সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ

সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ

সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে আমাদের সাথেই থাকুন। এই পোস্টে সেই অস্ত্র কবিতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। আপনারা অনুশীলন করতে চাইলে এগুলো দেখেনিতে পারেন। নিচের দিকে প্রশ্নের উত্তর গুলো পিডিএফ আকারে দেওয়া আছে। তো আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ে সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর গুলো সংগ্রহ করে নিন।

সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

এখানে সৃজনশীল গুলো দেওয়া আছে। সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ করার আগে কবিতাটি পড়ে নিবেন। নিচে প্রশ্নের উত্তর গুলো পেয়ে যাবেন। প্রথমে সৃজনশীল প্রশ্ন সংগ্রহ করেনিন।

সৃজনশীল ১ঃ 

‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি ভালোবাসাকে সভ্যতার প্রতিশ্র“ত অস্ত্র ও সৌন্দর্য সৃষ্টির একমাত্র অস্ত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। এ অস্ত্র করায়ত্ত করতে পারলেই কবি পৃথিবীর যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। পৃথিবীতে যত অন্যায়, নিপীড়ন সব হচ্ছে ভালোবাসাহীন নিষ্ঠুরতার ফলাফল। যদি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা যায়, তবে জাগবে মানবতা, জাগবে সৌন্দর্য, যা উদ্দীপক ও ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কবিদ্বয়ের কণ্ঠে সমানভাবে প্রকাশ পেয়েছে। অর্থাৎ, দুজনেই একই মানসিকতার ধারক।
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
গ্রিক এবং ট্রয় নগরীর যুদ্ধ-ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়। ট্রয় নগরীর প্রতি ইঞ্চি মাটিতে মিশে আছে লাখ সৈনিকের রক্ত, অসংখ্য আহত ঘোড়ার হাহাকার, অগণিত মায়ের পুত্র শোকের আর্তনাদ আর জাতি-বিদ্বেষের পরিণাম।

ক. জাত্যাভিমানকে বার বার পরাজিত করতে কী প্রয়োজন?
খ. “বার বার বিধ্বস্ত হবে না ট্রয় নগরী”Ñ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় ট্রয় নগরীর ধ্বংসের ইতিহাসের যে ইঙ্গিত রয়েছে তার সাথে উদ্দীপকের সাদৃশ্য দেখাও।
ঘ. “আমাদের হিংস্র মানসিকতাই ট্রয়ের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে প্রতিনিয়ত”Ñ উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে বিচার কর।

সৃজনশীল ২ঃ 

অধিক মুনাফার লোভে অপর্যাপ্ত পরিসরে অসংখ্য মানুষকে কাজ করতে বাধ্য করে একশ্রেণির ক্ষমতাবান ও ধনিক শ্রেণির মানুষ। সাভারের রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি এই লোভের পরিণাম কেই জাতির সামনে তুলে ধরেছে।

ক. ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় আধিপত্যের প্রতি মানুষের কী রয়েছে?
খ. ‘পৃথিবীর যাবতীয় অস্ত্র’ বলতে কী বোঝ?Ñ ব্যাখ্যা কর।
গ. “মানব বসতির বুকে মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত”Ñ চরণটির সাথে উদ্দীপকের রানা প্লাজার পতনের বিষয়টি তুলনা কর।
ঘ. “রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি মূলত লোভের কারণেই সংঘটিত হয়েছে”Ñ ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে উক্তিটির সাদৃশ্য নির্ধারণ কর।

সৃজনশীল ৩ঃ 

ইসরাইল ও ফিলিস্তিন অধ্যুষিত একটি অঞ্চল গাজা। এই অঞ্চলটি দখল করার জন্য ইসরাইল প্রতিনিয়ত পশুর মতো নির্বিচারে মানুষ মারছে। সন্ত্রাস দমনের নামে তারা গুলি ছুঁড়ছে, বোমা ফেলছে একের পর এক। কিছু সামরিক লোকের সাথে মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে অসহায় নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বশ্রেণির মানুষ। আবার বেঁচে থেকেও বোমার আঘাতে কাউকে বা বরণ করে নিতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। তাই জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আসছে।
ক. নক্ষত্রখচিত আকাশ থেকে কী ঝরে?
খ. “মানব বসতির বুকে মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত” বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কোন বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের প্রত্যাশা আর ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার কবির প্রত্যাশা যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।”Ñমন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর।

সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

এখানে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়া আছে। অনেকেই হয়তো নিজেও নিজে প্রশ্নের উত্তর গুলো করতে পারবেন না।  যারা যরা প্রশ্নের উত্তর গুলো সংগ্রহ করতে চান নিচে থেকে দেখেনিন।

উত্তর ১ঃ 

ক) ভালোবাসার অস্ত্র উত্তোলিত হলে অরণ্য আরো সবুজ হবে।

খ) অরণ্য আরো সবুজ হওয়ার আবশ্যকতা অনুভব করার কারণ হলো পৃথিবীর পরিবেশকে আরো সুন্দর, সতেজ ও বসবাস উপযোগী করা।
 প্রাণিকুলের জীবন নির্ভর করে উদ্ভিদের ওপর। সবুজ উদ্ভিদ না থাকলে পৃথিবীতে কোনো প্রাণীই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে না। কিন্তু বর্বর মানসিকতার মানুষ গাছপালা কেটে পৃথিবীকে ক্রমশ মরুভূমি বানিয়ে ফেলছে। কবি এ মরুকরণের ভয়াবহতা থেকে মুক্তি পেতে চান। এজন্যই কবি অরণ্য আরো সবুজ হওয়া, অর্থাৎ আরো উদ্ভিদের উৎপাদন আবশ্যক বলে মনে করেন।

গ) ‘সেই অস্ত্র’ কবিতা ও উদ্দীপকে অরণ্যের বৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে, যা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ।

 পৃথিবীর ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ উদ্ভিদ রাখা প্রয়োজন। উদ্ভিদের নিয়ত নিধন মানব সভ্যতাকে দিনে দিনে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ক্রমশ বেড়ে চলছে।

 উদ্দীপকে দেখানো হয়েছে উদ্ভিদের হার কমে যাওয়ায় পৃথিবীতে প্রাকৃতিক জটিলতা দিনদিন বেড়েই চলছে। মানুষ বিভিন্নভাবে বৃক্ষ নিধন করছে। রাসায়নিক কর্মকাণ্ডে উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কিন্তু এ কাজ কেউ বন্ধ করছে না। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি এ জন্য হাহাকার করেছেন। সবুজের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় তিনি অরণ্যকে আরো সবুজ করে তোলাার দাবি জানিয়েছেন। কারণ অরণ্য যত ধূসর হবে, যত নি®প্রভ হবে, পৃথিবী ও প্রাণিকুল ততই বিপন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে। এদিক বিবেচনায় বলা যায়, উদ্দীপক ও ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার মাঝে আকাক্সক্ষাগত সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ) ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে প্রশ্নোলি­খিত উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার করা যুক্তিযুক্ত।

মানুষ নতুন নতুন আবিষ্কার করছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষে নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে। সেই সাথে ধ্বংসযজ্ঞও থেমে নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণেই মানুষ তৈরি করছে নতুন নতুন মৃত্যুবাণ, যা শুধু মানুষকে নয়, পরিবেশ প্রকৃতিকেও ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

রাসায়নিক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা উদ্দীপকের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বর্তমানে অস্ত্র-কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে রাসায়নিক প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তির প্রভাব পরিবেশে ব্যাপক হারে পড়ছে। দিনদিন নষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য, ফলে সবুজ অরণ্য আরো নি®প্রভ হয়ে যাচ্ছে। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি এ দিকটি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন, তিনি আরো সবুজ অরণ্য দাবি করেন। যা মানব অস্তিত্বের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি বর্তমান পৃথিবীতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ঘৃণ্য অস্ত্রের কথা বলেছেন। এগুলো হলো মানুষের মনের পঙ্কিলতা থেকে সৃষ্ট অস্ত্র, মানবতাবোধ না থাকায় প্রকাশিত হচ্ছে পাশবিকতা; এই পাশবিকতার চূড়ান্ত রূপ বাস্তবায়ন করতেই মানুষ বানাচ্ছে বিভিন্ন প্রকার রাসায়নিক অস্ত্র।

হাইড্রোজেন বোমা, নিউক্লিয়ার বোমা বা এ জাতীয় অস্ত্র তৈরির জন্য সৃষ্ট রাসায়নিক চুলি­ পরিবেশের জন্য খুব বেশি হুমকিস্বরূপ। বস্তুত, বর্তমান পৃথিবীর হিংস্র মানুষগুলো রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা চালাচ্ছে, যা প্রশ্নোক্ত উক্তির সত্যতা প্রমাণ করে।

উত্তর ২ঃ 

ক) ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় আধিপত্যের প্রতি মানুষের লোভ রয়েছে।

 খ) ‘পৃথিবীর যাবতীয় অস্ত্র’ বলতে পৃথিবীর সেই সকল অস্ত্রকে বোঝানো হয়েছে, যেগুলো সৃষ্টি হয় শুধু ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির জন্যই।
প্রাগৈতিহাসিক সময়ে মানুষ অস্ত্র তৈরি করেছিল আত্মরক্ষার জন্য। ধীরে ধীরে সভ্যতার উৎকর্ষ যত ঘটেছে অস্ত্রও তত আগ্রাসী হয়ে পড়েছে। এখন অস্ত্র তৈরি হয় শুধু ধ্বংসের জন্য। নিরপরাধকে আঘাত করার জন্য। পৃথিবীর এই ভয়াবহ অস্ত্রসমূহের কারণে মানবজাতি দারুণভাবে বিপদাপন্ন।

গ) “মানববসতির বুকে মুহূর্তের অগ্নুৎপাত”Ñ লাইনটির সাথে উদ্দীপকের রানা প্লাজার পতনের সাদৃশ্য রয়েছে।

 পৃথিবীতে সামান্য পরিমাণ মানুষ খুবই ধনী। আর বিপুলসংখ্যক মানুষ গরিব ও সাধারণ। এই সাধারণ মানুষগুলোর জীবনাচারও সাধারণ। কিন্তু এদের শান্তিভাব বজায় থাকে না। ধনিক শ্রেণির লোভের আগুনে এসব সাধারণ মানুষের সুখের নীড় ঝলসে যায়।
 উদ্দীপকে ধনিক শ্রেণির লোভের পরিণাম ও জনসাধারণের ভাগ্যের নির্মম পরিণতি পাওয়া যায়। যার উদাহরণ হলো রানা প্লাজা মালিকের লোভের আগুনে কর্মরত অসংখ্য মানুষ ভবন ধসে মারা যায়। অথচ তারা এজন্য কোনোভাবেই দায়ী নয় এবং প্রস্তুতও ছিল না। এ আকস্মিক মৃত্যুবাণকেই ‘সেই অস্ত্র’ “কবিতায় ‘মানব বসতির বুকে মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত” হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে, যা উদ্দীপকের সাথে সাদৃশ্য।

ঘ) ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি মূলত লোভের কারণেই সংঘটিত হয়েছে’Ñ উক্তিটি ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে যৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

লোভ হলো বাড়তি প্রাপ্তির মানসিক প্রণোদনা এবং এই প্রাপ্তি অবশ্যই আসে অন্যায় সংঘটনের মাধ্যমে। মানুষের মনে লোভ জাগলে সে সহজেই অন্যায় করতে পারে। অন্যের মৌলিক অধিকার হরণ করতে পারে। মূলত যাদের অন্তরে লোভ থাকে, তারা পশুর মতোই হিংস্র।

উদ্দীপকে রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির কথা পাওয়া যায়। এটা মূলত পোশাক শিল্পের ঘটনা, যেখানে অপ্রতুল পরিবেশে অধিক লোকবল নিয়োগ করে অন্যায়ভাবে অধিক উৎপাদনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। দুর্বল স্থাপনা হওয়ার কারণে হঠাৎ করেই রানা প্লাজা ধসে পড়ে এবং সেখানে কর্মরত অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার আলোকে বলা যায়, এর জন্য দায়ী হলো মালিক পক্ষের লোভ।

‘সেই অস্ত্র’ কবিতাটি মূলত হিংসা নয়, ভালোবাসার কবিতা। এখানে কবি বিপন্ন পৃথিবীকে বাঁচাতে ভালোবাসার প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করেছেন। ভালোবাসা থাকলে পৃথিবীতে আর অনাচার ঘটবে না; বরং ঘরে ঘরে বিরাজ করবে সুখের বাতাস। মূলত ভালোবাসা না থাকার কারণেই মানুষ লোভী হয়। অন্যের অধিকার আর জীবন নিয়ে খেলা করে। যদি রানা প্লাজার মালিক পক্ষ লোভী না হতো, তবে এ দুর্ঘটনা হতো না, যা প্রশ্নোক্ত উক্তির যথার্থতা নিশ্চিত করে।

উত্তর ৩ঃ

ক)  নক্ষত্রখচিত আকাশ থেকে আগুন ঝরে।

খ)  “মানববসতির বুকে মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত” বলতে কোনো জনবসতিপূর্ণ স্থানে বোমা নিক্ষেপের ফলে যে ধবংসলীলা সৃষ্টি হয়Ñ কবি তাকেই বুঝিয়েছেন।
মানুষ মানুষেরই জন্য। আবার এই মানুষই অন্য মানুষের ধ্বংসের কারণ। নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন আর আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য এই ক্ষমতাধররা বোমা মেরে জনবসতি পরিণত করে ধ্বংসস্তূপে। আলোচ্য কথাটি দিয়ে কবি এটিই বুঝিয়েছেন।

গ)  উদ্দীপকের সাথে ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে মানুষের অসহায়তার বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ।

যুদ্ধ সবসময়ই ভয়ঙ্কর। আর এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি শিকার হতে হয় বেসামরিক অসহায় মানুষগুলোকে। উদ্দীপক ও ‘ সেই অস্ত্র’ কবিতায় এই বিষয়টিই যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

 উদ্দীপকে ‘গাজা’ নামক অঞ্চলটিতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করেছে। তারা নির্বিচারে গুলি ছুঁড়ছে, বোমা নিক্ষেপ করছে। সেই গুলি আর বোমার আঘাতে যতজন সামরিক লোক নিহত হচ্ছে তার চেয়ে বহুগুণে মৃত্যুবরণ করছে অসহায় বেসামরিক মানুষ। আর যারা বেঁচে থাকছে তাদের মেনে নিতে হচ্ছে মানবেতর জীবন। ঠিক একইভাবে ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় মানুষের জীবন মুহূর্তের মধ্যে নির্বাপিত হয়ে যাচ্ছে। সেখানে আকাশ থেকে আগুন ঝরে পড়ার মতো করে বোমা পড়ছে, মানুষ মরছে। আর তারই সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব কিংবা বিকৃতি। বস্তুত যুদ্ধ নামের ধ্বংসলীলার মধ্যে সাধারণ মানুষের অসহায়তার এই বিষয়টিতে উদ্দীপক ও ‘সেই অস্ত্র’ কবিতার মধ্যে সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

ঘ) যুদ্ধকে কেন্দ্র করে জাতিসংঘের প্রত্যাশা আর ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবির প্রত্যাশা যেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।” মন্তব্যটি যথার্থ।

 কেউ যুদ্ধ করে মুক্তির জন্য, কেউ বা আবার আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে নেমে পড়ে। কিন্তু কারণ যাই হোক, যুদ্ধে দুই পক্ষকেই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তাই এই যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাউকে না কাউকে পালন করতে হয় অগ্রণী ভূমিকা।

উদ্দীপকে অশান্ত গাজা অঞ্চলে মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যুদ্ধের করাল গ্রাসের সামনে বসে মানুষকে যেন মৃত্যুর প্রহর গুনতে হয়। পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে থেকে কাউকে আবার পরনির্ভরশীল হয়ে দিনাতিপাত করতে হয়। অশান্তির বুকে শান্তির বিস্তার ঘটাতে জাতিসংঘ তাই কাজ করে চলেছে। ঠিক তেমনি ‘সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবিও ভালোবাসা নামক শান্তির বাণীতে মানব বসতির বুকে মুহূর্তের অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ করতে চান। কারণ সেখানেও নাগাসাকি, হিরোশিমার মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ বোমার আঘাতে হয়ে পড়েছে পঙ্গু, বিকৃত।

কবি তাই চান না আকাশ থেকে আর কোনো বোমা পড়–ক কিংবা ট্রয় নগরীর মতো অন্য কোনো অঞ্চল ধ্বংস হোক। এজন্য তিনি পৃথিবীতে ভালোবাসা ব্যাপ্ত করতে চান।

 পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকে মানুষের মধ্যে শুভবোধ জাগিয়ে জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং ‘ সেই অস্ত্র’ কবিতায় কবি ভালোবাসার অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধাবসান ঘটিয়ে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। এই বিবেচনায় বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক ও যথার্থ।

সেই অস্ত্র কবিতার mcq প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ

এখানে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর পাবলিশ করেছি। প্রশ্ন গুলো নিচে দেওয়া আছে। আপনারা এগুলো পিডিএফ সংগ্রহ করতে পারবেন তো আপনি যদি এই সেই অস্ত্র কবিতার mcq প্রশ্নের উত্তর পড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করবেন।

পিডিএফ সংগ্রহ

শেষ কথা

আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।  আশা করছি এই পোস্ট থেকে সেই অস্ত্র কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। নিচে আপনাদের জন্য শিক্ষামূলক কিছু পোস্ট দেওয়া আছে দেখেনিতে পারেন। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।