সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ

সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রকৃতির চিরকালীন সৌন্দর্যের মধ্যে সভ্যতার ধ্বংস ও বিনির্মাণের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। সভ্যতার বিচিত্র বিবর্তনের মধ্যেও আপন রূপ-রস গন্ধ নিয়ে প্রকৃতি টিকে থাকে। পৃথিবীতে প্রাণের যে প্রবাহ ও ঘটনার যে নিয়ত আবর্তন তা চিরন্তন। অসীম শূন্যতার নিচে প্রাণের উৎসব কখনাে থামবে না, শেষ হবে না ঘটনার পরম্পরাও সৃষ্টি আর ধ্বংসের খেলা পৃথিবীতে যেমন চলছে, তেমনি চলবে। পৃথিবীর বুকে সােনার স্বপ্নের মাঠ চিরন্তন, এর কোনাে শেষ নেই। নিচে থেকে সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করুন।

সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এখানে সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর গুলো দেওয়া আছে। এই ধরনের প্রশ্নের সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বারের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কবিতার আলোকে এই প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। নিচে থেকে গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করুন।

১ সেইদিন এই মাঠ কী হবে না বলে কবি জানেন?
উত্তর : সেই দিন এই মাঠ স্তব্ধ হবে না বলে কবি জানেন।

২। লক্ষ্মীপেঁচার কণ্ঠে কী ধ্বনিত হয়?
উত্তর : লক্ষীপেঁচার কণ্ঠে মঙ্গলবার্তা ধ্বনিত হয়।

৩। ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ কার লেখা?
উত্তর : ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ কাব্যগ্রন্থটি জীবনানন্দ দাশের লেখা।

৪। প্রকৃতপক্ষে কিসের মৃত্যু আছে?
উত্তর : প্রকৃতপক্ষে মানুষের মৃত্যু আছে।

৫। সভ্যতা একদিকে যেমন ক্ষয়িষ্ণু অন্যদিকে তার কী চলে?
উত্তর : সভ্যতা একদিকে যেমন ক্ষয়িষ্ণু অন্যদিকে চলে তার বিনির্মাণ ।

৬। কবি এই মাঠ স্তব্দ হওয়ার দিন কী করবেন?
উত্তর : কবি সেদিনও স্বপ্ন দেখবেন।

৭। সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কোন পাখির উল্লেখ আছে?
উত্তর : লক্ষ্মীপেঁচা।

৮। ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি কী জাতীয় গ্রন্থ?
উত্তর : ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ জীবনানন্দ দাশের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।

৯। এশিরীয় ও বেবিলনীয় সভ্যতা এখন কী নয়?
উত্তর : এশিরীয় ও বেবিলনীয় সভ্যতা এখন ধ্বংসস্তৃপ ছাড়া কিছু নয় ।

১০। সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় শীতের শিশির কোথায় পড়ে?
উত্তর : ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় শীতের শিশির চালতাফুলে পড়ে।

১১। ঝরা পালক’ কার রচিত কাব্যগ্রন্থ?
উত্তর : ‘ঝরা পালক’ কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ।৩। জীবনানন্দ দাশ কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

১২। মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা কী হয়ে গেছে?
উত্তর : মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে গেছে।

১৩। জীবনানন্দ দাশের মা কী ছিলেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশের মা একজন স্বভাবকবি ছিলেন।

১৪। লক্ষ্মীটির তরে কে গান গাবে?
উত্তর : লক্ষ্মীটির তরে লক্ষ্মীপেঁচা গান গাবে।

১৫। জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা কী?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশের কবিতার মৌলিক প্রেরণা প্রকৃতির।

আরও দেখুনঃ সেই দিন এই মাঠ mcq প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি

সেই দিন এই মাঠ কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

১৬। সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম কী?
উত্তর : সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় বর্ণিত ফুলের নাম চালতাফুল।

১৭। ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তর : কবি জীবনানন্দ দাশ

১৮। জীবনানন্দ দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ বরিশাল শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯।  নক্ষত্রের তলে কিসে স্বপ্ন দেখবে?
উত্তর : নক্ষত্রের তলে নদী স্বপ্ন দেখবে।

২০। মাল্যবান’ গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তর : মাল্যবান’ গ্রন্থের লেখক জীবনানন্দ দাশ।

২১। নক্ষত্রের তলে কে স্বপ্ন দেখবে?
উত্তর : নক্ষত্রের তলে নদী স্বপ্ন দেখবে।

২২। এম.এ. ডিগ্রি লাভের পর জীবনানন্দ দাশ কী করেন?
উত্তর : এম.এ. ডিগ্রি লাভের পর জীবনানন্দ দাশ অধ্যাপনা শুরু করেন?

২৩। জীবনানন্দ দাশ প্রধানত কী কবি হিসেবে পরিচিত?
উত্তর : আধুনিক জীবনচেতনার কবি।

২৪। জীবনানন্দ দাশ কোথায় ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন?
উত্তর : জীবননান্দ দাশ কলকাতায় ট্রাম-দুর্ঘটনায় আহত হন।

২৫। জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ কেমন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশের দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এক অনন্য রূপসী।

২৬। জীবনানন্দ দাশ কোন কোন কলেজে শিক্ষা লাভ করেন?
উত্তর : জীবনানন্দ দাশ বরিশালের ব্রজমােহন কলেজ ও কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করেন।

সেই দিন এই মাঠ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

এখানে সেই দিন এই মাঠ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হয়েছে। যেগুলো অনুশীলন করার মাধ্যমে ক নাম্বার প্রশ্ন সম্পর্কে ধারনা পাবেন। নিচের অংশে সেই দিন এই মাঠ কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন গুলো পড়ে নিন।

১। ‘বেবিলন ছাই হয়ে আছে’– এ উক্তি দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর : ‘বেবিলন ছাই হয়ে আছে’- এ উক্তি দ্বারা মানুষের গড়া পৃথিবীর অনেক সভ্যতা বিলীন হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।মানুষ এবং মানুষের তৈরি সবকিছুর ধ্বংস অনিবার্য। ‘বেবিলন’ মানুষের তৈরি সভ্যতা যা কালের পরিক্রমায় আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত। কিন্তু সৃষ্টির শুরু থেকে প্রকৃতি আপন গতিতে এগিয়ে চলছে। যার সৌন্দর্য কখনই শেষ হয় না। এ কারণে কবি বলেছেন বেবিলনের মতাে সভ্যতাও ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি চিরকাল প্রাণময়। উক্তিটি সে কথাই প্রকাশ করে ।

 ২। ‘আমি চলে যাব বলে’ কথাটি কেন বলা হয়েছে? 

উত্তর : সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার কবি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ পৃথিবী থেকে চলে যাবেন বলে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছেন। পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয়। মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনাবসান হলেও প্রকৃতির কোনাে পরিবর্তন হয় না। প্রকৃতি তার রূপ-রস-গন্ধসৌন্দর্য নিয়ে টিকে থাকে। প্রকৃতি স্বাভাবিক নিয়মেই তার রূপ-রস-গন্ধসৌন্দর্য বিলিয়ে যায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। যার ফলে কবি মৃত্যুবরণ করে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও প্রকৃতির চালতাফুল শিশিরের জলে ভিজে নরম গন্ধ বিলানাে বন্ধ করে না দিয়ে অনন্তকালব্যাপী তার গন্ধের ঢেউ প্রবাহিত হতে থাকে সেই বিষয়টি কবি অনুভব করেছেন।

৩। এশিরিয়া ধুলো আজ বেবিলন ছাই হয়ে আছে- কবি এ কথা বলেছেন কেন?

উত্তর : প্রকৃতি ও মানব নির্মিত সভ্যতার স্থায়ীত্বের মাঝে পার্থক্য বোঝাতে কবি জীবনানন্দ দাশ আলোচ্য কথাটি বলেছেন। এশিরিয়া ও বেবিলন মানুষের গড়া দুটি সভ্যতা। কালের বিবর্তনে এগুলো আজ ধ্বংসস্তূপে পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতির ঐশ্বর্য অফুরন্ত। যুগ-যুগান্তর ধরে এর প্রাণ চঞ্চলতা বহমান আছে এবং অনন্তকাল এমনই থাকবে। আলোচ্য চরণে এ বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছেন কবি।

৪। ‘এই নদী নক্ষত্রের তলে’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর : ‘এই নদী নক্ষত্রের তলে’ বলতে কবি সম্পূর্ণ পৃথিবীকে বুঝিয়েছেন।সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি প্রকৃতির চিরন্তন গতিময় সৌন্দর্য ও মানবজীবনের নশ্বরতাকে ব্যক্ত করেছেন। কবির মতে, পৃথিবীতে প্রাণের যে প্রবাহ ও ঘটনার যে নিয়ত আবর্তন তা চিরন্তন। পৃথিবীতে এই প্রাণের প্রবাহ কখনাে থামবে না। আর সেই সঙ্গে ঘটনার পরম্পরাও শেষ হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় মহাকালের গর্ভে কবিও একদিন হারিয়ে যাবেন, বর্তমানের কেউ হয়তাে সেদিন থাকবে না। সেই দিন এই মাঠ থাকবে, প্রকৃতির বহমানতা থাকবে। পৃথিবীতে প্রাণের প্রবাহ চলবে এই নদী-নক্ষত্রের তলে ।

৫। এই নদী নক্ষত্রের তলে সেদিনো দেখিবে স্বপ্ন- কেন?

উত্তর : প্রকৃতির রূপ-ঐশ্বর্য চির বহমান বলে ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় কবি উপরিউক্ত কথাটি বলেছেন। প্রকৃতির রহস্যময় সৌন্দর্য জীবনানন্দ দাশের কবিতার প্রাণ। কবির চোখে নদী যেন নক্ষত্রখচিত আকাশের নিচে বসে বসে স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই। কেননা প্রকৃতি তার আপন রূপ-রস-গন্ধ নিয়ে চিরকাল প্রাণময় হয়ে থাকবে।

৬। ‘আমি চলে যাব বলে’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর : ‘আমি চলে যাব বলে’ বলতে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে। পৃথিবীতে কেউই চিরস্থায়ী নয়। প্রত্যেক মানুষকেই একসময় পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়। তবে কবি জানেন যে তিনি একা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেও প্রকৃতির বহমানতা শেষ হবে না। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সবকিছুই চলমান থাকবে। বিষয়টি বোঝাতে কবি আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।

শেষ কথা

এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে সেই দিন এই মাঠ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

সেই দিন এই মাঠ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ- SSC

সেই দিন এই মাঠ কবিতা ও কবিতার ব্যাখ্যা পিডিএফ- SSC

উমর ফারুক কবিতা – কাজী নজরুল ইসলাম। পিডিএফ

মানুষ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ

 SSC মানুষ কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ-

মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- SSC