স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। সারা বিশ্বের কাছে লাল সবুজের এই পতাকাটি স্বাধীনতা অর্জন করেছে ১৯৭১ সালে। এই স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের অনেক ইতিহাস রয়েছে। লাখো বাঙ্গালি এই বাংলাদেশ কে রক্তের বিনিময়ে সবাধ্ন করাছে। আজ তাদের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই এই স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জন করি। এই স্বাধীন বাংলাদেশ আমাদের পূর্বের সকল ইতিহাস বহন করে।

এই পোস্টে আপনাদের সাথে আরও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা বাঙ্গালি তাই আমাদের নিজ দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। বাংলাদেহের ইতিহাস রয়েছে ৭১ এর ভাষা আন্দোলনে, গন অভুস্থানে, বাংলাদেহ কে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি। আপনাদের কে আরও কিছু বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করে দেখানো হয়েছে। তাই আজকের এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন।

স্বাধীন বাংলাদেশ

বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ। বিশ্বের কাছে লাল সবুজের এই দেশ স্বাধীন ও ইতিহাসবহন কারি একটি দেশ। আমাদের এই বাংলাদেশ অনেক আগে দুইটি অংশে বিভক্ত ছিল। দুই দেশের মধ্যে অনেক বৈষম্য ছিল। পশ্চিম ও পূর্ব বাংলার মধ্যে অনেক পার্থক্য ছিল। পূর্ব বাংলার জনগণের নিজস্ব কোনো স্বাধীনতা ছিল না। কিন্তু পূর্ব বাংলার জনগণ তা মেনে নেয়নি। তাই তারা সবাই পশ্চিম পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়ে। তখন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। লাখো লাখো বাঙ্গালি এই মহান মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ চলে। এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। আমারা অর্জন করি স্বাধীন দেশের লা সবুজের এক পতাকা।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

এখানে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে অনেক স্মৃতি ও ইতিহাস গড়ে উঠেছে। নিচে তার কিছু কথা বর্ণনা করা হলো।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনঃ 

আজ আমরা যে বাংলা ভাষায় কথা বলে এই ভাষার জন্য লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালি প্রাণ হারিয়েছে। শুরু থেকেই পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ ছিল। এই দুই বাংলার জনগণের ভাষা ও ভিন্ন ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা ছিল উর্দু ও আজকের এই বাংলাদেশ অর্থাৎ পূর্ব বাংলার জনগণের ভাষা ছিল বাংলা। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণ এই ভাষা নিয়ে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে। তারা পূর্ব বাংলার বাংলা ভাষাকে মেনে নিতে পারে নি। তাদের দাবি ছিল উর্দু কে বাঙ্গালিদের ভাষা মেনে নেওয়ার। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এই দাবি মেনে নেয় নি। তারা বাংলাভাষার জন্য রাজপথে মিছিল করেন। এই মিছিলে পুলিশ থহামাতে না পেরে গুলিবর্ষণ করেন। এবং এই গুলিতে অনেক বাঙ্গালি তাদের জীবন বিসর্জন দেয়।

৬ দফা আন্দোলনঃ

বাঙ্গালির মুক্তির সনদ হচ্ছে ৬ দফা আন্দোলন। বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমান পাকিস্তানির কাছে ৬ দফার দাবি পেশ করেন। ৬ দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লাগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। এজন্য ৬ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বঙ্গ-বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে বিছিন্নতাবাদী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ৬ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে এই ফেডারেল রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ণ স্বায়ত্বশাসন দিতে হবে। ৬ দফা কর্মসূচির ভিত্তি ছিল ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। পরবর্তীকালে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন জোরদার হয়।

৬ দফার দাবিসমূহ এর মধ্যে যেসব বিষয় উল্লেখ ছিলো তা নিচে দেওয়া হলোঃ

  • শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি
  • কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা
  • মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
  •  রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা
  • বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা
  • আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা

দুঃশাসন থেকে মুক্তির লক্ষে উক্ত ছয় দফা দাবি প্রণয়ন  করা হয়েছিলো। এতে করে জনগণের সামনে বাংলার মানুষের মুক্তির সনদ হিসাবে উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা-সংগ্রামে রূপ নেয়। এর পর শুরু হয় বাংলাইর মুক্তির সংগ্রাম।

১৯৬৯ এর গন অভুস্থানঃ

সেদিন ছিল হরতাল। ১৯৬৯ সালের ২৪শে জানুয়ারি।  এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আইয়ুব খান সরকার বিরোধী আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র এক গণঅভ্যূত্থানে। আইয়ুব খান ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি আর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে ইতিহাসে একে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই গণআন্দোলনকে। পাকিস্তানি শাসকেরা আগরতলা মামলা করে। মামলার প্রধান আসামি শেখ মুজিবসহ  আরও অনেকে। সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সাধারণ মানুষ মিছিল বের করে। এই মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেকে  প্রাণ হারান। সময়টা ছিল এমন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী। ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি মৃত্যুর দিন গুনছেন। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসি দেবেন।

বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধ:

বাঙ্গালিরা স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে মুক্তি  যুদ্ধের অনুপ্রেরণা পায়। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ বঙ্গ বন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার স্বাধীনতার ঘননার মাধ্যমে বাঙ্গালি সাধারণ জনগণ ও সর্বস্তরের জনগণ মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে পাকিস্তানিরা গ্রেফতার করে। বাঙ্গালিরা যার যার কিছু আছে তাই নিয়ে মুক্তি যুদ্ধে  ঝাঁপিয়ে পড়ে। এক সময় বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধের প্রবল রূপ ধারণ করে। এর পাশা-পাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশ এই যুদ্ধে সহযোগিতার হাত বারিয়ে দেয়। এক সময় যথ বাহিনীর যুদ্ধে পাকিস্তান সরকার যুদ্ধের হার মেনে নেয়।

বিজয় দিবস

সব মিলিয়ে যুদ্ধ ভয়ংকর রূপ ধারণ করলে পাকিস্তান সরকার যুদ্ধের পরাজয় মেনে নেয়। তখন ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ কে স্বাধীনতা দেয়। তখন আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ নামে নতুন একটি দেশ অর্জন করি। অনেক বাঙ্গালির রক্তের বিনিময়ে আমরা ১৬ ই ডিসেম্বর বিজয় লাভ করি। তাই প্রতিবছর ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করি।

শেষ কথা

আজকের মতো এখানেই  শেষ। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। এবং এই পোস্ট থেকে আপনারা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্য নিয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। এই পোস্ট টি চাইলে শেয়ার করে দিতে পারেন। যেকোনো ধরনের শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে পারেন। আমাদের সাইটে অনেক শিল্লজামুলক পোস্ট দেওয়া আছে।  আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

See More:

হাতের লেখা সুন্দর করার পদ্ধতি

এইচএসসি পরিক্ষা ২০২২ কবে হবে?

এসএসসি পরিক্ষা ২০২২ শর্ট সিলেবাস

স্মার্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস, বাংলা ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং উক্তি

ভালোবাসার ফেসবুক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন এবং মনিষীদের উক্তি

ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড হ্যাক করার নিয়ম-২০২২ । বের করুন খুব সহজেই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *