পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় – পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের টেকনিক

পরিক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়? 

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়



ছাত্র জীবনে পরিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়। পরিক্ষা না দিয়ে থাকলে আপনি ছাত্র হতে পারবেন না। শুধু পরিক্ষা দিলে হবে না পরিক্ষাতে ভাল রেজাল্টও করতে হবে। আর ভাল রেজাল্ট করার জন্য আপনাকে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। শুধু চোখ বুঝে পড়লেই ভাল রেজাল্ট করা যায় না । ভাল রেজাল্ট করতে হলে জানতে হবে কিছু টেকনিক হতে হবে অন্যদের ‍থেকে একটু বেশী চালাক। আজকে আমি আপনাদের পরিক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় বলে দেব। 

এম হযেছে আপনার বন্ধুর থেকে আপনি প্রচুরবেশী পড়াশুনা করেন, কিন্তু সে আপনার থেকে অনেক  এগিয়ে । এমনটা কেন হয়, কেন সে আপনার থেকে ভাল রেজাল্ট করে এটা আগে বিশ্লেষন করা দরকার। আপনাকে খুজে বের করতে হবে সে কেন আপনার থেকে ভাল রেজাল্ট করে। তার মাঝে এমন কি টেকনিক আছে যেটা আপনার মাঝে নেই।পরিক্ষার হলে সে খাতায় কেমন করে লেখে ইত্যাদি জিনিস আগে জানা দরকার। 

আজকে আমি আপনাদের পরিক্ষায় a+ পাওয়ার উপায় যে উপায়গুলো বলব এই উপায়গুলি যদি পরিক্ষায় খাটাতে পারেন তাহলে আপনার পরিক্ষার রেজল্টে মাজে একটু হলেও পরিবর্তন দেখবেন।


এই ভিডিওটি দেখুন। দেখলে আপনার পরিক্ষায় এ+ পেতে সহজ হবে।


কোন ভুলগুলো করলে ভাল পরিক্ষা দিলেও আপনি ফেল করবেন। 

 

  • খাতায় রোল এবং রেজি: লেখতে ভুল করলে আপনি ফেল করবেন। 
  • বোর্ড পরিক্ষার খাতায় অপ্রয়োজনিয় জায়গায় দাগ দিলে আপনি ফেল করবেন। 
  • বাংলা ইংরেজি মিক্স করে রোল এবং রেজি লেখলে। 
  • শুধু বাংলাতে রোল এবং রেজি: নাম্বার লেখলে।
  • বোর্ড পরিক্ষার খাতায় বৃত্ত ভরাটে ভুল করলে। 
  • প্রয়োজনের থেকে বেশী প্রশ্নের উত্তর দিলে আপনর সঠিক প্রশ্নের উত্তর কাটা যেতে পারে । পরিক্ষায় ফেল করার জন্য  এটাও একটা শক্তিশালী কারন। 
  • পরিক্ষার হাজিরা খাতায় সাক্ষর না করলে ফেল করবেন। 
এসব কারন ছাড়াও পরিক্ষায় ফেলকরার জন্য আরো অনেক কারন রয়েছে। 

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়

পরিক্ষায় a+ পাওয়ার জন্য বেশী পরালেখার থেকে ভাল কোন উপায় নেই। তাও কিছু টেকনিক এবং টিকস্ কাজে লাগালে পরিক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা যায় । পরিক্ষায় a+  পে হলে আপনাকে বছরের প্রথম থেকেই ভাল করে পড়াশুনা করতে হব। 

 

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়



যদি আপনি পরিক্ষায় পাশের নিয়ম জানতে চানে তাহলে নিচের লেখাটি পড়ুন।

পরিক্ষায় পাশের নিয়ম


রুটিন করে পড়া
 
পরিক্ষায ভাল রেজাল্ট করতে হলে আপনাকে অবশ্যই রুটিন অনুযায়ি পড়তে হবে। রুটিন অনুযায়ি না পাড়ার একটা অসুবিধা হল: আপনি শুধু কঠিক বিষয়গুলো পড়বেন। যে বিষয়গুলোর উপর ফোকাস কম থাকে ওই বিষয়গুলো খুব কম পাড়া হয় । এর ফলে ওই বিষয়গুলোতে আপনি তেমন ভাল রেজাল্ট নাও করতে পারেন। পরিক্ষায় a+ পাওয়ার জন্য এটা একটা বড় সমস্য হযে দাড়াবে। তাছাড়া্ও সব বিষয় প্রতিদিন পড়ার জন্য আপনাকে রুটিন অনুযায়ি পড়তে হবে। 
 
ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন
 
এটা হয়ত আপনার কাছে অন্যরকম লাগছে। কিন্তু আপনি চাইলে ভুল থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আগের পরিক্ষাগুলোতে কি  কি ভুল করার কারনে আপনি খারাপ রেজাল্ট করেছেন অথবা আগের পরিক্ষাতে আপনি কোন কোন বিষয়ে খারাপ করেছেন এসব থেকে শিক্ষা গ্রহন করতে হবে। 

পরিক্ষার হলে এই জিনিসগুলো না নিয়ে যাবেন না।



গ্রুপ স্টাডি করা
 
আপনার সহপাঠীদের নিযে আপনারা একটি গ্রুপ করে পড়াশুনা করতে পারেন। এতে করে আপনাদের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। কোন প্রশ্ন নিয়ে জামেলা হলে সাবর সাথে আলোচনা সঠিক উত্তর বের করতে পারবেন। তাছাড়াও একজন আরেকজনের সাথে প্রশ্ন এবং উত্তর বিনিময় করে নিয়ের স্কিল যাচাই করতে পারবেন। পরিক্ষায় a+ পেতে হলে গ্রুপ স্টাডির প্রয়োজন আছে। ফেইসবুকে গ্রুপ চ্যাট এর মাধ্যমে পাড়াশুনা করতে পারবেন। 
 
নোট তৈরি করা
 
নোট তৈরি করা ভাল ছাত্রদের একটা লক্ষন। বইয়ের বিষেশ বিষেশ পয়েন্টগুলো খাতায় নোট করে রাখলে পরিক্ষার আগে খুব অল্পসময়ে ভাল প্রস্তুতি নেওয়া যায়। পরিক্ষায় a+ পাওয়ার জন্য কমন পড়াগুরো নোট করতে হবে। 
 
লেখার অভ্যাস করা
 
আপনি যত ভাল পড়ুয়া হন না কেন, আপনি যদি পরিক্ষার খাতায ভাল লেখতে না পারেন তাহলে তাহলে কিন্তু ভাল রেজাল্ট করা যাবে না। তাই প্রতিদিন লেখবেন। চেষ্টা করবেন দিন দিন আপনার লেখা সুন্দর করতে। 
 
নিয়মিত ক্লাশ করা
 
নিয়মি ক্লাশ না করে বাড়িতে বসে আর কুচিং করে ভাল রেজাল্ট করা যাবে না। বাড়িতে একটা জিনিস ১০ বার পড়া আর ক্লাশে একবার পড়া এক সমান। তাই নিয়মিত ক্লাশ করবেন। 
 
নামাজ পড়া
 
পড়াশুনা করতে গিয়ে ইবাদাত করা ছেড়ে দিলে হবে না। সবসময় নামাজ পড়বেন। নামাজ পড়া ভাল ছাত্রের লক্ষন। 

 

পরীক্ষায় a+ পাওয়ার উপায়

 

 

পরিক্ষায় a+ পাওয়ার জন্য খাতায় লেখার নিয়ম

  • খাতায় কালো কলম ছাড়া অন্য কোন কালারের কলম ব্যবহার করা ঠিক না। 
  • পরীক্ষার হলে খাতাটি পেয়ে সতর্কতার সাথে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ তথ্যাদি পূরণ করে খাতা মার্জিন করে ফেলবেন।
  • প্রশ্ন পাওয়ার পর ১০ মিনিট ভাল করে পড়বেন। 
  • তারপর যে প্রশ্নের উত্তরগুলো ভাল দিতে পারেবেন সেগুলো আগে দিবেন। 
  • টাইম ক্যালকেলুশন করে নিবেন যাতে সবগুলো উত্তর সমযের ভিতরে কভার করতে পারেন। 

 

পরিক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম এবং বৃত্ত ভরাট করতে হয় কি করে যদি  জানতে চান তাহলে নিচের লিংক এক ক্লিক করুন। 

 

 

  • চেষ্টা করবেন যত দ্রুত সম্ভব লেখার । কারন লেখার গতি কম থাকলে সকল প্রশ্নের উত্তর সময়ের ভিতরে নাও দিতে পারেন। 
  • পরীক্ষায় লুজ শিট নিলে তার নম্বরটি প্রথমেই মূল খাতার যথাস্থানে সতর্কতার সাথে পূরণ করে নিন। কারন পরে মনেও না থাকতে পারে। 
  • পরীক্ষার খাতায় চেষ্টা করবেন প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে উত্তর দিতে। এতে পরীক্ষকের খাতা দেখা সহজ হয়।এজন্য পরীক্ষক খুশি আর তিনি খুশি হলে নম্বর ভালো আসবে।
  • পরীক্ষার খাতায় হাবিজাবি লিখে পৃষ্ঠা ভরবেন না।মনে রাখবেন পৃষ্ঠা গুনে নম্বর হয় না। যা চেয়েছে ও যা জানেন, তা সময়ের সঙ্গে মিল রেখে লিখুন
  • পরীক্ষার খাতায় অসম্পূর্ণ উত্তরের ক্ষেত্রে বাংলা পরিক্ষার সময় অ. পৃ. দ্র. এবং ইংরেজির সময় To be continued লেখা উত্তম।
  • পরীক্ষার খাতায় এক কথায় যেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, তা যত সংক্ষেপে লেখা যায়। এখানে প্যাঁচালেই বিপদ।
  • পরীক্ষার হলে সাধারণ গণিতে উত্তর শেষ হলে রিভিশন দেবেন। অনেকেরই প্লাস, মাইনাস বা ছোটখাটো ভুল করার অভ্যাস আছে।
  • পরিক্ষার হলে ভাল ব্যাবহার করবেন। কারন খারাপ ব্যাবহারের জন্য কিছক্ষনের জন্য আপনার খাতা নিয়ে যেতে পারে। 
পরিক্ষা বিষয়ক সকল নিউজ এবং আপডেট পেতে একটা ইউটিউব চ্যানেল সাবক্রাইব করুন। 
 
thanka all.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *