সুখী মানুষ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর। পিডিএফ

সুখী মানুষ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এই পোস্টে সুখী মানুষ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া আছে। সুখী মানুষ’ নাটিকাটি একজন অত্যাচারী মােড়লের কাহিনি নিয়ে রচিত । মােড়ল মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হয়েছে। সে এখন অসুস্থ। তার মনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনাে সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই শুধু মােড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না।অবশেষে একজনকে পাওয়া গেল , যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনােভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। সে সুখে ঘুমাতে পারে, কারণ তার কোনাে সম্পদ নেই। ফলে তার কোনাে চোরের ভয় নেই। নিচে থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দেখেনিন।

সুখী মানুষ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-০১। কোন গ্রামের মানুষকে মােড়ল খুব জ্বালিয়েছে ?
উত্তরঃ সুবৰ্ণপুর গ্রামের মানুষকে মােড়ল খুব জ্বালিয়েছে ।

প্রশ্ন-০২। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার লেখক কে?
উওরঃ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার লেখক মমতাজ উদ্দীন আহমদ।

প্রশ্ন-০৩। কবিরাজের মতে বাঘের চোখ সংগ্রহের চেয়ে কঠিন কাজ কী ?
উত্তরঃ কবিরাজের মতে বাঘের চোখ সংগ্রহের চেয়েও কঠিন কাজ হলাে সুখী মানুষের ফতুয়া সংগ্রহ করা।

প্রশ্ন-০৫। “সুখী মানুষ” নাটিকার দ্বিতীয় সংলাপটি কার?
উত্তরঃ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় দ্বিতীয় সংলাপটি রহমতের।

প্রশ্ন-০৬। সুখি মানুষ’ নাটিকার দৃশ্য কয়টি?
উত্তরঃ ‘সুখি মানুষ’ নাটিকার দৃশ্য দুটি ।

প্রশ্ন -০৭। কবিরাজের বয়স কত?
উত্তরঃ কবিরাজের বয়স ষাট বছর।

প্রশ্ন-০৮। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মােড়লের চরিত্রটি কোন প্রকৃতির?
উত্তরঃ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকার মােড়লের চরিত্রটি লােভী ও অত্যাচারী।

প্রশ্ন-০৯। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় হা হা করে পাগলের মতাে হেসে উঠেছিল কে ?
উত্তরঃ ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় সুখি মানুষটি হাহা করে পাগলের মতাে হেসে উঠেছিল।

প্রশ্ন-১০। ‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় মানুষের অশান্তির মূল কারণ কী?
উত্তরঃ সুখী মানুষ নাটিকায় মানুষের অশান্তির মূল কারণ অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থবিত্ত ।

প্রশ্ন-১১। ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’ মমতাজ উদ্দিন আহমদের কোন ধরনের রচনা ?
উত্তরঃ ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’ মমতাজ উদ্দিনের নাটক।

প্রশ্ন-১২। কে মােড়লের নাড়ি পরীক্ষা করছে ?
উত্তরঃ কবিরাজ মােড়লের নাড়ি পরীক্ষা করছে।

প্রশ্ন-১৩। কী গায়ে দিলে মােড়লের অসুখ ভালাে হবে ?
উত্তরঃ সুখী মানুষের ব্যবহৃত ফতুয়া গায়ে দিলে মােড়লের অসুখ ভালাে হবে।

প্রশ্ন-১৪। মােড়ল কার মুরগি জোর করে জবাই করে খেয়েছে ?
উত্তরঃ মােড়ল হাসুর মুরগি জোর করে জবাই করে খেয়েছে ।

প্রশ্ন-১৫। মােড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম কী ?
উত্তরঃ মােড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম রহমত।

সুখী মানুষ গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১৬। মানুষের কান্না দেখলে মোড়ল কী করত?
উত্তর: হাসত।

প্রশ্ন-১৭।  সুখী মানুষটি খেয়ে দেয়ে কী করে?
উত্তর:  গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ে।

প্রশ্ন-১৮।  ‘চোর আমার কী চুরি করবে?’-উক্তিটি কার?
উত্তর: সুখী মানুষটির।

প্রশ্ন-১৯।  কবিরাজ মোড়লের মুখে কী ঢেলে দিতে বলেছিল ?
উত্তর: শরবত।

প্রশ্ন-২০।  মোড়ল জোর করে হাসুর কী খেয়েছিল ?
উত্তর: মুরগী।

প্রশ্ন-২১।  মোড়ল হাসুকে কী এনে দেওয়ার কথা বলেছিল?
উত্তর: শান্তি।

প্রশ্ন-২২।  মোড়ল কার মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা করেছিল ?
উত্তর: কবিরাজের।

প্রশ্ন-২৩।  মোড়লের কী রোগ হয়েছিল?
উত্তর: হাড় মড়মড় রোগ।

প্রশ্ন-২৪। মোড়ল সম্পর্কের দিক থেকে হাসুর কী হয়?
উত্তর: মামাতো ভাই।

প্রশ্ন-২৫। কবিরাজ কত সময়ের মধ্যে একজন সুখী মানুষের জামা আনতে বলেছিল?
উত্তর: রাত্রের মধ্যে ।

প্রশ্ন-২৬। জামা এনে দিতে পারলে মোড়ল কত টাকা বকশিশ দিতে চেয়েছিল?
উত্তর: হাজার টাকা।

প্রশ্ন-২৭।  ছোট একটি কুঁড়ে ঘরের সামনে হাসু ও রহমত কী করছিল?
উত্তর: গালে হাত দিয়ে ভাবছিল।

প্রশ্ন-২৮।  কতটি গ্রাম খুঁজে একজনও সুখী মানুষ পাওয়া গেল না?
উত্তর: পাঁচটি গ্রাম।

প্রশ্ন-২৯। সুখী মানুষটি সারাদিন কী কাজ করে?
উত্তর: বনে বনে কাঠ কাটে।

প্রশ্ন ৩০।  কবিরাজ মোড়লের ব্যাধি ভালো করার জন্যে কী আনতে বলেছিল?
উত্তর: একজন সুখী মানুষের জামা।

সুখী মানুষ গল্পের  অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন-০১। ‘মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধেও কাজ হয় না।’-এ কথার অর্থ বুঝিয়ে লেখ ।।

উত্তরঃ “মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে ওষুধে কাজ হয় না।”-বলতে মানসিক যন্ত্রণায় কাতর মানুষের যে ঔষধ সেবনে কাজ হয়, শারীরিক উপশম লাভ করা যায় না তা বােঝানাে হয়েছে।‘সুখী মানুষ’ নাটিকায় কথাটি মােড়লকে বলেছে তার ফুফাত ভাই হাসু । মােড়ল একজন অত্যাচারী, অবিবেচক লােক। মানুষের অধিকার হরণ করে সে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তার মধ্যে অনুশােচনা জাগ্রত হয়েছে, যার ফলে শারীরিক অশান্তির চেয়ে মানসিক অশান্তিই বেশি দেখা দিয়েছে। হাসুর মতে, কবিরাজের ওষুধে মােড়লের মনে শান্তি আসবে না।

প্রশ্ন-০২। ‘সবাই অসুখী। কারও সুখ নেই।’-কেন?

উত্তরঃ সবাই অসুখী। কারও সুখ নেই। কারণ পৃথিবীতে সবাই কেবল চায় আর চায়, চেয়ে পেয়েও কেউ সন্তুষ্ট হয় না।কবিরাজের কথামতাে মােড়লের অসুখ দূর করতে সুখী মানুষের জামার খোঁজে বেরিয়েছিল হাসু আর রহমত। তারা পাঁচ গ্রাম ঘুরেও যখন একজন সুখী মানুষের সন্ধান পায় না তখন হতাশ হয়ে পড়ে। বনের ধারে অন্ধকার রাতে চাঁদের ম্লান আলােতে একটি কুড়েঘরের সামনে গিয়ে তারা ভাবতে থাকে। রহমত সুখী মানুষ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হাসু সুখী মানুষ না পাওয়ার কারণটি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আলােচ্য কথাটি বলেছে।

প্রশ্ন-০৩। সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন কেন ?

উত্তরঃ খুব কম মানুষই সুখী হওয়ায় সুখী মানুষ খুঁজে বের করা কঠিন কাজ। মানুষমাত্রই সুখী হতে চায়। এ কারণে সেই সুখের উপকরণ হিসেবে ধন, সম্পদ, অর্থ প্রভৃতির প্রতি তার চাহিদা দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। এগুলাে পেলে সে আরও চায়। এই আরও চাওয়ার ফলে সেই মানুষের মনে সৃষ্টি হয় অশান্তি । সুখ তার জীবন থেকে হারিয়ে যায়। আমাদের সমাজে এ ধরনের মানুষের সংখ্যাই বেশি। এ কারণে প্রকৃত সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

প্রশ্ন-০৪। “জ্বলে গেল। হাড় ভেঙে গেল। আমাকে বাঁচাও।”-মােড়লের এরূপ বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ “জ্বলে গেল, হাড় ভেঙে গেল, আমাকে বাঁচাও”-মােড়লের এরূপ বলার কারণ হলাে সে মারাত্মক ব্যাধিতে আক্রান্ত।কবিরাজ মােড়লের নাড়ি পরীক্ষা করে অসুখ প্রতিকারের উপায় যখন হাসু আর রহমতকে বুঝিয়ে বলছিল, তখন মােড়ল আলােচ্য কথাটি বলেছিল। কারণ মােড়লের হাড় মড়মড় রােগ হয়েছে। এ রােগ হলে হাড় মড়মড় করার কারণে রােগীকে সহ্যকে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে সুখী মানুষ গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর  সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়।

আরও দেখুনঃ

এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম MCQ প্রশ্ন উত্তর- পিডিএফ

তৈলচিত্রের ভূত সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর। পিডিএফ