বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- এস এস সি

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল

এই কবিতা টি লিখেছেন ফররুখ আহমদ। বৃষ্টি এলো … বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি ! – পদ্মা মেঘনার দুপাশে আবাদী গ্রামে, বৃষ্টি এলো পুবের হাওয়ায়, বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ ঢেকে গেল কাজল ছায়ায়; বিদ্যুৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ার। এটি একটি জনপ্রিয়য় কবিতা। এই কবিতায় কবি বৃষ্টির দিনের কথা উল্লেখ করেছে। গ্রামে বৃষ্টির এলে অনেক সময় বন্যার সৃষ্টি হয়ে যায়। নিচে বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ দেওয়া আছে। যাদের প্রয়োজন সম্পূর্ণ পোস্ট টি পড়ে পিডিএফ সংগ্রহ করে নিবেন।

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল

এখানে বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সৃজনশীল বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নের দেখা যায়। তাই বেশি বেশি চর্চা করার চেষ্টা করবেন। এখানে দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্ন পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই। গাইড বইয়ে পেয়ে যাবেন। অনেকের হয়তো গাইড বই নেই, তারা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিন।

সৃজনশীল  প্রশ্নঃ গুরু গুরু ডাকে মেঘ ঘনঘটা চারিদিকে আজ
টুপটাপ বৃষ্টি ঝরে অঝোর ধারায়
নিজেকে হারিয়ে খুঁজি কিছু নাহি পাই
খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ।
ক. বর্ষার প্রাণ কী?
খ. বৃষ্টির দিন একাকী জীবনে বিরহ বাড়ায় কেন?
গ. “খুলেছি হৃদয় বাতায়ন ফেলে সব কাজ’- উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার মিল কিসে? ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছে- মূল্যায়ন করো।

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এই প্রশ্ন টি যশোর বোর্ডে ১৫ সালে এসেছিলো। এখানে বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর টি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের উত্তর প্রয়োজন, এখান থেকে সংগ্রহ করবেন।

ক. বর্ষার প্রাণ হলো বৃষ্টি।

খ. বৃষ্টির দিন মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে বলে একাকী জীবনে বিরহ বাড়ে।

বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে পড়ে। অতীতের নানা সুখময় স্মৃতি মনের কোণে উঁকি দেয়। একাকী মানুষ তার আনন্দ বা কষ্টের অনুভূতিগুলো সম্পর্কে কথা বলার জন্য কাউকে খুঁজে পায় না। তাই বৃষ্টির দিনে সঙ্গীহীন মানুষের মনে সঙ্গীর জন্য ব্যাকুলতা তৈরি হয়। মন বিরহী হয়ে ওঠে।

গ.

বৃষ্টিমুখর দিনে প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে- ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এ দিকটির সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।

প্রকৃতিতে বর্ষা আসে প্রাণস্পন্দন নিয়ে। বর্ষায় বৃষ্টিতে সিক্ত হয়ে প্রকৃতি যেমন রসসিক্ত হয়ে ওঠে, মানুষের মনও তাই। মানুষ এমন দিনে উদাসী হয়ে পড়ে। মানুষের মনকে পুরনো স্মৃতিতে আসক্ত করে ফেলে। এই বৃষ্টি মানুষের মনকে সাময়িক মোহাবিষ্ট করে ফেলে। ফলে বৃষ্টির দিন প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের জন্যও বিশেষ বৈশিষ্ট্য বহন করে।

উদ্দীপকে কবি বৃষ্টির আগমনে মোহাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। এই বৃষ্টি মানুষকে মনে করায় সুখময় অতীত, পুরনো স্মৃতি। ফলে মানুষ মনে মনে ভালোলাগার আলপনা আঁকে। আবার একাকী মানুষের বিরহকাতরতাও বাড়ায় এ বৃষ্টি। ‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ণিত এই দিকগুলো উদ্দীপকেও প্রতীয়মান হয়। বৃষ্টির পরশে উদ্দীপকের কবি সব কাজ ফেলে হৃদয়ের মণিকোঠার ঝাঁপি খুলে বসেছেন। আর এই উদাসী মানসিকতার দিকটিতেই ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাথে প্রশ্নোক্ত বক্তব্যের মিল রয়েছে।

ঘ.

উদ্দীপকে বৃষ্টির আগমনে প্রকৃতির সাথে সাথে কবির মনের অনুভূতির পরিবর্তন ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে।

বৃষ্টি হলো বর্ষার প্রাণ। বর্ষায় বৃষ্টির সংস্পর্শে প্রকৃতি নতুন প্রাণস্পন্দনে জেগে ওঠে। এ সময় বর্ষার ফুলে মোহিত হয় প্রকৃতি, রসসিক্ত হয় রুক্ষ মাটি। আর প্রকৃতির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মনেও আসে পরিবর্তন। মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায় ঘুরপাক খায় নানা ঘটনা। বর্ষার আবেশে মানুষ হয়ে পড়ে মোহাচ্ছন্ন।

উদ্দীপকে বর্ষার আবেশে কবির হৃদয়ে ভাবের পরিবর্তন ঘটেছে। কবি বৃষ্টির স্নিগ্ধতায় হৃদয়ের বাতায়ন খুলে বসেছেন। বৃষ্টি মানুষকে মোহময় স্মৃতি মনে করায়। সুখময় স্মৃতি, পুরোনো অতীত মানুষকে মনে করিয়ে দেয় বৃষ্টির পরশ। উদ্দীপকের কবি বৃষ্টির পরশে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। আর বৃষ্টির আবেশে মোহময় হওয়ার এই দিকটিই উদ্দীপক কবিতাংশের মূল কথা।

উদ্দীপকে কবি বৃষ্টিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজে বেড়ান স্মৃতির আঙিনায়। উদ্দীপকের কবির এই ভাব ‘বৃষ্টি’ কবিতায়ও দৃশ্যমান হয়। সেখানে বৃষ্টি আবেশে মনে পড়ে সুখময় অতীত, পুরনো স্মৃতি প্রভৃতি। কবি বৃষ্টির আগমনে মনের এই পরিবর্তনকে কবিতায় তুলে ধরতে চেয়েছেন। ‘বৃষ্টি’ কবিতার কবির মনের অবস্থা এবং উদ্দীপকের কবির মনের অবস্থা একই। বৃষ্টির আগমন তাদের উভয়ের মনকেই আবিষ্ট করেছে। বৃষ্টির আগমনে প্রকৃতি ও মনের অবস্থার পরিবর্তনই ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলকথা। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করছে।

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

এখানে আরও কিছু সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। নিচে থেকে এগুলো অনুশীলন করবেন। যাদের কাছে গাইড নেই, তারা এই সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো উত্তর সহ সংগ্রহ করে রাখবেন। অথবা এখান থেকে পড়ে নিবেন।

সৃজনশীল ১ঃ 

আজি, বরিষণ মুখরিত শ্রাবণরাতি
স্মৃতিবেদনার মালা একেলা গাঁথি।
আজি, কোন ভুলে ভুলি আঁধার ঘরেতে রাখি দুয়ার খুলি
মনে হয় বুঝি আসিছে সে মোর দুখরজনীর সাথী।

ক. প্লাবন হলে কিসের গৌরবে ফসল ভালো হয়?
খ. পাড়ি দিয়ে যেতে চায় বহু পথ, প্রান্তর বন্ধুর-পঙ্ক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র’-উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।

সৃজনশীল ২ঃ 

কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি,
তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী আখর টানি।
আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছলছল জলধারে
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।

ক. ‘বৃষ্টি’ কবিতায় কোন কোন নদীর কথা উলে−খ রয়েছে?
খ. রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায় কেন ?
গ. ‘বেণু-বনে বায়ু নীড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।’ – উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সাদৃশ্যের দিকটি তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার একটা বিশেষ ভাব প্রকাশ করে মাত্র, সমগ্র ভাব নয় – তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এখান থেকে উপরের দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। যারা নিজে নিজে উত্তর বের করতে পারবেন না, তারা অবশ্যই উত্তর গুলো পিডিএফ সংগ্রহ করে নিবেন।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১ঃ 

ক. প্লাবন হলে পলিমাটির গৌরবে ফসল ভালো হয়।

খ. বৃষ্টির দিনে মন স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ে এ বিষয়টি বোঝানো হয়েছে আলোচ্য চরণটিতে।বর্ষণমুখর দিনে অনুভূতিপ্রবণ মানুষের মন রসসিক্ত হয়। স্মৃতির জানালা খুলে মানুষ চলে যায় বহুদূর। মনে পড়ে যায় সুখময় অতীত, পুরোনো স্মৃতি। সেই ভালোলাগা দিয়ে মানুষ আপন মনে আলপনা এঁকে চলে।

গ.

উদ্দীপকে বৃষ্টি কবিতায় উল্লিখিত বর্ষণমুখর দিনের বিরহ-কাতরতা প্রকাশিত হয়েছে।

বর্ষণমুখর দিনে মানবমনে নানা অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির দিনে সংবেদনশীল মানুষ রসসিক্ত হয়ে ওঠে। সে তখন সুখময় অতীত, পুরোনো স্মৃতি আর ভালোলাগার ছবি আঁকে মনে মনে। বৃষ্টির দিনে কারো কারো মন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। একাকী জীবনে বৃষ্টি বিরহকাতরতা জাগিয়ে তোলে।

উদ্দীপকে বর্ষণমুখরিত শ্রাবণরাতে একজন বিরহকাতর মানুষের কথা বলা হয়েছে। স্মৃতি-বেদনার মালা গাঁথছে। আর ভাবনাকাতর উদাসী মন দুয়ার খুলে রেখেছে মনের ভুলে। প্রিয়জনের আগমন প্রতীক্ষায় সে সময় গুনছে। যে হবে তার এই দুখরজনীর সাথি। ‘বৃষ্টি’ কবিতায়ও আমরা দেখি উদ্দীপকের মতোই নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনে বর্ষার মেঘ মনে বিষণ্ণতা জাগায়।

ঘ.

‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত বিষয়ের মধ্যে কেবল একটি দিক বর্ষণমুখর দিনের বিরহকাতরতা উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। তাই উদ্দীপকটি ‘বৃষ্টি’ কবিতার খণ্ডাংশ মাত্র।

‘বৃষ্টি’ কবিতায় কবি ফররুখ আহমদ বর্ষা কীভাবে প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে তা চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন। বর্ষার প্রাণ হচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টির আগমনে আকাশের সর্বত্র মেঘের খেলা দেখা যায়। বৃষ্টিতে রৌদ্রদগ্ধ ধানখেতে আনে প্রাণের জোয়ার। ফুল ফুটে সর্বত্র মোহিত হয়। বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়ায় রুক্ষ মাটি। বৃষ্টির ফলে কারো কারো মন রসসিক্ত হয়ে ওঠে। আবার একাকী জীবনে বাড়িয়ে তোলে বিরহকাতরতা।

উদ্দীপকে উল্লিখিত হয়েছে বর্ষণমুখর শ্রাবণ রাতের কথা। এ সময় অতীত স্মৃতিগুলো একাকী জীবনে বেদনা হয়ে ধরা দেয়। কবি তাই আনমনা হয়ে পড়েন। অন্ধকার ঘরের দুয়ার খুলে রেখে ভাবেন এই বুঝি তাঁর প্রিয় মানুষটি চলে এলো। যে হবে তার দুঃখী হৃদয়ের একান্ত সাথি।

‘বৃষ্টি’ কবিতায় বর্ষার রূপবৈচিত্র্য, রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত, নদী, পাখি, ফুল, আকাশে মেঘের খেলা ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে। বৃষ্টি কীভাবে প্রকৃতিতে স্নিগ্ধতা ও কোমলতা ফিরিয়ে আনে সে কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি মানবমনের বিরহ ও স্মৃতিকাতরতা প্রকাশ পেয়েছে। অন্যদিকে উদ্দীপকে শুধুই বিরহ ও প্রিয় মিলনের আকাক্সক্ষাই ব্যক্ত হয়েছে। কাজেই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, উদ্দীপকটি বৃষ্টি কবিতার সমগ্র ভাবের ধারক নয়, খণ্ডাংশ মাত্র।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২ঃ

ক.‘বৃষ্টি’ কবিতায় পদ্মা ও মেঘনা নদীর কথা উল্লেখ রয়েছে।

খ . প্রচণ্ড খরা থেকে বাঁচতে আর ফসলের সম্ভারে ভরিয়ে দিতে রৌদ্রদ্বগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

ভীষণ রোদে মাঠ, ঘাট, ধানখেত যখন শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় তখন বৃষ্টি আসে আশীর্বাদ হয়ে। মাঠ-ঘাট-ধানখেত শুধু নয়, বৃষ্টির পরশে মানুষের মনও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। রুক্ষ প্রকৃতিতে বৃষ্টি আসে প্রাণের শিহরণ নিয়ে। তীব্র রোদে ধানখেত হয়ে ওঠে রুক্ষ ও কঠিন। বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে এই র্ক্ষু প্রকৃতিতে প্রাণের সঞ্চার হবে তাই রৌদ্রদগ্ধ ধানখেত আজ বৃষ্টির স্পর্শ পেতে চায়।

গ.

বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্যের সাথে ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের পর বর্ষার প্রবল বৃষ্টি প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তোলে। বৃষ্টির হিমেল পরশে বন-বনানীর মতো মানুষের মনও সংবেদনশীল ও রসসিক্ত হয়ে ওঠে। মনে জেগে ওঠে সুখময় অতীতের নানা স্মৃতি। ভালো লাগা ভালোবাসার আলপনা মনে মনে আঁকতে থাকে। আবার নিঃসঙ্গ নির্জন মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে বিরহের সুর।

উদ্দীপকে বর্ষার দিনের একটি রূপচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। বর্ষার দিনে পল্লিবধূরা নিবিষ্ট মনে নকশিকাঁথায় ফুল তোলে। বাইরে অঝোর ধারায় চলে বর্ষণ। গৃহবধূরা যেন সুতার টানে টানে মনের স্বপ্ন বুনতে থাকে। এমন দিনে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যায়। প্রিয়জনের অনুপস্থিতি তখন মনকে বিষণ্ণ করে। বিরহ বেদনা আরো বাড়িয়ে দেয়। কাজেই বৃষ্টির প্রবল বর্ষণের সময় মানুষের মনে কল্পনার ডানা মেলে। মনে এক অনির্বচনীয় অনুভূতি জাগে। উদ্দীপকে যেভাবে বলা হয়েছে ‘মন যেন চায় কারে’। অর্থাৎ প্রিয়জনের বিরহ মনকে আবিষ্ট করে। তাই ‘বেনু-বনে বায়ু নাড়ে, এলোকেশ, মন যেন চায় কারে’ উদ্দীপকের এ বক্তব্য ‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত নিঃসঙ্গ নির্জন জীবনের বিরহী চেতনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ.

‘বৃষ্টি’ কবিতায় উল্লিখিত পুরনো দিনের স্মৃতি ও বিরহী হৃদয়ের ভাবটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। কবিতার সমগ্র ভাবটি প্রকাশিত হয়নি।

গ্রীষ্মের কঠিন দাবদাহে প্রকৃতি অনেকটা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বর্ষার বৃষ্টিধারা বিবর্ণ পল্লি প্রকৃতিকে সজীব করে তোলে। টানা বর্ষণে মাঠ-ঘাট, খাল-বিল, নদী-নালা ভরে যায়। তৃষ্ণাকাতর মাঠ-ঘাট ও বনে দেখা দেয় প্রাণের জোয়ার। বৃষ্টি কবিতায় অঙ্কিত হয়েছে বাংলার সামগ্রিক জীবন ও প্রকৃতি। বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি আবাদি জমিতে আনে গৌরবের ফসল। এ সময় মেঘ ও বিদ্যুতের চমক যেন আকাশে খেলা করে। মানুষের মনে জাগিয়ে তোলে পুরনো স্মৃতি। মনকে কখনও করে বিষণ্ণ। একাকী জীবনে বাড়ায় বিরহ।

উদ্দীপকে আমরা লক্ষ করি বর্ষণমুখর দিনে গৃহবধূরা তাদের অবসর কাটাতে নকশীকাঁথা সেলাই করে। এই সেলাইয়ের মধ্য দিয়ে যেন তারা স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে। বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ে। আশপাশের সবকিছু মিলে যেন জলাধারে পরিণত হয়। এমনি দিনে মনে পড়ে প্রিয়জনের কথা। মন যেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভে ব্যাকুল হয়ে উঠে।

আলোচ্য ‘বৃষ্টি’ কবিতা পর্যালোচনা করলে আমরা পাই, কবিতায় বর্ষণের সৌন্দর্য, এর ব্যাপকতা, বর্ষার কল্যাণকামিতা, মানবমনে বর্ষার প্রভাবসহ যাবতীয় বিষয় বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে কেবল বর্ষণসিক্ত দিনে মানবমনের অনুভূতির দিকটি আলোচনা করা হয়েছে। কাজেই উদ্দীপকে ‘বৃষ্টি’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশিত হয়নি বরং বিশেষভাব প্রকাশিত হয়েছে মাত্র।

শেষ কথা

এই পোস্টে সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর গুলো দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

আশা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ। এস এস সি

আশা কবিতা সিকান্দার আবু জাফর পিডিএফ- এস এস সি

আমার দেশ কবিতা- সুফিয়া কামাল। বাংলা ১ম পত্র নবম-দশম শ্রেণি