এই পোস্ট থেকে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পড়তে পারবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে সকিনা বিবির মতো গ্রামীণ নারীর সহায়-সম্বল-সম্ভ্রম বিসর্জিত হয়েছে, হরিদাসী হয়েছে স্বামীহারা, নবজাতক হারিয়েছে মা-বাবাকে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ছাত্রাবাস আক্ষমণ করে ছাত্রদের হত্যা করে, শহরের বুকে আগ্নেয়া ̄¿ নিয়ে গণহত্যা চালায়, পুড়িয়ে দেয় গ্রাম ও শহরের লোকালয়।
এর প্রাকৃতিক প্রতিবাদ ওঠে পশুর কণ্ঠেও। আর্তনাদ করে কুকুরও। মুক্তিযুদ্ধে শধমিক, কৃষক, জেলে, রিক্শাওয়ালা প্রমুখ সাধারণ মানুষ আত্মত্যাগ করে। দগ্ধ হওয়া লোকালয় প্রবীণ বাঙালির আলোকিত চোখে চেয়ে থাকে। সেইসঙ্গে নবীন রক্তে প্রা ণ স্পন্দন ও আশা জেগে থাকতে দেখে কবমিুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন- এত আত্মত্যাগ যার উদ্দেশে্য সেই স্বাধীনতাকে বাঙালি একদিন ছিনিয়ে আনবেই। নিচে থেকে প্রশ্ন গুলো সংগ্রহ করুন।
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
মূল বইয়ে এই প্রশ্ন গুলো দেওয়া নেই। তবে গাইড বইয়ে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন দেওয়া থাকে। সেখান থেকে প্রশ্ন গুলো তৈরি করা হয়েছে। যাদের কাছে গাইড নেই, তারা এই পোস্টে দেওয়ে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পড়ে নিবেন।
১। ‘যত্রতত্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : যত্রতত্র’ শব্দের অর্থ যেখানে সেখানে।
২। স্বাধীনতা আসবে বলে আর্তনাদ করল কে?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্নস্ফূপে দাঁড়িয়ে একটা কুকুর আর্তনাদ করল।
৩। ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি ‘শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
৪। বাস্তুভিটা’ অর্থ কী?
উত্তর : যে ভূমির উপর পুরুষানুক্রমে বাসগৃহ নির্মিত বা প্রতিষ্ঠিত।
৫। স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য আমরা কোথায় ভেসেছি?
উত্তর : স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য আমরা রক্তগঙ্গায় ভেসেছি।
৬। হরিদাসীর কী মুছে গিয়েছিল?
উত্তর : হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিল।
৭। ঢাকার রিকশাওয়ালার নাম কী?
উত্তর : ঢাকার রিকশাওয়ালার নাম রুস্তম শেখ।
৮। শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : শামসুর রাহমান ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৯। দামামা’ কী?
উত্তর : ‘দামামা’ হলাে জোরালাে শব্দ সৃষ্টিকারী এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র।
১০। শহরের বুকে কী এলাে?
উত্তর : শহরের বুকে ট্যাঙ্ক এলাে।
১১। ছাত্রাবাস আর বস্তি কেন উজাড় হলাে?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে ছাত্রাবাস আর বস্তি উজাড় হলাে।
১২। কবি শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম কী?
উত্তর :কবি শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম পাড়াতলী,।
১৩। ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কবি কে?
উত্তর : ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কবি শামসুর রাহমান।
১৪। তেজি তরুণের পদভারে কী হতে চলেছে?
উত্তর : তেজি তরুণের পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে।
১৫। কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু তারিখ কত?
উত্তর :কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু তারিখ ১৭ আগস্ট।
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর
১৬। অবুঝ শিশু কোথায় হামাগুড়ি দিল?
উত্তর : অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতা-মাতার লাশের ওপর।
১৭। কার ফুসফুস এখন পােকার দখলে?
উত্তর : ঢাকার রিকশাওয়ালা রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পােকার দখলে।
১৮। স্বাধীনতার জন্য কার কপাল ডাঙল?
উত্তর :বাধীনতার জন্য সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
১৯। মােল্লাবাড়ির বিধবা কী ধরে দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর : মােল্লাবাড়ির বিধবা দগ্ধ ঘরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
২০। থুথুড়ে বুড়াের চোখের নিচে কী ছিল?
উত্তর : থুথুড়ে বুড়োর চোখের নিচে ছিল অপরাহের দুর্বল আলাের ঝিলিক।
২১। জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক কীভাবে এলাে?
উত্তর : জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে এলাে।
২২। অধীর আগ্রহে সবাই বসে আছে কিসের প্রতীক্ষায়?
উত্তর : অধীর আগ্রহে সবাই বসে আছে স্বাধীনতার প্রতীক্ষায়।
২৩। জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক কে?
উত্তর : জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক কেষ্ট দাস।
২৪। কেন্ট দাস কে?
উত্তর : জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক।
২৫। মতলব মিয়া কখন গাজী গাজী বলে নৌকা চালায়?
উত্তর :উদ্দাম ঝড়ের সময়।
২৬। দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে কী এসেছিল?
উত্তর : দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এসেছিল।
২৭। কার সিথির সিঁদুর মুছে গেল?
উত্তর : হরিদাসীর সিথির সিঁদুর মুছে গেল।
২৮। কিশােরীর হাতে কী?
উত্তর : কিশােরীর হাতে শূন্য থালা।
২৯। শামসুর রাহমানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে কী?
উত্তর : শামসুর রাহমানের কবিতায় মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য ও সংগ্রাম সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
৩০। অনাথ শারী কোথায় বসে আছে?
উত্তর : অনাথ কিশােরী পথের ধারে বসে আছে।
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
এখানে ক নাম্বারের জন্য কিছু অনুধাবনমূলক প্রশ্ন দেওয়া আছে। যারা এগুলো পড়তে চান এই অংশ থেকে পড়ে নিবেন। নিচে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করেছি, এখান থেকে পিডিএফ সংগ্রহ করুন।
১। খাণ্ডবদাহন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘খাণ্ডবদাহন বলতে কবি বিদেশি শত্রুদের দ্বারা এ দেশ ও জাতি বারবার আক্রান্ত হওয়ার দিকটিকে বুঝিয়েছেন।
“তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে আত্মত্যাগের দিকটি নির্দেশ করেছেন। বাংলাদেশ এক দিনে স্বাধীন হয়নি। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়। তারপর বাঙালিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এদেশের স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতিকে অনেকবার রক্ত দিতে হয়েছে। বায়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তরে বাংলার মানুষ রক্ত দিয়েছে। জ্বলেছে মানুষের আশ্রয়ও। তাই কবি মহাভারতে বর্ণিত ‘খাণ্ডব’ বন যা ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল সেই উপমায় এ দেশের মানুষের দুর্দশার কথা বলেছেন। কারণ শত্রুরা এদেশের মানুষের ঘর-বাড়ি, আশ্রয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বারবার।
২। “আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?’ কবির এমন প্রশ্নের কারণ কী?
উত্তর : ‘আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন’- কবির এমন প্রশ্নের কারণ, বহুবার বাঙালি জাতি বিদেশি শত্রুর আক্রমণের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ এক দিনে স্বাধীন হয়নি। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বাঙালিকে। বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তরে অনেক রক্ত দিয়েছে বাংলার মানুষ। তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এদেশের স্বাধীনতার জন্য বহুবার জ্বলতে হয়েছে মানুষকে। জ্বলেছে মানুষের আশ্রয়ও। তাই কবি মহাভারতে বর্ণিত ‘খাণ্ডব’ বন যা ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল সেই উপমায় এ দেশের মানুষের দুর্দশার কথা বলেছেন।
৩। স্বাধীনতার জন্য সকলের অধীর প্রতীক্ষার কারণ কী?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য সকলের অধীর প্রতীক্ষার কারণ হলাে- পরাধীনতার নিগড়ে তাদের সবার জীবন অতিষ্ঠ ও যন্ত্রণাকাতর হয়ে উঠেছে।
দেশ ও জাতির জন্য পরাধীনতা সবচেয়ে বড় অভিশাপ। পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে অন্যের শাসনের বেড়াজালে নিজের মৌলিক অধিকার গণ্ডিবদ্ধ হওয়ার নামই পরাধীনতা। এ পরাধীনতায় মানুষের জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়। জীবনের স্বপ্নিল আশাগুলাে শুকিয়ে যায়। এক কথায়, সকলের জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ে। জীবনকে পরাধীনতার নাগপাশ’ থেকে মুক্ত করার অভিপ্রায় সবার। তাই তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সােচ্চার হয়ে স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষা করছে।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট থেকে তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমার সাথেই থাকবেন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল শ্রেণির শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করা হয়। আমার সাথে শেষ পর্যন্ত থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আরও দেখুনঃ
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা – শামসুর রাহমান। PDF
রানার কবিতার সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর পিডিএফ- SSC
রানার কবিতা –সুকান্ত ভট্টাচার্য। নবম-দশম শ্রেণি- পিডিএফ
পোস্টার কবিতা-আবুল হোসেন। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি