অষ্টম শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

অষ্টম শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

আজকে এখান থেকে ৫ম সাপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তরের সমাধান করতে পারবেন। আমরা বিজ্ঞানের সুন্দর সহজ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখান থেকে উত্তর লেখার আগে অবশ্যই আপনারা বাড়িতে ট্রাই করবেন অথবা এখান থেকে দেখে দেখে শিখে তারপর লেখবেন। করন আপনি যদি এভাবে লিখে  ফেলেন তাহলে আপনার পড়াশুনার ক্ষতি হবে। কথা না বাড়িয়ে অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইমেন্টের উত্তর দেখে নিন। 

অষ্টম শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট

 

অষ্টম শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর 

 

শিরোনাম: পৃথিবী ও মহাকর্ষ ও আলো

 

১) পৃথিবির বিভিন্ন স্থানের অভিকর্ষজ ত্বরন বিভিন্ন হয় কেন- ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ পৃথিবির বিভিন্ন স্থানের অভিকর্ষজ ত্বরন বিভিন্ন হওয়ার কারন নিচে ব্যাখ্যা করা হল-

 

পৃথিবীর আকৃতির যেহেতু গোলাকার নয় সেহেতু পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠের সকল স্থানসমূহে দূরে নয়।অভিকরষজ ত্বরেণের মান পৃথিবিীর কেন্দ্র থেকে দূরত্বের উপর নির্ভর করে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বিভিন্ন হয়।

পৃথিবীর আহ্নিক গতির জন্য অভিকর্ষজ ত্বরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।যেমন ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে উঠা যায় অভিকর্ষজ ত্বরণের মান তত কমতে থাকে। কারণ যতই ভুপৃষ্ঠ থেকে উপরে ওঠা যায় ততোই বস্তুর ওজন কমতে থাকে। একারণে পাহাড় বা পর্বতশীর্ষে বস্তর ওজন কম হয়।

 

পৃথিবীর অভ্যন্তরে অভিকর্ষজ ত্বরনের মান বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন ভূপ্রষ্ঠ থেকে যত নিচে যাওয়া যায় অভিকর্ষজ ত্বরণের মান ততই কমতে থাকে।পৃথিবীর অভ্যন্তরে যত গভীরে যাওয়া যায় বস্তর ওজন ততই কমতে থাকে। এজন্যই পৃথিবীর কেন্দ্রে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান শূন্য হয়।

 

২। পৃথীবিতে তোমার ভর ৫০ কেজি চাঁদে তোমার ওজন কমে যায় কেন ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তর: পৃথিবীতে আমার ভর ৫০ কেজি কিন্তু চাঁদে আমার ওজন কমে যাওয়ার কারণ হলো ভূপৃষ্ঠ থেকে আমি ‍যত উপরে উঠব অভিকর্ষজ ত্বরণ ততই কমতে থাকবে। ফলে আমার ওজনও কমতে থাকবে। চাঁদের অভিকর্জজ ত্বরণের মান পৃথিবীর ছয় ভাগরে এক ভাগ সুতরাং চাঁদে ১ কেজি ভরের বস্তুর ওজন হবে প্রায় ১.৬৩ নিউটন।

পৃথিবিীতে আমার ভর ৫০ কেজি হয় তাহলে চাঁদে আমার ওজন হবে (৫০X১.৬৩)= ৮১.৫ নিউটন। চাঁদে আমার ওজন কম হলেও ভর কিছু একই থাকে। করণ মাধ্যাকর্ষন বল পরিবর্তন হলে ওজন পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রে অভকর্ষজ ত্বরণ শূণ্য হয় তাই সেখানে বস্তুর ওজন শূন্য হয়। আর মাশূন্যে কোন বস্তুর ‍ওজন শূন্য হলে তখন ঐ বস্তুর উপর কোন মাহকর্ষ বল কাজ করে না।

চাঁদে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বৃত্তাকার কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করা হয় বলে চাঁদে আমার ত্বরণ শূন্য হয়। যার ফলে চাঁদের পুষ্ঠে কোন বল প্রয়োগ করতে হয় না। বল প্রয়োগ না করার ফলে আমার ওজন কর বিরীতে কোন প্রতিক্রিয়া বল অনুভব করিনা। তািই আমি ওজনহীনতা অনুভব করি।

 

৩। একটি চকচকে কাঁচের গ্লাসে কিছু পানি নাও এবার গ্লাসের মধ্যে একটি পাথর ফেলে দাও এবার নিচের কাজগুলো করো

I. গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা কর।

II. কিছুটা তির্যভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা কর।

III. গ্লাসের যে পর্যন্তর পানি আছে তার একটু নিছ থেকে দেখার চেষ্টা কর।

তিনিট ক্ষেত্রে কি ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে ব্যাখ্যা কর।

 

I. গ্লাসের উপর দিয়ে পাথরটিকে সরাসরি দেখার চেষ্টা করলাম। লক্ষ্য করলাম পাথরটিকে খুব কাছে মনে হচ্ছে। ক্নিতু বাস্তবে পাথরটি গ্লাসের তলায় রয়েছে। আসলে এখানে আলোর প্রতিসরণের অবস্তর প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হয়েছে।যার ফরে গ্লাসের উপর থেকে দেখলে পাথরটিকে পণির খুব কাছে মনে হচ্ছে।

 

II. কিছুটা তির্যকভাবে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা করলাম। লক্ষ্য করলাম পাথরটিকে খানিকটা উপরে, দৈর্ঘ্যে কম এবং মোটা মনে হচ্ছে। আসলে আলোর প্রতিসরণের ফলে এমন হচ্ছে। এখানে ঘন মাধ্যমে পানি থেকে আলো প্রতিসরিত হয়ে হালকা মাধ্যমে আমার চোখে প্রতিফলিত হচ্ছে। যার ফলে পাথরটির নিমজ্জিত বংশের প্রতিটি বিন্দু উপরে উঠে আসে।

 

III. গ্লাসে যে পর্যন্ত পানি আছে তার একটু নিচ থেতে পাথরটিকে দেখার চেষ্টা করলাম। লক্ষ্য করে দেখলাম যে পাথরটিকে বেশ ছোট মনে হচ্ছে। আসলে আলোর প্রতিসরণের কারণে পাথরটিকে ছোট মনে হচ্ছে। বস্তুপক্ষে পাথরিটির আকার ঠিকেই আছে।

 

THANKS ALL

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *