পরিক্ষা কে আবিষ্কার করেন? যিনি ছাত্র সামাজের কাছে এক খলনায়ক

পরিক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কার করল কে?

পরীক্ষার আবিষ্কারক
পরীক্ষার আবিষ্কারক কে

একটা কথা আছে “ সব থেকে সুখের হত ছাত্র জীবন, যদি না থাকত Examination.  যিনি পরিক্ষা আবিষ্কার করেছে আপনি হয়ত তাকে অনেক গালি দিয়েছেন । পৃথীবির সব থেকে ভয়ংকর কাজ পরিক্ষা দিতে হচ্ছে তার কারনে।ছাত্র জীবনকে বিভিষিকাময় করে তুলতে পরিক্ষা আবিষ্কারকের ভূমিকা অপরিসীম। পরিক্ষার নাম শনলে তো আবার অনেকে জ্বরও চলে আসে। পরীক্ষার আবিষ্কারককে নিয়ে চিন্তা করেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কমবেশি সকলেই আমরা আমাদের ছাত্রজীবনে প্রত্যেক পরীক্ষার আগে একবার হলেও সেই মানুষটিকে স্মরণ করি। একই সাথে তাকে যদি একবার সামনে পেতাম তাহলে তাকে যে কিভাবে শায়েস্তা করতাম সেই নীল নকশাও মনের অজান্তে করে ফেলি। পরিক্ষা কে আবিষ্কার করেছে এটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে পরিক্ষার সূত্রপাত সম্পর্কে । 

আপনি যদি বোর্ড পরিক্ষার খাতায় কি করে বৃত্ত ভরাট করতে হয় না জানেন তাহলে নিচের লিংক থেকে ঘুরে আসুন।

এস এস সি , এসই এস সি , জে এস সি পরিক্ষার খাতায় লেখার নিয়ম এবং বৃত্ত ভরাট পদ্ধতি। 

পরিক্ষা পদ্ধতি আবিষ্কারের সূত্রপাত


 চীনে সর্বপ্রথম সার্বভৌম পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। হ্যা ভাই পরিক্ষা হল ”মেইড ইন চাইনা”। যত কম দামি জিনিস সব চীনেই তৈরি হয়। চীনের ওই পরিক্ষার মাধ্যমে চাকরির প্রার্থিদের বাছাই করা হত। সুই রাজবংশ সর্বপ্রথম ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে পরিক্ষা পদ্ধতি চালু করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পরে কুইং রাজবংশ ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি বাতিল করে।১৮০৬ সালে ইংল্যান্ড এই পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রার্থী নিয়োগের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। পরবর্তীতে তারা ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির সংযোজন করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে । বিশ্বব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়।

এটা হল পরিক্ষা আবিষ্কারের প্রথম পর্যায় । এখন জানবেন কে আবিষ্কার করল এই পরিক্ষা পদ্ধতি। 

 

পরিক্ষার জনক


আপনি  যদি পরিক্ষা আবিষ্কারক কে এটা লেখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে একটা লোকের নাম এবং ‍ছবি আসবে। তার নাম হল “হেনরি এ ফিশেল”। সাধারনত তাকেই “পরীক্ষার জনক”  হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। হেনরি ফিসেলই হল পরিক্ষার জনক। সর্বপ্রথম তিনি পরিক্ষা আবিষ্কার করেছে বলে ধারনা করা হয়। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৩ সালের ২০শে নভেম্বর জার্মানিতে। তিনি ছিলেন ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি গ্রীক ও ইহুদি সাহিত্যের উপর বই লিখেছেন। তিনি ২০০৮ সালের মার্চ মাসের ১৮ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।

পরীক্ষার আবিষ্কারক
image by 10mnunuteschool



পরিক্ষা আবিষ্কারক এর নাম নিয়ে আলোচনা করলে আরেকজন এর নাম বলতে হবে।  তার নাম “হেনরি মিশেল”। তিনি পরিক্ষা পদ্ধতি চালু করার জন্য বিভিন্ন দেশে বক্তৃতা দেন । যার জন্য তাকেও পরিক্ষার আবিষ্কারক হিসেবে অনেকে জানে। তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক। পরীক্ষা সম্পর্কে তিনি যে দার্শনিক ধারনা দেন তা হল , “কোন বিষয়ে উপসংহারে পৌছানোর পূর্বে সেই বিষয় নিয়ে খুব বিচক্ষনতার সাথে পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ।” ধারনা করা হয় হেনরি মিশেলই সর্বপ্রথম দার্শনিক যিনি পরীক্ষার দর্শন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পরীক্ষার আবিষ্কারক
image by 10munuteschool



পরিক্ষার জনক সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন। তাহলে আপনি আরো ভাল কিছু জানতে পারবেন। ভিডিওটিতে সুন্দর করে বলে দিয়েছে পরিক্ষার আবিষ্কারন সম্পর্কে।

তাহলে পরিক্ষার জনক কে?


উপরের আলোচনা থেকে পরিক্ষার আবিষ্কার এর সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে কে পরিক্ষার আবিষ্কারক তা জানা প্রায় অসম্ভব। যাদেরকে পরিক্ষার জনক বলা হয় তারাও কিন্তু পরিক্ষা দিয়েই বড় হয়েছে। তারাই যে প্রথম পরিক্ষা পদ্ধতি চালু করেছে এটা বললে ভুল হবে। পরিক্ষার আবিষ্কারক হিসেবে তাদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা করা হয় যার কারনে তাদের পরিক্ষার জনক ভাবা হয়। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তারা পরিক্ষার জনক না। আদিমকাল থেকে একজনের সাথে আরেক জনের তুলনা করতে গিয়ে পরিক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে। তবে একজন পরিক্ষার্থী  হিসেবে পরিক্ষার জনক সম্পর্কে ধারনা দরকার। 

আপনি কি এস এস সি পরিক্ষায় কত পেলে পাশ তা জানেন? না জনলে জেনে নিন নিচের লিংক থেকে। 


এস এস  সি পরিক্ষায় পাশের নিয়ম

বর্তমান পরিক্ষা পদ্ধতি 


আগেকার পরিক্ষা এবং বর্তমান পরিক্ষার মধ্য অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। পরীক্ষার সাথে এখন অনেক কিছু জড়িত। রুটিন, গ্রেড, জিপিএ কিংবা ফলাফল সবকিছুই পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত। তাই এই বিষয়গুলো কে আরো সহজ করতে দিন দিন নতুন নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হচ্ছে।আগের দিনের পরিক্ষা ছিল শুধু রচনা মূলক প্রশ্ন। এটা কে আস্তে আস্তে কনভার্ট করে সৃজনশীলে রুপান্তর করা হচ্ছে। তাছাড়াও আগের দিনের পরিাক্ষা এবং বর্তমান পরিক্ষার মধ্য অনেক ব্যবধান। বর্তমানে অনেক দেশে কম্পিউটারের মাধ্যমেও পরিক্ষা নেয়া হয়। 



পরিক্ষা আছে বলেই আমরা জয়কে উপভোগ করতে পারি। যদি পরিক্ষা না থাকত তাহলে মেধাবিদের চেনা যেত না। তাই একটু কষ্ট করে হলেও ভালো করে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার ভয় জয় করে ফেল। কে জানে হয়ত পরীক্ষার পড়া পড়তে পড়তেই হয়ত কোন একদিন তুমিই খুঁজে পেয়ে যাবে আসল পরীক্ষার আবিষ্কারককে…
সবার জন্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইল। 

এই আর্টিকেলের তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে:

https://www.quora.com
http://www.hoaxorfact.com
https://en.wikipedia.org
https://en.wikipedia.org
http://archive1.ittefaq.com.bd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *