ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস

ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা

ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা ও ১৫ আগস্ট এর ইতিহাস আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট জাতিয় শোক দিবস পালন করা হয়। এই দিনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২০০ শব্দের রচনা, জাতীয় শোক দিবসের রচনা। আবার ছোটদের জন্য বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা রয়রছে। তাই অনেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সবার কাছেই জাতীয় শোক দিবসের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে রচনা লেখার ধারনা নেই। এজন্য অনেকে গুগলে রচনা গুলো অনুসন্ধান করে।

এজন্য আমরা আজকের পোস্টে ১৫ই আগস্ট উপলক্ষ্য শক দিবসের বাছাইকৃত রচনা প্রতিযোগিতা নিয়ে এসেছি। আপনারা যারা রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নিবেন বা রচনা গুলো অনুশীলন করবেন তাদের জন্য নিচে রচনা গুলো দেওয়া আছে। আপনারা এই পোস্ট থেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে শোক দিবসের ৩০০+ শব্দের রচনা পড়তে পারবেন। তো আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ অশেষ পর্যন্ত পড়ুন। এবং আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো সংগ্রহ করুন।

ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা

অনেকে ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা খুজতেছিলেন। এখানে আপনাদের জন্য বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে রচনা দেওয়া আছে। এই রচনা টি প্রতযোগিতার জন্য অনুশীলন করতে পারবেন। আপনারা যারা ২০০ শব্দের রচনা পেতে চান তারা এই রচনা টি দেখুন। এখানে ৩০০+ শব্দের শোক দিবসের রচনা দেওয়া আছে।

ভূমিকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছে এক মহান নেতা। সবাই তাকে আদর করে খোকা বলে ডাকতেন। যিনি দেশের জন্য তার জীবন উজাড় করে দিয়েছেন। আজ আমরা তার কারণে স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক। তার মহান ত্যাগের ফলে তিনি বহু মানুষের কাছে আজ স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার আন্তত্যাগের কথা কোনো জাতী জীবনেও ভুলতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন যেন শুধুই বাংলাদেশের জন্য এক মহান নেতা ও বাঙ্গালি জাতির এক অগ্রদ্রুত।

 জন্ম ও পরিচয়ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  1920 সালের 17 মার্চ গোপালগঞ্জ জেলায় টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  দুই ভাই চার বোন নিয়ে তাদের পরিবার। তিনি পরিবারের ৩ নাম্বার সন্তান ছিলেন। তার পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান মাতার নাম সায়রা খাতুন। তিনি তার বাবা মায়ের আদরের ছেলে ছিলেন।

শিক্ষাজীবন:  

বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ মিশন হাই স্কুল থেকে  1941 সালে তিনি ম্যাট্রিক পাস করেন। তারপর তিনি আইন বিভাগে পড়া শুনা করতে চান। এজন্য 1942 সালে ইন্টার পাশ করে আইন পড়ার জন্য কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৪ সালে তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে আইয়ে এবং ১৯৪৬ সালে বিএ পাস করেন। 1947 সালের দেশ বিভাগ পর তিনি আইন পড়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন।

বঙ্গবন্ধুর শৈশবকাল: বঙ্গবন্ধুর  শৈশবকাল থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে  অত্যাচার শোষণ-নিপীড়ন দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে সারাজীবন  অগাধ ভালোবাসা যার সিক্ত করে তোলে। তিনি ছোটবেলা থেকেই খুব দয়ালু ছিলেন। শৈশব থেকেই তিনি স্বাধীন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। স্কুল জীবন থেকে তিনি মহান নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন। তাই তিনি বড় হয়ে দেশের জন্য অমূল্য সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

সংগ্রামী জীবন :  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  আওয়ামী মুসলিম লীগে যােগদান করেন।  তখন তিনি মওলানা ভাসানীর সঙ্গে কাজ করার সুযােগ পান।  তিনি জনসাধারণের ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে শেখ মুজিব বহুবার কারারুদ্ধ হয়েছেন। অল্প বয়ছে  তিনি মন্ত্রী হয়েছিলেন  ১৯৬৬ সালে তিনি   আওয়ামী লীগের সভাপতি পধে যুক্ত হন।

রাজনৈতিক জীবন:

বঙ্গবন্ধু  জীবনের বেশির ভাগ সময় রাজনৈতিকতা কেটেছেন। ১৯৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর থেকেই তার জীবনে রাজনৈতিকতা শুরু হয়। তিনি ছোটবেলা থেকেই নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি 1947 সালে দেশভাগের সময় শেখ মুজিব ছিলেন একজন তরুন ছাত্রনেতা। এর পর তিনি দেশের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে রাজনীতিতে জরিয়ে পরেন।  তার ভাষা আন্দোলনের ছিল অগ্রণী ভূমিকা।পরবর্তীকালে তিনি আওয়ামী লীগ সভাপতি পদে অভি সিক্ত হন।

দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে। দেশকে শত্রুর হাত থেকে মুক্তির লক্ষ্য সংগ্রাম করে। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহুবার।  1952 সালের ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই মহান নেতার ভাষণের মাধ্যমে বাঙ্গালি জাতি মুক্তি যুদ্ধে অংশ নেয়। তার কারণে হাজার বাঙ্গালি আজ পেয়েছে সফলতা। তার রাজনৈতিকটার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ কে স্বাধীন করেছে।

উপসংহার: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর শুধু একটি নাম নয় এটি সমগ্র বাঙ্গালিদের এক ঐতিহ্য। যার কারণে বাংলাদেশ এক সফলতা পেয়েছে।বঙ্গবন্ধু   দেশের মানুষের জন্য  অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য বার বার কারাবদ্ধ হয়েছে।।বঙ্গবন্ধু হলেন বাংলাদেশের এক মহান ব্যক্তি  ও সাহসী নেতা। কিভাবে বুক উঁচু করে বাঁচতে হয় কিভাবে নিজের অধিকার ছিনিয়ে নিতে হয় তাবঙ্গবন্ধু  সকল বাঙ্গালিদের কে জানিয়ে দিয়েছেন। এই মহান বাক্তিকে আমরা সারা জীবন স্মরণ করবো।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালোলেগেছে। এই পোস্ট টি আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করেদিতে পারেন। আশা করছি আপনারা সবাই আজকের পোস্ট থেকে ছোটদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা অ১৫ই আগস্ট এর রচনা পড়তে পেরেছেন। এই রকম আরও পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

See More:

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছোটদের কবিতা এবং জাতীয় শোক দিবসের কবিতা আবৃতি

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কবিতা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা