মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য

মহাকর্ষ এবং অভিকর্ষ দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থিক ধারণা যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে মূলত ব্যবহৃত হয়। এই দুটি শব্দ পদার্থের মধ্যে প্রতিফলিত বলতে হয়। মহাকর্ষ হল একটি গুরুত্বশূন্য স্থান বা বিন্যাস যেখানে সমস্ত পদার্থ অন্তর্গত হয়। এটি একটি আকর্ষণ শক্তির ধারণা, যা সমস্ত বস্তুকে আকর্ষণ করে এবং তাদেরকে প্রতিকূল গতিতে বাধা দেয়। মহাকর্ষ সম্পর্কে প্রায় সবাই পরিচিত, যেমন পৃথিবীর ভেতরের মহাকর্ষ শক্তি যা আমাদের পৃথিবীকে আকর্ষণ করে এবং বৃহত্তম আকারের পটভূমির গঠন করে। নিচে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য গুলো তুলে ধরা হলো।

মহাকর্ষ কি?

মহাকর্ষ হল একটি প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য যা বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদার্থিক বৈশিষ্ট্য যা সমস্ত পদার্থের মধ্যে কার্যকারিতা প্রকাশ করে এবং বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণ বা মহাকর্ষ বলা হয়। এই আকর্ষণ শক্তির দ্বারা সমস্ত বস্তুগুলি একে অপরের কাছে আকর্ষিত হয় এবং এটি প্রতিকূল গতিতে বাধা তৈরি করে।

মহাকর্ষ বিভিন্ন ধরণের অবস্থানে প্রকাশ পায়, যেমন পৃথিবীর ভেতরে অথবা আকাশে এবং বস্তুগুলির মধ্যে আকার, মাত্রা এবং দূরত্বের ভিন্ন পরিমাণে আকর্ষণ শক্তি অনুভব করা যেতে পারে। পৃথিবীর মধ্যে মহাকর্ষের শক্তির ফলে আমরা পৃথিবীর উপরে অধিকাংশ পদার্থের প্রতিবিম্বকে ধরণের অপরাধ হিসেবে অনুভব করি।

প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে, মহাকর্ষ একটি মৌলিক পদার্থিক বৈশিষ্ট্য যা আকাশে এবং পৃথিবীর মধ্যে অনেক বিভিন্ন পদার্থের মধ্যে আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এটি নতুন প্রকৃতির প্রকৃতি অনুসারে প্রতিবেদন করে এবং বস্তুগুলির মধ্যে গতি ও স্থিতির পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আকাশে প্রকাশ করা হয় প্রকৃতির বিভিন্ন পদার্থের মধ্যে সাম্যবদ্ধতা এবং সংহতি সৃষ্টি করে।

অভিকর্ষ কি?

অভিকর্ষ হল একটি পদার্থিক বৈশিষ্ট্য যা দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণের প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে। এটি একটি নৈমিত্তিক বা পদার্থগত সংযোগ যা দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বা বিপর্যয় উৎপন্ন করে। অভিকর্ষের শক্তির আকার ও প্রমাণ বস্তুগুলির মধ্যে স্থানান্তর বা পরিমাপযোগ্য প্রভাব প্রদান করে। অভিকর্ষের ব্যাপারে সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হল গ্রহমন্ডলীয় আকর্ষণ, যেখানে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলি পরস্পরের প্রতি আকর্ষণমূলক শক্তির ফলে একে অপরের কাছে আকর্ষিত হয় এবং গতি ও অবস্থানে পরিবর্তন ঘটায়।

এছাড়াও, অভিকর্ষের প্রতি সাধারণ উদাহরণ হল মেগনেটিক অভিকর্ষ, যেখানে আকর্ষণের প্রক্রিয়া মেগনেটিক ক্ষেত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অভিকর্ষের কার্যকারিতা আসলে আইনেন নিয়মের উপর নির্ভর করে যা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অধ্যায়ে উপস্থাপন করা হয়। এই কার্যকারিতা একটি বৈশিষ্ট্য যা বস্তুগুলির মধ্যে প্রভাবশালী বা পরিবর্তনশীল আকর্ষণ সৃষ্টি করে, যা বস্তুগুলির গতি, স্থানান্তর এবং ব্যাস্থাপনা পরিবর্তন করে।

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য

এই দুটি ধারণা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মধ্যে বড় গুরুত্ব রাখে, কারণ এটি বস্তুর আবিষ্কার, প্রকৃতির নিয়মাবলী এবং বিশ্বের অতীত থেকে বর্তমানের সময়কালের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাত্ত প্রদান করে। নিচে মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য গুলো দেওয়া হয়েছে।

  1. আকর্ষণের ক্ষেত্র: মহাকর্ষের ক্ষেত্র বস্তুগুলির মধ্যে প্রতিকূল গতিতে বাধা তৈরি করে, যেখানে অভিকর্ষ নতুন ব্যবস্থা প্রদান করে।
  2. আকর্ষণের প্রকৃয়া: মহাকর্ষ প্রাকৃতিক আকর্ষণের ফলে বস্তুগুলি একে অপরের কাছে আকর্ষিত হয়, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করে।
  3. কার্যকারিতা: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকারিতা প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের প্রক্রিয়া নির্দেশ করে।
  4. আকর্ষণের শক্তির ধরণ: মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক আকর্ষণের ধরণ, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের প্রক্রিয়ার ধরণ নির্দেশ করে।
  5. প্রযুক্তির প্রভাব: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে সৃষ্টিকারী ফলন প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের প্রভাব বাধাও প্রদান করে।
  6. পরিমাণ এবং পরিমাপ: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের পরিমাণ বা মাত্রা বিবেচনা করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের পরিমাণ বা মাত্রা বিবেচনা করে।
  7. আকর্ষণের অবস্থান: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে গতি এবং স্থিতির পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান প্রদান করে।
  8. প্রযুক্তিগত ব্যবহার: মহাকর্ষ প্রযুক্তিগত প্রয়োজনীয়তা প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে ব্যবহার করা হয়।
  9. বস্তু প্রকৃতির প্রভাব: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে বস্তু প্রকৃতির প্রভাব প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে আকর্ষণের প্রভাব প্রদান করে।
  10. আকর্ষণের প্রভাব এবং দূরত্ব: মহাকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে বস্তু দূরত্ব এবং আকর্ষণের প্রভাব প্রদান করে, যেখানে অভিকর্ষ বস্তুগুলির মধ্যে বস্তু দূরত্ব এবং আকর্ষণের প্রভাব প্রদান করে।

মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ বলের মধ্যে পার্থক্য কি? 

মহাকর্ষ এবং অভিকর্ষ দুটি ধারণা যদিও প্রায়শই একই অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাদের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। মহাকর্ষ হলো মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যে বিদ্যমান আকর্ষণ শক্তি। স্যার আইজ্যাক নিউটন এই শক্তির সূত্র প্রদান করেছিলেন, যা বলে যে, দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি তাদের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং তাদের কেন্দ্রের মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। অন্যদিকে, অভিকর্ষ বলতে বিশেষভাবে পৃথিবীর দ্বারা অন্য বস্তুর উপর প্রযুক্ত আকর্ষণ শক্তিকে বোঝায়। পৃথিবীর ভরের কারণে, এটি যেকোনো বস্তুর উপর নিচের দিকে একটি আকর্ষণ বল প্রয়োগ করে। মহাকর্ষ  মহাবিশ্বের যেকোনো দুটি বস্তুর মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি। অভিকর্ষ পৃথিবীর দ্বারা অন্য বস্তুর উপর প্রযুক্ত আকর্ষণ শক্তি।

উদাহরণ:

মহাকর্ষের উদাহরণ: চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে কারণ মহাকর্ষীয় বল তাদেরকে একে অপরের দিকে আকর্ষণ করে।

অভিকর্ষের উদাহরণ: আপনি যখন কোন বস্তু উপরে ছুঁড়ে ফেলেন, তখন অভিকর্ষ বল তাকে নিচের দিকে টেনে নিয়ে আসে।

শেষ কথা

মহাকর্ষ হল প্রাকৃতিক পদার্থিক বৈশিষ্ট্য যা একটি বস্তুকে অন্য বস্তুর প্রতি আকর্ষিত করে এবং তাদেরকে একে অপরের দিকে আকর্ষণ করে প্রতিকূল গতিতে বাধা তৈরি করে। অভিকর্ষ হল দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণের প্রক্রিয়া বা পদার্থিক গুণগত সংযোগের ধারণা। অভিকর্ষ সাধারণত একটি নৈমিত্তিক বা পদার্থগত সংযোগ বোঝা হয়, যা দুটি বস্তুর মধ্যে প্রতিকূল গতিতে বাধা তৈরি করে। এই গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্যগুলি মহাকর্ষ এবং অভিকর্ষের মধ্যে উপস্থিত একে অপরের মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পর্ক ও ব্যবহারে বিভিন্ন ধারণার প্রকাশনে সাহায্য করে। আশা করছি মহাকর্ষ ও অভিকর্ষ এর মধ্যে পার্থক্য জানতে পেরেছেন।

আরও দেখুনঃ

পৃথিবী ও মহাকর্ষ ৮ম শ্রেণি MCQ প্রশ্ন ও উত্তর

পৃথিবী ও মহাকর্ষ ৮ম শ্রেণি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *