সপ্তম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসইনমেন্ট ২০২১ সমাধান

সপ্তম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসইনমেন্ট ২০২১

বর্তমান কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে ও বিদ্যালয়ে যাওয়া তােমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা। এই পরিস্থিতিতে অবসর সময়ে আনন্দ পাওয়ার। জন্য তুমি বাড়ির আঙিনায়/ ছাদে বাগান করার | সুযােগ পেলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা নিচের ছক ও বিবেচ্যবিষয় অনুসরণ করে একটি ধারণাপত্র তৈরী করাে।

সপ্তম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসইনমেন্ট ২০২১ সমাধান


উত্তর –

বর্তমানে যেহেতু কোভিড পরিস্থিতিতে আমার ঘরের বাইরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাই এই সময়টাকে আমি কাজে লাগাতে চাই। আমার আনন্দ পাওয়ার জন্য আমার বাড়ির আঙিনায় আমি বাগান তৈরী করতে চাই। এতে মানসিক প্রশান্তি লাভ করা যায় । আমার লক্ষ্য অর্জন করার জন্য অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে । পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য আমাদের যে সম্পদ আছে তার ব্যবহার , পরিকল্পনা , সংগঠন , নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করাকে এক কথায় গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে । গৃহব্যবস্থাপনার স্তরগুলাে চক্রকারে আবর্তিত হয় । নিচে তা দেখানাে হলাে :

পরিকল্পনা : গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রথম কাজ হলাে পরিকল্পনা প্রণয়ন । কোনাে কাজ করতে গেলে কাজটি কেন করা হবে? কিভাবে করতে হবে? ইত্যাদি চিন্তাভাবনা করার নামই পরিকল্পনা । পরিকল্পনাকে অনুসরণ করলে পরবর্তী কাজগুলাে সহজ হবে। আমি যেহেতু বাগান করতে চাই তার জন্য অবশ্যই একটি পূর্ব পরিকল্পনার রাখতে হবে। আমি কোথায় বাগান করব? কিভাবে করব? বাগান করার সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে একটা পরিকল্পনা করব । সেই সাথে আমি ঠিক করে নিব আমি বাগানে কোন কোন গাছ লাগাব।

 
আমার কখনাে বাগান করার সুযােগ আসলে আমি বাগানটিতে গােলাপ, টগর, লেবু গাছ, পেয়ারা গাছ, বেগুন গাছ ও শমা গাছ লাগাবাে ।

সংগঠন : পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন কাজের সংযােগ সাধন করার নামই সংগঠন । কোন স্তরে কোন কাজ করলে ভালাে হবে? কোন কাজে কাকে নিয়ােজিত করা হবে? কি কি সম্পদ ব্যবহার করা হবে? – এসব বিষয় ঠিক করতে হবে। আমার বাগান করার ক্ষেত্রে কি কি সম্পদ ব্যবহার করব সেটা ঠিক করবাে । যেহেতু এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব না তাই কাকে নিয়ােজিত করতে পারি, সেসব আগে থেকেই ঠিক করে নিব । এতে আমার পরিকল্পনালন্ধ কাজের বাস্তবায়ন সহজতর হবে। এক্ষেত্রে আমি সিদ্ধান্ত নিব যে আমি কোন কোন সম্পদ ব্যবহার করব। যেমন- পরিশ্রম, সময় , শক্তি, জ্ঞান, দক্ষতা , অর্থ এবং ভূমি ।

নিয়ন্ত্রণ- গৃহীত পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া ও সংগঠনের বিভিন্ন ধারাকে কার্যকর করে তােলাকে নিয়ন্ত্রণ বলে। গৃহ ব্যবস্থাপনার তৃতীয় এ স্তরটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনা যত ভালােই হােক, তা যদি বাস্তবায়ন না করা যায় তাহলে কখনই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। নিয়ন্ত্রণ স্তরটি কয়েকটি পর্যায়ে এগিয়ে চলে। প্রথম পর্যায়ে কাজে সক্রিয় হওয়াকে বােঝায়। অর্থাৎ উদ্যোগ নিয়ে কাজটা শুরু করা। কী কাজ করতে হবে এবং কীভাবে করতে হবে তা জানা থাকলে কাজ শুরু করা সহজ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি লক্ষ করা হয়। অর্থাৎ কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা। তৃতীয় পর্যায়ে পরিস্থিতির সাথে খাপ খাওয়াতে হয়। কোনাে সমস্যা দেখা দিলে গৃহীত পরিকল্পনায় কিছুটা রদবদল করে নতুন কোনাে সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই হলাে খাপ খাওয়ানাে।

মূল্যায়ন – গৃহ ব্যবস্থাপনার সর্বশেষ স্তরের নাম মূল্যায়ন। কাজটি সম্পন্ন হওয়ার পর এর ফলাফল যাচাই করাই মূল্যায়ন। কাজটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারল কি না? তা মূল্যায়নের মাধ্যমে জানা যায়। মূল্যায়ন ছাড়া কাজের সফলতা বা ব্যর্থতা নিরূপণ করা যায় না। লক্ষ্য অর্জন হলে সফলতা আসে। এ সফলতা লাভের উপায় ভবিষ্যৎ কাজের মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। আর লক্ষ্য অর্জন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলেও ব্যর্থতার কারণ জেনে তা সংশােধনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কার্যক্রম অনুযায়ী পরিবর্তন ও সংশােধন করে লক্ষ্য অর্জন করা সহজ হয়। তাই গৃহ ব্যবস্থাপনা হলাে কতকগুলাে পরস্পর নির্ভরশীল ও গতিশীল পর্যায়ক্রমিক স্তরের সমষ্টি। আর এর প্রতিটি স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বাঞ্ছনীয়। সেজন্যই গৃহ ব্যবস্থাপনার কাঠামােটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে মূল বিষয় রূপে দেখানাে হয়েছে।
ordib
বাগান তৈরির মাধ্যমে আমি যেভাবে লাভবান হতে পারি তা নিচে বর্ণনা করা হলাে :


বাগান তৈরি করার ফলে বাসায় বসে বসে যে একঘেয়ামী ভাব চলে আসল সেটা দূর হবে। এছাড়া বাগানের বিভিন্ন ফুল , ফল ও গাছগুলাে মানসিক প্রশান্তি প্রদান করবে। বাগানে লাগানাে ফলগাছগুলাে বিভিন্ন ঋতুতে সুমিষ্ট ও স্বাস্থ্যকর ফল দিবে; যা আমাদের ক্ষুধা মিটাবে এবং শরীরে রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

এভাবেই আমি বাগান তৈরির মাধ্যমে লাভবান হতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *