৭ম শ্রেণির বাংলা ১৩শ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে সমাধান ২০২১

৭ম শ্রেণির বাংলা ১৩শ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে সমাধান ২০২১

‘শােন একটি মুজবুিরের থেকে’ কবিতাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর 7 মার্চ এর ভাষণের প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে।নিম্নে এ পক্ষে যৌক্তিকতা তুলে ধরা হলাে –

বঙ্গবঙ্গবন্ধু বর্তমানের তরুণ প্রজন্মের কাছে এক বিস্ময়মাখা চরিত্র। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ এই নেতার। ডাকে লক্ষাধিক মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, দেশের প্রতি ভালােবাসা ও আত্মত্যাগের এমন নজির এ প্রজন্মের সবাইকে শিহরিত করে তােলে। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সােহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া। সেই ভাষণের প্রতিটি লাইন যেন অনবদ্য উদ্দীপনা সৃষ্টিকারী, চিরভাস্বর অমর কবিতার ছত্র ।

ভাষণের শেষে দীপ্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর অনন্য ঘােষণা, ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম যেন ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালির মনের কথা। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে অলক্ষ্যেই যেন রচনা হয়ে যায় বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

লাখাে বাঙালি ৭ মার্চের সেই দিনটিতেই যেন যুদ্ধে যাওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, আড়াই সপ্তাহ পরে ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইপিআরে সশস্ত্র হামলা করায় তাদের এই মানসিক প্রস্তুতি শরীরি ভাষায় রূপান্তরিত হতে বেশি সময় লাগেনি। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলােতে গিয়েই তরুণ-যুবক ও মধ্যবয়সীরা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে যাওয়ার তালিকায় নাম লেখান।

‘শােন একটি মুজিবরের থেকে’ কবিতায় বলা হয়েছে যে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ কালরাতে এই দেশে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নির্বিচারে বাঙালি জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞের সূচনা করলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা। দেন। তাঁর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার লাখ লাখ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর আগে|

৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণেও তিনি স্বাধীনতার ঘােষণা দিয়েছিলেন। ২৬ মার্চ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বন্দি করে রাখলেও তাঁর স্বাধীনতার ডাক কোটি বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙক্ষা হয়ে বেজেছে চারদিকে। পাকিস্তানবিরােধী সব সংগ্রাম-আন্দোলনে সারা। দেশেই প্রচার করা হতাে তাঁর ভাষণ-বকতৃতা। মুক্তিযােদ্ধাসহ স্বাধীনতাকামী সব মানুষের রক্তেচেতনায় তা প্রণােদনা জাগাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *