চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম এবং নতুন পদ্ধতি দেখেনিন

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম এবং নতুন পদ্ধতি দেখেনিন আজকের এই পোস্ট থেকে। বর্তমানে চাকরির নেওয়ার প্রথম ও প্রধান ধাপ হচ্ছে সঠিক ভাবে সিভি লেখা। এই চিভির মাধ্যমে সেই সকল চাকরির প্রতিষ্ঠান গুলো আপনার সম্পর্কে জানতে চায়। তাই চাকরি নিতে হলে আপনাদের কে অবশ্যই তাদের কাছে চিভি উপস্থাপন করতে হবে। এই সিভি লেখার জন্য কিছু নিয়ম- কানুন রয়েছে। আপনারা যখন চিভি লিখবেন এই সিভিতে কিছু অংশ রয়েছে এগুলো মেনে লেখার চেষ্টা করবেন।

আপনারা অনেকে হয়তো সিভি লেখার সঠিক নিয়ম গুলো জানেন না। তাই আপনাদের জন্য আজকের এই পোস্টে চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম  ও সঠিক পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা হবে। এখানে আপনার চাকরির জন্য সিভির মাধ্যমে আবেদন করার পদ্ধতি জানতে আজকের এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন।

CV সিভি কি?

সিভি লেখার নিয়ম জানার জন্য আগে আপনাকে জানতে হবে সিভি কি বা আপনারা কেন সিভি লিখবেন। সিভি হচ্ছে CV(Curriculum Vitae).  আবেদন পত্র দরখাস্ত লেখার মধ্য একটি পদ্ধতি যেখানে চাকরির জন্য আবেদন করা হয়। চাকরির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাজের দক্ষতা পড়াশোনার অবস্থা ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে  এই সিভির মাধ্যমে জানা হয়। এই সিভিতে চাকরির জন্য আবেদন করা হয়।

সিভি লেখার বিভিন্ন অংশ

একটি সিভির ভিতরে কয়েক টি অংশে ভই একটি ছবির ভিতরে কয়টি অংশ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে বিভক্ত ভাগ করা হয়। তাই সিভি লেখার সময় অবশ্যই এই অংশ গুলো সঠিক ভাবে পুরন করতে হবে। এই সিভি হছে আপনার চাকরির জন্য প্রধান ধাপ। নিচে সিভি লেখার বিভিন্ন অংশ গুলো দেওয়া আছে। সেগুলো এক নজরে দেখেনিন।

  • নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা
  • ছবি
  • ব্যক্তিগত প্রোফাইল
  • পেশাগত অভিজ্ঞতা
  • শিক্ষা
  • প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা
  • আকর্ষণীয় শখ
  • ভাষা দক্ষতা
  • কম্পিউটার দক্ষতা
  • রেফারেন্স
  • অঙ্গীকারনামা

এই উপরক্ত বিষয় গুলো সিভি লেখার সময় অবশ্যই মনে রাখতে হবে। কারণ এগুলো হচ্ছে সিভির ভিতরে থাকা প্রধান অংশ। যখন আপনার এই সিভি টি চেক করা হবে এই বিষয়গুলো কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম

এখানে চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম দেখানো হয়েছে। তাই আপনারা যারা যারা চাকরির জন্য সিভি লিখে আবেদন করতে চান তারা নিচের এই অংশ টুকু মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং সিভি লেখার সঠিক পদ্ধতি গুলো জেনে নিন।

নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা

সিভির প্রথম অংশে আপনার নাম দিতে হবে। তার পাশাপাশি আপনার যোগাযোগের ঠিকানা টি অবশ্যই রাখতে হবে। এখানে আপনার যোগাযোগের নাম্বার ও সোশ্যাল মিডিয়ার সকল যোগাযোগের সাইট গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

ছবি

এখানে আপনার একটি ছবি ব্যবহার করতে হবে। এই ছবির সাইজ অবশ্যই পাসপোর্ট হতে হবে। সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহিত ছবি গুলো এখানে ব্যবহার করবেন না। আপনার ছবি টি অবশ্যই কিলিয়ার থাকতে হবে।

ব্যক্তিগত প্রোফাইল

এখানে আপনার পারস্পারিক জীবনের একটি প্রোফাইল রাখতে হবে। আপনার জীবনের লক্ষ্য, আপনার কিছু বক্তব্য এগুলো এখানে রাখার চেষ্টা করবেন। তবে বেশি বড় করা যাবে না।

পেশাগত অভিজ্ঞতা

এখানে আপনার পেশাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানান। অর্থাৎ আপনার পূর্বের কোনো কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এই অংশে উপস্থাপন করুন। সর্বশেষ যেখানে চাকরি করেছেন, সেটি লিখে বাকি প্রতিষ্ঠানের নামগুলো পর্যায়ক্রমে লিখুন। প্রতিষ্ঠানের নাম, সেখানে আপনার কাজের বিবরণ এবং আপনার অর্জন লিখতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠানে কত দিন কাজ করেছেন, সেটিও উল্লেখ করুন।

শিক্ষা

সিভির আরেক টি অন্যতম প্রধান বিষয় হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা। কারণ আপনার শিক্ষাগত কোনো যোগ্যতা না থাকলে তাহলে কোনো চাকরি পেতে পারবেন না। তাই সিভি তে আপনার সকল ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করুন।

প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা

আপনি যদি পূর্বেই কাজ সম্পকে কোনো ধারনা বা অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য সেটা অনেক ভালো। তাই আপনার ধারনাক্রিত কাজের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা সম্পর্কে এখানে কিছু জানান।

আকর্ষণীয় শখ

আপনার অবশ্যই পছন্দনীয় একটি শখ রয়েছে। এখানে ভালোকিছু আপনার সখ গুলো প্রকাশ করুন। অপছন্দনিয় শখ যোগ করা থেকে বিরত থাকুন। দলগত যেকোনো ইভেন্ট ভালো শখ হতে পারে।

ভাষা দক্ষতা

আপনি বাংলাদেশি হলে বাংলা আপনার নিজস্ব ভাষা। আপনি হয়তো বাংলা ভাষার পাশা-পাশি ইংরেজি ভাষা জানেন। আরও কোনো ভাষা জানা থাকলে সেটা আপনার জন্য ভালো তবে আপনাকে ইংরেজি ভাষা জানা থাকাটা অনেক জরুরি। তাই সিভি লেখার সময় আপনার যেসব ভাষা জানা আছে সেগুলো উল্লেখ করবেন।

কম্পিউটার দক্ষতা

কম্পিউটার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম অংশ। চাকরির ক্ষেত্রে বা অন্য যেকোনো বিষয়ে কম্পিউটার এরব্যবহার বিপুল পরিমাণ বেড়ে চলেছে। চাই আপনি যদি কম্পিউটার  ব্যবহার করতে জানেন তাহলে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে। তাই চেষ্টা করবেন কম্পিউটার এর উপরে পুরপুরি ধারনারাখার জন্য।

রেফারেন্স

আপনেকে যারা চাকরির জন্য গণ্য বলে রেফারেন্স দিবে তাদের  নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করতে হবে। যাঁর রেফারেন্স দেবেন, অবশ্যই তাঁর অনুমতি নিতে হবে। বিনা অনুমুতিতে কারও রেফারেন্স আপনার সিভিতে ব্যবহার করা যাবে না।

অঙ্গীকারনামা

এই সিভিতে আপনার সঠিক তথ্য দিতে হবে। কোনো ভুল নাম, পরিচয়য়, যোগাযোগের ঠিকানা ইত্যাদি দেওয়া যাবে না।

অঙ্গীকারনামা

সিভিতে কোনো অবস্থাতেই মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেওয়া যাবে না। অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করতে হবে, আপনার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল। লেখার নিচে আপনার স্বাক্ষর থাকতে হবে।

চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম   পদ্ধতি

আপনারা অনেকে সিভি লেখার পদ্ধতি দেখার জন্য গুগলে খুঁজে থাকেন। তাই এখানে চাকরির জন্য সিভি লেখার পদ্ধতি এখানে দেখানো হয়েছে। নিচে থেকে সিভি লেখার সম্পূর্ণ পদ্ধতি দেখেনিন।

তারিখঃ যে তারিখে লিখবেন
বরাবর
___ ( যারা আপনার সিভি মূল্যায়ন করবেন তাদের নাম)
কোম্পানির নাম
ঠিকনা
বিষয়ঃ ‘(যে পদে আবেদন করবেন তার নামা)’ পদে নিয়োগের জন্য আবেদন।
জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, গত (এখানে তারিখ দিবেন) তারিখে (যেখানে আপনি বিজ্ঞপ্তি দেখেছেন) প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানতে পারলাম, আপনার অধীনে ‘(যে পদে আবেদন করবেন তার নাম)’ পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদে নিয়োগ লাভে একজন আগ্রহী প্রার্থী হিসেবে মহোদয়ের সদয় বিবেচনার জন্য নিচে আমার যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশ করলামঃ

নাম                      : আপনার নাম

পিতার নাম          : আপনার পিতার নাম

মাতার নাম          : আপনার মাতার নাম

স্থায়ী ঠিকানা       : আপনার স্থায়ী ঠিকানা

বর্তমান ঠিকানা  : আপনার বর্তমান ঠিকানা

জন্ম তারিখ         : আপনার জন্ম তারিখ

জাতীয়তা            : বাংলাদেশী

ধর্ম                       :  আপনার ধর্ম

শিক্ষাগত যোগ্যতা : আপনার সর্বচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা

পরীক্ষার নাম      শাখা/বিষয়  পাশের সন    ফলাফল        বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়

এস.এস.সি        মানবিক      ২০০৩         জিপিএ ৩.৯      ঢাকা ( এখানে আপনার নিজস্ব বোর্ড)

এইচ.এস.সি      মানবিক       ২০০৫        জিপিএ ৪.২৫ ঢাকা ( এখানে আপনার নিজস্ব বোর্ড)

বি.এ (সম্মান)     রাষ্ট্রবিজ্ঞান   ২০০৮         দ্বিতীয় শ্রেণী     জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

এম.এ              রাষ্ট্রবিজ্ঞান   ২০০৯         দ্বিতীয় শ্রেণী     জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

অভিজ্ঞতা:  পুর্বে যদি আপনার কোনো কাজের অভিজ্ঞতা থাকে এখানে দিন।

অতএব, মহোদয় সমীপে বিনীত আরজ, উল্লিখিত তথ্য সুবিবেচনাক্রমে আমাকে ‘(যে পদে আবেদন করবেন তার নাম)’ পদে নিয়োগ দান করে আমার শ্রম ও মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে চাকরি করার সুযোগ দানে মর্জি হয়।

নিবেদক
নামঃ (আপনার নাম)
সংযুক্তিঃ
১। ছবি ২ কপি। (পাসপোর্ট সাইজ )
২।একডেমিক সকল সনদপত্রের সত্যায়ি কপি।
৩। চারিত্রিক সনদপত্র।
৪। নাগরিকত্ব সনদপত্র।

শেষ কথা

সর্বপরি আপনার সিভি তাকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যেহেতু চাকরির জন্য আবেদন এর প্রধান ধাপ হচ্ছে সিভি। আশা করছি আপনারা চাকরির জন্য সিভি লেখার নিয়ম এবং নতুন পদ্ধতি দেখেনিতে পেরেছেন। এই পোস্ট টি ভালোলেগে থাকলে শেয়ার করে দিতে পারেন। এই রকম শিক্ষা রিলেটেড আরও পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের খবর ও তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ভিজিট করতে পারেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

See More: 

আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২

এসএসসি পরীক্ষার রুটিন ২০২২ All board PDF File here Now

হাতের লেখা সুন্দর করার পদ্ধতি

এসএসসি পরিক্ষা ২০২২ শর্ট সিলেবাস সংগ্রহ 

আবেদন পত্র বা দরখাস্ত লেখার নিয়ম ২০২২

সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেয়ার সহজ উপায় এবং কমন কিছু বই