কোনো দেশের অর্থনীতিতে জাতীয় উৎপাদন ও জাতীয় আয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে কৃষি, বনজ ও মৎস্য সম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সম্পদ, নির্মাণ শিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বীমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি অন্যতম। কৃষিনির্ভর দেশ হলেও বর্তমানে আমাদের মোট জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদানই সর্বাধিক। নিচের অংশে ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ষ্ঠ অধ্যায় দেওয়া আছে।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ষ্ঠ অধ্যায়
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশে ও বিশ্ব পরিচয় অধ্যায়ের নাম হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এই অধ্যায় থেকে অনেক সময় সৃজনশীল প্রশ্ন করা হয়। আজকের পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর গুলো শেয়ার করা হয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ঃ
গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয় আনিস। সে পড়ালেখাও তেমন করেনি, গ্রামের স্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বাবা মারা যাওয়ায় সাত সদস্যের পরিবারের খরচ সামলাতে তাকে সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। অনাহারে-অর্ধাহারে শরীর খারাপ হওয়ায় বর্তমানে সে কোথাও কাজ পায় না।
ক) জাতীয় উৎপাদনে এককভাবে কোন খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি?
খ) দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্স কিভাবে ভূমিকা রাখছে? ব্যাখ্যা করো।
গ) আনিসের বর্তমান অবস্থাটি দেশের কোন পরিস্থিতিকে ইঙ্গিত করছে নিরূপণ করো।
ঘ) আনিসের মতো যুবকদের মানবসম্পদে পরিণত করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে তুমি মনে করো? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ঃ
বাংলাদেশের আয়তন ক্ষুদ্র হলেও জনসংখ্যা অধিক। এ জনসংখ্যার কেউ শহরে আবার কেউবা গ্রামে বাস করে। গ্রামের মানুষেরা দেশের কল্যাণে কৃষি পেশায় জড়িত। আর শহরাঞ্চলের মানুষেরা প্রযুক্তিনির্ভর খাতে কাজ করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। ফলে উভয় শ্রেণি-পেশার মানুষই জাতীয় উৎপাদন ও জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
ক) দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতের নাম লেখো।
খ) বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে কতগুলো খাত উল্লেখ করো।
গ) উদ্দীপকে বর্ণিত শহরাঞ্চলের মানুষেরা কোন খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে, তা তুলে ধরো।
ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত উভয় শ্রেণি-পেশার মানুষই অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি করছে—বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল ৩ঃ
সুরুজ আলীর বাড়ি টাঙ্গাইলে। তার দুই বিঘা জমি আছে। এতে তিনি ডাল ও আলু চাষ করেন। বছর শেষে ফসল তুলে বাজারে বিক্রি করেন। এ থেকে তিনি প্রচুর লাভ করেন। অন্যদিকে আরমান হোসেন চট্টগ্রামে বাস করেন। তার একটি পোশাক তৈরির কারখানা আছে। তার পোশাক দেশের চাহিদা মিটিয়েও বিদেশে রপ্তানি হয়।
ক. এঘচ-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. মাথাপিছু আয়ের ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কোন উৎসের অন্তর্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে সুরুজ আলী ও আরমান হোসেনের কাজের অবদান মূল্যায়ন কর।
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন প্রশ্নের উত্তর ৬ষ্ঠ অধ্যায়
এখানে ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন প্রশ্নের উত্তর গুলো দেওয়া আছে। সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর পাঠ্য বইয়ের আলোকে করা হয়েছে। যারা যারা নিজে নিজে উত্তর গুলো লিখতে পারবেনা তারা এখান থেকে সংগ্রহ করে নিন।
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:
ক) জাতীয় উৎপাদনে এককভাবে কৃষি খাতের অবদান সবচেয়ে বেশি।
খ) জাতীয় আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রেমিট্যান্স বিশেষ ভূমিকা রাখছে। বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ শুধু তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মেটায় না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিশ্বমন্দা পরিস্থিতিতেও ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোনো বড় সংকটে না পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের অর্থ তথা রেমিট্যান্স।
গ)
আনিসের বর্তমান অবস্থাটি দেশের বেকারত্ব সমস্যা ও ‘দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র’কে ইঙ্গিত করছে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। দারিদ্র্যের কারণে বেশির ভাগ মানুষ তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও খাদ্যের জোগান দিতে পারছে না। ফলে তারা দ্রুত জনশক্তিতে পরিণত হয়ে উঠতে পারছে না এবং যথারীতি বেকারত্ব বাড়ছে।
তা ছাড়া দরিদ্র লোকের পর্যাপ্ত খাদ্য থাকে না বলে দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। এরা কাজ পায় না বা করতে পারে না। ফলে আয় কম হয়। কম আয়ের কারণে এরা পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে সঞ্চয় করতে পারে না, ফলে দরিদ্রই থেকে যায়। আবার দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ায় এরাও ঠিকমতো কাজও করতে পারে না।
উদ্দীপকেও দেখা যাচ্ছে, দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া আনিস অল্প পড়াশোনা করেই কাজে যোগদান করে। বাবা মারা যাওয়ায় সাত সদস্যের বিশাল পরিবারের খরচ সামলাতে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে সে একসময় দুর্বল হয়ে যায় এবং কাজও পায় না।
তাই বলা যায়, উদীপকে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বিষয়টির সুস্পষ্ট চিত্র ফুটে উঠেছে।
ঘ)
আমি মনে করি, আনিসের মতো যুবকদের মানবসম্পদে পরিণত করতে হলে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে হবে। শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষকেই দেশের মানবসম্পদ বলা হয়। মানুষ তখনই রাষ্ট্র বা সমাজের সম্পদে পরিণত হয়, যখন সে কিছু করতে পারে। দেশের কৃষি, শিল্প বা সেবা খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে যারা শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করে, তারা নিজেদের শ্রমশক্তিসম্পন্ন মানুষে রূপান্তরিত করে। প্রত্যেক অদক্ষ মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বাসস্থান, চিকিৎসা ও খাদ্যের সংস্থানের মাধ্যমে মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। আনিসের মতো বেকার ও দরিদ্র যুবকদের মানবসম্পদে পরিণত হতে হলে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞানলাভের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় দক্ষতা সৃষ্টি করতে হবে। দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করার জন্য সুস্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা দুর্বল স্বাস্থ্যের কারণে দক্ষ কেউ কাজে অনুপযুক্ত হতে পারে। সর্বোপরি আনিসের মতো দরিদ্র ও বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তোলাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:
ক) দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা খাতের নাম হলো—
১. পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য এবং ২. পরিবহন ও যোগাযোগ।
খ) বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে খাতগুলো হলো—কৃষি ও বনজ, মৎস্যসম্পদ, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসম্পদ, নির্মাণশিল্প, পাইকারি ও খুচরা বিপণন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বীমা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি।
গ)
শহরাঞ্চালের মানুষ শিল্প খাতে অবদান রাখার মাধ্যমে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
শহরাঞ্চলের মানুষ সাধারণত চাকরি ও ব্যবসা করে। এ ছাড়া শহরে বহু লোক রিকশা, ঠেলা ও ভ্যানগাড়ি চালক, ছোট দোকানদার ও ফেরিওয়ালা, মুটে, মজুর প্রভৃতি কাজ করে জীবনধারণ করে। এসব কাজ ব্যক্তি উদ্যোগে হয়। এগুলোর পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মালিকানায়ও এ দেশে কিছু কিছু শিল্প-কারখানাসহ রেল, সড়ক ও নৌপরিবহন ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ ছাড়া অনেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক খাতে কাজ করছেন। এ ছাড়া রয়েছে বেসরকারি মালিকানায় অনেক শিল্প-কারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। শহরের লোকজন এবং বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থেকে নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি জাতীয় উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
ঘ)
আমাদের দেশের জনগোষ্ঠীর কেউ শহরে বাস করে আবার কেউ গ্রামে বাস করে। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষই কৃষির সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলে কিছু লোক তাঁতি, জেলে, কুমার, কামার, মুদি দোকানদার ছোটখাটো ব্যবসা করে জীবনধারণ করে। শহরাঞ্চলের মানুষ প্রধানত চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে। এ ছাড়া বহু লোক রিকশা, ঠেলা ও ভ্যানগাড়ি চালক, ছোট দোকানদার ও ফেরিওয়ালা, মুটে, মজুর ইত্যাদি পেশা গ্রহণ করে জীবনধারণ করে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার প্রতিবছরই পূর্ববর্তী বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশের কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধির মূল লক্ষ্য জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি। উদ্দীপকে বর্ণিত গ্রাম ও শহরাঞ্চলের উভয় শ্রেণি-পেশার মানুষও এই একই লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি করছে। কারণ দেশে উৎপাদন বাড়লে জনগণের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব পড়বে, দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে, বেকারত্ব হ্রাস পাবে।
৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর:
ক) এঘচ-এর পূর্ণরূপ হলো এৎড়ংং ঘধঃরড়হধষ চৎড়ফঁপঃ.
খ) অর্থনীতিতে মাথাপিছু আয়ের ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট এলাকার বা কোনো দেশের মোট উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবাকর্ম সৃষ্টির আর্থিক মূল্যকে সেদেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বণ্টন করলে প্রতিজন যে আয়ের মালিক হয় তাকে মাথাপিছু আয় বলে।
গ)
সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কৃষি উৎসের অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের মধ্যে কৃষিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিনির্ভর। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে এবং কৃষিই হলো তাদের আয়ের প্রধান উৎস। যেমন দেখা যায় উদ্দীপকের সুরুজ আলীর ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই কৃষি খাত থেকে আসে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে আমাদের জাতীয় উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৪.৩৩ শতাংশ। আবার সুরুজ আলীর মতো আমাদের দেশের কৃষকেরা নিজেদের ফসল যদি নিজেরাই বাজারে বিক্রি করেন তবে তা বাণিজ্য খাতের অন্তর্ভুক্ত হবে। এতে কৃষকেরা লাভবান হবেন এবং আমাদের জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকের সুরুজ আলীর কাজ জাতীয় আয়ের কৃষি উৎসের অন্তর্ভুক্ত এবং কৃষি ফসল বিক্রি বাণিজ্য খাতের অন্তর্ভুক্ত।
ঘ)
বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে উদ্দীপকের সুরুজ আলী ও আরমান হোসেনের কাজের অবদান বিশেষভাবে উলেখযোগ্য। বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের বিভিন্ন খাতের মধ্যে কৃষিই হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষিভিত্তিক। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ লোক গ্রামে বাস করে এবং কৃষিই হলো তাদের আয়ের প্রধান উৎস। বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে কৃষি খাতের অবদান ১৪.৩৩ শতাংশ।
অন্যদিকে শিল্পখাত বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদনে একক বৃহত্তম খাত। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ১৯.৫৪ শতাংশ। উপরন্তু এ খাতটির অনেক পণ্য রপ্তানিমুখী। যেমন : উদ্দীপকের আরমান হোসেন পোশাক কারখানায় তৈরি পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হয়। তাই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিতে আরমান হোসেনের কাজ বর্তমানে ব্যাপক সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। পরিশেষে বলা যায়, জাতীয় উৎপাদনে সুরুজ আলী ও আরমান হোসেন উভয়ের কাজ গুরুত্বপূর্ণ হলেও আরমান হোসেনের কাজ ব্যাপক সুদূরপ্রসারী ভ‚মিকা রাখে।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে ৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ষ্ঠ অধ্যায় সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণির প্রশ্ন সমাধান ও উত্তর পেতে আমার সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ
৮ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৬ষ্ঠ অধ্যায় বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর