মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ দুটি বহুগুণিত পদার্থবিজ্ঞানের মৌলিক ধারণা। এই দুটি পদার্থবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা সম্পর্কিত, তবে তাদের সাথে সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি একে অপরের থেকে বিভিন্ন। হাকর্ষ হলো মেঘনেতা পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য যা মহাদ্ধটার এক বস্তুকে অন্য বস্তুর দিকে আকর্ষণ করে। মহাকর্ষের কারণ হলো মেঘনেতা ক্ষেত্র, যা সমদ্বেগী বস্তুগুলিকে একটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করে। হাকর্ষ হলো মেঘনেতা পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য যা মহাদ্ধটার এক বস্তুকে অন্য বস্তুর দিকে আকর্ষণ করে। মহাকর্ষের কারণ হলো মেঘনেতা ক্ষেত্র, যা সমদ্বেগী বস্তুগুলিকে একটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করে। নিচে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ অনুধাবন প্রশ্ন
১. মহাকর্ষ কী?
উত্তর: মহাকর্ষ হলো মহাবিশ্বের চারটি মৌলিক বলের মধ্যে একটি, যা যেকোনো ভরযুক্ত বস্তুকে একে অপরের দিকে আকর্ষণ করে।
২. অভিকর্ষ কী?
উত্তর: অভিকর্ষ হলো মহাকর্ষ বলের একটি বিশেষ ক্ষেত্রে, যা পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে বস্তুকে আকর্ষণ করে।
৩. মহাকর্ষের সূত্র কী?
উত্তর: স্যার আইজ্যাক নিউটন মহাকর্ষের সূত্র প্রদান করেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে, যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ বল তাদের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের কেন্দ্রের মধ্যকার দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক।
৪. মহাকর্ষের প্রভাব কী কী?
উত্তর: মহাকর্ষের প্রভাব বিশাল। এটি গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, এমনকি মহাবিশ্বের গঠন ও বিবর্তনের জন্য দায়ী। এছাড়াও, এটি জোয়ার-ভাটা, ঋতু পরিবর্তন, এবং আমাদের পৃথিবীতে বস্তুর পতনের জন্যও দায়ী।
৫. অভিকর্ষের মান কত?
উত্তর: পৃথিবীর পৃষ্ঠে অভিকর্ষের মান প্রায় 9.8 m/s²।
৬. অভিকর্ষের কারণ কী?
উত্তর: আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা অনুসারে, ভর-শক্তি স্থানকালকে বাকিয়ে তোলে, এবং এই বাকরণই মহাকর্ষের অনুভূতির জন্য দায়ী।
৭. মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর: মহাকর্ষ হলো যেকোনো ভরযুক্ত বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি, যখন অভিকর্ষ হলো পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে বস্তুকে আকর্ষণকারী মহাকর্ষ বলের একটি বিশেষ ক্ষেত্র।
৮. মহাকর্ষ কি শূন্যস্থানে কাজ করে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ শূন্যস্থানেও কাজ করে। আসলে, মহাকর্ষ মহাবিশ্বের সর্বত্র বিদ্যমান।
৯. মহাকর্ষ কি দ্রুততম?
উত্তর: আলোর গতি ছাড়া অন্য কোনো কিছুর চেয়ে মহাকর্ষের গতি অনেক বেশি।
১০. মহাকর্ষ কি কখনো দুর্বল হতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ দুর্বল হতে পারে। যদি দুটি বস্তুর ভর বা তাদের মধ্যকার দূরত্ব পরিবর্তিত হয়, তাহলে তাদের মধ্যকার আকর্ষণীয় শক্তিও পরিবর্তিত হবে।
১১. মহাকর্ষ কি শক্তিশালীতম বল?
উত্তর: না, মহাকর্ষ চারটি মৌলিক বলের মধ্যে দুর্বলতম। তবে, বৃহৎ আকারের বস্তুর ক্ষেত্রে, মহাকর্ষের প্রভাব অনেক বেশি হতে পারে।
১৫. মহাকর্ষ কি মহাবিশ্বের সমাপ্তির কারণ হতে পারে?
উত্তর: কিছু তত্ত্ব অনুসারে, মহাকর্ষ মহাবিশ্বের সমাপ্তির কারণ হতে পারে। যদি মহাবিশ্বের ভর পর্যাপ্ত হয়, তাহলে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এত শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে যে এটি মহাবিশ্বকে সংকুচিত করে একটি “বিগ ক্রাঞ্চ”-এর দিকে ধাবিত করতে পারে।
১৬. মহাকর্ষ কি কৃষ্ণগহ্বরের সাথে সম্পর্কিত?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ কৃষ্ণগহ্বরের সাথে সম্পর্কিত। কৃষ্ণগহ্বরের অত্যধিক মহাকর্ষীয় আকর্ষণের কারণেই আলোও সেখান থেকে পালাতে পারে না।
১৭. মহাকর্ষ কি মহাজাগতিক প্রসারণকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ মহাজাগতিক প্রসারণকে প্রভাবিত করে। মহাকর্ষীয় আকর্ষণ মহাজাগতিক প্রসারণকে ধীর করে দিতে পারে, এবং সময়ের সাথে সাথে এটি মহাজাগতিক “বিগ ফ্রিজ” বা “বিগ রিপ”-এর দিকে ধাবিত করতে পারে।
১৮. মহাকর্ষ কি মহাকাশযানের ভ্রমণকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ মহাকাশযানের ভ্রমণকে প্রভাবিত করে। মহাকর্ষীয় আকর্ষণ মহাকাশযানের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে পারে।
১৯. মহাকর্ষ কি মহাকাশ পর্যটনকে প্রভাবিত করে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ মহাকাশ পর্যটনকে প্রভাবিত করে। মহাকর্ষীয় আকর্ষণ মহাকাশ পর্যটকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী মহাকাশ ভ্রমণের সময় শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
২০. কৃত্রিম মহাকর্ষ তৈরি করা সম্ভব কিনা?
উত্তর: বর্তমানে, কৃত্রিমভাবে মহাকর্ষ তৈরি করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা এখনও মহাকর্ষের প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারেননি, এবং এর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এখনও উন্নত করা হয়নি। তবে, কিছু তত্ত্ব অনুসারে, ভর-শক্তির ঘনত্ব বৃদ্ধি করে কৃত্রিম মহাকর্ষ তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শক্তিশালী accelerator ব্যবহার করে অতিরিক্ত ভর তৈরি করা যেতে পারে, যা মহাকর্ষীয় আকর্ষণ তৈরি করবে।
২১. মহাকর্ষ কি ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণকে আরও সহজ করে তুলতে পারে?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণকে আরও সহজ করে তুলতে পারে। কৃত্রিম মহাকর্ষ তৈরির মাধ্যমে, দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমণের সময় মহাকাশচারীদের ওপর মহাকর্ষের অনুপস্থিতির नकारात्मक প্রভাব কমানো সম্ভব হবে। এছাড়াও, মহাকর্ষীয় ম্যানিপুলেশন ব্যবহার করে মহাকাশযানকে আরও দ্রুত গতিতে প্রলোভিত করা সম্ভব হতে পারে।
২২. মহাকর্ষ কি কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে?
উত্তর: না, মহাকর্ষ কৃষ্ণগহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। কৃষ্ণগহ্বরের মহাকর্ষীয় আকর্ষণ এত শক্তিশালী যে আলোও সেখান থেকে পালাতে পারে না। সুতরাং, মহাকর্ষ, যা আলোর চেয়েও দ্রুত, কৃষ্ণগহ্বরের সীমানা অতিক্রম করতে পারে না।
২৩. মহাকর্ষ কি মহাবিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণ করবে?
উত্তর: মহাকর্ষ মহাবিশ্বের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মহাকর্ষের কারণেই গ্রহ, নক্ষত্র এবং ছায়াপথ তৈরি হয়েছে। এছাড়াও, মহাকর্ষীয় আকর্ষণ মহাজাগতিক প্রসারণকে ধীর করে দিতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে এটি মহাজাগতিক “বিগ ফ্রিজ” বা “বিগ রিপ”-এর দিকে ধাবিত করতে পারে।
২৪. মহাকর্ষ কি মহাবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য?
উত্তর: হ্যাঁ, মহাকর্ষ মহাবিশ্বের অস্তিত্বের জন্য অপরিহার্য। যদি মহাকর্ষ না থাকত, তাহলে বস্তু একে অপরের দিকে আকর্ষিত হত না এবং মহাবিশ্ব ছড়িয়ে পড়ে অস্তিত্বহীন হয়ে যেত।
মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১। মহাকর্ষ ও অভিকর্ষের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ মহাকর্ষ একটি ক্ষেত্রের ব্যাপারে অন্য বস্তুকে আকর্ষণ করে, যেখানে অভিকর্ষ একটি বস্তুর অন্য বস্তুর দিকে সরল বা ধীরে চলার চেষ্টা বা আবর্তন ক্রিয়া বা প্রতিস্থাপন উদ্বেগ বা ক্রিয়াশীলতা।
২। মহাকর্ষের উৎপত্তি কী?
উত্তরঃ মহাকর্ষের উৎপত্তি হলো মেঘনেতা ক্ষেত্রের কারণে একটি বস্তুর অন্য বস্তুর দিকে আকর্ষণ।
৩। অভিকর্ষের পরিমাপের একক কী?
উত্তরঃ অভিকর্ষের পরিমাপের একক হলো নিউটন।
৪। মহাকর্ষের পরিমাপের একক কী?
উত্তরঃ মহাকর্ষের পরিমাপের একক হলো গ্রহক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট মাসের বৃহত্তম একক।
৫। মহাকর্ষের সর্বনিম্ন প্রভাবশীল দৈর্ঘ্য কত?
উত্তরঃ মহাকর্ষের সর্বনিম্ন প্রভাবশীল দৈর্ঘ্য হলো নিউটন।
৬। গ্রহের পাশে থাকা বস্তুগুলির প্রতিক্রিয়া কী হলে ঘটে?
উত্তরঃ গ্রহের পাশে থাকা বস্তুগুলির প্রতিক্রিয়া হলো অভিকর্ষ।
৭। কোন নীতি মহাকর্ষ উৎপন্ন করে?
উত্তরঃ মেঘনেতা ক্ষেত্রের কোন নীতি মহাকর্ষ উৎপন্ন করে।
৮। মহাকর্ষ কেন বলা হয় নিউটনের অভিকর্ষ না?
উত্তরঃ মহাকর্ষ কেন বলা হয় নিউটনের অভিকর্ষ না কারণ মহাকর্ষ শুধুমাত্র গ্রহের প্রতি প্রভাব ফেলে এর জন্য নিউটনের অভিকর্ষ উপযোগী নয়।
৯। কোন নীতি অভিকর্ষ উৎপন্ন করে?
উত্তরঃ কোন নীতি নিয়ে বলা হয় অভিকর্ষ উৎপন্ন করে।
১০। মহাকর্ষের মাধ্যমে এক বস্তু অন্য বস্তুকে কেন আকর্ষিত হয়?
উত্তরঃ মহাকর্ষের মাধ্যমে এক বস্তু অন্য বস্তুকে কেন আকর্ষিত হয় এর কারণ হলো মেঘনেতা ক্ষেত্রের উপস্থিতি।
শেষ কথা
এই ধরনের প্রশ্ন গুলো সৃজনশীল অংশের ক ও খ নাম্বারে পাওয়া যায়। তাই এগুলো খুব ভালোভাবে পড়তে হবে। এছাড়া মূল বইটি প্রথমে পড়ে নিবেন। আশা করছি এখান থেকে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ অনুধাবন প্রশ্ন উত্তর গুলো পড়েছেন।
আরও দেখুনঃ