তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা – শামসুর রাহমান। PDF

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা

এই পোস্টে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা পিডিএফ দেওয়া আছে।  তোমাকে পাওয়ার জনে্য, হে স্বাধীনতা’ শীর্ষক কবিতাটি ‘শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ শীর্ষক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি কবির ‘বন্দী শিবির থেকে’ নামক কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। স্বাধীনতা শুধু শব্দমাত্র নয়, এটি এমন এক অধিকার ও অনুভব যেটি মানুষের জন্মগত।

কিন্তু পাকিস্তানিরা বাঙালিদের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ১৯৭১ সালে আপামর বাঙালমিুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যুদ্ধচলাকালে বাঙালির রক্তে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয় পাকিস্তানি যুদ্ধবাজরা। নিচে থেকে কবিতার ব্যাখ্যা, মূলভাব ও কবি পরিচিতি জেনে নিন।

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা

এখানে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা টি দেওয়া হয়েছে। এই পোস্ট থেকে সম্পূর্ণ কবিতা টি পড়তে পারবেন। যাদের পিডিএফ প্রয়োজন তারা নিচের অংশ থেকে এটি সংগ্রহ করবেন। কবিতা টি বিশ্লেষণ করে দেওয়া আছে।

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা
– শামসুর রাহমান

তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা,
তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?

তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা,
সকিনা বিবির কপাল ভাঙলো,
সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর।
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা,

শহরের বুকে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এলো
দানবের মত চিৎকার করতে করতে,
তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা,
ছাত্রাবাস, বস্তি উজাড় হল। রিকয়েললেস রাইফেল

আর মেশিনগান খই ফোটালো যত্রতত্র।
তুমি আসবে বলে ছাই হল গ্রামের পর গ্রাম।
তুমি আসবে বলে বিধ্বস্ত পাড়ায় প্রভুর বাস্তুভিটার
ভগ্নস্তূপে দাঁড়িয়ে একটানা আর্তনাদ করল একটা কুকুর।

তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের উপর।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্যে
আর কতবার ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?
আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?

স্বাধীনতা, তোমার জন্যে এক থুত্থুরে বুড়ো
উদাস দাওয়ায় বসে আছেন-তাঁর চোখের নিচে অপরাহ্নের
দুর্বল আলোর ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে চুল।
স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
মোল্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে
নড়বড়ে খুঁটি ধরে দগ্ধ ঘরের।

স্বাধীনতা, তোমার জন্যে
হাড্ডিসার এক অনাথ কিশোরী শূন্য থালা হাতে
বসে আছে পথের ধারে।
তোমার জন্যে,

সগীর আলী, শাহাবাজপুরের সেই জোয়ান কৃষক,
কেষ্ট দাস, জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লোকটা,
মতলব মিয়া, মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি,
গাজী গাজী বলে যে নৌকো চালায় উদ্দাম ঝড়ে,

রুস্তম শেখ, ঢাকার রিক্‌শাওয়ালা, যার ফুসফুস
এখন পোকার দখলে
আর রাইফেল কাঁধে বনে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো
সেই তেজী তরুণ যার পদভারে
একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে-
সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তোমার জন্যে, হে স্বাধীনতা।

পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্ধিদিক
এই বাংলায়
তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার ব্যাখ্যা

এক অনন্য অনুভবে ঋদ্ধ অধিকারের নাম স্বাধীনতা, যা সহজলভ্য ও সহজপ্রাপ্য নয়। এর জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়, অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। এদেশ স্বাধীনতার জন্য অনেকবার খাণ্ডবদাহন (মহাভারতে বর্ণিত ‘খাণ্ডব’ বন, যা ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল) ও রক্তগঙ্গা দেখেছে। বারবার দানবেরা আমাদের স্বাধীনতাকে হরণ করতে চেয়েছে। এদেশ বারবার রক্তস্রোতে ভেসেছে, এবার স্বাধীনতা অর্জন করে তবেই ক্ষান্ত হবে এ দেশের মানুষ।

তারা অপরিমিত ত্যাগ-তিতিক্ষার পথ বেছে নিয়েছে স্বাধীনতা লাভ করতে। এ জন্য এ দেশের নারীরাও সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। সাকিনা আর হরিদাসীর স্বামী দেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে যােগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তারা মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে সহায়-সম্বল, সম্ভম হারিয়ে কপাল ভেঙেছে , সাকিনা বিবির আর স্বামী হারিয়ে সিথির সিঁদুর মুছে গেছে হরিদাসীর।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক দানবের মতাে চিল্কার করতে করতে শহরে ঢুকে পড়ে। তারা কামানের গােলা আর অগ্নিকাণ্ডে শহরকে ধ্বংসভূপে পরিণত করে। নির্বিচার হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে উজাড় হয় বস্তি, ছাত্রাবাস। বাঙালিরা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবে বলেই হানাদাররা এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

শহরে গণহত্যা, ধ্বংসের পাশাপাশি পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে। তারা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল আর মেশিনগানের অবিরাম গুলিবর্ষণ করে যেখানে সেখানে। অসংখ্য মানুষকে হত্যা আর বাড়িঘর লুটপাটের পর পুড়িয়ে ছাই করে দেয় গ্রামের পর গ্রাম।

স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর ভয়ংকর ও বীভৎস আক্রমণ চালায়। তারা এদেশে গণহত্যা চালিয়ে মানুষের বাস্তুভিটা ভগ্ন্যুপে পরিণত করে। প্রভুর বিধ্বস্ত ভিটায় দাড়িয়ে একটা কুকুর কেবল একটানা আর্তনাদ করে। হানাদারদের নিষ্ঠুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া অবুঝ শিশুর পিতা-মাতার লাশের ওপর হামাগুড়ি দেওয়ার দৃশ্য ভীষণ বেদনাদায়ক।

স্বদেশের স্বাধীনতার আনন্দ অনুভব করার জন্য অপেক্ষা করে আছেন চলার শক্তিহীন, বয়সের ভারে ন্যুজ এক থুথুড়ে বুড়াে। সবকিছু হারিয়ে উদাস হয়ে বসে আছেন তিনি। তার চোখের নিচে বিকালের দুর্বল আলাের ঝিলিক, বাতাসে নড়ছে মাথার অবশিষ্ট চুল।

আরও দেখুনঃ রানার কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ। এস এস সি

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতা ব্যাখ্যা

স্বাধীনতার জন্য মােগ্লাবাড়ির এক বিধবা দাঁড়িয়ে আছে। তার মতাে অগণিত নারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। তারা স্বামী-সন্তান, ভাই-বােন, বাবা-মা, আশ্রয় সবকিছু হারিয়েছে। আছে শুধু পােড়া ঘরের আধপােড়া খুঁটি। নড়বড়ে খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে সে নিজের অসহায় অবস্থা ঘােষণা করছে।

স্বাধীনতার জন্য কত বাবা-মা হারিয়েছেন তাদের প্রিয় সন্তান, একইভাবে কত সন্তান হারিয়েছে তাদের বাবা-মাকে। অসহায় এসব শিশু দারিদ্র্যের কশাঘাতে হাড্ডিসার। তারা পথের ধারে শূন্য থালা হাতে অপেক্ষায় বসে আছে। তাদের অধিকার কখন তারা ফিরে পাবে।

পাকিস্তানি যুদ্ধবাজ সেনাদের গুলিতে ও বেয়নেটের আঘাতে অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে। শাহবাজপুরের জোয়ান কৃষক সগীর আলী, জেলেপাড়ার দুর্দান্ত সাহসী লােক কেন্ট দাস- এদেরকে হানাদাররা হত্যা করেছে। মেঘনা নদীর দক্ষ মাঝি মতলব মিয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদের পারাপার করেছেন, নিজের জীবন দিয়ে তাদেরকে বাঁচিয়েছেন। | তাকে হত্যা করেছে দানবরা। ঢাকার রিকশাওয়ালা রুস্তম শেখকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে হানাদাররা। তার ফুসফুস এখন পােকার দখলে। স্বাধীনতা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তারা জীবন উৎসর্গ করেছেন।

সব বয়সের তারুণ্যদীপ্ত স্বাধীনতাকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। তেজি তরুণ মুক্তিযােদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পর্যদস্ত হয়েছে। তারা মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণের শিকার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এভাবেই হানাদারদের শক্তি নিঃশেষ হতে থাকে ক্রমশ । আর স্বাধীন বাংলাদেশের আসন্ন জন্মের প্রতীক্ষা করতে থাকে এ দেশের মানুষ।

এদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেই স্বাধীনতা আসতে তখন আর দেরি নেই। এ দেশের মানুষ বুঝে গেছে স্বাধীনতা তাদের দরজায় করাঘাত করছে। কেননা তাদের আকাক্ষা, তাদের প্রত্যাশা, তাদের শ্রম ও ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। এদেশের মানুষের এত রক্ত, আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। বিজয়ের জ্বলন্ত ঘােষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে জাতীয় পতাকা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক এই বাংলায় স্বাধীনতা আসবেই। নবীন রক্তের প্রাণস্পন্দন আর আত্মত্যাগের মহিমায় বাঙালিরা স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনবেই- এটা কবিৱও প্রত্যাশা।

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা মূলভাব

এখানে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা মূলভাব টি দেওয়া আছে। অনেকে কবিতা টি পড়ে এর মূল বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। তাই আপনারা জানতে চাচ্ছেন কবিতার টি কোন বিষয়কে নিয়ে লেখ হয়েছে। তাই এখানে এর মূলভাব তুলে ধরেছি।

তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সর্বস্তরের বাঙালি নারী-পুরুষের সংগ্রামী চেতনা এবং তাদের মহান আত্মত্যাগের মহিমাকে তুলে ধরা হয়েছে। এ কবিতায় বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। তারা এদেশের নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে গণহত্যা চালায়। ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এদেশের সাধারণ মানুষকে তারা নির্বিচারে হত্যা করে, আগুন দিয়ে মানুষের ঘরবাড়ি-বন্তি পুড়িয়ে দেয়।

তাদের নির্মমতায় সাকিনা বিবির মতাে নারীদের সহায়-সম্বল-সন্ড্রম সবকিছু বিসর্জিত হয়। হরিদাসীর মতাে নারীরা স্বামী হারান। শিশুরা মা-বাবাকে হারায়। এদেশের নিরীহ মানুষ সগীর আলী, কেষ্ট দাস, মতলব মিয়া, রুস্তম শেখও তাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হন। কবি এদের নাম ও পেশার কথা কবিতায় উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। কবি স্বাধীনতার কাছে জানতে চেয়েছেন- এত রক্ত, এত ত্যাগের পরও কি সে আসবে?

তার আসতে হলে কি আরও রক্ত লাগবে? লাশ লাগবে? আগুনে পােড়া ঘরের খুঁটি ধরে মােল্লাবাড়ির বিধবার প্রতীক্ষার প্রহর কি শেষ হবে না? অনাথ কিশােরীর শূন্য থালায় ক্ষুধার অন্ন সংস্থানের উপায় হিসেবে কি সে আসবে না? তাকে অবশ্যই আসতে হবে। আত্মবিশ্বাসী কবি তাই চারদিকে দামামা বাজিয়ে, নিশান উড়িয়ে স্বাধীনতার আগমনের নিশ্চয়তার বাণী শােনান স্বাধীনতাকামী এদেশের সব মানুষকে।

তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার পাঠ পরিচিতি

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে সকিনা বিবির মতো গ্রামীণ নারীর সহায়-সম্বল-সম্ভ্রম বিসর্জিত হয়েছে, হরিদাসী হয়েছে স্বামীহারা, নবজাতক হারিয়েছে মা-বাবাকে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ছাত্রাবাস আক্ষমণ করে ছাত্রদের হত্যা করে, শহরের বুকে আগ্নেয়া ̄¿ নিয়ে গণহত্যা চালায়, পুড়িয়ে দেয় গ্রাম ও শহরের লোকালয়। এর প্রাকৃতিক প্রতিবাদ ওঠে পশুর কণ্ঠেও। আর্তনাদ করে কুকুরও। মুক্তিযুদ্ধে শধমিক, কৃষক, জেলে, রিক্শাওয়ালা প্রমুখ সাধারণ মানুষ আত্মত্যাগ করে। দগ্ধ হওয়া লোকালয় প্রবীণ বাঙালির আলোকিত চোখে চেয়ে থাকে। সেইসঙ্গে নবীন রক্তে প্রা ণ স্পন্দন ও আশা জেগে থাকতে দেখে কবমিুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন- এত আত্মত্যাগ যার উদ্দেশে্য সেই স্বাধীনতাকে বাঙালি একদিন ছিনিয়ে আনবেই।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতা পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- SSC

রানার কবিতা –সুকান্ত ভট্টাচার্য। নবম-দশম শ্রেণি- পিডিএফ

পোস্টার কবিতা-আবুল হোসেন। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি