বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক্ল এক সময়ে শিশু দিবস পালান করা হয়। বাংলাদেশে মার্চ মাসের ১৭ তারিখে জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয়। এছাড়া এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মদিন। ১৭ই মার্চ বিশেষ করে শিশু দিবস পালন করা হয়। এই দিবস সম্পর্কে অনেক কবি কবিতা লিখেছেন। আজকের পোস্টে জাতীয় শিশু দিবসের কবিতা গুলো দেওয়া আছে।
শিশু দিবসের কবিতা
এখানে শিশু দিবসের কবিতা সংগ্রহ করে দিয়েছি। অনেক কবি শিশু দিবস সম্পর্কে কবিতা লিখেছে। সেই সকল কবিতা থেকে সেরা কবিতা গুলো এখানে দেওয়া আছে।
শিশু দিবস
তুলোশী চক্রবর্ত্তী
শিশু সত্যস্বরূপিনী, শিশু মোদের নয়নমণি
তাঁদের মাঝেই লুকিয়ে আছে সব রত্নের খনি।
শিশুরা তো স্নিগ্ধ ফুলের কুড়ির মতো সুন্দর,
প্রতিটি শিশুরই আছে নিষ্পাপ অন্তর।
শিশুরা আনন্দদায়িনী, শিশু মায়াময়
শিশুর হাতের স্পর্শে জুড়ায় হৃদয়।
শিশু ব্রহ্মরূপা শিশু প্রাণের সুখ,
তাঁদের হাসি এক পলকে ভুলিয়ে দেয় দুখ।
শিশু পুণ্যস্থিত, ঈশ্বরের প্রেরিত দূত
শিশুর ভালোবাসায় নেই যে কোনো খুঁত।
আজকের শিশুরাইআগামীর ভবিষ্যৎ
তাই করো বাধামুক্ত তাঁদের চলার পথ।
শিশুমন যে চায় শুধু খেলা আর হাসিখুশি
পড়াশুনাও তার সাথে চলবে পাশাপাশি।
বর্তমানের অধিক শিশুর নেই যে অধীকার
প্রতিনিয়ত হচ্ছে তাঁরা নির্যাতনের শিকার।
অবলীলায় অবহেলায় তাদের জীবন ছাড়খার
বহু শ্রম করেও তাঁরা পায়না আধপেটা খাবার।
স্টেশনে হাটে-ঘাটে কিবা গ্যারেজ কারখানায়
ফুলের মত কুঁড়িগুলো খাদ্যাভাবে ঘাম ঝরায়।
শিশু নির্যাতনের হতো যদি সঠিক প্রতিকার
ফিরে পেতো সেদিন সব শিশুদের অধিকার।
ঘটতো তখন জাতির এক অপূর্ব মেলবন্ধন
সার্থক হতো সেদিন শুধুই শিশু দিবস পালন।
শিশু দিবস
সেখ আব্দুল মান্নান
শিশু মানে মনে পড়ে
নানা কিসিম ফুল
শিশু মানেই অজান্তেতে
করে নানা ভুল।
শিশুর নামেই হচ্ছে পালন
মধুর মহান দিন
সব শিশুদের বাজছে মনে
মন মাতানো বীণ।
নানা রকম পোশাক পরে
যাবে তারা স্কুলে
শিক্ষা গুরুকে করবে বরণ
রং বেরঙের ফুলে।
শিশু দিবস মানে চাচা নেহরু
সব শিশুদের প্রিয়
নানা খুশির মাঝে সে
আজ হবে বরণীয়।
জাতীয় শিশু দিবসের কবিতা
কবিতা ১ঃ
সতেরো মার্চ শিশু দিবস
যত্নে তাদের রাখি—
আদম হাওয়ার ধরায় তারা
কিচিরমিচির —পাখি।
ফুল বাগানে ফুল যে ছাড়া
দেখায় যেমন শূন্য—-
শিশুবিহীন ঘরটা তাই তো
হয় না পরিপূর্ণ।
শিশু দিবস হোক না পালন
শৈশব রঙিন করে—
পথশিশু শব্দটি মুছে
থাকুক আপন—ঘরে।
সুন্দর সমাজ গড়তে হলে
দিতে হবে শিক্ষা—
আজকের শিশু আগামীতে
দেশকে দিবে—দীক্ষা।
শিক্ষার আলোয় প্রতিটি শিশু
হবে জাতির দিশা—
তাঁদের ছোঁয়ায় কাটবে সকল
কালো অমানিশা।।
কবিতা ২ঃ
সতেরো মার্চ
কবি ওয়াসিফ এ খোদা
ভোরের পাখি বলল এসে
আজ একটা দিন রঙ্গিন
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন
ফুলের বাগান বলল হেসে
বন্ধুকে আজ পুষ্প দিন
টকটকে লাল গোলাপ নিন
বঙ্গসাগর হাজার নদী
শাপলা ফোটা ঝিল অবধি
জাগল সাড়া ভালোবেসে
ছড়িয়ে গেল বাংলাদেশে
হাসি খুশি এ মিলনমেলা
রোদ বৃষ্টি সারাবেলা
কি আনন্দ নৃত্যকৃত
হোক প্রতিক্ষণ আলোকিত”
কবিতা ৩ঃ
তোমার জন্মে ধন্য মাতৃভূমি
সুমন বনিক
তোমার ডাকে অস্ত্র হাতে করেছিলাম মুক্তিযুদ্ধ
স্বাধীনতার পরশ পেয়ে তাই হলাম পরিশুদ্ধ।
পরাধীনতার শিকল ভেঙে উন্নীত করি বিজয়ের শির
সারাবিশ্ব বিস্ময়ের চোখে দেখে এ জাতি বীর।
তুমি বাঙালির ইতিহাসের পাতায় সেই অমর মহাকাব্য
তুমি নাই তাই আজি মধুমতি হারায় নাব্য।
বীর বাঙালির হৃদয় তুমি রাজনীতির মহাকবি
পতাকার অই লাল সূর্যটায় তুমি আছো উজ্জ্বল ছবি।
মুক্ত আকাশ সূর্যের মতো দীপ্তি ছড়াও সেই তুমি
তোমার জন্মে ধন্য আমরা ধন্য এই মাতৃভুমি।
১৭ই মার্চের কবিতা
মুজিব নামে
কবির কাঞ্চন
মুজিব নামেই হৃদয় মাঝে ভেসে আসে সুর
সকল দেশের সেরা বলে লাগে সুমধুর।
অত্যাচারী হানাদারের করতে পরাজয়
মুজিব নামেই বুকের ভেতর রক্তধারা বয়।
মুজিব নামেই বিশ্ব মাঝে বীরের পরিচয়
রক্ত দিয়ে আদায় করে বাংলাদেশের জয়।
শোধ হবে না কোনোদিনও তাঁর ত্যাগেরই দাম
মুজিব নামেই মিশে আছে বাংলাদেশের নাম।
মুজিব নামেই দেশের মানুষ যোদ্ধা হয়ে যায়
স্বাধীন দেশে ঘুরেফিরে স্বস্তি ফিরে পায়।
সোনার বাংলা গড়তে হলে করতে হবে কাজ
মুজিব নামেই জাগতে হবে ভেঙে সকল লাজ।
মুজিব
মজনু মিয়া
তুমি ছিলে তুমি রবে
শেখ মুজিবুর রহমান,
তোমার কৃতি তোমার স্মৃতি
চিরদিনি বহমান।
আগস্ট এলে শোকের দু’চোখ
ব্যথার জলে যায় ভরে,
তোমার গড়া বাংলাদেশে
শোক পতাকায় জল ধরে।
অমর অবিস্মরণীয়
জাতীয় নেতা তুমি,
বিশ্ব মাঝে উজ্জ্বল তুমি
উজ্জ্বল এই জন্মভূমি।
শিশু দিবস
সেখ আব্দুল মান্নান
শিশু মানে মনে পড়ে
নানা কিসিম ফুল
শিশু মানেই অজান্তেতে
করে নানা ভুল।
শিশুর নামেই হচ্ছে পালন
মধুর মহান দিন
সব শিশুদের বাজছে মনে
মন মাতানো বীণ।
নানা রকম পোশাক পরে
যাবে তারা স্কুলে
শিক্ষা গুরুকে করবে বরণ
রং বেরঙের ফুলে।
শিশু দিবস মানে চাচা নেহরু
সব শিশুদের প্রিয়
নানা খুশির মাঝে সে
আজ হবে বরণীয়।
শেষ কথা
জাতীয় শিশু দিবস একটি মৌলিক উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত উদযাপন। এটি প্রতি বছর ১৪ নভেম্বরে বাঙালি নাগরিকদের জন্য মানযোগ্য ঘটনা। এই দিনটি শিশুদের সমালোচনা করতে, তাদের সম্পর্কে স্মরণ করতে, এবং তাদের সুরক্ষা, উন্নতি ও কল্যাণের মাধ্যমে তাদের উন্নত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে নগরবাসীরা এই দিনটি উদযাপন করে। আশা করছি শিশু দিবসের কবিতা পড়েছেন।
আরও দেখুনঃ
১৭ ই মার্চের কবিতা। বঙ্গবন্ধু নিয়ে শিশু দিবসের কবিতা
১৭ই মার্চ কি দিবস? কেনো এই দিবস পালন করা হয়
2 Comments on “শিশু দিবসের কবিতা ২০২৪”