মংডুর পথে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর- ৮ম শ্রেণি

মংডুর পথে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

এখানে মংডুর পথে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন উত্তর সংগ্রহ করে দেওয়া আছে। আমাদের পূর্ব দিকের দেশ মিয়ানমার। সেই দেশ ভ্রমণের ফলে লেখক যেসব অভিজ্ঞতা লাভ করেন তার কিছু বিবরণ এই রচনায় পরিবেশিত হয়েছে। মিয়ানমারের পশ্চিম সীমান্তের শহর মংডু দিয়ে লেখকের ওই দেশ সফর শুরু হয়েছিল। মংডুর মানুষের পোশাক-পরিচ্ছদ, খাদ্যাভ্যাস, ব্যাবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে একটি ধারণা এই রচনা থেকে পাওয়া যায়। মংডুতে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্মের লোক সম্পর্কেও পরিচয় আছে এতে।

মংডুর পথে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন-০১। পাইক্যা’-এর একচেটিয়া চালক কারা ?
উত্তরঃ পাইক্যার একচেটিয়া চালক মংডুর স্থানীয় মুসলমান।

প্রশ্ন-০২। ‘মহাথেরাে’ শব্দ দ্বারা কী বােঝানাে হয় ?
উত্তরঃ ‘মহাথেরাে’শব্দ দ্বারা বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রধান গুরুকে বােঝানাে হয়।

প্রশ্ন-০৩। সব দেশের লােক কাদের চিনতে পারে ?
উত্তরঃ সব দেশের লােক বিদেশিদের চিনতে পারে।

প্রশ্ন-০৪। দৌলত কাজী’ কোন রাজ্যের রাজসভায় সভাকবি ছিলেন ?
উত্তর : ‘দৌলত কাজী’ আরকান রাজ্যর রাজসভায় সভাকবি ছিলেন।

প্রশ্ন-০৫। মিয়ানমারের সাধারণ পােশাক কী ?
উত্তরঃ মিয়ানমারের সাধারণ পােশাক লুঙ্গি।

প্রশ্ন-০৬। আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানীর নাম কী
উত্তরঃ আরকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানীর নাম ম্রাউক-উ।

প্রশ্ন-০৭। কোন গাছের নিচের নুডলসের দোকান রয়েছে ?
উত্তরঃ শিরীষ গাছের নিচে নুডলসের দোকান রয়েছে।

প্রশ্ন-০৮। পর্তুগিজরা নিজেদের বসতির জায়গাকে কী বলত ?
উত্তরঃ পর্তুগিজরা নিজেদের বসতরি জায়গাকে ব্যান্ডেল বলত ।

প্রশ্ন-০৯। রাতে খাওয়ার জন্য ‘মংডুর পথে রচনার লেখক কোথায় গিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ রাতে খাওয়ার জন্য মংডুর পথে রচনার লেখক রেস্তোরাঁয় গিয়েছিলেন।

প্রশ্ন-১০। বার্মার পশ্চিম সীমান্তের শহর কোনটি ?
উত্তরঃ বার্মার পশ্চিম সীমান্তের শহর মংডু।

প্রশ্ন-১১। চট্টগ্রামের ব্যান্ডেল রােড’ কাদের স্মৃতি বহন করে ?
উত্তরঃ চট্টগ্রামের ব্যান্ডেল রােড’ পর্তুগিজদের স্মৃতি বহন কর।

প্রশ্ন-১২। মংডু শহরের পূর্ব দিকের সেতুটির নাম কী ?
উত্তরঃ মংডু শহরের পূর্ব দিকের সেতুটির নাম শেউইজার সেতু।

প্রশ্ন-১৩। ফুঙ্গি কী ?
উত্তরঃ ফুঙ্গি হলাে বৌদ্ধ ভিক্ষু।

প্রশ্ন-১৪। মংডু কোথায় ?
উত্তরঃ মংডু টেকনাফের ওপারে।

প্রশ্ন-১৫। দৌলত কাজী কত শতকের কবি ছিলেন ?
উত্তর : দৌলত কাজী সতেরাে শতকের কবি ছিলেন ।

মংডুর পথে গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন-০১। শুক্লপক্ষ বলতে কী বােঝ?

উত্তরঃ ‘শুক্লপক্ষ’ বলতে অমাবস্যার পর থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত চন্দ্রকলা বাড়ার সময়কে বােঝায়।মংডুর পথে’ রচনায় লেখক বাংলাদেশের পূর্বদিকের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার ভ্রমণের বর্ণনা করতে গিয়ে মিয়ানমারের সীমান্ত শহর মংডু দিয়ে যাওয়ার সময় নির্দেশ করতে শুক্লপক্ষের চাঁদের কথা বলেছেন। এ সময় সন্ধ্যার অন্ধকার ঘনিয়ে আসার অল্প সময় পরেই আকাশে চাঁদ দেখা দেয়। চাদের স্নিগ্ধ আলােয় প্রকৃতির পরিবেশ আরও মনােরম হয়ে ওঠে। মংডুর পথে নেমে লেখকের মুখ, চোখ, কান ও হৃদয় তাই এক অচেনা আবেগে ভরে উঠেছিল।

প্রশ্ন-০২। ব্যান্ডেল বলতে কী বুঝ?

উত্তরঃ ষোড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে এসে বসতি স্থাপন করে সেই বসতি জায়গাকে বান্ডেল বলা হতাে।মংডু বাংলাদেশের টেকনাফের ওপাড়ে মিয়ানমারের একটি সীমান্ত শহর। এই শহরের মাঝখানে নাফ নদী। নাফ নদী পার হয়ে ব্রিটিশ যুগের বহু আগে অনেক বিদেশি বাংলাদেশে এসেছে। ষােড়শ শতাব্দীতে পর্তুগিজরা চট্টগ্রামে এসে বসতি স্থাপন করে। তারা তাদের বসতির জায়গাকে বান্ডেল বলত।

প্রশ্ন-০৩। লেখকের মন খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়তে চাইল কেন?

উত্তরঃ অভিবাসন ও শুল্ক দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে লেখকের মনটা খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়াল দিতে চাইল।এমণের উদ্দেশ্যে লেখক মিয়ানমারের মংডু শহরে যখন পৌছান তখন সন্ধ্যার আধার ঘনিয়ে এসেছে। অভিবাসন ও শুল্ক দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে লেখকের মন খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়াল দিতে চেয়েছে। কারণ এই পথে আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানী ম্রাউক-উ দেখতে পাবেন ।

প্রশ্ন-০৪। মংডু ভ্রমণের সময় লেখক যে হােটেলটিত ছিলেন তার বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ মংডুতে লেখক যে হােটেলে ছিলেন সেটির অবস্থা অত্যন্ত শােচনীয়। লেখক মিয়ানমারে ভ্রমণের সময় ইউনাইটেড হােটেলে জায়গা না পেয়ে একটি চতুর্থ শ্রেণির হােটেলে উঠেছিলেন। সেটির অবস্থা শােচনীয় বললেও কম বলা হবে।কাঠের মেঝে ও কাঠের যেমন- তেমন দেয়াল। সেই হােটেলের বিছনায় ছিল উঁচুনিচু চাষা জমির মতাে তােশক। মশারিতে ছিল বিবিএ ও বিপরীতধর্মী নানা রকম উৎকট দুর্গন্ধ। মাথার ওপরে যদিও বা পাখা আছে কিন্তু রাত নটার হিসেবে অভিহিত করেছেন। পর বিদ্যুৎ থাকবে না, সুতরাং ফ্যানও ঘুরবে না। এমনকি রাতে বাতিও থাকবে না । তাই লেখক হােটেলটিকে অখ্যাত।

প্রশ্ন-০৫। লেখকের মন খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়তে চাইল কেন? 

উত্তরঃ অভিবাসন ও শুল্ক দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে লেখকের মনটা খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়াল দিতে চাইল।এমণের উদ্দেশ্যে লেখক মিয়ানমারের মংডু শহরে যখন পৌছান তখন সন্ধ্যার আধার ঘনিয়ে এসেছে। অভিবাসন ও শুল্ক দফতর থেকে ছাড়া পেয়ে লেখকের মন খাঁচা ছাড়া পাখির মতাে উড়াল দিতে চেয়েছে। কারণ এই পথে আরাকান রাজ্যের ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন রাজধানী ম্রাউক-উ দেখতে পাবেন ।

শেষ কথা

আশা করছি এই পোস্ট আপনাদের ভালোলেগেছে এবং এখান থেকে মংডুর পথে জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এই রকম শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য পেতে আমার সাথেই থাকুন। এই ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক পোস্ট শেয়ার করা হয়।

আরও দেখুনঃ

সুখী মানুষ-মমতাজ উদ্‌দীন আহমদ। ৮ম শ্রেণি