সপ্তম শ্রেণীর কৃষিশিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ৬ষ্ঠ সাপ্তাহ
প্রশ্ন: ফসলের মৌসুম বলতে কি বুঝ?
উত্তর: একটি ফসল বীজ বপন থেকে শুরু করে তার শারীরিক বৃদ্ধি ও ফুল ফল উৎপাদনের জন্য যে সময় নেয় তাকে ওই ফসলের মৌসুম বলে। অর্থাৎ কোন ফসলের বীজ বপন থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সময়কে সে সলের মৌসুম বলে।
খঃ রবি মৌসুম ও খরিপ মৌসুমের পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ফসল উৎপাদনের জন্য সারা বছরকে দুটি মৌসুমে ভাগ করা হয়েছে। যথাঃ
১। রবি মৌসুম
২। খরিপ মৌসুম
রবি ও খরিপ মৌসুমের ভেতর বেশ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোঃ-
gasdgfadsfgsaghreysragsadfgdas
রবি মৌসুম |
খরিপ মৌসুম |
১। তাপমাত্রা কম থাকে। |
১। তাপমাত্রা বেশি থাকে। |
২। বৃষ্টিপাত কম হয়। |
২। বৃষ্টিপাত বেশি হয়। |
৩। বায়ুর আদ্রতা কম থাকে। |
৩। বায়ুর আদ্রতা বেশি থাকে। |
৪। ঝড়ের তাপমাত্রা কম থাকে। |
৪। ঝড়ের আশঙ্কা বেশি থাকে। |
৫। শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা কম থাকে। |
৫। শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা বেশি থাকে। |
৬। বন্যার আশঙ্কা কম থাকে। |
৬। বন্যার আশঙ্কা বেশি থাকে। |
৭। রেখা ও পোকার আক্রমন কম হয়। |
৭। রোগ ও পোকর আক্রমন বেশি হয়। |
৮। পানিসেচের প্রয়োজন হয় |
৮। পানি সেচের তেমন প্রয়োজন হয় না। |
৯। দিনের চেয়ে রাত বড় বা সমান হয়। |
৯। দিনের দৈর্ঘ্য রাতের দৈর্ঘ্যের সমান বা বেশি হয়। |
(গ) মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানগুলো কী কী?
উত্তরঃ মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদানঃ মুরগির দেহের জন্য অত্যাবশকীয় পুষ্টি উপাদানগুলো হলো শর্করা, আমিষ, স্নেহ, খনিজ, লবণ, ভিটামিন ও পানি। সুষম খাবারে মুরগির দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে। মুরগির পুষ্টির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণের তারিখা নিচে দেওয়া হলো।
ক্রমিক নং |
পুষ্টি উপাদান |
খাদ্য উপকরণ |
১ |
শর্করা |
গম, ভুট্টা, চালের গুড়া, গমের ভুসি |
২ |
আমিষ |
শুটকি মাছের গুড়া, সয়াবিন তিলের, সরিষার তেল। |
৩ |
স্নেহ |
সয়াবিন, সরিষা, তিলের তৈল |
৪ |
খনিজ |
খাদ্য লবণ, হাড়ের গুড়া, ঝিনুক, শামুকের গুড়া। |
৫ |
ভিটামিন |
শাক-সবজি, ভিটামিন মিশ্রণ |
৬ |
পানি |
টিউবয়েল ও কূপের বিশুদ্ধ পানি |
ঘ) মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরঃ মুরগি পালনে মুরগির খাদ্য হচ্ছে অত্যাবশ্যকীয়। তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে। তাই মুরগি খামারে খাদ্য ও পানি দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।
মুরগির খাদ্য উপাদানে পর্যাপ্ত পরিমান শর্করা, আমিষ, খনিজ লবণ, স্নেহ ও ভিটামিন জাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। সুষম খাবারে মুরগির দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে।বসতবাড়িতে মুক্ত বা ছাড়া পদ্ধতিতে পালন করা মুরগি খাবারের বর্জ্য, ঝরা শস্য, পোকামাকড় ইত্যাদি খেয়ে জীবন ধারণ করে। তাই এরা পরিমিত সুষম খাবার পায় না। যার ফলে মুরগি থেকে প্রত্যাশিত ডিম ও মাংস পাওয়া যাবে না। বাচ্চা মুরগি দৈনিক ১০ থেকে ১৫ গ্রাম এবং প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগি প্রায় ১০০ থেকে ১২০ গ্রাম খাদ্য খেয়ে থাকে।
তাছাড়া মুরগি প্রচুর পরিমানে পানি পান করে থাকে। তাই খামারে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ থাকতে হবে। প্রাপ্ত বয়স্ক মুরগিকে দৈনিক ২০০ মিলিলিটার বিশুদ্ধ পানি দিতে হয়।
তাই মুরগির খামারে খাদ্য ও পানি গুরুত্বপূর্ণ।
পর্ষণের বিষয় |
গাছের বৈশিষ্ট্য |
(ক) কি ধরনের উদ্ভিদ |
বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ |
(খ) কাণ্ডের বৈশিষ্ট্য |
মোটা, দীর্ঘ ও শক্ত |
(গ) বীজের বর্ণ |
হালকা বাদামি |
(ঘ) ফুলের বর্ণ |
সবুজ |
(চ) কেমন মাটিতে চাষ হয় |
এটেল মাটিতে চাষ হয় |