২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট উত্তর

এসএসসি ১ম সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট ২০২১-

আর্থিক ব্যবস্থাপকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান সহায়ক – বিষয়টির যৌক্তিকতা নিরূপণ

২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফিন্যান্স ব্যাংকিং এসাইনমেন্ট উত্তর

আর্থিক ব্যবস্থাপকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান সহায়ক – বিষয়টির যৌক্তিকতা নিরূপণ-

আর্থিক ব্যবস্থাপকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তার অর্থায়ন ব্যবস্থা বিষয়ক জ্ঞান সহায়ক:

অর্থায়নের ধারণা: অর্থায়ন তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে। কোন উৎস থেকে কী পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায় কীভাবে বিনিয়ােগ করা হলে কারবারে সর্বোচ্চ মুনাফা হবে, অর্থায়ন সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালামাল বিক্রয় থেকে অর্থের আগমন হয়। কারবারে মালামাল প্রস্তুত ও ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তহবিলের প্রয়ােজন হয়। যেমন: মেশিনপত্র ক্রয়, কঁাচামাল ক্রয়, শ্রমিকদের মজুরি প্রদান ইত্যাদি। এগুলাে তহবিলের ব্যবহার। তহবিলের এই প্রয়োজন।

কারবারি অর্থায়নের গুরুত্ব: তীব্র যাগিতামূলক মুক্ত বাজারনীতিতে প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত সতকর্তার সাথে অর্থায়ন পরিকল্পনা করে থাকে। কারণ অর্থায়ন পরিকল্পনার উপরই একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন নির্ভরশীল। তাই বর্তমানে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেমন- সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলাে বিশেষ গুরুত্বের সাথে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থায়ন করে থাকে। কারণ, সুপরিকল্পিত ও দক্ষ অর্থায়ন ব্যবস্থাপনার কারণে একদিকে যেমন ঝুঁকি হ্রাস পায়, অন্যদিকে আয় বা মুনাফা বৃদ্ধি পায়। নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ অর্থায়ন ব্যবস্থাপনাকে আরাে বেশি অর্থবহ করে তুলবে:

(ক) মূলধন সংকট
(খ) উৎপাদনমুখী বিনিয়ােগ
(গ) ব্যাংকিং ব্যবস্থা
(ঘ) শিক্ষিত উদ্যোক্তার অভাব
(ঙ) স্বল্প মেয়াদি তহবিলের ব্যবহার

আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলী: আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলীকে নিম্নোক্তভাগে ভাগ করা যায়। যেমন

১. অর্থায়ন সিদ্ধান্ত
২. বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত
৩. অন্যান্য সিদ্ধান্ত / লভ্যাংশ বন্টন সিদ্ধান্ত

১. অর্থায়ন সিদ্ধান্ত: আর্থিক ব্যবস্থাপকের দ্বিতীয় কাজ হলাে প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য প্রয়ােজনীয় অর্থের সংস্থান করা। অথাৎ, একটি প্রকল্পে বিনিয়ােগের জন্য কি পরিমাণ তহবিল প্রয়ােজন তা নির্ধারণ করা এবং কীভাবে সংগ্রহ করা হবে, কোন উৎস থেকে এবং কখন সংগ্রহ করব ঠিক করতে হবে। বিনিয়ােগের জন্য প্রয়ােজনীয় অর্থের কী পরিমাণ নিজস্ব মূলধন (equity) এবং কী পরিমাণ ঋণকৃত মূলধন (debt capital) থেকে সংস্থান করা হবে তা নির্ধারণ করাই হচ্ছে। এ সিদ্ধান্তের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

২. বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত: একজন আর্থিক ব্যবস্থাপকের সর্বপ্রথম কাজ হলাে লাভজনক বিনিয়ােগ প্রকল্প চিহ্নিত করা এবং ঐ প্রকল্পে বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। অর্থাৎ, কোন কোন প্রকল্পে বা সম্পত্তিতে বিনিয়ােগ করলে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য অর্জন সহজ হবে তা নির্ধারণ করা।

৩. লভ্যাংশ বণ্টন সিদ্ধান্ত: পরিকল্পিত ও গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোম্পানি যে মুনাফা অর্জন করে, তা শেয়ার মালিকদের মধ্যে বন্টনের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপককে নিতে হয়। অর্থাৎ, অর্জিত মুনাফার সম্পূর্ণ না আংশিক শেয়ার মালিকদের মধ্যে বন্টন করা হবে, তা নির্ধারন করা আর্থিক ব্যবস্থাপককের কাজ। যদি কোম্পানির নিকট লাভজনক বিনিয়ােগ সুযােগ থাকে, তাহলে অর্থসংস্থান করার জন্য মুনাফার সম্পূর্ণ অংশ বন্টন না করে আংশিক বন্টন করা হয়।

আংশিক মুনাফা বন্টন করা হলে শেয়ার মূল্যের উপর কি প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনা কওে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। তাই কোম্পানির শেয়ার মালিকদের প্রত্যাশিত লভ্যাংশ ও ভবিষ্যতে বিনিয়ােগের সুযােগ সম্বন্ধে চিন্তাভাবনা করে অর্জিত মুনাফার যে অংশ মালিকদের মধ্যে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, তাকে মুনাফা বন্টন হার (Dividend payout ratio) বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *