মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থিক প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে বিশেষ গবেষণা ও অধ্যয়নের বিষয় হিসেবে প্রতিফলিত হয়। এই দুটি শক্তির মধ্যে ব্যাপক সম্পর্ক রয়েছে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দিকে প্রভাব ফেলে। মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ প্রকৃতির দুটি অসীম শক্তি, যা সারাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং আমাদের বাস্তবিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই দুটি শক্তির মধ্যে সম্পর্ক এবং তাদের প্রত্যাশিত পরিবর্তনের বিষয়ে গবেষণা এবং অধ্যয়ন একটি চৌমুখী প্রক্রিয়া। মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে সংজ্ঞা জেনে নেওয়া যাক।

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে

মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা দ্বারা সকল বস্তু একে অপরকে আকর্ষণ করে। এটির সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায় যে, যেকোনো ভরের বস্তুদ্বয় একে অপরকে যে বলে আকর্ষণ করে তা হলো মহাকর্ষ। যদি এই আকর্ষণ পৃথিবী এবং অন্য কোন বস্তুর মাঝে হয় তাহলে তাকে বলা হয় অভিকর্ষ। প্রকৃতির চারটি মৌলিক বলের একটি হলো মহাকর্ষ।[১] মহাকর্ষের কারণেই পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলি সূর্যের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান থাকে।

মহাকর্ষ হলো পদার্থের মধ্যবর্তী বস্তুতে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং অতিশক্তির ক্ষমতা যা অন্য পদার্থগুলি প্রতি আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ নীতিগুলি মূলত দুটি বস্তুর মধ্যে মানিয়ে নিতে বা একটি বস্তুকে অন্যটির আশ্রয় দেতে সম্পর্কিত। গ্রহ, তারা, প্রাণী, এবং প্রাণীর অংশ সবাই মহাকর্ষ এর অধীনে আছে এবং এটি সূর্যের কাছে গ্রহগুলির পথনির্দেশক সম্পর্কে গর্বিত ব্যাখ্যা করে।

পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity বলে। অভিকর্ষ হলো একটি বস্তুর অপর বস্তুতে প্রয়োজনীয়ভাবে আকর্ষণ বা প্রয়োজনীয় অংশের অপর অংশের উপর টানা শক্তির ক্ষমতা। অভিকর্ষ সহায়কতা দেয় যা বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করে এবং এটি গ্রহের অবস্থান এবং গতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এটি পৃথিবীতে নানা দৈহিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য প্রয়োজনীয় যেমন উষ্ণতা এবং বায়ুর গতি উৎপন্ন করে।

মহাকর্ষ

স্যার আইজাক নিউটন ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তার ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা গ্রন্থে এ বিষয়ে ধারণা প্রদান করেন৷ মহাকর্ষের বিশেষ উদাহরণ হলো মাধ্যাকর্ষণ বা অভিকর্ষ যার কারণে ভূপৃষ্ঠের উপরস্থ সকল বস্তু ভূকেন্দ্রের দিকে আকৃষ্ট হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই উপরিস্থিত বা ঝুলন্ত বস্তু মুক্ত হলে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ভরসম্পন্ন বস্তুসমূহে ওজন অনুভূত হয়। একটি বস্তুর ভর যত বেশি হয়, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে তার ওজনও তত বেশি হয়।

বিজ্ঞানী নিউটন সর্বপ্রথম মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা প্রদান করেন। এটি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। আধুনিক পদার্থবিদ্যায় মহাকর্ষ সবচেয়ে সঠিকভাবে বর্ণনা করা হয় আইনস্টাইন প্রস্তাবিত আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব দ্বারা। আইনস্টাইনের মতে স্থান-কালের বক্রতার কারণেই মহাকর্ষ বল সৃষ্টি হয়। মহাকর্ষ হলো পদার্থের মধ্যবর্তী বস্তুতে প্রয়োজনীয় শক্তি এবং অতিশক্তির ক্ষমতা যা অন্য পদার্থগুলি প্রতি আকর্ষণ করে। এই আকর্ষণ নীতিগুলি মূলত দুটি বস্তুর মধ্যে মানিয়ে নিতে বা একটি বস্তুকে অন্যটির আশ্রয় দেতে সম্পর্কিত। গ্রহ, তারা, প্রাণী, এবং প্রাণীর অংশ সবাই মহাকর্ষ এর অধীনে আছে এবং এটি সূর্যের কাছে গ্রহগুলির পথনির্দেশক সম্পর্কে গর্বিত ব্যাখ্যা করে।

অভিকর্ষ

পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে সকল বস্তুকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে সেই বলকে অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বল বা Gravity বলে। সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। কথিত আছে, একদিন নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ভাবছিলেন এমন সময় তার মাথায় একটি আপেল এসে পড়ে। যদিও নিউটনের নিজের বর্ণনা হলো: তিনি চিন্তার মেজাজে নিমগ্ন অবস্থায় আপেল পড়তে দেখতে পেয়েছিলেন।[১] আপেলটি কেন মাটিতে পড়ল এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেই তিনি অভিকর্ষ বা মহাকর্ষ বল সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। এই মহাবিশ্বের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে তাকে মহাকর্ষীয় বল বলে। আর এই দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তখনি এই বলকে অভিকর্ষজ বল বলে।

অভিকর্ষজ বল “মাধ্যাকর্ষণ শক্তি” নামেও সাধারণের কাছে পরিচিত, যদিও বল ও শক্তি এক জিনিস নয়। সুতরাং অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বলের একটি অংশ। বিশ্বে যে চার প্রকারের মৌলিক বল রয়েছে তার মধ্যে একটি হল মহাকর্ষীয় বল। অভিকর্ষ হলো একটি বস্তুর অপর বস্তুতে প্রয়োজনীয়ভাবে আকর্ষণ বা প্রয়োজনীয় অংশের অপর অংশের উপর টানা শক্তির ক্ষমতা। অভিকর্ষ সহায়কতা দেয় যা বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করে এবং এটি গ্রহের অবস্থান এবং গতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, এটি পৃথিবীতে নানা দৈহিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য প্রয়োজনীয় যেমন উষ্ণতা এবং বায়ুর গতি উৎপন্ন করে।

শেষ কথা

মহাকর্ষ এবং অভিকর্ষ পৃথিবীর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। মহাকর্ষ দিয়ে গ্রহেরা তাদের পথ পানে এবং প্রাণীরা পৃথিবীতে অবস্থান করে তাদের পৃষ্ঠে স্থির থাকেন। অভিকর্ষ তাদের মধ্যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে, যা প্রাণীদের উষ্ণতা, বায়ু ও অন্যান্য প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি প্রকৃতির শক্তি সাথে যুক্ত করে, আমরা পৃথিবীতে জীবন বজায় রাখতে পারি এবং ব্যক্তিগত জীবনে এগুলির বৈশিষ্ট্য অভিজ্ঞ করতে পারি। আশা করছি মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

পৃথিবী ও মহাকর্ষ ৮ম শ্রেণি MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

পৃথিবী ও মহাকর্ষ ৮ম শ্রেণি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

One Comment on “মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ কাকে বলে”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *