জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর আজকের পোস্টে দেওয়া আছে। আপনারা যদি জীবন ও বৃক্ষ গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন তাহলে আজকের পোস্ট টি আপনাদের জন্য। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ১ম পত্রের জীবন ও বৃক্ষ গল্পের অনেক সৃজনশীল প্রশ্ন রয়েছে। এগুলো আপনারা সবাই সংগ্রহ করতে পারেননি। এই পোস্টে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন শেয়ার করেছি, যেগুলো পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তো অনেকে সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো পড়তে চাচ্ছিলেন তারা নিচের দিকে চলে যান। এই পোস্টে নিচে সঠিক উত্তর সহকারে জীবন ও বৃক্ষ গল্পের প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। এগুলো আপনারা পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন। সেজন্য একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে। তাহলে আজকের এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ এবং শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো জেনেনিন।
জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর
মোতাহের হোসেন চৌধুরী জীবন ও বৃক্ষ গল্প টি লিখেছেন। এই গল্পটি সংস্কৃতি কথা গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে। এই গল্পে তিনি দেখিয়েছেন বৃক্ষের বিকাশ, পরিপূর্ণতা ও সফলতার পিছনে রয়েছে তার নীরব সাধনা। তিনি প্রমাণ করেছেন বৃক্ষ যেমন ফুল, ফল দিয়ে পরিপূর্ণতা পায়, আর সেসব দান করে সার্থকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠে, মানব জীবনের সার্থকতার জন্য তার নিজের সাধনা এমন হওয়া উচিত। এই গল্পে অনেক শিক্ষামূলক বাণী রয়েছে। এই গল্প থেকে মানুষের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। নিচের দিকে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো আলাদা আলাদা করে দেওয়া আছে।
জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল প্রশ্ন
এখানে জীবন ও বৃক্ষ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। তো যাদের যাদের প্রশ্ন গুলো প্রয়োজন তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করেনিন।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ
এই যে বিটপি শ্রেণি হেরি সারি সারি-
কি আশ্চর্য শোভাময় যাই বলিহারি।
কেহবা সরল সাধু হৃদয় যেমন,
ফলভারে নত কেহ গুণীর মতন।
এদের স্বভাব ভালো মানবের চেয়ে,
ইচ্ছা যার দেখ দেখ জ্ঞানচক্ষে চেয়ে।
যখন মানবকুল ধনবান হয়,
তখন তাদের শির সমুন্নত রয়।
কিন্তু ফলশালী হলে এই তরুগণ,
অহংকারে উচ্চ শির না করে কখন।
ফলশূন্য হলে সদা থাকে সমুন্নত,
নিচ প্রায় কার ঠাঁই নহে অবনত।
ক. মোতাহের হোসের চৌধুরী কোন আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন?
খ. কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন কেন?
গ. ‘বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়’- প্রবন্ধের এ উক্তিটি উদ্দীপকে কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ’ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের ‘বৃক্ষ’ কি একসূত্রে গাঁথা?’- তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ
সমাজ মানুষের প্রধান আশ্রয়স্থল। এখানে সবার সাথে মিলেমিশে বাস করতে হয়। কিন্তু সমাজে এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা সবসময় ভালো কাজের সমালোচনা করে ব্যক্তির বিকাশকে স্তিমিত করে দেয়। ফলে এ সমস্ত ব্যক্তি সফলতার পথে প্রধান অন্তরায়। সৎ চিন্তা ও মহৎ গুণাবলির অভাবই তাদের মনকে সংকীর্ণ করে রেখেছে।
ক. স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে কী পরিপূর্ণ?
খ. স্বল্পপ্রাণ স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের কোন দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবের ধারক নয়।”-মন্তব্যটির সত্যাসত্য নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ঃ
জামিল সাহেব সুন্দরবন ভালোবাসেন। আর জলিল সাহেব নদী ভালোবাসেন। এ নিয়ে দুই বন্ধুর প্রায়ই ঝগড়া হয়। বৃক্ষের অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে জামিল সাহেব হারিয়ে যান। আর জলিল সাহেব নদীর ঢেউ দেখে পাগল হয়ে যান। জলিল সাহেবের মতে, নদীর গতিতে জীবনের গতি।
ক. কীসের পানে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ অন্তরের সৃষ্টিধর্ম উপলব্ধি করেছেন?
খ. তপোবন প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ কেন নদীর মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান?
গ. উদ্দীপকের জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে তুলে ধরেছে”-উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অনেকে হয়তো উপরোক্ত সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো জানেন না। এজন্য আমরা নিচের দিকে সেই প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে দিয়েছি। যদি আপনাদের উত্তর গুলো প্রয়োজন হয় তাহলে নিচে থেকে সংগ্রহ করেনিবেন।
উত্তর ১ঃ
ক. মোতাহের হোসেন চৌধুর ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ নামে এক যুগান্তকারী আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন।
খ. নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের দুঃখ অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলেই কবি নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন।কোনো মানুষ কেবল জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ হয় না; তাকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। এই মনুষ্যত্ব অর্জন মোটেই সহজ কোনো বিষয় নয়। নদীকে যেমন বাঁকে-বাঁকে বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে চলতে হয়, তেমনি অনেক বাধা ডিঙিয়ে মানুষকে মনুষ্যত্ব অর্জন করতে হয়। মনুষ্যত্ব অর্জনের সঙ্গে নদীর পথ পেরোনোর বিষয়টি অনেক বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ বলেই কবি নদীকেই মনুষ্যত্বের প্রতীক করতে চেয়েছেন।
গ. বৃক্ষ ফলবান হলে নতমস্তিষ্কে থাকে আর ফলশূন্য হলে থাকে সদা সমুন্নত; যা মানজীবনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য- এভাবেই উদ্দীপকে আলোচ্য উক্তিটি প্রতিফলিত হয়েছে।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। মানুষ তার মনুষ্যত্বের জন্য সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে বিবেচ্য। পরার্থে জীবন উৎসর্গ করার মধ্যেই মানবজীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত। বিত্তশালী হলেও অহংকার না করে সকলের সঙ্গে বৃক্ষের জীবনকে সাদৃশ্যময় করে তোলা হয়েছে উদ্দীপকে। সরল সাধু বা গুণীরা মূলত ফলভারে নত বৃক্ষের মতোই।
ফলশালী বৃক্ষ যেমন অহংকার না করে নতশিরে থাকে মানুষের জীবনার্থও তাই হওয়া উচিত। ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও প্রাবন্ধিক একই ধরনের মন্তব্য করে বলেছেন বৃক্ষের দিকে তাকালেই মানবজীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। কেননা, বৃক্ষ কেবল মাটি থেকে রস গ্রহণ করে নিজের প্রয়োজনই মেটায় না, তাকে অপরের জন্য ফুল আর ফলও ধরাতে হয়।
এভাবে পরার্থে জীবনকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্য দিয়েই জীবনের তাৎপর্য অনুভূত হয়। উদ্দীপকের কবিতাতেও একইভাবে বিত্তশালী হয়েও অহংকার না করে নত থাকায় জীবনের তাৎপর্যকে উপলব্ধির বিষয়টি এসেছে। এভাবেই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।
ঘ. উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের ‘বৃক্ষ’ একই সূত্রে গাঁথা। নিচে যুক্তি দেওয়া হলো।
মানুষের জীবনের উদ্দেশ্য হলো মনুষ্যত্ব অর্জন করে পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া। বৃক্ষও নিজেকে পরিপুষ্ট করে অন্যের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য। এ জন্যই ‘বৃক্ষ’ কবিতা এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে মানুষকে বৃক্ষ থেকে শিক্ষা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
পরার্থে আত্মনিবেদিত সুকৃতিময় সার্থক বিবেকবোধসম্পন্ন মানবজীবনের মহত্তম প্রত্যাশা থেকেই লেখক মানুষের জীবন কাঠামোকে বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন বৃক্ষের বিকাশ, পরিপূর্ণতা ও সার্থকতার পেছনে রয়েছে তার নীরব সাধনা। বৃক্ষ ফুলে-ফলে পরিপূর্ণতা পেয়ে সে সব কিছু অন্যকে দান করে সার্থকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠে। মানবজীবনের স্বার্থকতার জন্যও তার নিজের সাধনা তেমনই হওয়া উচিত বলে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকের কবিতাতেও একইভাবে মানবজীবনের উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃত সরলমনা সাধু মানুষদের তুলনা করা হয়েছে ফলভারে নত বৃক্ষের সঙ্গে। বলা হয়েছে, বৃক্ষের যে, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সেই বৈশিষ্ট্যে মানুষকে গুণান্বিত হতে। আর এতেই রয়েছে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা।
উদ্দীপকের কবিতায় যেমন প্রকৃত মানবজীবনের সঙ্গে বৃক্ষকে তুলনা করা হয়েছে, ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও একই বিষয় এসেছে। মূলত ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে উভয় রচনাতেই মানবজীবনের সঙ্গে বৃক্ষের জীবন সাধনাকে সাদৃশ্যপূর্ণ করা হয়েছে। তাই বলা যায় যে, উদ্দীপকের ‘বৃক্ষ’ এবং ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে বৃক্ষ একই সূত্রে গাঁথা।
উত্তর ২ঃ
ক. জ্ঞা স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষে সমাজ পরিপূর্ণ।
খ. যারা নিজের জীবনকে সুন্দর করার কথা না ভেবে অন্যের সফলতার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে, তারাই স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।সমাজই বসবাসের উত্তম স্থান। অথচ এ স্থানে এমন কিছু লোক বাস করে যারা সৌন্দর্যের স্পর্শ থেকে দূরে থাকে, ফলে অন্যের সফলতার পথে বাধা হয়ে থাকতেই পছন্দ করে। তারাই মূলত স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের দিকটির প্রতিনিধিত্ব করে।
বিচিত্র মানুষের সমন্বয়ে সমাজ গড়ে ওঠে। তাই আচরণেও ভিন্নতা থাকে। একশ্রেণির মানুষ থাকে, যারা অন্যের বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায় সৃষ্টি করে। এসব মানুষকে এড়িয়ে চলা উচিত।
উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয় সমাজের বিশেষ একশ্রেণির মানুষের পরিচয়বাহী, যারা সবসময় কল্যাণের পথে অন্তরায়। নিজেদের অহমিকাবোধে অন্ধ হয়ে অন্যের বিকাশকে হেয় করে থাকে। একইরূপে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধি ও জবরদস্তিপ্রিয় মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা সবসময় অন্যের বিকাশকে ছোট করে দেখে। তারা অন্যের সফলতার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। মূলত ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের এ বিষয়টিই উদ্দীপকে প্রতিনিধিত্ব করে।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবের ধারক নয়- মন্তব্যটি সত্য। নিচে আমার যুক্তি দেওয়া হলোঃ
বৃক্ষ পরোপকারের এক অনন্য আদর্শ। এটি নীরব সাধনায় ফল ও ফুল দিয়ে পরের কল্যাণ করতে পারলেই নিজেকে সার্থক মনে করে। বৃক্ষের এ অনিন্দ্য সুন্দর আদর্শ মানুষের জীবনে প্রতিফলিত হলে সমাজে অনাবিল শান্তি বিরাজ করবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়ে সমাজের স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের বিষয়টি ফুটে উঠেছে। যারা সবসময় অন্যের সাফল্যের পথে বড় বাধা হয়ে থাকে। নিজেদের অত্যধিক অহমিকাবোধে মহত্তে¡র আদর্শ তাদের স্পর্শ করতে পারে না। অন্যদিকে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে স্বল্পবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। তাছাড়াও প্রবন্ধে বৃক্ষের আদর্শিক জীবন বর্ণিত হয়েছে। এখানে বর্ণিত হয়েছে নদীর গতির সাথে মানবজীবনের গতির পার্থক্য।
উদ্দীপকে বর্ণিত আলোচনায় শধু স্বল্পপ্রাণ, স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের চিত্র ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে ‘জীবন ও বৃক্ষ প্রবন্ধটিতে এ বিষয়টিই একমাত্র বিষয় হয়ে প্রকাশ পায়নি। বরং অন্যান্য বিষয় থাকার কারণে বলা যায়, উদ্দীপকে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না। মন্তব্যটির যথার্থতা রয়েছে।
উত্তর ৩ঃ
ক. বৃক্ষের পানে তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ অন্তরের সৃষ্টিধর্ম উপলব্ধি করেছেন।
খ. নদীর গতিতে মনুষ্যত্ব দেখতে পান বলে নদীর মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান তপোবন প্রেমিক রবীন্দ্রনাথ। বৃক্ষের ফুল ফোটার চেয়ে নদীর গতির মধ্যেই মানুষের বেদনা উপলব্ধি সহজ বলে মনে করেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি মনে করেন, ফুল ফোটা অনেক সহজ প্রক্রিয়া। কিন্তু নদীর গতি সহজ নয়- তাকে অনেক বাধা পেরিয়ে সমুদ্রে গিয়ে মিশতে হয়। নদীর গতিতে মনুষ্যত্বের দুঃখ স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে মনে করেছেন রবীন্দ্রনাথ।
গ. উদ্দীপকের জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের রবীন্দ্রনাথ ও মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টিভঙ্গি এক।
উদ্দীপকে জামিল সাহেব সুন্দরবন ভালোবাসেন। তিনি বৃক্ষপ্রেমিক। বৃক্ষের অপরূপ সৌন্দর্যের মধ্যে তিনি জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। আর তার বন্ধু জলিল সাহেব ভালোবাসেন নদী। নদীর ঢেউ দেখলে তিনি পাগল হয়ে যান। নদীর ঢেউয়ের গতিতে তিনি জীবনের গতি খুঁজে পান।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধেও রবীন্দ্রনাথ নদীর গতির মধ্যে মনুষ্যত্বের সাদৃশ্য খুঁজে পান। তিনি মনে করেন, নদীর গতিকে অনেক কষ্ট করে, অনেক বাধা পেরিয়ে সাগরে গিয়ে মিশতে হয়। অন্যদিকে, মোতাহের হোসেন চৌধুরী বৃক্ষের মধ্যে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি করেন এবং জীবনের সার্থকতা খুঁজে পান। তিনি মনে করেন, নদী সাগরে পতিত হওয়ার দৃশ্য আমরা প্রত্যহ দেখতে পাই না, কিন্তু বৃক্ষের ফুল ফোটানো, ফল ধরা-সব আমরা প্রত্যহ দেখতে পাই। বৃক্ষের নীরব সাধনা আমরা আমাদের অনুভূতি দিয়ে বুঝতে পারি। প্রশ্নোক্ত উক্তিতে যে-কথা বলা হয়েছে তা সঠিক ও যথার্থ।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধের সমগ্রভাবকে তুলে ধরেছে।
উদ্দীপকে জামিল সাহেব ও জলিল সাহেবের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। দুই বন্ধু প্রায়ই ঝগড়া করেন। কারণ দুজনের পছন্দ ভিন্ন। একজন বৃক্ষকে পছন্দ করেন আর একজন নদীকে।
‘জীবন ও বৃক্ষ’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ও মোতাহের হোসেন চৌধুরীর ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে আমরা জীবনের সার্থকতার চিত্র দেখতে পাই। রবীন্দ্রনাথ নদীকে মানুষ্যত্বের প্রতীক ও সার্থকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলেও মোতাহের হোসেন চৌধুরী বৃক্ষকেই জীবনের সার্থকতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। বৃক্ষ আমাদের জীবনে মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানোর শিক্ষা দেয়। নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সাধনার যে গান শোনায় তা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়ে আমাদের আত্মিক বিকাশ ঘটাই। শুধু দৈহিক বিকাশ নয়, আত্মিক বিকাশ ঘটিয়ে জীবনে সফল হওয়া যায়। আর সে শিক্ষা আমরা বৃক্ষ থেকেই লাভ করি।
বৃক্ষ আমাদেরকে জীবনের গূঢ় অর্থ সম্পর্কে সচেতন হতে সহায়তা করে। আমরা বৃক্ষের দিকে তাকিয়েই জীবন-সাধনার শিক্ষা লাভ করতে পারি। বৃক্ষের শান্তি ও সেবার বাণী থেকে আমরাও মানবকল্যাণে
জীবন ও বৃক্ষ প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ
অনেকে আছে যারা জীবন ও বৃক্ষ প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে চায়। তাই আপনাদের জন্য আমরা একটি পিডিএফ ফাইল তৈরি করেছি। এই পিডিএফ ফাইলে প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। পিডিএফ টি সংগ্রহ করার জন্য নিচে একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে। এই লিঙ্কে ক্লিক করে সংগ্রহ করেনিন।
পিডীএফ সংগ্রহ
শেষ কথা
আজকেরমতো এখানেই শেষ। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভাললেগেছে। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে জীবন ও বৃক্ষ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
See More:
জীবন ও বৃক্ষ mcq প্রশ্ন ও উত্তর এইচ এস সি ২০২২
আত্মচরিত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ১ম পত্র