প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ – অষ্টম শ্রেণি

প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

এই পোস্টে প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর দেওয়া আছে। কবি এ কবিতায় সৃষ্টার অপার মহিমার কথা বর্ণনা করে স্বষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন। কবি ভক্তি বা প্রশংসা করতে না জেনেও কেবল চোখের জলে নিজেকে নিবেদন করেন। বিপদে আপদে, সুখে, শান্তিতে সব সময় তিনি বিধাতার কাছ থেকে শক্তি কামনা করেন। গাছে গাছে পাখি, বনে বনে ফুল সবই বিধাতাকে স্মরণ করে। তাঁর অফুরন্ত দয়ায় জগতের সব কিছু চলছে। নিচে থেকে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেখেনিন।

প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন

এখানে প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন গুলো দেওয়া আছে। মূল বইয়ে এই সৃজনশীল পাবেন না। এজন্য আপনাকে গাইড বই অনুসরণ করতে হবে। যাদের কাছে গাইড নেই তারা অবশ্যই নিচের দেওয়া প্রশ্ন গুলো পড়ুন।

সৃজনশীল ১ঃ 

যে ভুলে তােমারে ভুলে।
হীরা ফেলে কাচ তুলে
ভিখারি সেজেছি আমি
আমার সে ভুল, প্রভু,
তুমি ভেঙে দাও।

ক. প্রার্থনা’ কবিতাটি কোন কাব্য থেকে সংকলিত?
খ. তুমি মাের পথের সম্বল বলতে কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?
গ. উদ্দীপকটিতে প্রার্থনা কবিতার যেভাবের প্রতিফলন ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. ‘প্রার্থনা কবিতায় প্রকাশিত কবির অনুভূতির একটি খণ্ডচিত্র উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে- মন্তব্যটির সাথে কি তুমি একমত? মতের পক্ষে যুক্তি দাও।

সৃজনশীল ২ঃ 

করিম মােল্লা নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করেন- “হে সর্বশক্তিমান, আমি গরিব অসহায়। কিন্তু তােমাকে কখনাে ভুলিনি। আমাকে তুমি রহম করাে। নিশ্চয়ই তুমি অন্তর্যামী।’

ক. কায়কোবাদের আসল নাম কী?
খ. না জানি ভকতি, নাহি জানি স্তুতি’ – কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকটি কীভাবে প্রার্থনা’ কবিতার সঙ্গে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. ‘নিশ্চয়ই তুমি অন্তর্যামী’— প্রার্থনা’ কবিতার আলােকে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।

সৃজনশীল ৩ঃ 

তুলি দুই হাত, করি মােনাজাত
হে রহিম রহমান
কত সুন্দর করিয়া ধরণী
মােদের করেছ দান।
গাছে ফুল, ফল, নদী ভরা জল।
পাখির কণ্ঠে গান
সকলি তােমার দান।

ক. কায়কোবাদ রচিত বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম কী?
খ. সদা আত্মহারা তব গুণগানে’— কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘প্রার্থনা কবিতার যে দিকটি ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. উদ্দীপকটি প্রার্থনা’ কবিতার সমগ্রভাবকে ধারণ করে কি? তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

এই অংশে উপরের দেওয়া সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। তাই যারা নিজে নিজে প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারবেন না। তারা নিচে দেওয়া উত্তর গুলো সংগ্রহ করে নিন।

উত্তর ১ঃ 

ক। ‘প্রার্থনা’ কবিতাটি ‘অশ্রুমালা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত।

খ। স্রষ্টাকে কবি তাঁর শেষ ভরসা বােঝাতে আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।পথের সম্বল বলতে বােঝায় পথ চলার অবলম্বন। স্রষ্টাকে কবি তাঁর জীবনের পথ চলার বড় সহায় বা অবলম্বন মনে করেন। কারণ স্রষ্টা সর্বশক্তিমান। তাঁর করুণায় জগৎ গতিশীল। ফলে তার সহায়তা ছাড়া। সফল হতে পারে না। জীবনে বন্ধুর পথ সফলভাবে পাড়ি দিতে হলে স্রষ্টাকে স্মরণ করতে হয়। এ বিশ্বাস থেকেই কবি স্রষ্টাকে তার পথের সম্বল বলে অভিহিত করেছেন।

গ।

স্রষ্টার কাছে সাহায্য ও ক্ষমা প্রার্থনা করার দিকটি উদ্দীপকটিতে প্রতিফলিত হয়েছে।

মানুষ স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এই স্রষ্টার গুণগান গাওয়া মানুষের নৈতিক দায়িত্ব। আবার অনেক সময় ভুল করে স্রষ্টার নির্দেশিত পথ থেকে বিমুখ হলেও সেই ভুলের জন্য স্রষ্টার কাছেই ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনা করা উচিত।

উদ্দীপকের কবিতাংশে সষ্টার কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। ভুল করে যদি স্রষ্টার পথ থেকে মানুষ বিচ্যুত হয় তাহলে সে স্রষ্টার অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয়। নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্রষ্টার নিকট মাথা নত করে ক্ষমা ও সাহায্য চাওয়া যথার্থ মানুষের কাজ। প্রার্থনা কবিতায় কবি স্রষ্টার মহিমা প্রকাশ করার পাশাপাশি তাঁর কাছে প্রার্থনা করেছেন একাগ্র চিত্তে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্রষ্টার কাছে সেই ভুল সংশােধনের জন্য সাহায্যও চেয়েছেন কবি। উদ্দীপকে স্রষ্টার নিকট সাহায্য চাওয়ার এই দিকটিই প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ।

উদ্দীপকে স্রষ্টার কাছে ক্ষমা ও সাহায্য চাওয়ার দিকটি প্রকাশিত হয়েছে যা প্রার্থনা’ কবিতার খণ্ডাংশকে ধারণ করে ।

অনন্ত অসীম বিচারদিনের মালিক মহান সৃষ্টিকর্তা। তার কাছে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার শক্তি প্রার্থনা করা হয়েছে। ভুল করলেও তার কাছেই ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেকোনাে বিপদে তার নিকট শক্তি কামনা করা হয়েছে।

উদ্দীপকে বর্ণিত হয়েছে একজন কবি হৃদয়ের আকুতি ও অনুশােচনা। নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্রষ্টার কাছে নিজেকে সমর্পণ এবং ভুল পথ থেকে সরে আসার জন্য তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছে। উদ্দীপকের এই বক্তব্য প্রার্থনা’ কবিতার সাথে কিছুটা সঙ্গতিপূর্ণ।

‘প্রার্থনা কবিতায় স্রষ্টার অপর মহিমার কথা বর্ণনা করে স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা হয়েছে। কবি ভক্তিভরে চোখের জলে নিজেকে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করেন। কবি বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে সব সময় বিধাতার কাছে করুণা ও শক্তি কামনা করেছেন। অন্যদিকে উদ্দীপকের বক্তব্য সীমিত। যেখানে স্রষ্টার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে সে কথা উদ্দীপকে উল্লেখ নেই। শুধু রিক্ত হস্তে পরম ভক্তি ভরে স্রষ্টার কাছে সাহায্য প্রার্থনার বিষয়টি উল্লেখ আছে। তাই বলা যায়- ‘প্রার্থনা’ কবিতায় প্রকাশিত কবির অনুভূতির একটি খণ্ডচিত্র উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে- মন্তব্যটি। উল্লিখিত আলােচনার প্রেক্ষিতে যুক্তিযুক্ত।

উত্তর ২ঃ 

ক। কায়কোবাদের আসল নাম মুহম্মদ কাজেম আল কুরায়শী।

খ। না জানি ভকতি, নাহি জানি স্তুতি’- উক্তিটির মূলে রয়েছে কবির নিজের অসহায়ত্ব ও ক্ষুদ্রতাবােধ।কবি সর্বশক্তিমান স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাসী। তিনি স্রষ্টার জন্য হৃদয়ে অশেষ ভক্তি ও শ্রদ্ধা অনুভব করেন। কিন্তু তা প্রকাশ করার মতাে ভাষা তিনি খুঁজে পান না। স্রষ্টাকে যতটা স্তুতি করা দরকার ততটা করার মতাে ক্ষমতাও তার নেই। কিন্তু হৃদয়ে অনুভব করেন তার অশেষ মহত্ত্ব। ফলে প্রকাশ করার দীনতা হেতু তিনি উপযুক্ত উক্তিটি করেছেন।

গ।

সর্বশক্তিমান স্রষ্টার নিকট অকৃপণ আত্মসমর্পণের দিক থেকে উদ্দীপকটি প্রার্থনা’ কবিতার সাথে সম্পর্কিত।

মানবজীবনে স্রষ্টার উপস্থিতি গভীর ও ব্যাপক। তাঁর প্রতি আস্থা স্থাপন করে মানুষ সহজে জীবনের দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে পারে। ফলে কারাে কারাে জীবনে স্রষ্টাকে পাওয়ার ধনাই বড় হয়ে ওঠে।

উদ্দীপকের করিম মােল্লা নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করেন এবং বলেন যে তিনি সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ করেন। তিনি নিজের অসহায়ত্ব স্বীকার করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এতে প্রতিফলিত হয়েছে তার নিজস্ব বিশ্বাস ও মনােভজি । অন্যদিকে প্রার্থনা কবিতায়ও কবি বলেছেন যে, তিনি দরিদ্র নিঃসম্বল। স্রষ্টাকে কীভাবে ভক্তি-শ্রদ্ধা করতে হয় তা তিনি জানেন না। তিনি কেবল চোখের জলে নিজেকে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করেন। স্রষ্টার প্রতি এই আন্তরিক বিশ্বাসই উদ্দীপকের করিম মােল্লা ও প্রার্থনা’ কবিতার কবির বােধকে সম্পর্কিত করে তুলেছে। এদিক থেকে উদ্দীপকটি প্রার্থনা কবিতার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।

ঘ।

নিশ্চয়ই তুমি অন্তর্যামী” ‘প্রার্থনা’ কবিতার আলােকে উক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

সৃষ্টিকর্তা যেন সমগ্র বিশ্বে ব্যাপ্ত হয়ে আছেন তাঁর অনন্ত ও অপরিসীম সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। যেহেতু তিনি এই জগৎ সংসারের নিয়ন্তা, তাই তিনি মানুষের খবরা-খবরও জানেন।

উদ্দীপকের করিম মােল্লা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। তিনি সর্বদা স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকেন। কারণ স্রষ্টা সর্বশক্তিমান, সমগ্র জগতের নিয়ন্ত্রক। যদিও করিম মােল্লা দরিদ্র ও অসহায়, তবুও তিনি স্রষ্টাকে কখনাে ভােলেন নি। তিনি স্রষ্টার নিকট রহমত প্রার্থনা করেন যেন তার জীবনযন্ত্রণা কিছুটা লাঘব হয়।

প্রার্থনা’ কবিতায় কবি স্রষ্টার অপার মহিমার কথা বর্ণনা করে স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন। কবি বিপদে-আপদে, সুখেশান্তিতে সব সময় স্রষ্টার কাছ থেকে শক্তি কামনা করেছেন। কেননা কবি জানেন স্রষ্টা সর্বশক্তিমান ও অন্তর্যামী। তিনি মানুষের অন্তরের কথাও জানেন। দারিদ্র্যের পেষণে কিংবা বিপদের সময়ে কবি যেমন স্রষ্টাকেই বড় সহায় মনে করেন, তেমনি উদ্দীপকের করিম মােল্লাও সর্বদা স্রষ্টাকে স্মরণ করেন। তিনি যেহেতু গরিব ও অসহায় তাই স্রষ্টার কাছে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে স্রষ্টার অনুগ্রহ কামনা করেছেন। কেননা তিনি জানেন স্রষ্টা অন্তর্যামী, এদিক থেকে বলা যায়, নিশ্চয়ই তুমি অন্তর্যামী- উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘প্রার্থনা’ কবিতার আলােকে তাৎপর্যবহ।

