পরমাণুর গঠন অষ্টম শ্রেণী

পরমাণুর গঠন

মৌলিক পদার্থের যে ক্ষুদ্রতম কণার মধ্যে মৌলটির সমস্ত ধর্ম উপস্থিত থাকে এবং যা রাসয়ানিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাকে মৌলিক পদার্থটির পরমাণু বলে। সমস্ত কঠিন, তরল, গ্যাস এবং আয়ন -এর গঠনের মূলে রয়েছে নিস্তরিত বা আধানগ্রস্ত পরমাণু। পরমাণু বলতে কী বোঝায়?
মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার কোনো স্বাধীন অস্তিত্ব নেই,কিন্তু সরাসরি রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাকে পরমাণু বলে। যেমন- O দ্বারা অক্সিজেন পরমাণু বুঝায়। পরমাণুর গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনিন।

পরমাণুর গঠন

পরমাণু শব্দটি আবিষ্কার করেছিলেন ডেমোক্রিটাস। ডেমোক্রিটাস ছিলেন একজন গ্রীক দার্শনিক। আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, নেলসনের প্রথম ব্যারন রাদারফোর্ড, (ইংরেজি: Ernest Rutherford) ওএম, পিসি, এফআর এস (৩০ আগস্ট, ১৮৭১ – ১৯ অক্টোবর, ১৯৩৭), একজন নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানের “জনক” হিসেবে খ্যাত। পারমাণবিক গঠন বলতে একটি নিউক্লিয়াস (কেন্দ্র) সমন্বিত একটি পরমাণুর গঠন বোঝায় যেখানে প্রোটন (ধনাত্মক চার্জযুক্ত) এবং নিউট্রন (নিরপেক্ষ) উপস্থিত থাকে। ইলেকট্রন নামক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কণা নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রের চারপাশে ঘোরে।

পরমাণুগুলি প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন নামক অত্যন্ত ক্ষুদ্র কণা দিয়ে তৈরি। প্রোটন এবং নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্রে থাকে, নিউক্লিয়াস তৈরি করে । ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসকে ঘিরে থাকে। প্রোটনের একটি ইতিবাচক চার্জ আছে। ইলেকট্রন একটি ঋণাত্মক চার্জ আছে। একটি পরমাণুতে ইলেকট্রন ,প্রোটন ও নিউট্রন এই তিন টি কোনা থাকে। এদের মধ্যে বিদ্যামান চার্জ গুলোও আলাদা ভাবে থাকে।

পরমাণুর তিনটি অংশ হল ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। প্রোটন ও নিউট্রন একসাথে পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে যাকে বলা হয় নিউক্লিয়াস। নিউক্লিয়াসের চারপাশে ইলেকট্রন নির্দিষ্ট বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে। ইলেকট্রন ঋণাত্মক চার্জযুক্ত, প্রোটন ধনাত্মক চার্জযুক্ত এবং নিউট্রন চার্জবিহীন।

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলটি একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক মডেল, যা বিশেষভাবে প্যারামিটার শেয়ারিং এবং প্রথম হিডেন লেয়ারে সকল নোডের কম একই ওয়েট শেয়ার করতে বিশেষ করে তৈরি করা হয়েছে।এই মডেলটির মূল উদ্দেশ্য হলো মডেলের অধিক শক্তি ব্যবহার করার জন্য কম প্যারামিটার ব্যবহার করা, যাতে তার অধিকাংশ মেমোরি এবং কম্পিউটেশন অংশগুলি সংরক্ষিত থাকে। এই ধারণার ফলে, মডেলটি তার বিশেষজ্ঞতা অর্জন করতে অনেক কম ডেটা এবং সময় প্রয়োজন করে তার প্যারামিটারগুলি ট্রেইন করতে।এই মডেলটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং ছোট ডেটাসেটে দক্ষতা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় সময় এবং সম্প্রদায়ে কাজ করতে সাহায্য করতে সক্ষম।

১. সকল পরমাণু অতিশয় ক্ষুদ্র গোলাকৃতি কণা। এর দুটি অংশ রয়েছে যথা: (ক) কেন্দ্রক বা নিউক্লিয়াস এবং (খ) কেন্দ্র বহির্ভূত ইলেকট্রন-মহল।

২. পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলে। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য।

৩. পরমাণুর প্রায় সবটুকু ভর নিউক্লিয়াসে পুঞ্জীভূত। তাই মোটামুটিভাবে নিউক্লিয়াসের ভরই পারমাণবিক ভর।

৪. সৌরমন্ডলে সূর্যের চারদিকে আবর্তনীয় গ্রহসমুহের মত পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে কক্ষপথে কতগুলো ঋণাত্মক কণিকা সর্বদা ঘূর্ণায়মান থাকে। এদের ইলেকট্রন বলে।

৫. পরমাণুতে ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পরিভ্রমণশীল ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান। তাই পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ।

৬. নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের মধ্যে বিরাজিত কেন্দ্রমুখী স্থির বিদ্যুৎ আকর্ষণ বল ও ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রবিমুখী বলের মান সমান ও বিপরীতমুখী।

পরমাণুর গঠনের ব্যাখ্যা

পরমাণু গঠন হলো একটি পরমাণুর আবস্থার সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। একটি পরমাণু মৌলের গঠনের বিষয়ে কথা বলতে হলে আমাদের একটি কাছে কোম্পাক্ট এবং সহজ ভাষায় দৃষ্টিকোণ থাকতে হবে।একটি পরমাণু মৌল একটি অত্যন্ত ছোট অংশ, যা মৌলের সবচেয়ে মৌল্যবান এবং নৈতিক একক। এটি দুই প্রধান অংশে বিভক্ত হয়ে থাকে – ইলেকট্রন, যা আউটার অংশে রয়েছে, এবং নিউক্লিয়াস, যা অংশটির কেন্দ্রে অবস্থিত।

নিউক্লিয়াস আবার দুই প্রধান অংশে বিভক্ত – প্রোটন এবং নিউট্রন। প্রোটনগুলি ধারায় আছে এবং নিউট্রনগুলি শূন্যস্থানযুক্ত পৌঁছে থাকে। এই পৌঁছানো যোগগুলি পরমাণুর আবস্থার বিভিন্ন গুণাবলীগুলি নির্ধারণ করে, এবং এই গুণাবলীগুলি কোন মৌলটি হতে পারে তা নির্ধারণ করে।এই ভাবে, পরমাণুর গঠন হলো একটি অত্যন্ত ছোট এবং সুক্ষ্মবিদ্যার জগতে যা মৌলের সবচেয়ে মৌল্যবান এবং নৈতিক অংশ।

পরমাণু হলো মহাবিশ্বের সবকিছুর অতি ছোট একক। প্রতিটি পরমাণুর কেন্দ্রে আছে একটি নিউক্লিয়াস, যা পরমাণুর “হৃদয়” হিসেবে চিহ্নিত হয়। এটি অন্তর্গতভাবে দুই প্রধান কণা, প্রোটন এবং নিউট্রন, থাকে। এই দুইটি কণার চার্জ এবং ভর অত্যন্ত অল্প এবং তাদের সম্পর্কে আমরা আপেক্ষিক ভাষায় সহজে কথা বলতে পারি।

প্রোটন এবং নিউট্রন অত্যন্ত ছোট অংশিত কণা হিসেবে দুইটি আপ কোয়ার্ক এবং একটি ডাউন কোয়ার্ক দ্বারা গঠিত। একইভাবে, নিউট্রন অত্যন্ত ছোট অংশিত কণা হিসেবে দুইটি ডাউন কোয়ার্ক এবং একটি আপ কোয়ার্ক দ্বারা গঠিত। এই কোয়ার্কগুলি একে অপরকে বিয়োজিত রাখতে গ্লুয়োন বলে একটি বলবাহী কণা ব্যবহার হয়।

এই পরমাণুর নিউক্লিয়াস পরিস্থিতির ভেতর অতিক্ষুদ্র কণা, ইলেকট্রন, প্রবাহিত থাকে। ইলেকট্রন গুলির আপেক্ষিক চার্জ হলো -১, যা প্রোটনের চার্জ এবং ভর কে সম্মিলিত করে পরমাণুকে সাধারিত ওজন এবং চার্জ দেয়।

এই রকম, পরমাণুর গঠন অনেক কমপ্লেক্স এবং সুক্ষ্মবিদ্যার পুরো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান হয়। এই অতিক্ষুদ্র বা সুপ্রাণিক স্তরের ঘটনাবলী মূলত কোয়ান্টাম মেকানিক্স নামে পরিচিত, এটি হলো অত্যন্ত ছোট কণাদের ব্যবহার করে প্রস্তুত হয়।

শেষ কথা

পরমাণুর গঠনে, নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন এবং নিউট্রন গঠিত করে পরমাণু। এই কণা মিলে বিশেষ গুণাবলী ধারণ করে, এবং ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের সাথে অবস্থান করে। এই সুক্ষ্মবিদ্যার প্রক্রিয়ায় পরমাণু সব রকমের মহাবিশ্বের মৌলের গঠনে অংশীদার থাকে। আশা করছি পরমাণুর গঠন, ব্যাখ্যা ও মডেল সম্পকে জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

সমন্বয় ও নিঃসরণ – ৮ম শ্রেণি বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায়

3 Comments on “পরমাণুর গঠন অষ্টম শ্রেণী”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *