আত্মচরিত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র

আত্মচরিত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র

আত্মচরিত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে আমাদের সাথেই থাকুন। এইচ এস সি দের জন্য আত্নচরিত গল্পটি অনেক কমন। এই গল্পের অনেক গুলো সৃজনশীল প্রশ্ন রয়েছে।পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য এই গল্পের সৃজনশীল গুলো অনুশীলন করতে পারেন।

আমরা এই পোস্টে আত্মচরিত গল্পের ২০২২ সালের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দিয়েছি। সেই সাথে একটি পিডিএফ ফাইলের লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনারা চাইলে সংগ্রহ করেনিতে পারবেন। তো অনেকে আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করে। তাদের জন্য নিচে সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সহকারে উপস্থাপন করে দিয়েছে। আপনার যদি আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল গুলো প্রয়োজন হয় সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

আত্মচরিত  সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২০২২

অনেক শিক্ষার্থীরা ২০২২ সালের সৃজনশীল পড়তে চায়। তাই আমরা ২০২২ সালের আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল গুলো সংগ্রহ করে দিয়েছি। এই সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো পরীক্ষার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা যারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতেছেন তারা একবার হলেই এই আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেখার চেষ্টা করবেন। আর ২০২২ সালের আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করার জন্য প্রথমে এই গপ্প টি ভালোভাবে পড়বেন। তাহলে এই গল্প থেকে আপনি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই করতে পারবেন।

আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এখানে আমি আপনাদের জন্য আত্মচরিত গল্পের জন্য কমন কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো শেয়ার করেছি। আপনারা এই প্রশ্ন গুলো দেখতে পারেন। অনেকে আত্মচরিত গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল অনুশীলন করতে চায়। তাই তাদের জন্য এখানে গুরুত্ব পূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো রাখা হয়েছে। আপনারা সেই সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো নিচে দেখতে পারবেন। আর চাইলে  পিডিএফ ফাইল গুলো সংগ্রহ করেনিতে পারবেন।

 বাকাল গ্রামের মন্দিরের পুরোহিত দ্বিজেন্দ্রনাথ তার পুত্র দিনেশকে টোল অর্থাৎ সংস্কৃত পাঠশালায় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। গ্রামবাসী তাকে বোঝালেন, এ শিক্ষা শেষে সব ধরনের চাকরি পাওয়া সম্ভব নয় । সাধারণ শিক্ষার পাঠ গ্রহণ করলে শিক্ষার দিগন্ত ও জ্ঞানার্জনের পথ বিস্তৃত হয় এবং চাকরির ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়। দ্বিজেন্দ্রনাথ শেষ পর্যন্ত দিনেশকে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করলেন

ক. বড় বাজারের চকে মল্লিক মহাশয়ের কিসের দোকান ছিল?
খ. ঈশ্বরচন্দ্রকে কেন ইংরেজি পড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা ব্যাখ্যা কর।
গ. “দ্বিজেন্দ্রনাথের সঙ্গে ঈশ্বরচন্দ্রের পিতার সাদৃশ্য আছে।”_ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “দিনেশ ও ঈশ্বরচন্দ্র একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন”_“আত্মচরিত” অবলম্বনে মূল্যায়ন কর।

আত্মচরিত গল্প

বীরসিংহ গ্রামে আমার জন্ম হয় । আমি জনক জননীর প্রথম সন্তান । বীরসিংহের আধ ক্রোশ অন্তরে, কোমরগঞ্জ নামে এক গ্রাম আছে; এ গ্রামে, মঙ্গলবারে ও শনিবারে, মধ্যাহৃসময়ে হাট বসিয়া থাকে । আমার জন্মসময়ে পিতৃদেব বাটীতে ছিলেন না; কোমরগঞ্জে হাট করিতে গিয়াছিলেন। পিতামহদেব তাহাকে আমার জন্মসংবাদ দিতে যাইতেছিলেন; পথিমধ্যে, তাহার সহিত সাক্ষাৎ হইলে, বলিলেন, “একটি এঁড়ে বাছুর হইয়াছে।” এই সময়ে, আমাদের বাটীতে, একটি গাই গর্ভিণী ছিল; তাহারও আজ কাল, প্রসব হইবার সম্ভাবনা । এজন্য, পিতামহদেবের কথা শুনিয়া, পিতৃদেব মনে করিলেন, গাইটি প্রসব হইয়াছে। উভয়ে বাটাতে উপস্থিত হইলেন।

পিতৃদেব, এঁড়ে বাছুর দেখিবার জন্য, গোয়ালের দিকে চলিলেন। তখন পিতামহদেব হাস্যমুখে বলিলেন, “ও দিকে নয়, এ দিকে এস; আমি তোমায় এঁড়ে বাছুর দেখাইয়া দিতেছি।” এই বলিয়া, সৃতিকাগৃহে লইয়া গিয়া, তিনি এঁড়ে বাছুর দেখাইয়া দিলেন ।

1

এই অকিঞ্চিৎকর কথার উল্লেখের তাৎপর্য এই যে, আমি বাল্যকালে, মধ্যে মধ্যে, অতিশয় অবাধ্য হইতাম । প্রহার ও তিরস্কার দ্বারা, পিতৃদেব আমার অবাধ্যতা দূর করিতে পারিতেন না। এঁ সময়ে, তিনি, সন্নিহিত বাবা পরিহাস করিয়াছিলেন, বটে; কিন্তু, তিনি সাক্ষাৎ খাষি ছিলেন; তাহার পরিহাসবাক্যও বিফল হইবার নহে; বাবাজি আমার, ক্রমে, এঁড়ে গরু অপেক্ষাও একগুঁইয়া হইয়া উঠিতেছেন।”…

পিতৃদেব ঠাকুরদাসের বয়পরক্রম যখন ১৪/১৫ বৎসর, তখন তিনি মাতৃদেবীর অনুমতি লইয়া, উপার্জনের চেষ্টায়, কলিকাতা প্রস্থান করিলেন। ঠাকুরদাস, প্রথমত বনমালিপুরে, তৎপরে বীরসিংহে, সংক্ষিপ্তসার ব্যাকরণ পড়িয়াছিলেন। কিন্তু, যে উদ্দেশে তিনি কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, সংস্কৃতপাঠে নিযুক্ত হইলে, তাহা সম্পন্ন হয় না।…

সেরূপ পড়াশুনা করাই কর্তব্য । এই সময়ে, মোটামুটি ইংরেজি জানিলে, সওদাগর সাহেবদিগের হৌসে, অনায়াসে কর্ম হইত। এজন্য, সংস্কৃত না পড়িয়া, ইংরেজি পড়াই, তাহার পক্ষে, পরামর্শসিদ্ধ স্থির হইল । কিন্তু, সে সময়ে, ইংরেজি পড়া সহজ ব্যাপার ছিল না। তখন, এখনকার মত, প্রতি পল্লিতে ইংরেজি বিদ্যালয় ছিল না। তাদৃশ বিদ্যালয় থাকিলেও, তাহার ন্যায় নিরুপায় দীন বালকের তথায় অধ্যয়নের সুবিধা ঘটিত না।

2

যাহা হউক, একই ব্যক্তির আশ্রয়ে আসিয়া, ঠাকুরদাসের, নির্বিঘ্নে, দুই বেলা আহার ও ইংরেজি পড়া চলিতে লাগিল। কিছুদিন পরে, ঠাকুরদাসের দুর্ভাগ্যক্রমে, তদীয় আশ্রয়দাতার আয় বিলক্ষণ খর্ব হইয়া গেল; সুতরাং, তাহার নিজের ও তাহার আশ্রিত ঠাকুরদাসের, অতিশয় কৃষ্ট উপস্থিত হইল ।…

এক দিন, মধ্যাহৃসময়ে, ক্ষুধায় অস্থির হইয়া, ঠাকুরদাস বাসা হইতে বহির্গত হইলেন, এবং অন্যমনস্ক হইয়া, ক্ষুধার যাতনা ভুলিবার অভিপ্রায়ে, পথে পথে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। কিঞিও পরেই, তিনি এক দোকানের সম্মুখে উপস্থিত ও দপ্তায়মান হইলেন; দেখিলেন, এক মধ্যবয়স্কা বিধবা নারী এ দোকানে বসিয়া মুড়ি মুড়কি বেচিতেছেন।…

ঠাকুরদাস, তৃষ্ণার উল্লেখ করিয়া, পানার্থে জল প্রার্থনা করিলেন । তিনি, সাদর ও সন্নেহ বাক্যে, ঠাকুরদাসকে বসিতে বলিলেন, এবং ব্রাহ্মণের ছেলেকে শুধু জল দেওয়া অবিধেয়, এই বিবেচনা করিয়া, কিছু মুড়কি ও জল দিলেন; ঠাকুরদাস, যেরূপ ব্যগ্ব হইয়া, মুড়কিগুলি খাইলেন, তাহা এক দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া, এ স্ত্রীলোক জিজ্ঞাসা করিলেন, বাপাঠাকুর, আজ বুঝি তোমার খাওয়া হয় নাই? তিনি বলিলেন, না, মা আজ আমি এখন পর্যন্ত, কিছুই খাই নাই । তখন সেই স্ত্রীলোক ঠাকুরদাসকে বলিলেন, বাপাঠাকুর, জল খাইও না, একটু অপেক্ষা কর । এই বলিয়া, নিকটবর্তী গোয়ালার দোকান হইতে, সত্বর দই কিনিয়া আনিলেন, এবং আরও মুড়কি দিয়া, ঠাকুরদাসকে পেট ভরিয়া ফলার করাইলেন; পরে, তীহার মুখে সবিশেষ সমস্ত অবগত হইয়া, জিদ করিয়া বলিয়া দিলেন, যে দিন তোমার এরূপ ঘটিবেক, এখানে আসিয়া ফলার করিয়া যাইবে ।

3

পিতৃদেবের মুখে এই হৃদয়বিদারণ উপাখ্যান শুনিয়া, আমার অন্তঃকরণে যেমন দুঃসহ দুঃখানল প্রশ্ুলিত হইয়াছিল, স্ত্রীজাতির উপর তেমনই প্রগাঢ় ভক্তি জন্মিয়াছিল। এই কর্ম পাইয়া, তাহার আর আহ্াদের সীমা রহিল না। পূর্ববৎ আশ্রয়দাতার আশ্রয়ে থাকিয়া, আহারের ক্লেশ দুই-তিন বৎসর পরেই, ঠাকুরদাস মাসিক পাচ টাকা বেতন পাইতে লাগিলেন। তখন তীহার জননীর ও ভাইভগিনীগুলির, অপেক্ষাকৃত অনেক অংশে, কষ্ট দূর হইল।

এই সময়ে, ঠাকুরদাসের বয়ঃরক্রম তেইশ-চব্বিশ বৎসর হইয়াছিল। অতঃপর তীহার বিবাহ দেওয়া আবশ্যক তীহার বিবাহ দিলেন। এই ভগবতীদেবীর গর্ভে আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছি।

আমার যখন জ্ঞানোদয় হইয়াছে, মাতৃদেবী, পুত্রকন্যা লইয়া, মাতুলালয়ে যাইতেন, এবং এক যাত্রায়, ক্রমান্বয়ে, পাচ-ছয় মাস বাস করিতেন । কিন্ত একদিনের জন্যেও, শ্লেহ, যত্বু ও সমাদরের ক্রটি হইত না। বন্তত, ভাগিনেয়ী ও ভাগিনেয়ীর পুত্রকন্যাদের উপর এরূপ স্রেহপ্রদর্শন অদৃষ্টচর ও অশ্রন্তপূর্ব ব্যাপার । জ্ঞো্ঠা ভাগিনেয়ীর মৃত্যু হইলে, তদীয় একববীয় দ্বিতীয় সন্তান, বিংশতি বৎসর বয়স পর্যন্ত, আদ্যন্ত অবিচলিতন্নেহে, প্রতিপালিত হইয়াছিলেন।

4

আমি পঞ্চমবর্ধীয় হইলাম । বীরসিংহে কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায়ের পাঠশালা ছিল । গ্রামস্থ বালকগণ এ পাঠশালায় বিদ্যাভ্যাস করিত। আমি তীহার পাঠশালায় প্রেরিত হইলাম । চট্টোপাধ্যায় মহাশয় সাতিশয় পরিশ্রমী এবং শিক্ষাদানবিষয়ে বিলক্ষণ নিপুণ ও সবিশেষ যতববান ছিলেন। ইহার পাঠশালার ছাত্রেরা, অল্প সময়ে উত্তমরূপ শিক্ষা করিতে পারিত, এজন্য, ইনি উপযুক্ত শিক্ষক বলিয়া, বিলক্ষণ প্রতিপত্তিলাভ করিয়াছিলেন ।…

পাঠশালায় এক বৎসর শিক্ষার পর আমি ভয়ঙ্কর জুররোগে আক্রান্ত হইয়াছিলাম। আমি এ যাত্রা রক্ষা পাইব, প্রথমত এরূপ আশা ছিল না। কিছু দিনের পর, প্রাণনাশের আশঙ্কা নিরাকৃত হইল; একবারে বিজ্বুর হইলাম না। অধিক দিন জ্বরভোগ করিতে করিতে, গ্রীহার সঞ্চার হইল। জর ও গ্রীহা উভয় সমবেত হওয়াতে শীঘ্র আরোগ্যলাভের সম্ভাবনা রহিল না। ছয় মাস অতীত হইয়া গেল; কিন্তু, রোগের নিবৃত্তি না হইয়া, উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই হইতে লাগিল।

5

জননীদেবীর জ্যেষ্ঠ মাতুল, রাধামোহন বিদ্যাভূষণ আমার পীড়াবৃদ্ধির সংবাদ পাইয়া বীরসিংহে উপস্থিত হইলেন এবং দেখিয়া শুনিয়া সাতিশয় শঙ্কিত হইয়া আমাকে আপন আলয়ে লইয়া গেলেন। মাতুলের সন্নিকটে কোটরীনামে যে গ্রাম আছে, তথায় বৈদ্যজাতীয় উত্তম উত্তম চিকিৎসক ছিলেন; তাহাদের অন্যতমের হস্তে আমার চিকিৎসার ভার অর্পিত হইল তিন মাস চিকিৎসার পর, সম্পূর্ণ আরোগ্যলাভ করিলাম । এই সময়ে, আমার উপর, বিদ্যাভষণ মহাশয়ের ও তদীয় পরিবারবর্গের স্নেহ ও যত্রের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শিত হইয়াছিল।

কিছু দিন পরে বীরসিংহে প্রতিপ্রেরিত হইলাম এবং পুনরায় কালীকান্ত চট্টোপাধ্যায় পাঠশালায় প্রবিষ্ট হইয়া, আট বৎসর বয়স পর্যন্ত তথায় শিক্ষা করিলাম । আমি গুরুমহাশয়ের প্রিয়শিষ্য ছিলাম । আমার বিলক্ষণ স্মরণ হইতেছে, পাঠশালার সকল ছাত্র অপেক্ষা, আমার উপর তীহার অধিকতর শ্রেহ ছিল । আমি তীহাকে অতিশয় ভক্তি ও শ্রদ্ধা করিতাম ।…

6

পিতামহদেব, রামজয় তর্কভৃষণ, অতিসার রোগে আক্রান্ত হইয়া ছিয়ান্তর বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিলেন । তিনি নিরতিশয় তেজস্বী ছিলেন; কোনও অংশে, কাহারও নিকট অবনত হইয়া চলিতে অথবা কোনও প্রকারে অনাদর বা অবমাননা সহ্য করিতে পারিতেন না। তিনি, সকল স্থলে, সকল বিষয়ে, স্বীয় অভিপ্রায়ের অনুবর্তী হইয়া চলিতেন, অন্যদীয় অভিপ্রায়ের অনুবর্তন, তদীয় স্বভাব ও অভ্যাসের সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। উপকার- প্রত্যাশায়, অথবা অন্য কোনও কারণে, তিনি কখনও পরের উপাসনা বা আনুগত্য করিতে পারেন নাই। তাহার স্থির সিদ্ধান্ত ছিল, অন্যের উপাসনা বা আনুগত্য করা অপেক্ষা প্রাণত্যাগ করা ভালো। তিনি নিতান্ত নিস্পৃহ ছিলেন, এজন্য, অন্যের উপাসনা বা আনুগত্য, তাহার পক্ষে, কস্মিন কালেও আবশ্যক হয় নাই।

তর্কভূষণ মহাশয় নিরতিশয় অমায়িক ও নিরহঙ্কার ছিলেন৷ কি ছোট, কি বড়, সর্ববিধ লোকের সহিত, সমভাবে সদয় ও সাদর ব্যবহার করিতেন। তিনি যাহাদিগকে কপটবাচী মনে করিতেন, তীহাদের সহিত সাধ্যপক্ষে আলাপ করিতেন না। তিনি স্পষ্টবাদী ছিলেন, কেহ রুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হইবেন, ইহা ভাবিয়া, স্পষ্ট কথা বলিতে ভীত বা সঙ্কুচিত হইতেন না । তিনি যেমন স্পষ্টবাদী, তেমনই যথার্থবাদী ছিলেন । কাহারও ভয়ে, বা অনুরোধে, অথবা অন্য কোনও কারণে, তিনি, কখনও কোনও বিষয়ে অযথা নির্দেশ করেন নাই। তিনি ধাহাদিগকে ধনবান ও ক্ষমতাপনন হইলেও, তাহাদিগকে ন্বলোক বলিয়া জ্ঞান করিতেন না।

7

তর্কভূষণ মহাশয় অতিশয় বলবান, নিরতিশয় সাহসী, এবং সর্বতোভাবে অকুতোভয় পুরুষ ছিলেন। এক লৌহদণ্ড তাহার চিরসহচর ছিল; উহা হস্তে না করিয়া তিনি কখনও বাটীর বাহির হইতেন না। তথকালে পথে অতিশয় দস্যুভয় ছিল। স্থানান্তরে যাইতে হইলে, অতিশয় সাবধান হইতে হইত । অনেক স্থলে, কি প্রত্যুষে, কি মধ্যাহ্ে, কি সায়াহ্ছে, অল্পসংখ্যক লোকের প্রাণনাশ অবধারিত ছিল । এজন্য, অনেকে সমবেত না হইয়া, এ সকল স্থল দিয়া যাতায়াত করিতে পারিতেন না। কিন্তু তর্কভূষণ মহাশয়, অসাধারণ বল, সাহস ও চিরসহচর লৌহদণ্ডের সহায়তায় সকল সময়ে এ সকল স্থল দিয়া একাকী নির্ভয়ে যাতায়াত করিতেন । দস্যুরা দুই-চারি বার আক্রমণ করিয়াছিল । কিন্তু উপযুক্তরূপ আক্কেলসেলামি পাইয়া, আর তাহাদের তাহাকে আক্রমণ করিতে সাহস হইত না। মনুষ্যের কথা দূরে থাকুক, বন্য হিংস্র জন্তকেও তিনি ভয়ানক জ্ঞান করিতেন না।

শেষ কথা

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনারা আত্মচরিত গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।  আজকের মতো এখানেই শেষ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।