এসএসসি ২০২১ রসায়ন এ্যাসাইনমেন্ট ২য় সপ্তাহ
প্রতীকের পাশে উল্লেখিত ভরসংখ্যাবিশিষ্ট মৌলের নিউট্রন সংখ্যা, বাের মডেল অনুসারে পরমাণুর গঠনের চিত্র, শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস এবং উপশক্তিস্তরে (অরবিটালসমূহে)। ইলেকট্রন বিন্যাস সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ।
- Na(11), ভরসংখ্যা -23
- P(15), ভরসংখ্যা -31
- K(19), ভরসংখ্যা -40
- Cu(29), ভরসংখ্যা -63
পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন সংখ্যা: কোন মৌলের একটি পরমাণুতে প্রােটনের সংখ্যাকে পারমাণবিক সংখ্যা বলা হয়।
ভরসংখ্যা : কোন মৌলের পরমাণুতে প্রােটন ও নিউট্রনের সমষ্টিকে ভরসংখ্যা হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয়
পারমাণবিক সংখ্যা বা ইলেকট্রন সংখ্যা ও ভরসংখ্যা জানা থাকলে নিউট্রন সংখ্যা জানা যায়।
নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা (A) – প্রােটন সংখ্যা (Z)
একটি পরমাণুর শক্তিস্তর বা ইলেকট্রনের শক্তিস্তরকে (সাধারণভাবে প্রধান শক্তিস্তর নামে পরিচিত) পরমাণুর নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘূর্ণায়মান ইলেক্টনের কক্ষপথ বলা যেতে পারে। আমরা জানি কোন মৌলের শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ 2n2 (two n Square) ইলেকট্রন থাকতে পারে। যেখানে n= 1234….. এখানে n হচ্ছে। কক্ষপথ বা শক্তিস্তর। যেমন, n এর মান 1 হলে প্রথম শক্তিস্তর 2 হলে দ্বিতীয় শক্তিস্তর।
অরবিটাল বা উপশক্তিস্তর : নিউক্লিয়াসের চারদিকে যে নির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক স্থানে কোন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি থাকে তাকে অরবিটাল বা উপশক্তিস্তর বলে।
অর্থাৎ নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ইলেকট্রনের আবর্তনের সর্বাধিক সম্ভাব্য অঞ্চলকে অরবিটাল বলে। কোণ শক্তি স্তরের মানকে (অরবিটকে) n দ্বারা এবং উপরের সংখ্যাকে (অরবিটালকে)। দ্বারা প্রকাশ করা হয়। s,pd,f কে উপশক্তিস্তর বলে। যেমন: 3d, 4p, 5f ইত্যাদি।
এখানে, সােডিয়ামের(Na) পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন(Z) সংখ্যা হচ্ছে 11 এবং ভর সংখ্যা(A) 23
তাহলে আমরা জানি, নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা(A) – প্রােটন সংখ্যা(Z)
= 23 – 11
= 12
বাের পরমাণু মডেল অনুসারে নিম্নের সােডিয়াম এর চিত্র অঙ্কন করা হলাে:
সােডিয়ামের(Na) শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে: 2,8,1
সােডিয়ামের(Na) উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে:
এখানে, ফসফরাসের (p) পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন(2) সংখ্যা হচ্ছে 15 এবং ভর সংখ্যা(A) 31
তাহলে আমরা জানি, নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা(A) – প্রােটন সংখ্যা(Z)
= 31 – 15
= 16
বাের পরমাণু মডেল অনুসারে নিম্নের ফসফরাস এর চিত্র অঙ্কন করা হলাে:
ফসফরাসের (p) শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে: 2,8,5
ফসফরাসের (p) উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে:
এখানে, পটাশিয়ামের (k) পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন(Z) সংখ্যা হচ্ছে 19 এবং ভর সংখ্যা(A) 40
তাহলে আমরা জানি, নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা(A) – প্রােটন সংখ্যা(Z)
= 40 – 19
= 21
বাের পরমাণু মডেল অনুসারে নিম্নের পটাশিয়াম এর চিত্র অঙ্কন করা হলাে:
টাশিয়ামের (k) শক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে: 2,8,৪,1
পটাশিয়ামের (k) উপশক্তিস্তরে ইলেকট্রন বিন্যাস হচ্ছে:
খানে, কপারের (cu) পারমাণবিক সংখ্যা বা প্রােটন(Z) সংখ্যা হচ্ছে 29 এবং ভর সংখ্যা(A) 63
তাহলে আমরা জানি, নিউট্রন সংখ্যা = ভর সংখ্যা(A) – প্রােটন সংখ্যা(Z)
= 63 – 29
= 34
বাের পরমাণু মডেল অনুসারে নিম্নের কপার (cu) এর চিত্র অঙ্কন করা হলাে: