আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর- PDF

আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্ন

‘আমি কোনাে আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি জন্মভূমির সঙ্গে তার নিজের বন্ধন ও মানুষের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরেছেন। এখানে গ্রামীণ জনপদের সঙ্গে নিবিড় বাধনে বাধা মানুষের জীবনাচরণ ফুটে উঠেছে। গ্রামীণ প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে কবির প্রাত্যহিক জীবনের সম্পৃক্ততার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

গ্রামের মাঠ-ঘাট-পথ-প্রান্তরের মতাে খেতের সরু পথ, তার পাশে ধানের সমারােহ, একটু দূরে বিশাল নদীর কিনার কবির মনের ভেতর, অস্থিমজ্জায় গ্রথিত হয়ে আছে। কবির কাছে দেশ মানে আপন সত্তায় অনুভব করা। তিনি নিজেকে কোনাে আগন্তুক নন বলে যে দাবি করেছেন, তার সপক্ষে প্রকৃতির নানা কিছুর সঙ্গে পরিচয়ের কথা বলেছেন। নিচে আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ দেওয়া আছে।

আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্ন

এই কবিতা অনুসারে অনেক ধরনের সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। যেই প্রশ্ন গুলো পাঠ্য বইয়ে দেওয়া নেই। এখানে দেওয়া সৃজনশীল গুলো অনুশীলনের মাধ্যমে বোর্ড প্রশ্ন সম্পর্কে জানতে পারবেন। যারা যারা আমি কোনো আগন্তুক নই কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে চান, নিচে থেকে সংগ্রহ করুন।

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ 

জর্জের জন্ম ইউরোপের দেশ স্পেনে। ১৯৮৫ সালে মাদকাসক্তদের নিরাময়ের ব্যাপারে কাজ করার জন্য তিনি বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও মানুষের অন্তরঙ্গ ব্যবহার তাঁকে মুগ্ধ করে। তাই তিনি এই দেশেই স্থায়ী বসতি গড়েছেন। বাংলাদেশের সাথে তাঁর প্রাণ বাঁধা পড়েছে গভীরভাবে। এ দেশের সাথে যেন তাঁর চিরকালের পরিচয়।

ক. ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতায় জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা কী?
খ. ক্লান্ত বিকেলের পাখিরা কবিকে চেনে কেন?
গ. উদ্দীপকের জর্জের এদেশে অবস্থানের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অবস্থানের অমিল ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উক্ত পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি জর্জ ও কবির অনুভূতি একই’- উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ  
শাকিল সাহেবের জন্ম হয়েছিল বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। গ্রামের এক স্কুলেই তাঁর পড়ালেখা শুরু। তারপর শহরের কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। অবশেষে বর্তমানে আমেরিকায় আছেন। মাঝে মাঝে দেশে এলেও গ্রামে কখনো যান না। তাঁর নাকি গ্রাম ভালো লাগে না। তাছাড়া এদেশের কোনো সাধারণ মানুষের সাথে তিনি মিশতে চান না। ব্যবসার কাজে দেশে এলে কয়েক দিন শহরের দামি হোটেলে থেকে আবার আমেরিকা চলে যান।
ক. কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
খ. ‘আমি কোনো অভ্যাগত নই’- উক্তিটি দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের শাকিলের দেশের প্রতি যে বিরূপ ধারণা তার সাথে তোমার পঠিত ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির তুলনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শাকিল সাহেব এবং তোমার পঠিত আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্ম একইসূত্রে গাঁথা, কিন্তু মানসিকতায় ভিন্ন।”- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর 

এখানে উপরের দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই উত্তর গুলো অনেকেই জানেন না। তাই এখান থেকে সংগ্রহ করে নিবেন। কবিতার আলোকে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর তৈরি করা হয়েছে।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ১ঃ 

ক. ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতায় জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা নিশিন্দার ছায়া।

খ. কবি প্রকৃতি সান্নিধ্যে বেড়ে ওঠায় ক্লান্ত বিকেলের পাখিদের সাথে প্রতিনিয়ত তাঁর দেখা হয় বলে তারা কবিকে চেনে।কবি জন্মভূমিকে নিজের অস্তিত্বে ধারণ করেছেন। জন্মভূমির প্রকৃতির মাঠ-ঘাট, খেত-খামার, পশুপাখি সবকিছুকেই কবি কাছে থেকে দেখেছেন। তিনি বিকেলে ক্লান্ত পাখিদের নীড়ে ফেরা প্রত্যক্ষ করেছেন। তারাও কবিকে দেখেছে। এজন্য এই পাখিরা কবিকে চেনে।

গ.

