৮ম শ্রেণীর জীবন ও কর্মমুখি শিক্ষা এ্যাসাইনমেন্ট সামাধান ১২তম সপ্তাহ
আমার ঘরে অব্যবহৃত ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে এমন একটি জিনিস বানাই যা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় ও কিভাবে বানিয়েছ তা বর্ণনা করলাম।
ভূমিকাঃ বাড়িতে বা ঘরে ব্যবহৃত খবরের কাগজ ফেলে না দিয়ে ঠোঙা তৈরি করে পুনরায় আমরা ব্যবহার করতে পারি। নিম্নে ফেলে দেওয়া কাগজ দিয়ে ঠোঙা তৈরি করার পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হলাে।
ঠোঙার ধারণাঃ প্লাস্টিকের প্যাকেট আসার অনেক আগে থেকেই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার ছিল। এবং পরিবেশ দূষণ কম করবার জন্যে প্লাস্টিকের ব্যবহারাবার কম করার চেষ্টা হচ্ছে, তাই কাগজের ঠোঙার ব্যবহার আবার বাড়ছে। কাগজের ঠোঙা নানা আয়তনের ও অন্যপাতের হয়।
যেমন মুড়ির ঠোঙা বলতে সাধারণতঃ বােঝায় ৫০০ গ্রাম মুড়ি ধরতে পারে এমন আয়তনের ঠোঙা। চানাচুর বা ঝালমডির ঠোঙা বলতে বােঝায় ১০০ গ্রাম ঝালমুড়ি যাতে ভরে ট্রেনে ঝালমুড়িওয়ালারা বিক্রি করে সেই রকম ঠোঙা। খবরের কাগজের দৃঢ়তায় মুড়ির ঠোঙার থেকে বেশি বড় ঠোঙা বানালে সেটা তার ভেতরে জিনিস করে সেই রকম ঠোঙা। খবরের কাগজের দৃঢ়তায় মুড়ির ঠোঙার থেকে বেশি বড় ঠোঙা বানালে সেটা তার ভেতরে জিনিস ধরবার মত মজবুত হবার সম্ভাবনা কম। কাগজের ঠোঙার সুবিধে হল একে আঠা দিয়ে সহজেই জোড়া যায়। কিন্তু অসুবিধে হল ভিজে গেলে কাগজের ঠোঙা খুব দুর্বল হয়ে ছিড়ে যায়।
কাগজের ঠোঙা বানাবার পদ্ধতিঃ কাগযের ঠোঙা নানা ভাবে বানানাে যায়।
প্রথমে আয়তক্ষেত্রাকার একটি কাগজের টুকরাের দুটি বিপরীত প্রান্ত আঠা দিয়ে জুড়ে চোঙা (সিলিণ্ডার) আকৃতির করে তারপর চেপ্টে দেওয়া হয়।
তারপর তার যেকোন একটি খােলা দিককে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিতে বন্ধ করা
সাধারণতঃ গঁদের আঠা বা ময়দার আঠা দিয়ে ভাজ করা কাগজের খােলা প্রথমে আয়তক্ষেত্রাকার একটি কাগজের টুকরাের দুটি বিপরীত প্রান্ত আঠা দিয়ে জুড়ে চোঙা (সিলিণ্ডার) আকৃতির করে তারপর চেপ্টে দেওয়া হয়।
তারপর তার যেকোন একটি খােলা দিককে নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতিতে বন্ধ করা
চোঙা আকৃতির কাগজটির ভাজ করা প্রান্তের এই খােলা মুখের দিকের কোনাদুটিকে মুড়িয়ে চোঙার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। ততটাই প্রবেশ করানাে হয় যাতে দুই দিক থেকে প্রবেশ করানাে ধারদুটি কাছা কাছি এসে যায়।
একাট ছােটো আয়ত ক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরাে নিচে থেকে আঠা দিয়ে আটকে দিয়ে এই প্রান্তদুটিকে একে অপরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়।
এবারে চাপ্টা থেকে আবার চোঙা আকারে নিয়ে এলে আর্ধেক বন্ধ করা মুখটির আটকানাে কোণাদুটির সঙ্গে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত অন্যদুটি কোণাকে উপযুক্ত কাগজের টুকড়াের উপরে (বাইরে দিয়ে) আঠা দিয়ে জুড়ে দেওয়া হয় ঠোঙা তৈরী।
ঠোঙা বাঁধার পদ্ধতি সম্পাদনাঃ ঠোঙা নানা ভাবে বাঁধা যায়। কাগজের ঠোঙার বিশেষত্ব হল এর নমনীয়তার জন্য কম ভর্তি ঠোঙার খালি অংশকে সম্পূর্ণ মুড়িয়ে দেওয়া যায়। দিয়ে খােলা মাথাটিকে ঢেকে দেওয়া হয়। তার পর এর উপরে জেগে থাকে ঠোঙার মুক্ত প্রান্তকে এই কাগজের উপর দিয়ে মুড়িয়ে সুতা বা পাটের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, আমাদের বাসা বাড়িতে জমে থাকা খবরের কাগজ ফেলে না দিয়ে ঠোঙা তৈরি করে ব্যবহার করতে পারি।