সুচেতনা কবিতা, কবিতার বিষয় বস্তু ও ব্যাখ্যা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

সুচেতনা কবিতা, কবিতার বিষয় বস্তু ও ব্যাখ্যা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

সুচেতনা কবিতা পড়তে চাইলে আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন। আজকের পোস্টে জীবনানন্দ দাশ কর্তিক লিখিত সুচেতনা কবিতার বিষয় বস্তু গুলো ব্যাখ্যা করেছি। আধুনিক বাংলা কাব্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি জীবনানন্দ দাশ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ গুলো হল ঝরাপালক, ধূসর পান্ডুলিপ্‌ বনলতা সেন, মহাপৃথিব্‌ বেলা অবেলা কালবেলা রূপসী বাংলা। তারে কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত করা হয়েছে। তার লিখিত সকল কবিতার মধ্যে এটি একটি শ্রেষ্ঠ কবিতা।

আজকে আপনাদের জন্য আমরা  কবিতাটি উপস্থাপন করেছি। এ কবিতার ব্যাখ্যা বিষয়বস্তু গুলো আপনারা এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন। আপনাদের জন্য কবিতাটি পিডিএফ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এর ফলে আপনারা খুব সহজেই পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করতে পারবেন। যাদের যাদের প্রয়োজন তারা নিচে থেকে দেখে নিতে পারেন।

সুচেতনা কবিতা

এখানে সুচেতনা কবিতা দেওয়া আছে। আমরা আপনাদেরকে সম্পূর্ণ কবিতাটি  দিয়েছি। যারা কবিতাটির পড়তে যাচ্ছেন তারা এই অংশ থেকে পড়ে নিন। পিডিএফ সংগ্রহ করতে চাইলে নিচের দিকে চলে যাবেন। সেখানে পিডিএফ সংগ্রহ করার লিংক দেওয়া আছে।

সুচেতনা
– জীবনানন্দ দাশ—বনলতা সেন

সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।
এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা
সত্য; তবু শেষ সত্য নয়।
কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে;
তবুও তোমার কাছে আমার হৃদয়।

আজকে অনেক রূঢ় রৌদ্রের ঘুরে প্রাণ
পৃথিবীর মানুষকে মানুষের মতো
ভালোবাসা দিতে গিয়ে তবু,
দেখেছি আমারি হাতে হয়তো নিহত
ভাই বোন বন্ধু পরিজন পড়ে আছে;
পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ এখন;
মানুষ তবুও ঋণী পৃথিবীরই কাছে।

কেবলি জাহাজ এসে আমাদের বন্দরের রোদে
দেখেছি ফসল নিয়ে উপনীত হয়;
সেই শস্য অগণন মানুষের শব;
শব থেকে উৎসারিত স্বর্ণের বিস্ময়
আমাদের পিতা বুদ্ধ কনফুশিয়াসের মতো আমাদেরো প্রাণ
মূক করে রাখে; তবু চারিদকে রক্তক্লান্ত কাজের আহ্বান।

সুচেতনা, এই পথে আলো জ্বেলে — এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে;
সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ;
এ বাতাস কী পরম সূর্যকরোজ্জ্বল;–
প্রায় তত দূর ভালো মানবসমাজ
আমাদের মতো ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে
গড়ে দেব আজ নয়, ঢের দূর অন্তিম প্রভাতে।

মাটি-পৃথিবীর টানে মানবজন্মের ঘরে কখন এসেছি,
না এলেই ভালো হত অনুভব করে;
এসে যে গভীরতর লাভ হল সে সব বুঝেছি
শিশির শরীর ছুঁয়ে সমুজ্জ্বল ভোরে;
দেখেছি যা হল হবে মানুষের যা হবার নয়–
শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়।

সুচেতনা কবিতার পাঠ পরিচিতি

কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের বনলতা সেন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। সুচেতনা জীবনানন্দ দাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা। এই  কবিতায় সুচেতনা সম্বন্ধে কবিতা তার প্রার্থী পার্থিত, আরাধ্য এক চেতনানিহিত বিশ্বাসকে শিল্পিত করেছেন। কবির বিশ্বাস মতে, সুচেতনা দূরতম দ্বীপ সদৃশ একটি ধারণা যা পৃথিবীর নির্জনতাই যুদ্ধে রক্তে নিংশোশিত নয়। চেতনাগত এই সত্তা বর্তমান পৃথিবীর গভীরতর ব্যাধিকে অরিক্রম করে সুস্থ ইহলকিক পৃথিবীর মানুষকে জিবন্মায় করে রাখে। জিবন্মমুক্তির এই চেতনাগত সত্যিই পৃথিবীর ক্রমমুক্তির আলোকে প্রজ্বলিত করে রাখবে, মানব সমাজের অগ্রযাচাকে নিশ্চিত করবে।

সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আমাদের আগের পোস্টে এই কবটার গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো পাবলিশ করেছি। এগুলোর পিডিএফ ফাইল নিচে দেওয়া আছে। আপনারা দেখেনিতে পারেন। এই পিডিএফ গুলো আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন। নিচে একটি লিঙ্ক দেওয়া আছে। এই লিঙ্ক থেকে সুচেতনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন।

পিডিএফ সংগ্রহ

সুচেতনা কবিতার mcq প্রশ্ন ও উত্তর

আমরা আগের পোস্টে এই কবিতা থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর পাবলিশ করেছি। সৃজনশীল প্রশ্ন পড়ার পাশা-পাশি আপনারা চাইলে সুচেতনা কবিতার mcq প্রশ্ন ও উত্তর গুলো দেখেনিতে পারেন। প্রশ্ন গুলো নিচে দেওয়া আছে। আপনারা এগুলো পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন তো আপনি যদি এই mcq গুলো পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করবেন।

পিডিএফ সংগ্রহ

শেষ কথা

 আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।  আশা করছি এই পোস্ট থেকে আপনারা সুচেতনা কবিতা পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। নিচে আপনাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট দেওয়া আছে দেখেনিতে পারেন। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।