ষষ্ঠ শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

ষষ্ঠ শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

আজকে এখান থেকে ৫ম সাপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তরের সমাধান করতে পারবেন। আমরা বিজ্ঞানের সুন্দর সহজ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখান থেকে উত্তর লেখার আগে অবশ্যই আপনারা বাড়িতে ট্রাই করবেন অথবা এখান থেকে দেখে দেখে শিখে তারপর লেখবেন। করন আপনি যদি এভাবে লিখে  ফেলেন তাহলে আপনার পড়াশুনার ক্ষতি হবে। কথা না বাড়িয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইমেন্টের উত্তর দেখে নিন।

 

ষষ্ঠ শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট

 

ষষ্ঠ শ্রেনীর ৫ম সাপ্তহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

শিরোনাম: মিশ্রন বল এবং সরল যন্ত্র

প্রশ্ন ১: এন্টোবায়োটিক সিরাপ ঝাঁকিয়ে খেতে হয় কেন? এই মিশ্রণকে কি বলে?

উত্তরঃ এন্টিবায়োটিক হচ্ছে এক প্রকার সাসপেনসন।

সাসপেনসন হচ্ছে সেই দ্রবন যেখানে দ্রাবকে দ্রবগুলো সম্পূর্ণ রুপে দ্রবীভূত হয়না, আবার অদ্রবণীয়ও থাকেনা। অর্থাৎ আংশিক দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে। এই দ্রবনকে রেখে দিলে তলায় আংশিক তলানি জমে কিন্ত তা দ্রাবক থেকে পৃথক হয়ে তিথিয়ে পড়েনা।

এন্টিবায়োটিক ওষধ অনেকক্ষন এভাবে স্থির থাকলে তাই দ্রবের আংশিক তলানি জমে বলে তা সেবনের পূর্বে ভালভাবে ঝাকিয়ে খেতে হয়। ঝাকানির ফলে সকল উপাদানগুলো আবারও দ্রাবকের সাথে সমসত্বভাবে মিশে অধিক কার্যকারী হয়।



প্রশ্ন ২: দুধ কি জাতীয় মিশ্রণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ দুধ হল কলয়েড জাতীয় মিশ্রণ। এ জাতীয় মিশ্রণে অতিক্ষুদ্র কোন বস্তুকণা অপর বস্তুকণার মাঝে ভাসমান অবস্থায় থাকে এবং রেখে দিলে কখনই কোন তলানি পড়ে না। দুধ হল পানি ও চর্বির কলয়েড। যেখানে চর্বির কণাগুলো পানিতে দ্রবীভূত না হয়ে ছড়িয়ে থাকে এর কখনোই চর্বির তলানি পড়ে না। দুধে পানির পরিমাণ বেশী। তাই এটিকে অবিচ্ছিন্ন ফেজ এবং চর্বির পরিমাণ কম তাই এটিকে ডিসপারসড ফেজ বলে। এক্ষেত্রে ভাসমান কণাগুলোর আকার ১-১০০০ ন্যালোমিটার হয়ে থাকে।

৩ উত্তর

সরল যন্ত্র

যে শ্রেণীর লিভার(যুক্তিসহ)

যেভাবে যান্ত্রিক সুবিধা বাড়ানো যাবে।

 

যাতিঁ

 

প্রযুক্ত বল, ভার ও ফলাক্রামের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে লিভারকে তিন ভগে ভাগ করা য়ায়। চিত্রে যতিঁটি হল দ্বিতিয় শ্রেণীর লিভার।এই ক্ষেত্রে ভার থাকে মাঝখনে এবং প্রযুক্ত বল ও ফালক্রাম দুই প্রান্তে অবস্থান করে।

 

 

যাতিঁ ক্ষেত্রে ভর (যেমন সুপারি) কে যত বেশী ফালক্রামের কাছে রাখা যাবে, সুপারি কাটতে তত কম বল প্রয়োগ করতে হবে। এক্ষেত্রে ভারবাহুর দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে বা ভারবাহুর দৈর্ঘ্য কমিয়ে কাজ সহজ করা হয়।

 

হাতুরি

 

প্রযুক্ত বল, ভার ও ফলাক্রামের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে লিভারকে তিন ভগে ভাগ করা য়ায়।চিত্রের হাতুরিটি হল ১ম শ্রেণীর লিভার।এই ক্ষেত্রে ফালক্রামের অবস্থান প্রযুক্ত বল ও ভারের মাঝখানে থাকে।

 

একটি হাতুরি সাধারণত দুই প্রান্তে থাকে। এক প্রান্ত দিয়ে কাঠ লোহা ঢুকানো হয় এবং অন্য প্রান্ত দিয়ে কাঠ থেকে লোহা বের করতে হয়। হাতরি দিয়ে যখনে লোহা বের করা হয় তখন হাত দিয়ে হাতুরিটি হাতল ধরে বল প্রয়োগ করা হয়। আবার যেখানে লোহাটি তার পাশে ঠেস দিয়ে এটি উঠানো হয় যেটি ফালক্রামের হিসাবে কাজ করে। এক্ষেত্রে লোহা রেব করার বাধা ভার হিসেবে কাজ করে।হাতরির হাতল এবং সাইজ ছোট বড় করে কাজকে আরো সহজ করা যায়।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *