তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ

তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন। গল্পটি লিখেছেন বনফুল। আজকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এই উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করতে চায়। কিন্তু তাদের কাছে এই গল্পের সৃজনশীল গুলো সংগ্রহ করা নেই। এজন্য তারা গুগলে অনুসন্ধান করে থাকে।

এই গল্পটি সিজনশীল প্রশ্নের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই গল্প  থেকে অনেক সময় পরীক্ষার প্রশ্ন দেখা যায়। এজন্য আগে থেকে আপনাদেরকে এই অধ্যায়ে থেকে সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে নিচের দিকে আমরা কিছু প্রশ্ন শেয়ার করেছি। সেগুলো আপনারা পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে অনুশীলন করতে পারবেন। অনেকে বোর্ড বইয়ের প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য তাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর গুলো এখানে দেওয়া আছে। তাহলে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সংগ্রহ করে নিন।

তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

অনেকে পড়ে পাওয়া গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তরগুলো পাওয়ার জন্য খুজতেছেন। আমরা এখানে তাজমহল গল্পের কমন ও সাজেশন গুলো সংগ্রহ করে দিয়েছি ।আপনাদের জন্য এখানে এ সকল সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরগুলো নিচে দিয়ে দিয়েছি এগুলো  পিডিএফ সংগ্রহ করে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।  যারা যারা উত্তর গুলো পিডিএফ সংগ্রহ করতে চান তাদের জন্য নিচে লিংকে সংগ্রহ করে নিতে পারবেন।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ

i. মেডিকেল কলেজের ছাত্র থাকাকালীন আবির হাসান যখন কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন তখন তার উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ ছিল না। তাদের গাড়ি চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়ার সময় আবির গাড়ির জানালায় মুখ বাড়িয়েছিলেন কখন পাহাড় আর সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য তার চোখ জুড়াবে। আজ কর্মসূত্রে কক্সবাজারে আছেন ডা. আবির। অথচ সমুদ্রের তীরে যাওয়া হয়ে ওঠে না তার, উঁচু পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দেখা হয় না সূর্যাস্ত।
ii. অফিসরুমে বসেই অলস সময় কাটাচ্ছিলেন ডা, আবির। একজন বৃদ্ধা এলেন তাঁর সাথে দেখা করতে। আলাপ প্রসঙ্গে জানতে পারলেন যে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর নামে গড়েছেন হাসপাতাল ও এতিমখানা। চালু করেছেন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এমন দৃষ্টান্ত আবির হাসানকে মুগ্ধ করে।

ক. সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম কী?
খ. “মুগ্ধ দৃষ্টিতে নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম”- কেন?
গ. প্রথম অনুচ্ছেদে “তাজমহল” গল্পের যে দিকটির ইঙ্গিত করা হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের বৃদ্ধা, মোগল সম্রাট শাহজাহান ও “তাজমহল” গল্পের মুসলমান বৃদ্ধ যেন একসূত্রে গাঁথা- বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ

উদ্দীপক ১: উৎসাহ-উদ্দীপনার শেষ ছিল না। তাদের গাড়ি চট্টগ্রাম অভিমুখে যাওয়ার সময় আবির গাড়ির জানালায় মুখ বাড়িয়েছিলেন কখন পাহাড় আর সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্য তার চোখ জুড়াবে । আজ কর্মসূত্রে কক্সবাজারে আছেন ডা. আবির । অথচ সমুদ্রের তীরে যাওয়া হয়ে ওঠে না তার, উঁচু পাহাড়ে দীড়িয়ে দেখা হয় না সূর্যাস্ত ।

উদ্দীপক ২: অফিসরুমে বসেই অলস সময় কাটাচ্ছিলেন ডা. আবির । একজন বৃদ্ধা এলেন তার সাথে দেখা করতে। আলাপ প্রসঙ্গে জানতে পারলেন যে, তিনি অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা । স্বামীর মৃত্যুর পর তার নামে গড়েছেন হাসপাতাল ও এতিমখানা । চালু করেছেন দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার এমন দৃষ্টান্ত আবির হাসানকে যুদ্ধ করে।

ক. সম্রাট শাহজাহানের জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম কী?
খ. “মুগ্ধ দৃষ্টিতে নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম”_ কেন?
গ. প্রথম অনুচ্ছেদে “তাজমহল” গল্পের যে দিকটির ইঙ্গিত করা হয়েছে- তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের বৃদ্ধা, মোগল সম্রাট শাহজাহান ও “তাজমহল” গল্পের মুসলমান বৃদ্ধ যেন একসূত্রে গাথা

তাজমহল প্রবন্ধ

প্রথম যখন আগ্রা গিয়েছিলাম তাজমহল দেখতেই গিয়েছিলাম। প্রথম দর্শনের সে বিস্ময়টা এখনও মনে আছে। ট্রেন তখনও আগ্রা স্টেশনে পৌছায়নি। একজন সহযাত্রী বলে উঠলেন- ওই যে তাজমহল দেখা যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি জানালা দিয়ে মুখ বাড়ালাম।

দূর থেকে দিনের আলোয় তাজমহল দেখে দমে গেলাম। চুনকাম-করা সাধারণ একটা মসজিদের মতো ওই তাজমহল! তবু নির্নিমেষে চেয়ে রইলাম। হাজার হোক তাজমহল। শাহজাহানের তাজমহল। … অবসন্ন আপরাহ্নে বন্দি শাহজাহান আগ্রা দুর্গের অলিন্দে বসে এই তাজমহলের দিকেই চেয়ে থাকতেন। মমতাজের বড় সাধের তাজমহল। … আলমগীর নির্মম ছিলেন না।

পিতার ইচ্ছা অপূর্ণ রাখেন নি তিনি … মহাসমারোহে মিছিল চলেছে … সম্রাট শাহজাহান চলছেন প্রিয়া সন্নিধানে? আর বিচ্ছেদ সইল না … শবাধার ধীরে ধীরে নামছে ভূগর্ভে … ওই তাজমহলেই মমতাজের ঠিক পাশে শেষ-শয্যা প্রস্তুত হয়েছে তাঁর। আর একটা কবরও ছিল … হয়ত এখনও আছে … ওই তাজমহলেরই পাশে। দারা সেকোর … চুনকাম-করা সাধারণ মসজিদের মতো তাজমহল দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেল। পূর্ণিমার পরদিন।

তখনও চাঁদ ওঠেনি। জ্যোৎস্নার পূর্বাভাষ দেখা দিয়েছে পূর্ব দিগন্তে। সেই দিন সন্ধ্যার পর দ্বিতীয়বার দর্শন করতে গেলাম তাজমহলকে। অনুভূতিটা স্পষ্ট মনে আছে এখনও। গেট পেরিয়ে ভিতরে ঢুকতেই অস্ফুট মর্মর-ধ্বনি কানে এলো। ঝাউ-বীথি থেকে নয় মনে হলো যেন সুদূর অতীত থেকে; মর্মর-ধ্বনি নয়, যেন চাপা কান্না। ঈষৎ আলোকিত অন্ধকারে পুঞ্জীভূত তমিস্রার মতো স্তুপীকৃত ওইটেই কি তাজমহল? ধীরে ধীরে অগ্রসর হতে লাগলাম।

মিনার, মিনারেট, গম্বুজ স্পষ্টতর হতে লাগল ক্রমশ। শুভ্র আভাসও ফুটে বেরুতে লাগলো অন্ধকার ভেদ করে। তারপর অকস্মাৎ আবির্ভূত হলো- সমস্তটা মূর্ত হয়ে উঠলো যেন সহসা বিস্মিত চেতনা-পটে। চাঁদ উঠলো। জ্যোৎস্নার স্বচ্ছ ওড়নায় অঙ্গ ঢেকে রাজ-রাজেশ্বরী শাহজাহান-মহিষী মমতাজের স্বপ্নই অভ্যর্থনা করলে যেন আমাকে এসে স্বয়ং। মুগ্ধ দৃষ্টিতে নির্বাক হয়ে চেয়ে রইলাম। তারপর অনেক দিন কেটেছে।

কোন কনট্রাক্টার তাজমহল থেকে কত টাকা উপার্জন করে, কোন হোটেল-ওয়ালা তাজমহলের দৌলতে রাজা বনে গেল, ফেরিওয়ালাগুলো বাজে পাথরের ছোট ছোট তাজমহল আর গড়গড়ার মতো সিগারেট পাইপ বিক্রি করে কত পয়সা পেত রোজ, নিরীহ আগন্তুকদের ঠকিয়ে টাঙাগুলো কি ভীষণ ভাড়া নেয়- এ সব খবরও পুরোনো হয়ে গেছে। অন্ধকারে, জ্যোৎস্নলোকে, সন্ধ্যায়, উষায়, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরতে বহুবার বহুরূপে দেখেছি তারপর তাজমহলকে। এতবার যে আর চোখে লাগে না। চোখে পড়েই না। … পাশ দিয়ে গেলেও নয়। তাজমহলের পাশ দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতে হয় আজকাল। আগ্রার কাছেই এক দাতব্য চিকিৎসালয়ে ডাক্তার হয়ে এসেছি আমি। তাজমহল সম্বন্ধে আর মোহ নেই। একদিন কিন্তু গোড়া থেকেই শুনুন তাহলে।

সেদিন ‘আউট ডোর সেরে বারান্দা থেকে নামছি, এক বৃদ্ধ মুসলমান গেট দিয়ে ঢুকলো। পিঠে প্রকাণ্ড একটা ঝুড়ি বাধা। ঝুড়ির ভারে মেরুদণ্ড বেঁকে গেছে বেচারির। ভাবলাম কোনও মেওয়াওয়ালা বুঝি। ঝুড়িটা নামাতেই কিন্তু দেখতে পেলাম, ঝুড়ির ভেতর- মেওয়া নয়, বোরখাপরা মহিলা বসে আছে একটি। বৃদ্ধের চেহারা অনেকটা বাউলের মতো, আলখাল্লা পরা, ধপধপে সাদা দাড়ি। এগিয়ে এসে আমাকে সেলাম করে চোস্ত উর্দু ভাষায় বললে- নিজের বেগমকে পিঠে করে বয়ে এনেছে সে আমাকে দেখাবে বলে। নিতান্ত গরিব সে। আমাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে ‘ফি’ দিয়ে দেখাবার সামর্থ্য তার নেই। আমি যদি মেহেরবানি করেকাছে যেতেই দুর্গন্ধ পেলাম একটা। হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে বোরখা খুলতেই (আপত্তি করেছিল সে ঢের) ব্যাপারটা বোঝা গেল। ক্যাংক্রাম অরিস!

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক ভালোলেগেছে এবং এই পোস্ট থেকে আপনারা তাজমহল গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন।  এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।  আজকের মতো এখানেই শেষ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।