দেশের গঠন ও ককাজের একক হচ্ছে কোষ। আবাদের জীবদেহ গুলো কোষ দিয়ে গঠিত হয়েছে। প্রাণী সহ সকল উদ্ভিদও এই কোষের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। কোষ বিভাজন কয়েকটি ভাগে বিভাজিত হয়। প্রতিটি কোষ বিভাজন একটি থেকে দুটি, দুটি থেকে চার টি এভাবে বিভাজিত হয়। আজকের পোস্টে জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো শেয়ার করা হয়েছে। এই অধ্যায়ে অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল আছে। যা নিচের অংশে থেকে পড়ে নিতে পারবেন।
জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্ন
এখানে জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। যারা যারা ৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন অনুশীলন করবেন নিচের অংশ ফলো করুন।
জীবদেহের গঠন ও কার্যের একক হলো কোষ। কোনো কোনো জীব একটি মাত্র কোষ দিয়ে গঠিত। কোনো কোনো জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত। বহুকোষী জীব কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র গঠন থেকে বৃহৎ জীবের গঠন হয়। কিন্তু সব বিভাজন একই রকম নয়। বিভাজন প্রক্রিয়াও ভিন্ন এবং বিভাজনের ফলও ভিন্ন।
ক. জীবদেহে কত ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়?
খ. মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয় কেন?
গ. মানবদেহে কোষ বিভাজন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
ঘ. জীবের প্রজনন ও দৈহিক বৃদ্ধিতে কোষ বিভাজনের ভূমিকা আলোচনা করো।
জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. জীবদেহে তিন ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়।
খ. মাইটোসিস কোষ বিভাজনটি দেহকোষে হয়। এ প্রক্রিয়ায় একটি দেহকোষ বিভাজিত হয়ে দুটি আপত্য কোষ তৈরি করে। এ বিভাজনে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোজোম একবার বিভক্ত হয় এবং নতুন সৃষ্ট কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা, গঠন ও গুণাগুণ হুবহু মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের সংখ্যা, গঠন ও গুণাগুণ সম্পন্ন হয়। এ জন্য মাইটোসিসকে সমীকরণিক বিভাজন বলা হয়।
গ. মানবদেহে কোষ বিভাজন সাধারণত নিয়ন্ত্রিতভাবেই ঘটে। তবে কোনো কারণে এ নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হয়ে গেলে অস্বাভাবিকভাবে কোষ বিভাজন হতে থাকে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে টিউমার সৃষ্টি হতে পারে। টিউমার কখনো কখনো ক্যান্সারে রূপ নিতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের বিভিন্ন ধরনের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্যাপিলোমা ভাইরাস কোষে ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
ক্যান্সার এখনো তেমন নিরাময়যোগ্য নয়। তাই জীবের কোষ বিভাজন যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তবে ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অকালে প্রাণ হারানোর আশঙ্কা থাকে।
ঘ। বহুকোষী জীবদেহে মাইটোসিস ও মিয়োসিস নামক দুই ধরনের কোষ বিভাজন হয়ে থাকে। জীবের প্রজনন ও দৈহিক বৃদ্ধিতে এই দুই ধরনের কোষ বিভাজনের গুরুত্ব অপরিসীম।
জীবের প্রজননে কোষ বিভাজনের ভূমিকা
জীবের প্রজননের অন্যতম প্রধান অঙ্গ হলো জননকোষ। এই জননকোষ (শুক্রাণু, ডিম্বাণু, পরাগরেণু) সৃষ্টিতে মিয়োসিস কোষ বিভাজনের ভূমিকা রয়েছে। শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলিত হয়ে জাইগোট বা নিষিক্ত ডিম্বাণু তৈরি হয়। এই জাইগোট থেকে ভ্রূণ সৃষ্টিতে মাইটোসিস কোষ বিভাজন ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া জননকোষ সৃষ্টির অঙ্গ অর্থাৎ জননাঙ্গ যেমন শুক্রাশয় ডিম্বাশয়ের বিভিন্ন অংশ তৈরিতে মাইটোসিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
দৈহিক বৃদ্ধিতে কোষ বিভাজনের ভূমিকা
জাইগোট থেকে ভ্রূণ এবং ভ্রূণ থেকে জীবের আকৃতি সৃষ্টিতে মাইটোসিস কোষ বিভাজনের ভূমিকা অপরিসীম। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে জীবের ছোট আকৃতি থেকে বৃহদাকৃতির গঠন সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া জীবের কোনো স্থান কেটে গেলে বা ক্ষত সৃষ্টি হলে তা মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে পূরণ হয়।
ওপরের আলোচনা থেকে দেখা যায়, জীবের প্রজনন বা বংশ বৃদ্ধিতে এবং দৈহিক বৃদ্ধি সাধনে কোষ বিভাজনের ভূমিকা অপরিসীম।
৮ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ
সুমনের সংগৃহীত কোষ বিভাজনের একটি ধাপের মডেল চিত্র, যার প্রতিটি ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার দুভাগে বিভক্ত।
ক. মানুষের প্রতিটি দেহকোষে কতটি ক্রোমোজোম থাকে?
খ. জীন বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ধাপটির চিত্রসহ ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. উদ্দীপকের কোষবিভাজন পদ্ধতিটি সমীকরণিক বিভাজন কিনা? যুক্তিসহকারে মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ
মীনা মা বাবার একমাত্র সন্তান। মীনার মুখের গঠন তার মায়ের মতো হলেও চুলের প্রকৃতি, চোখের রং, গায়ের গঠন একেবারে তার পিতার মতো । পিতা মাতা ফর্সা হলেও তার গায়ের রং দাদীর মতো
শ্যামলা।
ক. বংশগত বৈশিষ্ট্য কাকে বলে?
খ. নিম্ন শ্রেণির জীবের কোন কোষ বিভাজন ঘটে ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের মীনার পিতামাতার বৈশিষ্ট্যগুলো কিভাবে তার দেহে সঞ্চারিত হলো? বর্ণনা করো।
ঘ. উদ্দীপকের বংশ ধারাটি যে বিভাজনের মাধ্যমে ঘটে তার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ঃ
মিরাজের মুখের গঠন তার মায়ের মতো হলেও চুলের প্রকৃতি, চোখের রঙ, গায়ের গঠন একবারে তার পিতার মতো । পিতা-মাতা ফর্সা হলেও তার গায়ের রং দাদীর মতো শ্যামলা।
ক. বংশগতি কাকে বলে?
খ. আ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনকে প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজন বলা হয় কেন? ২
গ. মিরাজের পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্যগুলো কীরূপে তার দেহে সঞ্চারিত হলো? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের বংশগতটির ধারাটি যে কোষ বিভাজনের ফলে ঘটে থাকে তার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ করো ।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভাললেগেছে এবং এখান থেকে জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ
জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি MCQ প্রশ্ন ও উত্তর ৮ম শ্রেণি- বিজ্ঞান
জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি অষ্টম শ্রেণি বিজ্ঞান ২য় অধ্যায়
প্রাণী জগতের শ্রেণিবিন্যাস অষ্টম শ্রেণি MCQ প্রশ্নের উত্তর