৭ম শ্রেণীর জীবন ও কর্মমুখি শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট সামাধান ১২তম সপ্তাহ
আমি নিজেকে আত্মমর্যাদাবান ও আত্মবিশ্বাসী মানুষ হিসেবে যেভাবে গড়ে তুলতে পারি, তার একটি কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করলাম।
নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার প্রতিভাকে বিকশিত করতে চাই। এর মাধ্যমে নিজের মননশীলতার পরিচয় ফুটিয়ে তোলা যায়। ভূল ভ্রান্তি সংশোধন করা যায়। নিজের কাজকে নিজে প্রাধান্য দিয়ে ভালো কিছু করার জন্যে চেষ্টা চালাতে চাই। এতে কায়িক শ্রম ও মেধা শ্রম উভয়ের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যায়। যা শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখে। তাই আমি উন্নয়ন ও সৃজনশীলমূলক কাজ করতে চাই অধিক পরিমাণে। এতে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং বিশ্বাস দৃঢ় হয়।
আত্মমর্যাদা বলতে সাধারণত আমরা বুঝে থাকি নিজের কাছে নিজের সম্মান ও মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন থাকা বা আত্মমর্যাদা হলো নিজের চারপাশে বা নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা। কিন্তু অধিকাংশ ঠিক নয়।।
আত্মমর্যাদা হলো নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করা, ন্যায় কাজ করতে লজ্জাবোধ না করা। নিজের কোন রকম প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্য সম্মান জানানো এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।
আমার আত্মমর্যাদার কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-
- আমি সবসময় সঠিক কাজ সঠিক সময়ে করার চেষ্টা করি। কোন কাজ ফেলে রাখি না।
- ন্যায় কাজ করতে কখনো লজ্জাবোধ করি না।
- কোথাও অন্যায় হতে দেখলে প্রতিবাদ করি।
- বিপদ আপদে মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।
- শ্রেণি শিক্ষক এবং বড়দের সম্মান করি।
- কখনো শ্রেণি কাজ বাকি রেখে ফাঁকি মূলক কাজ করি না।
- বিভিন্ন কাজে নিজের রুচিশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকি।
- কোন কাজে ভয় পেয়ে পিছে হটে যাই না বরং আত্মবিশ্বাসের সাথে করার চেষ্টা করি।
- নিজের মতামত প্রকাশ করি এবং অন্যের মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই।