প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর এই পোস্টে দেওয়া আছে। পোস্টের নিচের দিকে প্রশ্ন উত্তর গুলো পিডিএফ ফাইলে শেয়ার করেছি। তাই যারা যারা এই গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে চান তারা আজকের পোস্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন। নিচে থেকে প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ ফাইল সংগ্রহ করেনিন।
প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
১। লেখক শীতকাল কোথায় কাটাবেন বলেছেন?
উত্তর : লেখক শীতকাল পানশিরে কাটাবেন বলেছেন।
২। ‘ও রভােয়া’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘ও রভােয়া’ অর্থ আবার দেখা হবে।
৩। দুম্বার মাংসে কিসের লুকোচুরি খেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : দুম্বার মাংসে কিশমিশের লুকোচুরি খেলার কথা বলা হয়েছে।
৪। শামী কাবাব কী সাইজের ছিল?
উত্তর : শামী কাবাব ছিল বােম্বাই সাইজের।
৫। অধিক শােকে মানুষ কী হয়?
উত্তর : অধিক শােকে মানুষ পাথর হয়।
৬। লেখক কী খেতে পছন্দ করেন না?
উত্তর : লেখক খেতে মিষ্টি পছন্দ করেন না।
৭। আবদুর রহমান লেখককে রাতে কোথায় খেতে বলল?
উত্তর : আবদুর রহমান লেখককে রাতে বাড়িতে খেতে বলল।
৮। টাঙা হাঁকিয়ে বাড়ি ফিরছেন কে?
উত্তর : টাঙা হাঁকিয়ে বাড়ি ফিরছেন অধ্যক্ষ জিরার।
৯। আফগানিস্তানে কোনটি মশহুর?
উত্তর : আফগানিস্তানে বাগেবালার বরফি আঙুর মশহুর।
১০। মেয়েরা আচারের জন্য কাগজি লেবু কোথায় ঘষে?
উত্তর : মেয়েরা আচারের জন্য কাগজি লেবু পাথরের শিলে ঘষে ।
১১। তাজি ঘােড়াকে হার মানিয়ে কী ছুটে চলে?
উত্তর : তাজি ঘােড়াকে হার মানিয়ে বরফের গুঁড়াে ছুটে চলে।
১২। কোথায় এক দম নিলে এক বছর আয়ু বাড়ে?
উত্তর : পানশিরে এক দম নিলে এক বছর আয়ু বাড়ে।
১৩। কাবুল শহরে নিশাচর হতে হলে কিসের প্রয়ােজন?
উত্তর : কাবুল শহরে নিশাচর হতে হলে তাগদ ও হাতিয়ার প্রয়ােজন।
১৪। তাগদ অর্থ কী?
উত্তর : তাগদ অর্থ শক্তি।
১৫। কোথায় বরফের পাজা কম্বলের মতাে ওম দেয়?
উত্তর : পানশিরে বরফের পাজা কম্বলের মতাে ওম দেয়।
১৬। কাবুলিরা কয় পেয়ালা চা খায়?
উত্তর : কাবুলিরা ছয় পেয়ালা চা খায়।
১৭। কাবুলের হাওয়া কিসের মতাে?
উত্তর : কাবুলের হাওয়া আতশবাজির হল্কার মতাে।
১৮। কোথায় আস্ত দুম্বা খেয়ে পানি খেলে আবার ক্ষিধে লাগে?
উত্তর : পানশিরে আস্ত দুম্বা খেয়ে পানি খেলে আবার ক্ষিধে লাগে।
১৯। লেখকের মতে আবদুর রহমান কতজনের রান্না পরিবেশন করেছে?
উত্তর : লেখকের মতে আবদুর রহমান ছয়জনের রান্না পরিবেশন করেছে।
২০। প্রবাস বন্ধু রচনায় বর্ণিত কাজের চাকরের নাম কী ?
উত্তর : ‘ প্রবাস বন্ধু ’ রচনায় বর্ণিত কাজের চাকরের নাম আবদুর রহমান।
প্রবাস বন্ধু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর
২১। সৈয়দ মুজতবা আলীর পিতার নাম কী?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলীর পিতার নাম সিকান্দর আলী।
১৫। কার নাক এবড়াে-থেবড়াে?
উত্তর : আবদুর রহমানের নাক এবড়াে-থেবড়াে।
২২। কাবুল থেকে খাজা মোল্লা গ্রামের দূরত্ব কত ?
উত্তর : কাবুল থেকে খাজা মোল্লা গ্রামের দূরত্ব আড়াই মাইল।
২৩। অধ্যক্ষ জিরার কোন দেশের অধিবাসী ছিলেন ?
উত্তর : অধ্যক্ষ জিরার ফ্রান্সের অধিবাসী ছিলেন।
২৪। সৈয়দ মুজতবা আলী কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
২৫। সৈয়দ মুজতবার পিতার নাম কী?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবার পিতার নাম সিকান্দর আলী।
২৬। লেখকের কাজের লােকের নাম কী?
উত্তর : লেখকের কাজের লােকের নাম আবদুর রহমান।
২৭। ব্রহ্মর শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘ব্ৰহ্মর’ শব্দের অর্থ তালুর কেন্দ্রবর্তী ছিদ্র।
২৮। চিনেমাটির ডাবরে কী ভেসে উঠেছে?
উত্তর : চিনেমাটির ডাবরে দুটো পান্তুয়া ভেসে উঠেছে।
২৯। কাবুল শহরে লেখক কয়টি নরদানব দেখেছেন?
উত্তর : কাবুল শহরে লেখক দুটি নরদানব দেখেছেন।
৩০। আবদুর রহমানকে লেখক কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর : আবদুর রহমানকে লেখক নরদানবের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৩১। আবদুর রহমানের উচ্চতা কত?
উত্তর : আবদুর রহমানের উচ্চতা ছয় ফুট চার ইঞ্চি।
৩২। সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
৩৩। সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেটের কোন স্কুলে লেখাপড়া করেন ?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী সিলেট গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে লেখাপড়া করেন।
৩৪। সৈয়দ মুজতবা আলী কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন ?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
৩৫। সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৩৬। মন্ত্রীর দফতরে ঝগড়া-বচসা করেন কে?
উত্তর : অধ্যক্ষ জিরার মন্ত্রীর দফতরে ঝগড়া-বচসা করেন।
৩৭। খাজামোল্লা গ্রাম কাবুল থেকে কত মাইল দূরে?
উত্তর : খাজামােল্লা গ্রাম কাবুল থেকে আড়াই মাইল দূরে।
৩৮। সৈয়দ মুজতবা আলীকে কী অভিযোগের কারণে চাকরি ছাড়তে হয় ?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলীকে পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লেখার অভিযোগে চাকরি ছাড়তে হয়।
৩৯। সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে বিশ্বভারতীর রিডার নিযুক্ত হন ?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৬১ সালে বিশ্বভারতীর রিডার নিযুক্ত হন।
৪০। সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম লেখো।
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের নাম দেশে – বিদেশে।
৪১। সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৪২। চাচা কাহিনী ‘ গ্রন্থটির লেখক কে ?
উত্তর : চাচা কাহিনী গ্রন্থটির লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
৪৩। আবদুর রহমানের পায়ের আকৃতি কেমন?
উত্তর : আবদুর রহমানের পায়ের আকৃতি ডিঙি নৌকার মতাে।
৪৪। লেখক কোন গ্রামে বাসা খুঁজে পেয়েছিলেন ?
উত্তর : লেখক খাজামোল্লা গ্রামে বাসা খুঁজে পেয়েছিলেন।
৪৬। রিলিফ ম্যাপের চেহারা মানে কী ?
