বাংলাদেশ একটি ঘনবসতি দেশ। বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় এর জনসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি। এটি বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ। বাংলাদেশে জন সংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১,১১৯ জন। এই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭ শতাংশ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা জরিপ ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৮৬,৮৯৩,৮৩০ জন এবং দেশের আয়তন ১,৪৮,১৭০ km2। এই পোস্টে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন এই দুটি ধারণা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একটি দেশের জনসংখ্যার উপর সে দেশের উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করে। উন্নত দেশের সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা ও সেসব দেশের জনগণের মাথাপিছু আয়ের তুলনা করলেই আমরা সেটি বুঝতে পারব। উদাহরণ স্বরূপ যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ এই দুটি দেশের কথাই ধরা যাক। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৬ জন লোক বাস করে এবং তাদের মাথাপিছু আয় ৬৬,০৬০ মার্কিন ডলার (ওয়াল্ড ব্যাংক, ২০২০)।
অন্যদিকে বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১০৩ জন (২০১৭) লোক বাস করে এবং মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২০)। একটি দেশ ভবিষ্যতে কতটা উন্নতি করবে তা দেশটির অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও তার জনসংখ্যানীতির কার্যকর প্রয়োগের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশের মতো একটি জনবহুল এবং উন্নয়নশীল দেশের বেলায় কথাটা আরও বেশি সত্যি। এই অধ্যায়ে আমরা জনসংখ্যা বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কর্মসূচি এবং জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তরের কৌশল সম্পর্কে জানতে পারব।
বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতি
সাধারণভাবে একটি দেশের জনসংখ্যা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য যে দিক নির্দেশনা হয় তাকেই বলা হয় দেশটির জনসংখ্যা নীতি। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই নীতি প্রণয়ন করা হয়। এ নীতির লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করে দেশের নাগরিকদের জীবনমানের উন্নতি এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতির মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যগুলো হলো :
১। দেশের সব মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা পৌঁছে দেওয়া। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য পরিবার পরিকল্পনার সুযোগ ও অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
২। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করা।
৩। শিশু ও নারীর অপুষ্টির হার কমিয়ে আনা।
৪। ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা। থানা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্স ও প্রয়োজনীয় ঔষধের সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রতিটি গ্রামে প্রসূতিদের নিরাপদ সন্তান জন্মদানের সুযোগ সৃষ্টি করা ।
৫। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সর্বত্র ও সকলের কাছে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া।
৬। দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা।
৭। দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ সরকারি উদ্যোগ
জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার কমিয়ে আনার জন্য সরকার নিম্নলিখিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে :
ক. নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর ও ২০১৫ সালের মধ্যে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে এই কর্মসূচি শতভাগ অর্জিত না হলেও প্রায় অর্জনের পথে ।
খ. সরকার নারীশিক্ষার প্রসারের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই সরবরাহ এবং ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
গ. সরকার নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। একই সঙ্গে পরিবার ছোট রাখার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।
ঘ. কাজি অফিসে বিয়ে রেজিস্ট্রেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ঙ. হাঁস-মুরগির খামার ও মাছ চাষের মতো আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মসূচিতে নারীদের অংশগ্রহণের উপর সরকার গুরুত্ব আরোপ করেছে। তাছাড়া পোশাকশিল্প, কারুশিল্প এবং অন্যান্য হস্ত ও কুটিরশিল্পেও নারীরা বর্তমানে বেশি সংখ্যায় অংশ নিচ্ছে। এগুলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিশুমৃত্যু হ্রাসের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় বাংলাদেশ ২০১০ সালে জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছে। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়নের জন্য নারীদের শিক্ষকতাসহ নানা চাকরির ক্ষেত্রে কোটা প্রথা চালু রয়েছে।
বেসরকারি উদ্যোগ
স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো (NGO) বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের মানুষকে পুনর্বাসনে সহায়তার মাধ্যমে তারা তাদের কাজ শুরু করে। বর্তমানে এই সংস্থাগুলোর কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিচে তুলে ধরা হলো :
ক. কমিউনিটিভিত্তিক পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্প : এই প্রকল্পের আওতায় গ্রাম ও শহরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পরিবার ছোট রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, টিকা, ইনজেকশন ও পুষ্টি শিক্ষা বিষয়েও সেবা প্রদান করা হয়।
খ. দুই সন্তানের পরিকল্পিত পরিবার গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়ন : বাংলাদেশ সরকার দুটি সন্তানের পরিবার গড়ার জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বেসরকারি সংস্থাগুলো এই লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যও তারা কাজ করছে ।
গ. বাল্যবিবাহ রোধে উদ্বুদ্ধকরণ : দেশে বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।ঘ. প্রশিক্ষণ কার্যক্রম : বেসরকারি সংস্থাগুলোর বিশেষজ্ঞরা মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা, টিকা দান ওপরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি সম্পর্কে জনগণকে প্রশিক্ষিত করছে।
ঙ. সচেতনতা কার্যক্রম : জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবিলায় বেসরকারি সংস্থাগুলো জনগণকে সচেতন করার জন্য নানা রকম উপকরণ তৈরি ও ব্যবহার করে। যেমন: পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে সাময়িকী, পোস্টার, ক্যালেন্ডার, চার্ট, নিউজলেটার, ডকুমেন্টারি ফিল্ম ইত্যাদি।
চ. ধর্মীয় নেতাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি : বেসরকারি সংস্থাগুলো স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের জন্য কর্মশালা আয়োজন করে তাঁদের এ ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে। ধর্মীয় নেতারাও জনসংখ্যা হ্রাসের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেন।
জনসংখ্যার সাথে জনসম্পদের সম্পর্ক
জমির পরিমাণ হিসাব করলে মাথাপিছু জমির অনুপাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা এমনিতেই খুব বেশি। উপরন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও এখানে বেশি ৷ যদিও আগের তুলনায় বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে এসেছে। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম এবং মানুষের ক্রমবর্ধমান সচেতনতার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার ইদানীং কমে এসেছে। এর ফলেও দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। দেশের অশিক্ষিত ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে তরুণদের জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে জনসংখ্যাকে অনায়াসে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। এভাবে দেশ দ্রুত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের কৌশল
সম্পদ যেখানে সীমিত সেখানে একটি দেশের বিশাল জনসংখ্যা তার জন্য বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তবে উপযুক্ত পরিকল্পনা নিয়ে জনসংখ্যাকে জনসম্পদেও পরিণত করা যায়। বিশ্বের অনেক দেশ ইতোমধ্যে তাদের বিশাল জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করেছে। এ ব্যাপারে আমরা চীনের উদাহরণ দিতে পারি। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার ক্ষেত্রে সাফল্য দেখিয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারত আজ বেশ এগিয়ে।
এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেরও তথ্য-প্রযুক্তিখাত ২৩ ভাগ ভারতীয় দক্ষ জনশক্তির উপর নির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিগত বছরগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তিখাতে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে । সরকার এদেশের যুবশক্তিকে সম্পদে রূপান্তরের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে । আগামী দিনে যার সুফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায় । আমাদের দেশে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করার জন্য নেওয়া কৌশলগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
১। কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা ;
২। দক্ষতাবৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্প্রসারণ ;
৩। প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার ;
৪। নারীশিক্ষার প্রসার ;
৫। স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কার্যক্রমের প্রসার ;
৬। উৎপাদনমুখী খাতের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ ;
৭। কৃষিভিত্তিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সম্প্রসারণ ;
৮। কর্মসংস্থানের জন্য কৃষির আধুনিকীকরণ ;
৯। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান ;
১০। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিস্তার ;
১১। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর বৃত্তির ব্যবস্থা করে অধিক সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ও উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের উন্নত ও প্রযুক্তি-১২। নির্ভর দেশগুলোতে প্রেরণ।
বাংলাদেশের জাতিগত গোষ্ঠী সমূহ
বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃ-ভাষাতাত্বিক গোষ্ঠী হচ্ছে বাঙালি (প্রায় ৯৮.৫ %)। মূলত বাঙ্গালি জাতিগোষ্ঠির জন্যই এই দেশটির নামকরণ হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা বাংলাদেশেই বসবাস করে। বাংলাদেশর পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশেও বিপুল সংখ্যক বাঙ্গালি জাতিগোষ্ঠি বসবাস করে,তাছাড়া ভারত’র আসাম ও ত্রিপুরা প্রদেশেও বেশকিছু সংখ্যক বাঙ্গালি বসবাস করে।
বাঙ্গালি জাতিগোষ্ঠীর মানুষ ছাড়াও আরো বেশকিছু ক্ষুদ্র নৃ-তাত্বিক গোষ্ঠীর মানুষও বাংলাদেশে বসবাস করে। তাদের মধ্যে গারো, চাকমা, রাখাইন, মারমা, মাইতি, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, সান্থালস, বিহারি, ওরাওস, মুন্ডা এবং রোহিঙ্গা অন্যতম।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষা সংক্রান্ত পোস্ট শেয়ার করা হয়। বিভিন্ন শ্রেণির প্রশ্ন সমাধান ও উত্তর পেতে আমার সাথেই থাকুন।
আরও দেখুনঃ
One Comment on “বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ৯ম অধ্যায়- ৮ম শ্রেণি”