রসায়ন ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল এইচ এস সি সাজেশন ২০২৩

রসায়ন ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল

মৌলের পর্যাবৃত্ত ধর্ম ও রাসায়নিক বন্ধন এই অধ্যায় টি ২০২৩ সালের এইচ এস সি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া আছে। এই অধ্যায় থেকে অনেক সময় সময় সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া থাকে। এখানে রসায়ন ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল ও উত্তর গুলো সাজেশন দেওয়া আছে। যারা যারা পড়তে চান নিচের অংশে চলে যান।

রসায়ন ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল

সৃজনশীল ১ঃ 

গ্রুপ IIA এবং গ্রুপ IB এর দুটি সমযোজী ধর্মের তুলনা দেখা গেলো মৌল দুটির একক ধনাত্মক আয়নের আয়নিক ব্যাসার্ধ যথাক্রমে এবং ।
ক. পোলারায়ন কী?
খ. শর্তসহ ফাজানের নিয়ম লিখ।
গ. উল্লেখিত প্রথম প্রশ্নটির মোলসমূহের পোলারায়ন ক্ষমতা বর্ণানা কর?
ঘ. উল্লেখিত আয়নিক ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট মৌলের সমযোজী ধর্মের তুলামূলক বিশেস্নষট করো।

সৃজনশীল ২ঃ 

নিচের মৌলগুলোর ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ করো:
ক. পর্যায় সারণির তৃতীয় পর্যায়ে কতটি মৌল বিদ্যমান?
খ. অবস্থান্তর মৌলের ২টি বৈশিষ্ট লিখো।
গ. পর্যায় সারণিতে X, Y ও Z মৌল তিনটির অবস্থান নির্ণয় করো।
ঘ. উল্লেখিত মৌলগুলোর d ব্লক ও অবস্থান্তর হওয়ার যৌক্তিকতা তোমাদের নিজের ভাষায় মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল ৩ঃ 

ক. ইলেকট্রন বিন্যাস কী?
খ. দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
গ. চিত্র-১ এ প্রদর্শিত মৌলটির পর্যায়ে ইলেকট্রন আসক্তির ক্রম বর্ণনা কর।
ঘ. পারমানবিক আকার বড় হওয়ায় চিত্র -২ এর মৌলটির ইলেকট্রন আসক্তির মান চিত্র-১ এর মৌল অপেক্ষায় কম হবে কী? যৌক্তিক বিশ্লেষণ দাও।

রসায়ন ১ম পত্র ৩য় অধ্যায় সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ 

(ক). আয়নিক যৌগরে দুটি বিপরীত চার্জযুক্ত আয়ন পরস্পরের কাছাকাছি আসলে ক্যাটায়নের ধনাত্মক চার্জ কর্তৃক অ্যানায়নের ঋণাত্মক ইলেকট্রন মেঘ দুই নিউক্লিয়াসের মাঝামাঝি পরিব্যাপ্ত হয়। ইলেকট্রনের এই স্তানান্তরকে পোলারায়ন বলে।

(খ). একটি তড়িৎযোজী যৌগে পোলারন প্রভাব যত বেশি হবে তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্য ও তত প্রকট হবে। এ সম্পর্কে একটি নীতি আছে যাকে ফাজানের নীতি বলে।
এই নীতি অনুসারে –
১. ক্যাটায়নের আকার যত ক্ষুদ্র হবে পোলারণ তত বৃদ্ধি পাবে এবং তড়িৎযোজী বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধীক হবে।
২. অ্যানায়নের আকার যত বড় হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত বেশি হবে।
৩. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের চার্জ যত বেশি হবে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও তত অধিক হবে।
৪. ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের d ও f অরবিটালে ইলেকট্রন থাকলে পোলারণের মাত্রা বেশি হয়। ফলে বন্ধনের সমযোজী বৈশিষ্ট্যও বৃদ্ধি পায়।

(গ). উদ্দীপকের উল্লেখিত গ্রুপটি হচ্ছে গ্রুপ IIA । আবার, পর্যায় সারণিতে একই গ্রুপে যতই নিচ থেকে উপরের দিকে যাওয়া যায় একই চার্জযুক্ত ক্যাটায়নসমূহের আকার কমে যাওয়ায় পোলারায়ন ক্ষমতাও বেড়ে যায়, অর্থাৎ এসব আয়নের যৌগসমূহের সমযোজী ধর্ম তত বাড়ে।
ফলে উদ্দীপকে উল্লেখিত গ্রুপ IIA এর দ্বিধনাত্মক চার্জযুক্ত বিভিন্ন ক্যাটায়নের ব্যাসার্ধ ঐ গ্রুপে নিচ থেকে উপর দিকে কমতে থাকে।
তাই তাদের পোলার ক্ষমতা বিপরীতভাবে কমে।
যেমন

 (ঘ)

  গ্রুপ IA এবং গ্রুপ IB এর যে দুটি মৌলের একক ধনাত্মক আয়নের কথা উলেস্নখ করলেন, সে দুটি ক্যাটায়ন হল সোডিয়াম আয়ন ( ) ও কপার আয়ন । এই দুটি ক্যাটায়নের ইলেকট্রন বিন্যাস লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, এর সর্ববহি:স্থ স্তরে আটটি ইলেকট্রন অর্থ্যাৎ বিদ্যমান এবং এর সর্ববহিঃস্থ স্তরে আঠারটি ইলেকট্রন অর্থাৎ বিদ্যমান।
আবার সমচার্জের ও প্রায় সমআকারের দুটি ক্যাটায়নের মধ্যে সর্ববহিঃস্থ স্তরে আট ইলেক্ট্রন বিশিষ্ট ক্যাটায়ন অপেক্ষা সর্ববহিঃস্ত স্তরে আঠার ইলেকট্রন বিশিষ্ট ক্যাটায়নের পোলারায়ন ক্ষমতা বেশি। যেহেতু ক্যাটায়নের সর্ববহিঃস্থ স্তরে আটটি এবং ক্যাটায়নের সর্ববহিঃস্থ স্তরে আঠারটি ইলেকট্রন বিদ্যমান, সেহেতু এর পোলারায়ন ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে উক্ত ক্যাটায়নের দ্বারা গঠিত যৌগের সমযোজী ধর্ম বৃদ্ধি পাবে। উদাহরণস্বরম্নপ, ও এর অনার্দ্র ক্লোরাইডের ক্ষেত্রে NaCI এর গলনাঙ্ক অথচ এর গলনাঙ্ক মাত্র যা দ্বারা শেষোক্ত যৌগে সমযোজী ধর্মের প্রধান্য প্রকাশ পায়।
অত এব, ড. সাহেদা ইসলাম যে দুটি ক্যাটায়নের আয়নিক ব্যাসার্ধ লিখেলিলেন, তার মধ্যে শেষোক্তটি অর্থাৎ এর যৌগের সমযোজী ধর্ম বেশি হবে।

২  নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ 

(ক).
পর্যায় সারণির তৃতীয় পর্যায়ের ৮টি মৌল বিদ্যমান।

(খ) যেসব মৌলের পরমাণুর ইলেক্ট্রন বিন্যাসে সর্ববহিঃস্থ স্তরের অব্যবহিত পূর্ব স্তরের d আরবিটাল আংশিক পূর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্তান্তর মৌল বলা হয়। যেমন, Cr, Fe ইত্যাদি।
এদের বৈশিষ্ট :
১. সব অবস্থান্তর মৌল ধাতব পদার্থ।
২. অবস্থান্তর মৌলগুলো আদর্শ মৌল হতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভিন্নতর যেমন: পরিবর্তনশীল যোজ্যতা, রঙিন আয়ন গঠন, প্রভাবন ক্ষমতা, সমযোজী বন্ধনের মাধ্যমে জটিল আয়ন ও যৌগ গঠন, সম-চুম্বকীয় ধর্ম ইত্যাদি।

(গ)

উদ্দীপকের X, Y ও Z মৌলসমুহের ইলেক্ট্রন বিন্যাস নিমণরম্নপ-
X মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বোচ্চ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা ৪ সুতরাং, এটি ৪র্থ পর্যায়ের মৌল। আবার বহিঃস্থ d ও s উপস্তরে মোট ৩টি ইলেকট্রন থাকায় এবং অরবিটালে সর্বশেষে ইলেক্ট্রন প্রবেশ করায় এর গ্রুপ করায় এর গ্রুপ হবে IIB.

Y মৌলটির ইলেক্ট্রন বিন্যাসে সর্বোচ্চ প্রদান কোয়ান্টাম সংখ্যা ৪ সুতরাং, এটি ৪র্থ পর্যায়ের মৌল। আবার বহিঃস্থ d ও s উপস্তরে মোট ৮টি ইলেকট্রন থাকায় এটি পর্যায় সারণিতে গ্রুপ VIII- এ অবসিত্মত।
Z  মৌলটির ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বোচ্চ প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান ৪  সুতরাং, এটি ৪র্থ পর্যায়ের মৌল। আবার বহিঃস্থ d ও s অরবিটালে ১০টির বেশি ইলেকট্রন হওয়ায় s অরবিটলে ইলেক্ট্রন সংখ্যা মৌলটির গ্রুপ নির্দেশ করে। তাই Z মৌলটি IIB তে অবস্থিত।

(ঘ)

যেসব মৌলের ইলেকট্রণ বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রনটি d অরবিটালে যায়, তাদেরকে d ব্লক মৌল বলে। এ অনুসারে উদ্দীপকের X, Y ও Z প্রত্যেকেই d ব্লক মৌল, কেননা এদের প্রত্যেকের সর্বশেষ ইলেকট্রনটি d আরবিটালে প্রবেশ করে। X, Y ও Z এর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে একথা আরো স্পষ্টভাবে বুঝা যায়।

আবার যেসব মৌল অন্তত এমন একটি স্থিতিশীল আয়ন গঠন করে যার ইলেক্ট্রন বিন্যাসে d আরবিটাল আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে, তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে। এ অনুসারে, X এর স্থিতিশীল আয়ন   এর ইলেকট্রন বিন্যাসে 3d অরবিটালে কোন ইলেকট্রন না থাকায় এবং Z এর স্থীতিশীল আয়ন  এর ইলেকট্রন বিন্যাসে  কাঠামো থাকায়, এরা d ব্লক মৌল হলেও অবস্থান্তর নয়।

অপরদিকে Y  মৌলটি একই সাথে d ব্লক ও অবস্থান্তর। কেননা এর দুটি স্থিতিশীল আয়ন   ও   এ d অরবিটাল আংশিকভাবে পূর্ণ থাকে।
X, Y ও Z মৌলসমূহের উপর এসব আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, সকল অবস্থান্তর মৌলই, d ব্লক কিন্তু সকল d ব্লক মৌল অবস্থান্তর নাও হতে পারে।

  ৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ

(ক) পরমাণুর বিভিন্ন শক্তিস্তরের শক্তির ক্রমাণসারে ইলেকট্রনসূহের সজ্জাকে ইলেকট্রন বিন্যাস বলে।

(খ) দ্বারা X মৌলটির ২য় আয়নীকরণ শক্তি বোঝানো হয়েছে। কোন মৌলের 1 mol ঋণাত্মক আয়নের সাথে। mol ইলেকট্রন যোগের ফলে যে শক্তির পরিবর্তন ঘটে, তাকে সেই মৌলের ২য় ইলেক্ট্রন আসক্তি বলা হয়। একক ঋণাত্মক আয়ন এর মোল ইলেক্ট্রন গ্রহণ করেছে। এক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়ায় হবে X এর ২য় আয়নীকরণ শক্তি।
= ২য় আয়নীকরণ শক্তি।

(গ) চিত্র-১ এ প্রদর্শিত মৌলটি হলো ফ্লোরিন (F)। ফ্লোরিন পর্যায় সারণির ২য় পর্যায়ের মৌল। এ পর্যায়ের মৌলগুলো হলো-
Li
(3) Be
(4) B
(5) C
(6) N
(7) O
(8) F
(9) Ne
(10)
২য় পর্যায়ে Li(3) থেকে শুরম্ন করে যতো ডানদিকে যাওয়া যায় শক্তিস্তর বৃদ্ধি না পেলেও সর্বশেষে শক্তিস্তরে একটি করে ইলেকট্রন বৃদ্ধি পায়। ফলে নিউক্লিয়ার চার্জও বৃদ্ধি পায় এবং বহিঃস্থ ইলেকট্রনের সাথে নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ জোরালো হয়। এ আকর্ষণের ফলশ্রুতিতে পারমানবিক ব্যসার্ধ হ্রাস পায়।
Li থেকে F এর দিকে পারমানবিক আকার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ার সর্বশেষ শক্তিস্তরে নবাগত ইলেকট্রন সংযোগের ক্ষমতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ ইলেক্ট্রন আসক্তি ক্রম বৃদ্ধি পায়। তাই ইলেকট্রন আসক্তি ক্রম হবে–

(ঘ)

চিত্র-১ ও চিত্র-২ এ প্রদর্শিত মৌলসমূহ যথাক্রমে ফ্লোরিন (F) ও ক্লোরিন (C) পরমাণু। এ দুটি মৌল পর্যায় সারণির VIIA গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। ক্লোরিন, ফ্লোরিনের নিচে অবস্থিত হওয়ায় অর্থাৎ ক্লোরিনের আকার বড় হওয়ায় এবং ইলেকট্রন আসক্তি বেশি হওয়ায় কথা ছিলো। কিন্তু বাস্তরে তা দেখা যায় না। F ও CI এর ইলেকট্রন বিন্যাস নিমণরূপ-

ফ্লোরিনের ২য় শক্তিস্তরে এবং ক্লোরিনের ৩য় শক্তিস্তরে সমান সংখ্যক বহিঃস্থ ইলেকট্রন বিদ্যমান। ৩য় শক্তিস্তরের তুলনায় ২য় শক্তিস্তরের আকার ছোট হওয়ায় এবং ছোট জায়গায় ৭টি ইলেকট্রন অবস্থান করায় ফ্লোরিনের শেষস্তরে ইলেকট্রন ঘনত্ব বেশি থাকে। ফলে নবাগত ইলেকট্রন ফেস্নারিনের ২য় স্তরের ইলেকট্রনগুলো দ্বারা বিকর্ষিত হয়। এ কারণে ফ্লোরিনের ইলেকট্রন আসক্তি কমে যায়। অন্যদিকে CI পরমাণুতে ৩য় শক্তিস্তরে ৭টি ইলেকট্রন অপেক্ষাকৃত কম ঘন ভাবে বিন্যাস্ত। তাই নবাগত ইলেকট্রন নিউক্লিয়াস কর্তৃক জোরে আকৃষ্ট হয় বলে CI এর ইলেকট্রন আসক্তির মান অপেক্ষা F বেশি হয়।

শেষ কথা

এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সৃজনশীল প্রশ্ন দেওয়া আছে। আশা করছি এই পোস্ট থেকে গুনগত রসায়ন MCQ প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন এই রকম আরও সাজেশন ও প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ সংগ্রহ করতে আমার সাথেই থাকুন।

আরও দেখুনঃ

গুনগত রসায়ন MCQ প্রশ্ন ও উত্তর সাজেশন এইচ এস সি ২০২৩

গুনগত রসায়ন সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর সাজেশন- এইচএসসি। PDF