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।   আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

See More:

কারবালা প্রান্তর সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর- এইচ এস সি বাংলা ১ম পত্র

আত্মচরিত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র