উত্তর : রিলিফ ম্যাপের চেহারা মানে শীতে গ্রীষ্মে শরীরের চামড়া চিরে।
প্রবাস বন্ধু গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১। “অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর”- মন্তব্যটি লেখক কেন করেছিলেন?
উত্তর : প্রয়োজনের অধিক খাবার পরিবেশনের পরও আরও আছে- আবদুর রহমানের আশ্বাসের কারণে লেখক মন্তব্যটি করেছিলেন। লেখক খেতে বসে কখাবারের প্রাচুর্য দেখে অবাক হন। প্রচুর মাংস, বিশালাকার কাবাব, বড় থালায় কোফতা পোলাও, আস্ত মুরগির রোস্ট দেখে লেখক থ হয়ে যান।লেখককে চুপ করে থাকতে দেখে আবদুর রহমান বলে, আরও খাবার আছে। লেখকের এটার জন্য যা খাবার সামনে ছিল, তা-ই অনেক বেশি। কিন্তু আবদুর রহমানের আশ্বাসে লেখক সম্পূর্ণ খাবারের পরিমাণ চিন্তা করে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। তার নিজের অবস্থা বোঝাতে ব্যঞ্জনার্থে লেখক মন্তব্যটি করেছিলেন।
২। লেখকের মতে আবদুর রহমানের চেহারা কেন আফগান রিলিফ ম্যাপসদৃশ?
উত্তর : লেখকের মতে, আফগানিস্তানের অতি শীতল আবহাওয়াই আবদুর রহমানের রিলিফ ম্যাপসদৃশ চেহারার জন্য দায়ী। আবদুর রহমানের মুখের চামড়া চিরে ফেড়ে গেছে শীতে-গ্রীষ্মে। রিলিফ দেওয়ার ম্যাপে বিভিন্ন চিহ্নিত স্থান যেমন উঁচু-নিচু দেখায়, আবহাওয়ার কারণে আবদুর রহমানের চেহারাও তেমন অবস্থা ধারণ করেছে। আবদুর রহমান সাধারণ এক আফগান। তার দৃষ্টিতে এই চেহারাই সঠিক। কিন্তু বাঙালি লেখকের অভ্যস্ত দৃষ্টিসীমার বাইরে তার চেহারার বর্ণনা কিছুটা কৌতুকের সঙ্গে বর্ণিত হয়েছে।
৩। ‘প্রবাস বন্ধু’ ভ্রমণকাহিনিতে আবদুর রহমানকে ‘নরদানব’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর : ‘প্রবাস বন্ধু’ ভ্রমণকাহিনিতে আবদুর রহমানকে ‘নরদানব’ বলা হয়েছে তার শারীরিক গঠনের জন্য। আবদুর রহমানের উচ্চতা ছয় ফুট চার ইঞ্চি। দুই হাত হাঁটু পর্যন্ত নেমে এসেছে। তার পায়ে সাইজ ডিঙি নৌকার মতো।কাঁধ এত চওড়া যে লেখকের মনে হয় সে বাদশা আবদুর রহমান হলে গোটা আফগানিস্তানের ভার বইতে পারত। এ কান ও কান জোড়া মুখ। এবড়ো-থেবড়ো নাক-কপাল নেই। তার এমন শারীরিক গঠনের জন্য লেখকের মনে হয় সে মানুষ নয়, কোনো বিশালদেহী ভয়ংকর জন্তু। এ কারণেই তাকে ‘নরদানব’ বলা হয়।
শেষ কথা
আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এখান থেকে প্রবাস বন্ধু গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম আরও ভালো ভালো পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন। এস এস সি শিক্ষা সংক্রান্ত আরও পোস্ট এই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরও দেখুনঃ
লাইব্রেরি গল্প। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- এস এস সি বাংলা ১ম পত্র
অভাগীর স্বর্গ গল্পের mcq, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন উত্তর – Pdf
অভাগীর স্বর্গ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। বাংলা ১ম পত্র এস এস সি
নিয়তি গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ- এস এস সি বাংলা ১ম পত্র