উত্তর ৩ঃ 

ক। কায়কোবাদ রচিত বিখ্যাত মহাকাব্যের নাম ‘মহাশ্মশান’।

খ। সদা আত্মহারা তব গুণগানে’- উক্তিটিতে মূলত পাখির গুঞ্জনকে স্রষ্টার গুণগান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কবি প্রকৃতির মাঝে স্রষ্টার উপস্থিতি তীব্রভাবে উপলব্ধি করেন। ফুল-ফল, তরু-লতা-জল যেন প্রভুর মূর্তিমান দানের প্রতীক হয়ে ওঠে তার কল্পনায়। তার কাছে মনে হয় সমগ্র সৃষ্টি যেন স্রষ্টার প্রার্থনায় নিমগ্ন। তাকে ভুলে থাকলে মনে অবসাদ তৈরি হয় । জগতে স্রষ্টার মহিমার কোনাে অন্ত নেই। তাই প্রকৃতি যেন স্রষ্টার গুণগানে আত্মহারা ।

গ।

প্রার্থনা কবিতায় সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে উপলব্ধি করার দিকটি ফুটে উঠেছে।

কায়কোবাদ রচিত প্রার্থনা’ কবিতায় স্রষ্টার অপার মহিমার কথা প্রকাশ পেয়েছে। তার করুণাতেই সংসারের প্রতিটি জীব প্রাণ ধারণ করে আছে। সৃষ্টির মধ্য দিয়েই যেন স্রষ্টার আত্মপ্রকাশ ঘটে।

উদ্দীপকে দেখা যায়, সৃষ্টির মধ্যে মহীয়ান স্রষ্টা মিশে একাকার হয়ে আছেন। কবি মনে করেন, জগতের যত ফুল-ফল, তরু-লতাজল সবকিছুই স্রষ্টার দান। এই উপলব্ধির মধ্য দিয়ে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায়। একইভাবে প্রার্থনা কবিতায় আমরা লক্ষ করি বসন্তের বাতাস কবির কাছে স্রষ্টার নিশ্বাস; জগতের আয়ু তার স্নেহকণা হয়ে ওঠে। অর্থাৎ এখানেও সৃষ্টিতে স্রষ্টা একাকার। তাই বলা যায়, স্রষ্টাকে উপলব্দির এ দিক থেকে উদ্দীপকের সঙ্গে প্রার্থনা কবিতার সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ।

উদ্দীপকে প্রার্থনা’ কবিতার স্রষ্টার মহিমাকে শ্রদ্ধাভরে প্রকাশ করা হয়েছে।

সুন্দর এই পৃথিবীর একজন সর্বশক্তিমান স্রষ্টা রয়েছেন। স্রষ্টা সবসময় মানুষের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করছেন। মানুষও তার কর্মকাণ্ডে যদি স্রষ্টাকে স্মরণ করে তাহলে তিনি সাড়া দেন।

‘প্রার্থনা কবিতার কবি তাই সৃষ্টিকর্তার বন্দনা করে তার কাছে শক্তি ও সাহস প্রার্থনা করেছেন। উদ্দীপকে স্রষ্টার প্রতি অফুরন্ত বিশ্বাস প্রকাশিত হয়েছে। এই পৃথিবীর সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহর মহিমাকে স্বীকার করা হয়েছে পরম শ্রদ্ধাভরে। সৃষ্টিকর্তার দয়ার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রার্থনা’ কবিতার বক্তব্য আরও বিস্তৃত।

‘প্রার্থনা’ কবিতার মূল বিষয় মূলত স্রষ্টার প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস। কবি তাঁর দারিদ্র্য, দুঃখ ও বিপদে স্রষ্টার কাছে প্রার্থনায় নত হন। এছাড়া প্রার্থনা’ কবিতায় দেখা যায়, সমগ্র বিশ্বসৃষ্টি স্রষ্টার অস্তিত্বের প্রমাণস্বরূপ উপস্থিত। কবি স্রষ্টার মহিমাকে স্মরণ করে তার কাছে পথ চলার প্রেরণা প্রার্থনা করেছেন; কিন্তু উদ্দীপকে এই সবগুলাে বিষয় উঠে আসেনি। স্রষ্টার সৃষ্টির মহিমাই উদ্দীপকের একমাত্র উপজীব্য। উদ্দীপকটি তাই প্রার্থনা কবিতার সমগ্রভাবের প্রকাশক নয় ।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট থেকে প্রার্থনা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়।  আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

আরও দেখুনঃ

প্রার্থনা কবিতা কায়কোবাদ। বাংলা ১ম পত্র অষ্টম শ্রেণি- PDF

পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর