বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর এইচ এস সি পিডিএফ

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো এই পোস্টে পেয়ে যাবেন। অনেক শিক্ষার্থী এই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ  করতে পারে না। এজন্য গুগল থেকে উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে চায়। তাই আপনাদের জন্য আজকের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সৃজনশীল নিয়ে এসেছি। যেগুলো আপনারা পরীক্ষার জন্য অনুশীলন করতে পারবেন।

তো নিচের দিকে আপনাদের জন্য কিছু কমন ও গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল গুলো শেয়ার করা হয়েছে। আশা করছি এই সৃজনশীল গুলো ভালো ভাবে অনুশীলন করলে এই গল্পের যেকোনো ধরনের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন। আপানদের জন্য প্রশ্ন গুলো উত্তর সহ কারে দেওয়া আছে। যাদের যাদের সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো প্রয়োজন তারা নিচে থেকে সংগ্রহ করেনিন।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ mcq প্রশ্নের উত্তর দেখতে এখানে ক্লিক করুন

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। এই সৃজনশীল গুলো পরীক্ষার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। এগুলো অনুশীলন করার মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন কমন পড়তে পারে। তাই প্রশ্ন গুলো ভালো ভাবে অনুশীলন করবেন। নিচে থেকে সৃজনশীল গুলো দেখেনিন।

সৃজনশীল প্রশ্ন-১
শপথ নিয়েও পলাশীর প্রান্তরে প্রধান সেনাপতি মিরজাফর যুদ্ধে অংশ নেননি। রায়দুর্লভ, উমিচাঁদ, জগৎ শেঠ যুদ্ধে অসহযোগিতা করেছেন। মোহনলাল ও মিরমদন বিশ্বাসঘাতক হননি। নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হয়েছেন। মির জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছে।
ক. কাকে রাবণি বলা হয়েছে?
খ. ‘প্রফুল­ কমলে কীটবাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার সঙ্গে যে দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিকরূপায়ণ মাত্র।”- মূল্যায়ন কর।

 সৃজনশীল প্রশ্ন-২
১৯৭১ সালে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের বীর-সন্তানেরা। মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে তারা অস্ত্র হাতে বীরদর্পে যুদ্ধ করেছে।

ক. ‘ধীমান’ শব্দের অর্থ কী?
খ. নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার কোন বিষয়টির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার একটি বিশেষ ঘটনার বিপরীত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।-বিশ্লেষণ কর।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

আমরা উপরের অংশে কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন শেয়ার করেছি। অনেকে হয়তো এই প্রশ্ন গুলো উত্তর জানেন না। তাই আপনাদের জন্য এখানে আমরা উত্তর গুলো দিয়েছি। যাদের যাদের উত্তর গুলো প্রয়োজন তারা নিচে থেকে দেখেনিন।

সৃজনশীল প্রশ্ন-১ এর উত্তরঃ 

ক. রাবণের পুত্র মেঘনাদকে রাবণি বলা হয়েছে।

খ.  ‘প্রফুল­ কমলে কীটবাস’ বলতে উঁচু বংশে জন্মগ্রহণ করেও বিশ্বাসঘাতকতা এবং হীন ব্যক্তিদের সাথে আঁতাত করার জন্য বিভীষণের হীন স্বভাবকে বোঝানো হয়েছে।

‘মেঘনাদবধ-কাব্যে’র ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতা। এখানে রামানুজ লক্ষণ কর্তৃক রাবণপুত্র মেঘনাদ নিধনের কাহিনী কবি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচনা করেছেন। রামচন্দ্র দ্বীপরাজ্য স্বর্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে সেখানকার রাজা রাবণ সম্মুখযুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। তখন অসীম সাহসী বীর পুত্র মেঘনাদকে সেনাপতি করে পরবর্তী দিনের যুদ্ধ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। মেঘনাদ যুদ্ধযাত্রার আগে নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য মনস্থির করে। সেখানে মায়াদেবীর আনুকূল্যে এবং বিভীষণের সহায়তায় লক্ষণ প্রবেশ করে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ তখন পিতৃব্য বিভীষণকে নানাভাবে বুঝিয়ে অস্ত্রাগারে যাওয়ার অনুমতি চাইল। কিন্তু বিভীষণ দ্বার ছেড়ে দাঁড়াল না। বরং সে যে রাঘবের দাস তা জানিয়ে দিল। তখন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছে।

গ.  উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা ও দেশদ্রোহিতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

স্বদেশের প্রতি ভালোবাসা মানুষকে মহৎ করে। মানবকল্যাণে আত্মনিয়োগে উৎসাহিত করে। মানবকল্যাণের ব্রত নিয়ে সৃষ্টিশীল মানুষ সমস্ত বাধা-বিঘœ অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে চলে। স্বদেশের স্বার্থে একজন দেশপ্রেমিক প্রয়োজনে প্রাণবিসর্জন দিতেও কুণ্ঠিত হয় না। যারা স্বদেশকে ভালোবাসে না, তারা বিশ্বাসঘাতক, দেশদ্রোহী।

উদ্দীপকে ১৭৫৭ সালের ২৩ শে জুন পলাশির আম্রকাননে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হওয়ার মূল ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত উপস্থাপন লক্ষ করা যায়। এখানে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং মোহনলাল ও মিরমদনের স্বাদেশিকতার বিষয়টি প্রতিফলিত। উদ্দীপকে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার দিকটি আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রতিফলিত বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা এবং দেশদ্রোহিতার কারণেই মেঘনাদকে নিরস্ত্র অবস্থায় বধ করতে সক্ষম হয়েছিল রামানুজ লক্ষণ। অস্ত্রাগারে প্রবেশ করে যুদ্ধের সাজ গ্রহণের জন্য অনুরোধ সত্তে¡ও বিভীষণ দ্বার ছেড়ে দাঁড়ায়নি। সে জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি সবকিছুকেই জলাঞ্জলি দিয়েছে।

ঘ.উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিক রূপায়ণ মাত্র।”-মন্তব্যটি যথার্থ।

উদ্দীপকের পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং বাংলার স্বাধীনতা সূর্যের অস্তমিত হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে নবাবের সাথে মিরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ধনুকুবেরদের অসহযোগিতাকে নির্দেশ করা হয়েছে। এ বিষয়টি ‘মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে মায়াদেবীর দৈবকৌশল এবং বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতার সাথে একসূত্রে গাঁথা।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতাটিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিভীষণের বিশ্বাসঘাতকতা এবং লক্ষণের নির্মমতার এবং মেঘনাদের’ স্বদেশপ্রেম তুলে ধরা হয়েছে। স্বর্ণলঙ্কাপুরীকে রামচন্দ্রের হাত থেকে বাঁচাতে এবং যুদ্ধজয় নিশ্চিত করতে মেঘনাদ প্রস্তুত হয়। যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ ইষ্টদেবতা অগ্নিদেবের পূজা সম্পন্ন করার জন্য নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে। সেখানে মায়াদেবীর মায়াবলে এবং বিভীষণের সহায়তায় রামানুজ লক্ষণ উপস্থিত হয়। ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় লক্ষণ নিরস্ত্র মেঘনাদকে তার সাথে যুদ্ধ করার জন্য আহবান করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে ঢুকে যুদ্ধের সাজ আর অস্ত্র নিয়ে আসতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয়।

মেঘনাদ স্বর্ণলঙ্কাপুরী তার স্বদেশের প্রতি গভীর অনুরাগ আর ভালোবাসা প্রকাশ করে। বিভীষণকে তার শত্রুুর মোকাবিলা করার জন্য অনুরোধ করে দ্বার ছেড়ে দেয়ার। সুতরাং দেখা যায়, ঘটনাপ্রবাহে উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার আংশিক রূপায়ণ মাত্র। তাই প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন-২ এর উত্তরঃ 

ক.  শব্দের অর্থ ধীসম্পন্ন বা জ্ঞানী।
খ. নিজ গৃহ পথ, তাত, দেখাও তস্করে?/চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে? উক্তিটি আত্মক্ষোভে মেঘনাদ বিশ্বাসঘাতক বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল। চণ্ডালে বলতে এখানে রামানুজ লক্ষণকে বোঝানো হয়েছে।
মেঘনাদবধ’ মহাকাব্যে রামচন্দ্র ¯¦র্ণলঙ্কা আক্রমণ করলে রাজা রাবণ তাঁর দ্বীপ রাজ্য ¯¦র্ণলঙ্কা রক্ষার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হন, সে যুদ্ধে ভাই কুম্ভকর্ণ এবং পুত্র বীরবাহুর মৃত্যু হলে মেঘনাদকে সেনাপতি নির্বাচিত করেন। পরবর্তী দিন যুদ্ধে যাওয়ার আগে মেঘনাদ নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে মনস্থির করে। মায়াদেবীর দৈবকৌশলে এবং তার খুল­তাত বিভীষণের সহায়তায় সেই যজ্ঞাগারে প্রবেশ করে রামানুজ লক্ষণ সেখানে নিরস্ত্র মেঘনাদকে আক্রমণ করে। মেঘনাদ অস্ত্রাগারে প্রবেশ করতে চাইলে বিভীষণ তাকে বাধা দেয় এবং দ্বার রোধ করে রাখে। এ অবস্থায় মেঘনাদ আলোচ্য উক্তিটি করেছিলেন।
গ. উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় নিরস্ত্র মেঘনাদের ওপর লক্ষণের সশস্ত্র আক্রমণের বিষয়টির সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
 যুদ্ধের সময় অন্যায়ভাবে শত শত বেসামরিক নিরস্ত্র লোককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। যা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রহাতে বীরদর্পে তাদের প্রতিহত করেছে।
 উদ্দীপকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীকে নিশ্চি‎হ্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই বর্বর হানাদাার বাহিনীকে পরাজিত করে মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে এই অস্ত্র হাতে শত্রুর মোকাবিলা এবং প্রিয় জন্মভূমিকে শত্রুমুক্ত করার যে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের ওপর লক্ষণের আক্রমণের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ, মেঘনাদ যখন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে গিয়েছেন তখন সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি অস্ত্রাগারে গিয়ে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হতে চাইলে তাকে সেই সুযোগ দেয়া হয়নি।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার একটি বিশেষ ঘটনার বিপরীত চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে- মন্তব্যটি যথার্থ।
যুদ্ধ মানুষের জন্য সার্বিক অকল্যাণ ডেকে আনে। যুদ্ধের ফলে মানুষ পৃথিবীতে অভিশপ্ত জীবনযাপন করে। আত্মস্বার্থ, লোভ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ও অহংবোধই যুদ্ধের মূল কারণ।
 উদ্দীপকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটি খণ্ডচিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। এখানে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীকে নিশ্চি‎হ্ন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। আর সেই বর্বর হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করতে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকে এই অস্ত্র হাতে শত্রুর মোকাবিলা এবং প্রিয় জন্মভূমিকে শত্রুমুক্ত করার যে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার মেঘনাদের ওপর লক্ষণের আক্রমণের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ, মেঘনাদ যখন নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে অগ্নিদেবের পূজা করতে গিয়েছিলেন তখন সেখানে নিরস্ত্র অবস্থায় তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি অস্ত্রাগারে গিয়ে যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হতে চাইলে তাকে সে সুযোগ দেয়া হয়নি।
আলোচ্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় মেঘনাদ অস্ত্রধারণ করার সুযোগ পায়নি। কারণ নিরস্ত্র অবস্থায় মহারথী প্রথা ভেঙে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এভাবে উদ্দীপকটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতার এই বিশেষ বিষয়টির বিপরীত চিত্রকে প্রতিফলিত করেছে।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে আপনাদের জন্য আরও কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। এগুলো আপনারা দেখেনিতে পারেন। আশা করছি এই সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো অনুশীলন করলে এই কবিতার সকল প্রশ্নের উত্তর খুব সহজেই করতে পারবেন। নিচে থেকে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেখেনিন।

সৃজনশীল প্রশ্ন-৩

বাবার ব্যবসায় দুর্দিন দেখা দিলে বড় ছেলে বাবার ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের সাথে হাত মেলায় ভবিষ্যতের আশায়। ছোট ছেলে বাবার ব্যবসায়িক দুর্দিন কাটানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে বড় ভাইকে বাবার পাশে থাকার অনুরোধ করে, কিন্তু বড় ছেলের অভিযোগ – বাবার একগুয়ে মনোভাব আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে পারিবারিক ব্যবসা ডুবতে বসেছে। তার ব্যর্থতার দায়ভার আমি নেব কেন? বড় ভাইয়ের সমর্থন না পেয়ে সুদিন ফিরিয়ে আনতে একা সংগ্রাম চালিয়ে যায় ছোট ছেলে।

ক. বাসবত্রাস কে?
খ. “লঙ্কার কলঙ্ক আজ ভঞ্জিব আহবে” দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ছোট ছেলে ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার কোন চরিত্রের অনুরূপ? কীভাবে?
ঘ. উদ্দীপকের বড় ছেলে এবং ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতার বিভীষণের আচরণ ভিন্ন উদ্দেশ্যপ্রসূত”- মন্তব্যটি বিবেচনা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন-৪

প্রাচীন গ্রিস প্রজাতন্ত্রী নগর রাষ্ট্র ছিল। জুলিয়াস সিজার একজন সফল সেনাপ্রধান ছিলেন। কালক্রমে জুলিয়াস সিজার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার এ নীতির সমর্থন দেন তার স্নেহ ভাজন বুটাস। পরবর্তীতে সিনেটররা রাষ্ট্রের কল্যাণার্থে ‘সিজারকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে। বুটাস তখন ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে যোগ দেয়। নিরস্ত্র সিজারকে সিনেটররা একের পর এক ছুরিকাঘাত করতে থাকে। যখন তার প্রিয় বুটাস তাকে ছুরিকাঘাত করে তখন সিজার হতবাক হয়ে বলে, “বুটাস, তুমিও?”

ক. “সৌমিত্রি’ কে?
খ. “নাহি শিশু লঙ্কাপুরে শুনি না হাসিবে এ কথা।’- কোন কথা? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে প্রকাশিত বুটাসের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের “বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কবিতায় প্রকাশিত বিভীষণের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের তুলনা করো।
ঘ. প্রমাণ কর, ‘কিছুটা মিল থাকলেও সিজার মেঘনাদের প্রতিনিধি নয়।’_ বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫

পৃথিবীর প্রতিটি দেশে ও সমাজে যতই ন্যায়ধর্ম, ক্ষাত্রধর্ম, মানবিকতা, যুক্তিবাদ-এর আদর্শের কথা বলা হোক না কেন!- এগুলোর বাস্তব প্রকাশ বা কার্যক্রম খুঁজে পাওয়া দুর্লভ। সর্বত্র বিশ্বাসঘাতকতা, কুটকৌশল, অন্যায়-অত্যাচার আর মিথ্যার জয়-জয়কার ৷
ক. মেঘনাদ কেন বিভীষণকে তিরস্কার করতে চান না?
খ. নিজেকে রামচন্দ্রের দাস বলায় মেঘনাদ বিভীষণকে কী কী বিষয় স্মরণ করিয়ে দেয়? তা লেখো।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বক্তব্য ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ কাব্যাংশের সাথে কী সাদৃশ্য বহন করে? বিশ্লেষণ করো।
ঘ. “সর্বত্র বিশ্বাসঘাতকতা, কুটকৌশল, অন্যায়-অত্যাচার আর মিথ্যার জয়-জয়কার।’__ উক্তিটি ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ” কবিতাংশের আলোকে মূল্যায়ন করো।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর

এখানে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন ও কিছু জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া আছে। এই প্রশ্ন গুলো চর্চা করলে সৃজনশীল প্রশ্নের ক নাম্বারের উত্তর সহজেই করতে পারবেন। নিচে থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও জ্ঞান মূলক প্রশ্ন গুলো দেখেনিন।

১. ইন্দ্রজিৎ বলা হয় কাকে?
উত্তর : ইন্দ্রজিৎ বলা হয় মেঘনাদকে।

২. মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি কোনটি?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।

৩. মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যে বিশেষভাবে কীসের মিলন ঘটেছে?
উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যে বিশেষভাবে রোমান্টিকতা ও ধ্রুপদী সাহিত্যের আশ্চর্য মিলন ঘটেছে।

৪. বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নবরূপায়ণ কোনটি?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে অক্ষরবৃত্ত ছন্দের নবরূপায়ণ হলো ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’।

৫. লক্ষ্মণ কার গর্ভজাত সন্তান?
উত্তর : লক্ষ্মণ সুমিত্রার গর্ভজাত সন্তান।

৬. ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ কাব্যের’ কোন সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর : ‘বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ’ ‘মেঘনাদবধ কাব্যের’ ষষ্ঠ সর্গ থেকে সংকলিত হয়েছে।

৭. ‘অরিন্দম’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : ‘অরিন্দম’ বলতে মেঘনাদকে বোঝানো হয়েছে।

৮. অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে?
উত্তর : অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

৯. মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ছন্দকে কী বলা হয়?
উত্তর :মধুসূদন দত্ত প্রবর্তিত ছন্দকে বলা হয় ‘অমিত্রাক্ষর ছন্দ’।

১০. ‘মেঘনাদবধ-কাব্য’ কোন সাহিত্যকর্ম অবলম্বনে রচিত হয়েছে?
উত্তর : ‘মেঘনাদবধ-কাব্য’ মহাকবি বাল্মীকির রামায়ণ অবলম্বনে রচিত।

১১. ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘জীমূতেন্দ্র’ শব্দের অর্থ মেঘের ডাক।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভাললেগেছে। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করতে পারেন। আশা করছি এই পোস্ট থেকে বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন।  এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন।  ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।   আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

See More:

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতা এইচ এস সি -suggestionbd.top

সোনার তরী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর Pdf collect

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ কবিতার ব্যাখ্যা কবিতার অর্থসহ -suggestionbd.top

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ mcq প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