অষ্টম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান

অষ্টম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১

বর্তমান কোভিড-১৯। পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তুমি সারাদিন বাসায় অবস্থান করছাে। সময় তালিকা | প্রণয়ন করে লেখা-পড়া ও অন্যান্য কাজ-কর্ম করা উচিত। তাই এ পরিস্থিতিতে তােমার দৈনন্দিন কাজকর্ম কীভাবে করছ ?

 

অষ্টম শ্রেণীর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ সমাধান

সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশী। অপর দিকে জীবনকে সুন্দর ভাবে সাজাতে সময়ের প্রয়ােজন অনস্বীকার্য। মানুষের জীবনে সময় এমনই এক সম্পদ, যা সবার জন্য সমান এবং একেবারেই সীমিত। এই সীমিত সম্পদের মধ্যে যে ব্যক্তি যত বেশি অর্থবহ কাজ দিয়ে নিজেকে সময়ের সাথে সম্পৃক্ত করতে পারবে, জীবনে সে ততাে বেশি সফলকাম হবে। সময়কে যথাযথভাবে ব্যবহার করে মানুষ ব্যক্তিগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
প্রতিদিন আমাদের জন্য ২৪ ঘন্টা সময় বরাদ্দ রয়েছে। কোন অবস্থাতেই একে বাড়ানাে সম্ভব নয়। অথচ চাহিদা অনুযায়ী আমাদের অনেক কাজ। করার থাকে । সে কারণেই সময়ের সদ্ব্যবহার এর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হবে কম সময় ব্যয় করে বেশি কাজ করা এবং সময়ের অপচয় না করা। আর সেজন্যই আমাদের সময়ের পরিকল্পনা করা প্রযােজন। একদিনে আমরা কি কাজ করব , কখন করব , নির্দিষ্ট কাজে দেয়। কতটুকু সময় ব্যয় করবাে ইত্যাদির সমন্বয়ে একটি লিখিত পরিকল্পনা বা সময়-তালিকা প্রণয়ন করা হয়।

আমার সারাদিনের কর্মকাণ্ডের জন্য একটি সময় তালিকা প্রণয়ন করা হলােঃ

সকাল

৫:০০ টায় – ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।

৫:২০ টায় – প্রার্থনা করা।

৫:৪০ টায় – হালকা নাস্তা করা।

৬:০০ টায় – শরীরচর্চা করা।

৬:৩০ টায় – পড়তে বসা (গণিত, বিজ্ঞান পড়া )

৮:৩০ টায় – সকালের নাস্তা করা

৯:৩০ টায় – ঘরের কাজে সহায়তা করা, ঘর গােছানাে।

১০:৩০ টায় – গাছ-গাছড়ার পরিচর্যা করা, গাছে পানি দেয়া।

১১:৩০ টায় – গােসল করা।

দুপুর

১২:০০ টায় – দুপুরের খাবার খাওয়া।

১২:৩০ টায় – বিশ্রাম নেয়া।

১:০০ টায় – প্রার্থনা করা।

১:৩০ টায় – বিশ্রাম ( ঘুমানাে

৩:৩০ টায় – পড়তে বসা (ইংরেজি)।

বিকাল ৪:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।

৫:০০ টায় – খেলাধুলা করা।

সন্ধ্যা

৬:০০ টায় – প্রার্থনা করা।

৬:২০ টায় – হালকা নাস্তা করা।

রাত


৬:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাংলা, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় )।

৮:৩০ টায় – প্রার্থনা করা।

৯:০০ টায় – রাতের খাবার খাওয়া।

৯:৩০ টায় – পড়তে বসা ( বাকি বিষয়গুলো)

১০:৩০ টায় – টেলিভিশন দেখা। | ১১:৩০ টায় – ঘুমাতে যাওয়া। ছয়

সারাদিনের কর্মকাণ্ডের সময় তালিকা প্রণয়ন এর প্রয়ােজনীয়তা ও বিবেচ্য বিষয় সময় তালিকার প্রয়ােজনীয়তাঃ

১) করণীয় কাজ সম্পর্কে ধারণা হয়। কোন কাজগুলাে বেশি এবং কোন | কাজগুলাে কম প্রযােজনীয় সে সম্বন্ধে সঠিক ধারণা লাভ করা যায়।

২) সময়মতাে কাজ করার অভ্যাস গড়ে উঠে। কাজের সময় নির্ধারিত
থাকে বলে সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।

৩) প্রতিটা কাজে কতটুকু সময় ব্যয় হয় তার ধারণা জন্মে।

৪) কাজের দক্ষতা ও গতিশীলতা বাড়ে। সময় তালিকা অনুসরণ করলে সময় মত কাজ শেষ হয়ে যায়। বাড়তি সময়ে বিভিন্ন রকম সৃজনশীল। কাজের সুযােগ পাওয়া যায়।

৫) বিশ্রাম, অবসর ও বিনােদন করা সম্ভব হয়। কারণ, সময় তালিকায় কাজ, বিশ্রাম ও অবসর বিনােদনের ব্যবস্থা থাকে।

ছােটবেলা থেকেই আমাদের সবারই সময়ের প্রতি যত্নবান হওয়া দরকার। সময় মতাে সব কাজ করলে কাজ জমে যায় না। ফলে প্রয়ােজনীয় কাজগুলাে সহজেই সম্পন্ন করা যায়। যেমন- ছাত্রছাত্রীরা যদি প্রতিদিনের | পড়ালেখা সময়মত সম্পন্ন করে, তাহলে সে খুব সহজে কৃতকার্য হতে | পারবে। আর যে সময় মত পড়ালেখা করে না, পরীক্ষার সময় পড়া তার
কাছে বােঝা মনে হবে । সময় মত পড়ালেখা না করার জন্য তখন এই সমস্যা তৈরি হবে।

সময় তালিকা করার সময় কিছু বিষয় বিবেচনায় আনতে হয় যেমনঃ

১) দৈনিক করণীয় কাজ গুলাে নির্ধারণ করতে হবে গুরুত্ব অনুসারে কাজের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

২) যৌথভাবে কাজ করতে হলে অন্যের সুবিধা-অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩) সময় তালিকায় কাজের সময় বিশ্রাম ও অবসর সময় রাখতে হবে।

৪) একটা কঠিন বা ভারী কাজের পর হালকা কাজ বা বিশ্রাম দিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *