রানার কবিতা –সুকান্ত ভট্টাচার্য। নবম-দশম শ্রেণি- পিডিএফ

রানার কবিতা

রানার কবিতা নবম-দশম শ্রেণির বাংলা পদ্য দেওয়া হয়েছে। রানার ছোট একটি কথা হলেই, এই শব্দ দ্বারা অনেক কিছু বোঝানো হয়েছে। অতীতের সেসি সোনালি দিন গুলো হারিয়ে গেছে, যারা একটি চিঠি পাওয়ার জন্য অধির আগ্রহে বসে থাকছে। আর এই রানার অর্থাৎ ডাক- পিয়ন তাদের খুশির বার্তা গুলো একে অপরের কাছে পৌছিয়ে দিয়েছেন। সভ্যতার অগ্রগিতিতে আজকে রানার হারিয়ে গেছে।

তারা কখনো থেমে থাকতো না। তাদের রাত- দিনের পার্থক্য ছিলো না। মানুষের খবর পৌঁছে দেওয়ায় যেনো তাদের মূল্য লক্ষ্য। রাত হোক, দুর্গম পথ হোক, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হোক -নিরন্তর তাদের এই কাজ করে যেতে হয়।চিঠি মানেই সুখে-আনন্দে, দুঃখে-শোকে ভরা সংবাদ। সবার কাছে পৌঁছে দেয়। নিচের দিকে রানার কবিতা টি সম্পূর্ণ দেওয়া আছে। যাদের প্রয়োজন তারা এখান থেকে পড়ুন অথবা পিডিএফ সংগ্রহ করুন।

রানার কবিতা

মানুষের সুখ দুঃখের খবর এই রানার পৌঁছে দিতো। রানার কবিতা দ্বারা কবি গ্রাম বাংলার ডাক ব্যবস্থার চিত্র টি তুলে ধরেছে। নিচে রানার কবিতা দেওয়া আছে। এই কবিতা টি এস এস সি দের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনারা রানার কবিতাটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা সহ জেনে নিবেন।

রানার
সুকান্ত ভট্টাচার্য

রানার ছুটেছে তাই ঝুম্‌ঝুম্ ঘন্টা বাজছে রাতে
রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে, রানার চলেছে, রানার !
রাত্রির পথে পথে চলে কোনো নিষেধ জানে না মানার ।
দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছোটে রানার-
কাজ নিয়েছে সে নতুন খবর আনার।

রানার! রানার!
জানা-অজানার
বোঝা আজ তার কাঁধে,
বোঝাই জাহাজ রানার চলেছে চিঠি আর সংবাদে;

রানার চলেছে, বুঝি ভোর হয় হয়,
আরো জোরে, আরো জোরে হে রানার দু্র্বার দুর্জয়।
তার জীবনের স্বপ্নের মতো পিছে সরে যায় বন,
আরো পথ, আরো পথ – বুঝি লাল হয় ও পূর্ব কোণ ।

অবাক রাতের তারারা, আকাশে মিট্‌মিট্ করে চায়;
কেমন করে এ রানার সবেগে হরিণের মতো যায় !
কত গ্রাম, কত পথ যায় স’রে স’রে –
শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে;

হাতে লন্ঠন করে ঠন্‌ঠন্, জোনাকিরা দেয় আলো
মাভৈঃ রানার ! এখনো রাতের কালো ।
এমনি ক’রেই জীবনের বহু বছরকে পিছু ফেলে,
পৃথিবীর বোঝা ক্ষুধিত রানার পৌঁছে দিয়েছে ‘মেলে’।

ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে
জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে।
অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, অভিমানে, আনুরাগে,
ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে।

রানার! রানার!
এ বোঝা টানার দিন কবে শেষ হবে?

(রানার)

রাত শেষ হয়ে সূর্য উঠবে কবে?
ঘরেতে অভাব; পৃথিবীটা তাই মনে হয় কালো ধোঁয়া,
পিঠেতে টাকার বোঝা, তবু এই টাকাকে যাবে না ছোঁয়া,
রাত নির্জন, পথে কত ভয়, তবুও রানার ছোটে,

দস্যুর ভয়, তারো চেয়ে ভয় কখন সূর্য ওঠে।
কত চিঠি লেখে লোকে –
কত সুখে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে, কত দুঃখে ও শোকে । এর দুঃখের চিঠি পড়বে না জানি কেউ কোনো দিনও,

এর জীবনের দুঃখ কেবল জানবে পথের তৃণ, এর দুঃখের কথা জানবে না কেউ শহরে ও গ্রামে,
এর কথা ঢাকা পড়ে থাকবেই কালো রাত্রির খামে।
দরদে তারার চোখ কাঁপে মিটিমিটি, –
এ-কে যে ভোরের আকাশ পাঠাবে সহানুভূতির চিঠি –

রানার ! রানার ! কি হবে এ বোঝা বয়ে?
কি হবে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে?
রানার ! রানার ! ভোর তো হয়েছে – আকাশ হয়েছে লাল
আলোর স্পর্শে কবে কেটে যাবে এই দুঃখের কাল?

রানার! গ্রামের রানার!
সময় হয়েছে নতুন খবর আনার;
শপথের চিঠি নিয়ে চলো আজ
ভীরুতা পিছনে ফেলে –

পৌঁছে দাও এ নতুন খবর,
অগ্রগতির ‘মেলে’,
দেখা দেবে বুঝি প্রভাত এখুনি –

নেই, দেরি নেই আর,
ছুটে চলো, ছুটে চলো আরো বেগে
দুর্দম, হে রানার।

রানার কবিতার ব্যাখ্যা

অনেকে কবিতা পড়ে বুঝতে পারেননি, এই কবিতা দ্বারা কি বখান হয়েছে। এছাড়া এখানেই কিছু জটিল বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে। যার অর্থ অনেকে জানি না। তাই আপনাদের জন্য এই অংশে রানার কবিতার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করে দেওয়া হয়েছে।

মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখের নানা সংবাদের বোঝা কাধে নিয়ে ডাকবাহক ছুটে চলছে। রাতের অন্ধকারে সে ছুটে চলে, কারও কোনাে নিষেধ মানে না। সে মানুষের জীবনের নতুন। নতুন সংবাদ বহনের কাজ নিয়েছে। তাকে দিগন্ত থেকে দিগন্তের পানে ছুটে বেড়াতে হয়। এ কারণেই সে রাতের বেলাতেও পথে পথে ছুটে চলে।

ডাকবাহক জানা-অজানার বহু সংবাদ কাঁধে ছুটে চলে। তার পিঠে সংবাদের বােঝা দেখে বােঝাই জাহাজের মতাে মনে, হয়। রানার দুর্বার ছুটে চলে। তার মনে এই আশঙ্কা এই বুঝি রাত শেষ হয়ে ভাের হয়ে এলাে। সে আরও জোরে ছুটতে থাকে। তার চলার সেই গতি নির্ভয়, দুর্বার-দুর্জয়।

তার চলার দুর্বার গতিতে পথের ধারের বন পিছে সরে যায়। এ যেন রানারের জীবনের স্বপ্নের মতাে পিছে পড়ে থাকা। রানার ছুটে চলে, তার সামনে আরও অনেকটা পথ বাকি। অথচ পূর্ব কোণ লাল হয়ে এসেছে। আকাশের তারারা মিটমিট করে জ্বলছে। রানার হরিণের মতাে সবেগে ছুটে হলাে। ফলে তােমরা সহজেই যেকোনাে প্রশ্নের উত্তর করতে চলছে গন্তব্যের দিকে। তার চলার পথের পাশে গ্রামগুলাে সরে সরে যায়, সেদিকে তার খেয়াল নেই। তার লক্ষ্য ভােরের মধ্যেই তাকে শহরে পৌছতে হবে। তার হাতের হারিকেন ঠনঠন করে বাজে, তেল ফুরিয়ে আসে, জোনাকিরা ম্লান আলাে জ্বেলে দেয়, তখনও রাতের কালাে শেষ হয়নি। এমন পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে রানার ছুটে চলে।

রানার নতুন সংবাদের বােঝা কাঁধে নিয়ে গ্রামের মাঠ-ঘাট, পথ-প্রান্তর পেছনে ফেলে শহরের পানে ছুটে চলে। ঠিক একইভাবে জীবনের বহু বছর, বহু চাওয়া-পাওয়া, আশা-স্বপ্ন পেছনে ফেলে ক্ষুধিত রানার মানুষের কাছে সংবাদ পৌছে দিয়ে নিজে পৃথিবীর বােঝা হয়ে থেকেছে। তার ক্লান্ত নিশ্বাস আকাশ ছুঁয়েছে। তার শরীরের ঘামে মাটি ভিজেছে। জীবনের সব আশা-স্বপ্ন নে সামান্য মূল্যে বিক্রি করেছে। রানার ছুটে চলে পথে পথে । আর প্রিয়া একা বহু বেদনায়, অভিমানে, অনুরাগে তার অপেক্ষায় নিঘুম রাত পার করে।

ক্লান্ত-বিষন্ন রানারের ঘরে অভাব। দারিদ্র্যের কশাঘাতে পৃথিবীটা তার কাছে কালাে ধোঁয়ার মতাে মনে হয়। সে প্রতিনিয়ত টাকার বােঝ। পিঠে বহন করে নিয়ে যায়। অথচ সেই টাকা সে ছুঁতে পারে না। নির্জন রাতে সে সেই বােঝা নিয়ে ছুটে চলে। পথে নানা রকম ভয় তাকে তাড়া করে। তবুও সে থামে না, ছুটে চলে। পথে ডাকাতের আক্রমণ, জীবন-বিপন্নের ভয়ের চেয়েও তার বড় ভয় সূর্য ওঠার ভয়। কারণ সূর্য ওঠার আগেই তাকে শহরে পৌঁছে যেতে হবে।

মানুষ কত রকম চিঠি লেখে। সুখ-দুঃখ, প্রেম, আবেগঅনুভূতির নানা কথা থাকে সেসব চিঠিতে। শশাকের সংবাদও থাকে। কেবল রানারের জীবনের কোনাে চিঠি থাকে না। কবি জানেন রানারের নিজের জীবনের দুঃখের চিঠি কেউ কোনাে দিন লিখবেও না, পড়বেও না। তার কথা কেউ মনেও রাখবে। তার জীবনের দুঃখ-বেদনার কথা কেবল পথের তৃণের কাছে পড়ে থাকবে। তাছাড়া শহর ও গ্রামের কেউ জানবে না। তার কথা কালাে রাতের আঁধারের খামে পড়ে থাকবে।

রানার কবিতা বিশ্লেষণ

রানারের ক্লান্ত, বিষন্ন, দুঃখময় জীবনের প্রতি প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ ব্যথিত। তার দরদে যেন তারার চোখ মিটি মিটি করে কাঁপে। তাকে ভােরের আকাশের আলাে সহানুভূতির সংবাদ পাঠাবে। তারা সুধাবে, কী হবে এ বােঝা বয়ে? কী হবে ক্ষুধার ক্লান্তিতে ক্ষয়ে ক্ষয়ে? তারা রানারকে ডেকে বলে- হে রানার, ঐ দেখ, ভাের হয়েছে, আকাশে লাল হয়ে সূর্য উঠেছে। এই আলাের স্পর্শে কবে তােমার দুঃখের কলি অবসান হবে?

রানার গ্রামের মানুষ। দুঃখ-দারিদ্র্য তার নিত্যসঙ্গী। তবু সে নতুন খবর আনার জন্য ছুটে চলে। আজ আর সূর্য ওঠার ভয় নয়, শহরে খবর পৌছে দেওয়া নয়। অগ্রগতির মেলে আজ জীবনের খবর পৌছে দেওয়ার পালা। তাই সমস্ত ভীরুতা পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সংবাদ আছে এমন শপথের চিঠি রানারকে পৌছে দিতে হবে। যারা অল্প দামে তার জীবনের মূল্যবান রাতগুলাে কিনে নিয়েছে তাদের মুখােমুখি দাড়ানাের, প্রতিকারের চেতনাসমৃদ্ধ সে চিঠি রানার বহন করে আনবে।

কাজেই সেই সময় আর দূরে নয়। অপেক্ষার কাল অবসান হয়েছে। আরও বেগে ছুটে চলে রানার সেই সময়কে সামনে নিয়ে আসবে। তাই দুর্দম তার পথচলা।

রানার কবিতার মূলভাব

‘রানার’ কবিতায় কবি শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাপন, দুঃখবােধ এবং তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সততার দিকটি তুলে ধরেছেন। কবিতায় যাদের ক্লান্ত শ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে, তাদের কথা বলা হয়েছে। রানার মানুষের সুখ-দুঃখের অনেক অজানা সংবাদবাহক। পিঠে খবরের বােঝা, মানি অর্ডার নিয়ে রাত্রির অন্ধকারে লণ্ঠন জ্বালিয়ে, ঝুমঝুম্ ঘন্টা বাজিয়ে ছুটে চলে রানার। সূর্য ওঠার আগেই সে গন্তব্যে পৌছতে চায়। তাই পথে দস্যুর ভয়ের চেয়ে সূর্য ওঠায় তার বড় ভয়।

সুখে, দুঃখে, আনন্দে, শােকে, প্রেমে, আবেগে, স্মৃতিতে লােকে যেসব চিঠি লেখে সেগুলাে সে তাদের প্রিয়জনদের কাছে পৌছে দেয়। আর তার নিজের জীবনের কষ্টের কথা চাপা পড়ে থাকে। ক্ষুধিত রানারের জীবনের দুঃসহ যন্ত্রণা পথের তৃণের কাছে পড়ে থাকে। দুঃখের কথা শহরের কিংবা গ্রামের কেউ জানতে পারবে না, তা কালাে রাত্রির খামে ঢাকা পড়ে থাকবে। পিঠে টাকার বােঝা সে বহন করে কেবল, ছুঁয়ে দেখে না।

এই সততার মূল্য তার পারিপার্শ্বিক সমাজ তাকে দেয় না। তাই তার জীবনের দুঃখের কাল অবসানের খবর কখন আসবে তা কেউ জানে না। তবুও কবি আশা করেন ভীরুতা পেছনে ফেলে শ্রমজীবীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে একদিন অগ্রগতির ‘মেলে সে খবর বয়ে আনবে। সেদিন সাম্যের, মানবতার জয় হবে।

রানার কবিতার পাঠ পরিচিতি

কবিতাটি শ্রমজীবী মানুষ রানারদের নিয়ে লেখা।তাদের কাজ হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে ব্যক্তিগত ও প্রয়োজনের চিঠি পৌঁছে দেয়া। রানাররা এতটাই দায়িত্বশীল যে কোনো কিছুই  তাদের কাজের বাধা হয়ে ওঠে না। রাত হোক, দুর্গম পথ হোক, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হোক -নিরন্তর তাদের এই কাজ করে যেতে হয়।চিঠি মানেই সুখে-আনন্দে, দুঃখে-শোকে ভরা সংবাদ।এই সংবাদের জন্যেই অপেক্ষায় থাকে প্রিয়জনরা। প্রিয়জনদের কাছে যথাসময়ে এই খবর পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।রানারদের তাই ক্লান্তি নেই, অবসর নেওয়ার অবকাশ নেই।তারা ছুটছেন তো ছুটছেনই। এই মহান পেশায় যারা নিয়োজিত রয়েছেন তারা যে মানুষ হিসেবে কতটা মহৎ, কবিতাটিতে এই ভাবনারই প্রতিফলন দেখি আমরা।

রানার কবিতার কবি পরিচিতি

সুকান্ত ভট্টাচার্য ৩০শে শ্রাবণ ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে কলকাতার কালীঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিকড নিবাস গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। তাঁর পিতা নিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য এবং মাতা সুনীতি দেবী। সুকান্ত বেলেঘাটা দেশবন্ধু স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে বিশ্বব্যাপী ধক্ষংস ও মৃত্যুর তাণ্ডবলীলা কিশোর সুকান্তকে দারুণভাবে স্পর্শ করে।

তাছাড়া সামাজিক নানা অনাচার ও বৈষম্য তাঁকে প্রবলভাবে আলোড়িত করে। তাঁর কবিতায় এই অনাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ধক্ষনিত প্রবল প্রতিবাদ আমাদের সচকিত করে। নিপীড়িত গণমানুষের প্রতি গভীর মমতার প্রকাশ ঘটেছে তাঁর কবিতায়। তাঁর কাব্যগ্রন্থ : ছাড়পত্র, ঘুম নেই, পূর্বাভাস, অভিযান, হরতাল ইত্যাদি। ২৯শে বোশেখ ১৩৫৪ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সে কবি মৃত্যুবরণ করেন।

রানার কবিতার শব্দার্থ

রানার- ইংরেজী শব্দ‘runner’-এর আভিধানিক অর্থ যিনি দৌড়ান।এখানে‘ডাক হরকরা’অর্থে ব্যবহৃত।
নতুন খবর আনার- ডাক হরকরার ব্যাগে মানুষের সুখ-দুঃখের অনেক অজানা সংবাদ থাকে।চিঠি বিলি হলে সে সংবাদ মানুষ জানতে পারে।তাই ডাক হরকরাকে নতুন খবরের বাহক বলা হয়েছে।
দুর্বার- যাকে নিবারণ করা যায় না।
হরিণের মতো যায়- এটি একটি উপমা। হরিণ যেমন নিঃশব্দে কিন্তু অতি দ্রুত দৌড়ায় রানারও তেমনি।
লন্ঠন- হারিকেন বা তেল দিয়ে চালিত আলোর আধার।
ভোর তো হয়েছে-আকাশ হয়েছে লাল- এটি প্রতীক।বাচ্যার্থে রাত্রির অন্ধকার শেষ হয়ে আকাশে সূর্য উঠছে।কিন্তু প্রতীকী অর্থে কষ্টের কালিমা দূরীভূত হয়ে সুখের সোনালি আলো দেখা দিচ্ছে।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে রানার কবিতা পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

পোস্টার কবিতা-আবুল হোসেন। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি

আমি কোনো আগন্তুক নই জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর- পিডিএফ

আমি কোনো আগন্তুক নই-আহসান হাবীব। বাংলা কবিতা

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- এস এস সি