উদ্দীপকের জর্জ অন্য দেশ থেকে এদেশে এসে অবস্থান করেছেন। আর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি জন্ম থেকে এদেশে অবস্থান করায় তাঁদের মধ্যে অমিল ফুটে ওঠে।

জন্মভূমির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। তাই জন্মভূমির সবকিছুকেই মানুষের চেনা মনে হয়। জন্মভূমির মাঝে শিকড় গেড়ে থেকেই সমগ্র দেশকে আপন করে পাওয়া যায়। জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসা থাকলে তাকে একান্ত আপনার মনে হয়। জন্মভূমির প্রতি এই গভীর অনুভূতি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির মাঝে প্রকাশিত হয়েছে। কবি এদেশেই জন্মেছেন। তাই এদেশের সবকিছু তাঁর চেনাজানা।

উদ্দীপকের জর্জের সাথে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য ফুটে উঠেছে। জর্জের জন্মভূমি হলো স্পেন। তিনি একটি কাজে বাংলাদেশে এসে স্থায়ী হয়েছেন। এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন উভয়ের মনে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছে। দু’জনেই এদেশকে ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। কিন্তু ‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ কবিতার বর্ণিত কবি ভিনদেশি নন। ফলে কবিতার কবি এবং উদ্দীপকের জর্জের মাঝে অবস্থানগত ভিন্নতা ফুটে উঠেছে।

ঘ.

অবস্থানগত ভিন্নতা থাকলেও উদ্দীপকের জর্জ এবং ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি এদেশকে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন।

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় দেশের প্রতি কবি গভীর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন। দেশের সাথে তার আজীবনের সম্পর্ক। তিনি তাঁর সত্তায় সমগ্র দেশকে আপন করে পেয়েছেন। তাই তো তিনি বলেছেন, আমি কোনো আগন্তুক নই। কবি এদেশের আসমান, জমিন, ফুল, ফল, পাখি, মানুষ সবকিছুকে চেনেন। তারাও কবিকে চেনে। কবি তাদের চিরচেনা স্বজন। দেশের প্রতি কবির এ গভীর অনুভূতি তাকে সকলের কাছে আপন করে তুলেছে।

উদ্দীপকের জর্জ অন্য দেশ থেকে এলেও তিনি এদেশের সাথে বাঁধা পড়েছেন গভীরভাবে। এদেশের মানুষের সাথে মিশে তাদের সাথে জর্জের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। জর্জ আপন অনুভূতি দিয়ে গভীরভাবে এদেশকে অনুভব করেছেন। ফলে এদেশে স্থায়ী বসতি গড়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। বসতি গড়ার ফলে জর্জ এদেশের সবকিছুকে আপন করে নিয়েছেন। সকলে তার পরিচিতজন হয়ে উঠেছে।

উদ্দীপকের জর্জের অনুভূতি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির অনুভূতিতেও প্রকাশ পেয়েছে। জর্জ যেমন এদেশের সাথে গভীরভাবে বাঁধা পড়েছেন, কবিও তাই। এদেশের প্রকৃতি ও জনজীবন উভয়ের মনে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়েছে। দুজনেই এদেশকে ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। এজন্যই এদেশের সবকিছু তাঁদের কাছে আপন বলে মনে হয়েছে। তারা উভয়ই এদেশকে গভীরভাবে আপন সত্তায় অনুভব করেছেন। তাই প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর ২ঃ 

ক. কবি আহসান হাবীবের প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম ‘রাত্রিশেষ’।

খ. ‘আমি কোনো অভ্যাগত নই’- বাক্যটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে কবি এদেশের কোনো আমন্ত্রিত অতিথি নন।জন্মভূমি মায়ের মতো। জন্মভূমির সাথে মানুষের তাই গভীর সম্পর্ক। কবিরও রয়েছে মাতৃভূমির প্রতি প্রবল অনুরাগ। নিজভূমির সবকিছুই তিন চেনেন। তিনিও সবার পরিচিত, অতি আপনজন। তাই তিনি বলেছেন “আমি কোনো অভ্যাগত নই।” অর্থাৎ জন্মস্থানের সথে তাঁর সম্পর্ক বহু পুরনো।

গ.

দেশের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ করার কারণে উদ্দীপকের শাকিলের মনোভাব আমি কোনো আগন্তুক নই। কবিতার কবির মনোভাবের সম্পূর্ণ বিপরীত।

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জন্মভূমির প্রতি গভীর মমত্ববোধ প্রকাশিত হয়েছে। কবি তাঁর আপন সত্তায় এদেশের চারপাশকে উপলব্ধি করেছেন। জন্মভূমির ‘মানুষকেই শুধু নয়, ফুলফল, গাছপালা, নদী, পাখি, জোনাকি সব কিছুকেই অনুভব করেছেন গভীরভাবে। তিনি বলতে চেয়েছেন সবকিছু তাঁর পরিচিত এবং তিনিও সবার পরিচিত।

উদ্দীপকে শাকিল সাহেবের জন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও গ্রাম তাকে টানে না। গ্রামের মানুষ ও প্রকৃতিকে তিনি ভালোবাসতে পারেননি। তাই এসবের প্রতি তিনি কোনো আকর্ষণ অনুভব করেন না। তিনি শিক্ষিত হয়েছেন বটে কিন্তু তার ভেতর দেশপ্রেম জাগ্রত হয়নি। অন্যদিকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি দেশের ধুলাবালিকেও ভালোবাসেন। দেশের প্রতি এই মমত্ববোধের জাগরণ আমরা উদ্দীপকের শাকিল সাহেবের ক্ষেত্রে লক্ষ করি না।

ঘ.

উদ্দীপকে শাকিল সাহেব ও ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্মস্থান বঙ্গভূমি হলেও দেশকে ভালোবাসার মানসিকতার মাঝে ভিন্নতা রয়েছে।

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবি তাঁর জন্মভূমির একান্ত স্বজনদের বলতে চেয়েছেন, আমি তোমাদের লোক। তিনি তাঁর জন্মভূমির অপত্য স্নেহে বেড়ে উঠেছেন। গ্রামীণ চিরচেনা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। তিনি প্রকৃতির সবকিছুকে সাক্ষী রেখে বলেছেন, তিনি এ মাটির সন্তান।

উদ্দীপকের শাকিল সাহেব জন্মভূমিতে দীর্ঘসময় পার করে বর্তমানে আমেরিকাপ্রবাসী। তার অতীত জীবন এবং গ্রামবাংলার চিরচেনা রূপ সৌন্দর্য তাকে কাছে টানে না। কারণ তিনি সেই অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছেন অথবা তিনি তাঁর জন্মভূমিকে কোনো দিন সেভাবে ভালোই বাসেননি। ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির মাঝে এই মনোভাবের বৈপরীত্য লক্ষ করা যায়।

উদ্দীপকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতা বিশ্লেষণ করলে আমরা পাই, শাকিল সাহেব প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম নিলেও তিনি দেশের সন্তান হয়ে উঠতে পারেননি। ব্যক্তিগত কাজে দেশে এসেও দেশের প্রকৃতি ও জনজীবনের মূলকেন্দ্র অর্থাৎ গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকেন। জন্মভূমির প্রতি তার আকর্ষণ প্রবল। তাই জন্মভূমির বিভিন্ন উপকরণকে স্মরণ করেছেন। আলোচনাটি থেকে এটি স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকের শাকিল সাহেব ও ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কবির জন্ম প্রত্যন্ত গ্রামে হলেও দুজনের মানসিকতায় ভিন্নতা রয়েছে।

আমি কোনো আগন্তুক নই কবিতার  সৃজনশীল প্রশ্ন  ও উত্তর পিডিএফ

এখানে আমি কোনো আগন্তুক নই এই কবিতা থেকে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন শেয়ার করা হয়েছে। যারা অতিরিক্ত সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পড়তে চান, তারা নিচে দেওয়া সৃজনশীল টি পড়ুন। নিচের অংশে উত্তর টি দেওয়া আছে।

আমি বাংলায় গান গাই, আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই
বাংলায় খুঁজে পাই।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন, আমি বাংলায় বাঁধি সুর-
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
হেঁটেছি এতটা দূর।

ক. মাছরাঙা কাকে চেনে?
খ. কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত কেন?
গ. উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার কোন চেতনাকে ধারণ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মূলভাবের সম্পূর্ণ প্রকাশক কি? তোমার মতামত দাও।

প্রশ্নের উত্তরঃ

ক. মাছরাঙা কবিকে চেনে।

খ. অভাব ও পুষ্টিহীনতায় কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কদম আলী গ্রামীণ সমাজের অভাবী মানুষের প্রতিনিধি। সংসারের অভাবের কারণে তাঁর মতো মানুষদের ঠিকমতো আহার জোটে না। ফলে শরীরের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয় না। আর এ কারণেই কদম আলী অকাল বার্ধক্যে নত।

গ.

উদ্দীপক কবিতাংশটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় বর্ণিত জন্মভূমির সাথে মানুষের গভীর সম্পর্কের চেতনাকে ধারণ করে।

জন্মভূমির সাথে মানুষের আজীবনের সম্পর্ক। এটি ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবি গভীরভাবে ব্যক্ত করেছেন। কবি এদেশে বাস করে আপন সত্তায় সমগ্র দেশকে ধারণ করেছেন। এদেশের মাঠ-ঘাট, ফুল-ফল, মানুষ, পাখি, গাছপালা, মানুষ জন সবকিছুকেই কবি একান্ত আপনার করে নিয়েছেন। সকলের সাথে তিনি গভীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। জন্মভূমির সাথে গভীর সম্পর্কের এই চেতনাকে কবি আপন সত্তায় লালন করে চলেছেন।

উদ্দীপক কবিতায় বর্ণিত এই জন্মভূমির প্রতি গভীর ভালোবাসার দিকটিই প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে কবি বাংলাকে গভীরভাবে আপন সত্তায় ধারণ করেছেন। ফলে কবির চলাফেরা, হাসি-গান, আনন্দ-বেদনা, সবকিছুর মাঝেই বাংলাকে খুঁজে পেয়েছেন। দেশকে গভীরভাবে অনুভব করলেই নিজের অস্তিত্বে তাকে অনুভব করা যায়। উদ্দীপকের কবি দেশকে নিজের অস্তিত্বে অনুভব করেছেন। আর ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় কবির মাঝে এই চেতনাই প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ.

উদ্দীপকে ‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতার মতো জন্মভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ অনুরাগ ও আত্মিক সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরায় তা কবিতার সম্পূর্ণ মূলভাবের প্রকাশক।

‘আমি কোনো আগন্তুক নই’ কবিতায় জন্মভূমির সাথে কবির গভীর সম্পর্কের দিকটিই প্রধান হয়ে উঠেছে। কবি জন্মভূমির মধ্যে শিকড় গেঁড়ে সমগ্র দেশকে আপন করে নিয়েছেন। তিনি নিজের অনুভূতি দিয়ে চারপাশের সবকিছুকে অনুভব করেন। কবির এই অনুভবই কবিতায় মূলবক্তব্য হয়ে ফুটে উঠেছে।

উদ্দীপকের প্রধান বিষয় হলো কবির দেশপ্রেমের চেতনা। সেখানে কবি জন্মভূমি বাংলার মাঝে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। আপন করে নিয়েছেন বাংলার মাঠ-ঘাট, প্রকৃতিকে। বাংলার সাথে তার গড়ে উঠেছে আজীবনের সম্পর্ক। সে কারণেই সবকিছুতে বারবার বাংলাকেই খুঁজে পান। দেশের সাথে এই গভীর সম্পর্কের দিকটিই উদ্দীপকের মূল বক্তব্য হয়ে উঠেছে।

‘আমি কোনো আগুন্তক নই’ এবং উদ্দীপক উভয়ের আলোচনার বিষয় হলো দেশেপ্রেমের চেতনা। উভয় কবির মাঝেই গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে জন্মভূমির সাথে গভীর সম্পর্কের দিকটি। কবিতার কবি বারবার নিজেকে এ মাটির সন্তান বলে ঘোষণা করেছেন। উদ্দীপক কবিতাংশের কবিও নিজের অস্তিত্বে গভীরভাবে অনুভব করেন বাংলাকে। বাংলাকে ঘিরেই তাঁর সব স্বপ্ন, সাধনা।

শেষ কথা

পরীক্ষার জন্য সৃজনশীল প্রশ্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সবাই এই প্রশ্ন গুলো মনোযগ সহ কারে পড়বেন।  আশা করছি এই পোস্ট থেকে আমি কোনো আগন্তুক নই সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

আমি কোনো আগন্তুক নই-আহসান হাবীব। বাংলা কবিতা

বৃষ্টি কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- এস এস সি

আশা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ। এস এস সি

আশা কবিতা সিকান্দার আবু জাফর পিডিএফ- এস এস সি