বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। ৮ম শ্রেণি

বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন

সাধারণভাবে সমাজের জন্য ক্ষতিকর ও অসুবিধাজনক অবস্থা বা পরিস্থিতিকেই সামাজিক সমস্যা বলে। সামাজিক সমস্যা সাময়িক সময়ের জন্য সৃষ্টি হয় না। এটি কমবেশি স্থায়ী হয় এবং এর সমাধানের লক্ষ্যে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন অনুভূত হয়। সুতরাং সামাজিক সমস্যা হলো সমাজ জীবনের এমন এক অবস্থা, যা সমাজবাসীর বৃহৎ অংশকে প্রভাবিত করে, যা অবাঞ্ছিত এবং এর প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য সমাজবাসী ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে উদ্যোগী হয় । নিচের অংশে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো দেওয়া হয়েছে। যাদের প্রয়োজন সংগ্রহ করুন।

বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন

এই অধ্যায় টিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং প্রতিকার সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক সমস্যা সম্পর্কিত অনেক ধরনের প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে সৃজনশীল প্রশ্নও রয়েছে। তাই এই পোস্টে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন এবং উত্তর গুলো শেয়ার করেছি ।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ 

১৯৯৭ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের এক তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১০,০০০ গাড়ি প্রায় ১২৫টি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। দুর্ঘটনার এই হার এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং নরওয়ে ও সুইডেনের তুলনায় ১০০ গুণ বেশি। বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর শুধু শিশু মারা যায় ৩৪১২ জন। ইনজুরিজনিত সমস্যায় পঙ্গুত্ববরণ করে ১২০০ শিশু। এ হিসেব মতে প্রতিদিন গড়ে ৩.৫ জন শিশু পঙ্গুত্বের শিকার হয়। বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের ২৪% লোকের বয়স ১৫ বছরের নিচে। ৩০% লোকের বয়স ১৬-৫০ বছরের মধ্যে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে দেখা যায় ২০-৪৪ বছরের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অধিক দুর্ঘটনার শিকার।

ক. বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে ২০০১ সালে বাংলাদেশে কয়টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে?
খ. সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা কর।
গ. সমাজজীবনে শিশু ও কর্মক্ষম ব্যক্তির পঙ্গুত্ববরণ ও মৃত্যুর অর্থনৈতিক ও মানসিক প্রভাব ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উপরোক্ত তথ্যের আলোকে সড়ক দুর্ঘটনারোধের পদক্ষপেগুলো বিশেস্নষণ কর।

সৃজনশীল ২ঃ 

ইমনের বয়স তের বছর। সে ঢাকার একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে কাজ করে। ইমনের মতো এমন অনেক শিশু আছে যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে টেম্পো ও গাড়ির গ্যারেজে কাজ করছে। বাবা মাকে প্রলোভন দেখিয়ে এই সমস্ত শিশুদের কাজে আনা হয়।

ক. এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন কখন পাস করা হয়?
খ. সামাজিক মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায়?
গ. ইমনের কাজ করার প্রধান কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উলিস্নখিত শিশুদের কাজ প্রতিরোধে শুধুমাত্র শর্তাবলি আরোপ করাই কি যথেষ্ট? বিশেস্নষণ কর।

সৃজনশীল ৩ঃ 

ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন তাঁর একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে মিতার সাথে প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের ইঞ্জিনিয়ার পুত্র রাজীবের বিয়ে দেন। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই রাজীব ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কেনার জন্য নগদ ৫০ লক্ষ টাকা নেয়ার জন্য মিতার উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। আমজাদ সাহেব টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একদিন পারিবারিক কলহের জের ধরে রাজীবের হাতে নির্মমভাবে খুন হয় মিতা। [ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল, ঢাকা]

ক. বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ‘যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন’ কত সালে পাশ হয়?
খ. বাংলাদেশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী কীরূপ জীবনযাপন করে?
গ. রাজিবের অপরাধের শাস্তি কোন আইনের আওতায় হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.মিতার মতো উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলনই ফলপ্রসূ মতামত দাও।\

বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এই অংশে উপরের দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়া হয়েছে। যারা নিজে নিজে উত্তর লিখতে পারবেন না তারা আমার দেওয়া উত্তর গুলো দেখেনিন।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ 

ক. বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে ২০০১ সালে বাংলাদেশে ৪০৯১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

খ.  বাংলাদেশের শহরে গাড়ির সংখ্যা যে হারে বেড়েছে সে হারে দক্ষ চালক তৈরি হয়নি। অদক্ষ ও প্রশিক্ষণবিহীন চালককে দিয়ে গাড়ি চালানোর কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। রাস্তায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অন্য গড়ি ওভারটেক করা, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো, ট্রাফিক আইন না মানা, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন করা প্রভৃতি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এছাড়া ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি, পথচারীদের অন্যমনস্কতা ও অসতর্কতার কারণেও অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

গ.

শিশু ও কর্মক্ষম ব্যক্তির পঙ্গুত্ববরণ ও মৃত্যুর অর্থনৈতিক ও মানসিক প্রভাব সমাজজীবনে ব্যাপক। কেননা উপার্জনক্ষম ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত কিংবা নিহত হওয়ার কারণে এসব পরিবারের সদস্যদের দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হয় এবং তারা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ওই পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ব্যাহত হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনাকবলিত শিশু ও ব্যক্তি শারীরিকভাবে পঙ্গু হলে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, যা তাদের ব্যক্তি জীবনকে ভারসাম্যহীন করে তোলে। মানসিক ভারসাম্যহীনতা ব্যক্তি জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। এ সমস্যা কোনো কোনো ক্ষেত্রে হত্যায় রূপ নেয়। আবার অনেক সময় পঙ্গু ব্যক্তিটি ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ে কেউ কেউ জীবন নির্বাহের জন্য অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। কেউ কেউ চরম হতাশা লাঘবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

ঘ.

উদ্দীপকের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোতে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেশি। বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর শিশু মারা যায় ৩৪১২ জন, পঙ্গুত্ববরণ করে ১২০০ শিশু। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০-৪৪ বছরের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী অধিক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে নানাবিধ পদক্ষপেগুলো গ্রহণ করতে হবে : ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে সংশিস্নষ্ট সংস্থাকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দায়িত্ব পালনে সচেতন করা, জনসচেতনতা সৃষ্টির লড়্গ্েয প্রচার মাধ্যমকে ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করা।

রাস্তায় গাড়ি বের করার আগে যান্ত্রিক ত্রুটি পরীক্ষা করা, গাড়ির ছাদে যাত্রী বা মালামাল বহন না করা, প্রতিযোগিতা করে গাড়ি না চালানো। ভারী যান চলাচলের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, সকল সিগন্যাল পয়েন্টে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল স্থাপন করা, আধুনিক ও মানসম্মত ড্রাইভিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা, কালভার্ট, ব্রিজ সংস্কার ও পুনরায় নির্মাণ করা। বেপরোয়া ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানো, গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল পরিবহন না করা, অন্য গাড়িকে ওভারটেক না করার বিষয়ে চালকদের সচেতন করতে হবে।গাড়ির চালককে ট্রাফিক আইন মেনে, সাইড, সিগন্যাল, গতি মেনে সতর্কভাবে গাড়ি চালাতে উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি। উলিস্নখিত পদক্ষপেগুলো যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ  

ক. এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১০ সালে পাস হয়।

খ.  যেসব ধ্যানধারণা, বিশ্বাস, লড়্গ্য ও উদ্দেশ্য, সংকল্প মানুষের আচার-আচরণ ও কার্যাবলিকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোর সমষ্টিই হচ্ছে মূল্যবোধ। যে কোনো সমাজের রীতিনীতি মনোভাব এবং সমাজের অন্যান্য অনুমোদিত আচার-আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়। বড়দের শ্রদ্ধা করা, ছোটদের প্রতি স্নেহ প্রভৃতি সামাজিক মূল্যবোধের উদাহরণ। এই মূল্যবোধের অবনতিই সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, যা সামাজিক অসঙ্গতির মূল কারণ।

গ.

উদ্দীপকে ইমনের কাজ করার প্রধান কারণ অর্থনৈতিক দুরবস্থা। মূলত অর্থনৈতিক দুরবস্থা তথা দারিদ্র্যের কারণে আমাদের দেশের যে বয়সের শিশুরা স্কুলে আসা-যাওয়া করবে, সমবয়সীদের সাথে খেলাধুলা করবে ঐ বয়সে তারা জীবিকার জন্য কাজ করে। দরিদ্র পরিবারের পেক্ষ ভরণ-পোষণ মিটিয়ে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগানো মা-বাবার পেক্ষ সম্ভব হয় না। ফলে তাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অভিভাবকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। এ অবস্থায় পিতা বা মাতা মনে করেন, সন্তান কোনো পেশায় নিয়োজিত হয়ে আয় রোজগার করলে পরিবারের উপকার হবে।

তাছাড়া দরিদ্র পরিবারের পিতা মাতা শিক্ষাকে একটি অলাভজনক কর্মকাণ্ড মনে করে। সন্তানদেরকে পনের ও ষোলো বছর ধরে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে যাওয়ার মতো ধৈর্য ও অর্থ তাদের থাকে না। এসব কারণে তারা তাদের শিশুদেরকে বিভিন্ন ধরনের কাজে নিয়োগ করে, যেমনটি উদ্দীপকে উলিস্নখিত তেরো বছর বয়সী শিশু ইমনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। সুতরাং বলা যায় যে, ইমনের কাজ করার প্রধান কারণ হলো দারিদ্র্য তথা অর্থনৈতিক দুরবস্থা।

ঘ.

না, আমি মনে করি উদ্দীপকে উলিস্নখিত শিশুদের কাজ প্রতিরোধে শুধুমাত্র শর্তাবলি আরোপ করাই যথেষ্ট নয়; এর জন্য প্রয়োজন শর্তাবলির বাস্তব ও কার্যকর প্রয়োগ। কেননা জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি ২০১০ -এ শিশুশ্রম বন্ধে কতগুলো সুনির্দিষ্ট লড়্গ্য নির্ধারণ করা হলেও এখনো বাংলাদেশে উলেস্নখযোগ্যভাবে শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি। তাই শিশুশ্রম বন্ধে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি আমাদের উচিত নিজ নিজ প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনদের সচেতন করা। তারা যাতে বাড়িতে শিশুদেরকে শ্রমিক হিসাবে না রাখে। এলাকার কোনো হোটেল, কারখানা, স্টেশনারি দোকানে শিশুশ্রমিক থাকলে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরকে শিশুশ্রম বিষয়ে যেসব আইন ও নীতিমালা আছে তা জানানো।

তাছাড়া শিশুশ্রম বন্ধে বড়দের সহায়তার নাটক, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ও বিভিন্ন ধরনের গণসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। সর্বোপরি যেসব শিশু শিশুশ্রমের সাথে জড়িত তাদের অভিভাবকদের শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে সচেতন করার মাধ্যমে শিশুশ্রম কমানো যেতে পারে। সুতরাং উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেড়্গেিত বলা যায় যে, উদ্দীপকে উলিস্নখিত শিশুদের কাজ প্রতিরোধে শুধুমাত্র শর্তাবলি আরোপ করাই যথেষ্ট নয়।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ

ক.  বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ‘যৌতুক নিষিদ্ধকরণ আইন’ ১৯৮০ সালে পাস হয়।

খ.  বাংলাদেশের অধিকাংশ বিবাহিত নারী কেবল গৃহকর্মেই নিযুক্ত থাকে। ঘরের সব কাজ করলেও তার কোনো অর্থ উপার্জন হয় না। তারা স্বামীর সংসারে পরনির্ভরশীল জীবনযাপন করে। তাই এদেশের নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামীর নিগ্রহ ও নির্যাতন ভোগ করে।

গ.

যৌতুকলোভী রাজিব তার স্ত্রী মিতাকে নির্মমভাবে খুন করে। রাজিবের অপরাধের শাস্তি ১৯৮৩ সালের আইনের আওতায় হতে পারে। ১৯৮৩ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী যৌতুকের কারণে নির্যাতন করে নারীর মৃত্যু ঘটালে বা মৃত্যু ঘটানোর চেষ্টা করলে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে। যেহেতু রাজিব যৌতুকের কারণে মিতাকে হত্যা করেছে তাই যৌতুকলোভী রাজিবের অপরাধের শাস্তি ১৯৮৩ সালের আইনের আওতায় হতে পারে।

ঘ.

উদ্দীপকে বর্ণিত উচ্চশিক্ষিত মিতা যৌতুকের কারণে স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়। এক্ষেত্রে বলা যায়, কেবল উচ্চশিক্ষা যৌতুকের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে যথেষ্ট নয়। বরং, আমি মনে করি এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যৌতুকবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শিক্ষিত মানুষ, আইনজীবী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং স্থানীয় উন্নয়ন কর্মীদের সহায়তা গ্রহণ করা দরকার। সবাই মিলে একটি যৌতুকবিরোধী সংগঠন গড়ে তুললে এই সামাজিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

এই সংগঠন যৌতুকের কারণে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে এবং তাদের সব ধরনের সহায়তাসহ আইনি সহায়তাও দেবে। তাছাড়া, এ সংগঠন যৌতুকবিরোধী সভা, পদযাত্রা এবং র‌্যালি করতে পারে। এতে সব মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে এবং যৌতুকের থাবা থেকে রক্ষা পাবে আমাদের সমাজ। সুতরাং মিতার মতো উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের বাঁচাতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণির প্রশ্ন সমাধান ও উত্তর পেতে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা ৮ম শ্রেণি দশম অধ্যায়

৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৯ম অধ্যায় MCQ প্রশ্ন উত্তর

One Comment on “বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যা সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। ৮ম শ্রেণি”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *